আফগানিস্তানের এক লড়াকু নারী নার্গিস
বিশ্বের
প্রভাবশালী এবং অনুপ্রেরণাদানকারী ১০০ নারীকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফলতার
জন্য প্রতি বছর স্বীকৃতি দেয় বিবিসি। ২০১৮ সালে বিবিসি সেসব নারীকে বেছে
নিয়েছে, যারা নিজেদের আবেগ, ঘৃণা এবং ক্রোধের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রকৃত
পরিবর্তনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়েছেন। এদেরই একজন আফগানিস্তানের নার্গিস তারাকি।
সালটা ১৯৯৭। পিতামাতার পঞ্চম কন্যা সন্তান হিসেবে জন্ম হয় নার্গিসের।
জন্মের পরে তার বাবা-মাকে বলা হয়, গ্রামের অন্য কোনো ছেলেসন্তানের সঙ্গে
তাদের মেয়ে সন্তান পরিবর্তন করে নিতে। বর্তমানে নার্গিসের বয়স ২১ বছর। এ
বয়সেই তিনি প্রমাণ করেছেন, তার বাবা-মা তাকে ছেলে সন্তানের সঙ্গে পরিবর্তন
না করতে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেটি সঠিক ছিল।
বর্তমানে তিনি নিজ দেশ আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা এবং নারী ক্ষমতায়নের প্রচারণা চালান। তার এই অনুপ্রেরণাদায়ক কাজের জন্যই তিনি বিবিসির প্রভাবশালী ১০০ নারীর একজন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
নিজের জীবনের কাহিনী এবং আফগানিস্তানের সমাজব্যবস্থা নিয়ে নার্গিস বলেন, জন্মের পর আমার ফুফু এবং অন্য আত্মীয়রা মায়ের উপর চাপ দিতে থাকেন, যাতে তিনি আমার বাবার দ্বিতীয় বিয়েতে সম্মতি দেন। আফগানিস্তানে একজন পুরুষের দুইজন, এমনকি তিন জন স্ত্রী থাকা বিরল কোনো বিষয় নয়। কখনও কখনও একাধিক বিয়ের কারণ হিসেবে বলা হয়, একজন নতুন স্ত্রী মানে হল একটি ছেলে সন্তান হবার নতুন সুযোগ। যখন আমার মা তাদের এই প্রস্তাবে অসম্মতি জানান, তখন তারা আমার বাবাকে অন্য কারো ছেলে সন্তানের সঙ্গে আমাকে বিনিময় করে নেবার পরামর্শ দেয়। এমনকি তারা এমন একটি পরিবারেরও সন্ধান পায়, যারা নিজেদের ছেলের বদলে আমাকে নিতে ইচ্ছুক ছিল। বাচ্চা বদল করা আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয়। এই ঘটনার কথা আমি কখনও শুনি নি। কিন্তু আফগানিস্তানের সমাজব্যবস্থায় ছেলেদের বেশি মূল্য দেয়া হয়। কেননা তাদেরকে পরিবারের জীবিকা-নির্বাহক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ছেলে সন্তান না থাকার কারণে মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে আমার মাকে কথা শুনাতো। যাতে তিনি বিপর্যস্ত হন এবং হীনমন্যতায় ভোগেন। আমাকে বদল করার বিষয়টি আমার মা প্রত্যাখ্যান করা সত্ত্বেও কিছু বয়স্ক মানুষ আমার বাবাকে বিভিন্ন কথা শুনাতে লাগল। তিনি স¤পূর্ণ ভিন্ন মানসিকতার মানুষ ছিলেন। তিনি ওইসব মানুষদের বলতেন, তিনি আমাকে ভালোবাসেন এবং তিনি একদিন প্রমাণ করবেন যে, একটি ছেলে যা পারে, একটি মেয়েও সেগুলো অর্জন করার সক্ষমতা রাখে। আমার বাবার জন্য এসব কিছু সহজ ছিল না। তিনি একজন সেনাসদস্য ছিলেন এবং এর আগে সাবেক সোভিয়েত সমর্থিত শাসনামলে তার কাজ করার ইতিহাস রয়েছে। আর সেই সময়ে আমাদের জেলা ধর্মীয় ও মৌলবাদে বিশ্বাসীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। তাই গ্রামের কিছু মানুষ আমার বাবাকে ঘৃণা করত এবং আমাদের সঙ্গে সামাজিক স¤পর্ক রাখত না। আমার বাবা নিজের কথায় বিশ্বাস রাখতেন। সবসময় নিজে যা বলতেন, তাই করতেন। বাবাই একমাত্র ব্যক্তি, আমার চরিত্রে যার ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। আমাদের জেলা তালেবান জঙ্গিরা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর অবস্থা সবচেয়ে খারাপ হয়ে যায়। ১৯৯৮ সালে আমার বাবা পাকিস্তানে পালিয়ে যান এবং কিছুদিন পরেই আমরাও সেখানে চলে যাই। সেখানে আমাদের জীবন সহজ ছিল না। বাবা এক জুতার কারখানার ম্যানেজারের কাজ পান। সে সময়ই সম্ভবত তাদের জীবনের সবচেয়ে ভালো ঘটনাটি ঘটে। তাদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
২০০১ সালে তালেবান শাসন ক্ষমতাচ্যুত হলে আমরা কাবুলে ফিরে যাই। তখন আমাদের নিজেদের বাড়ি ছিল না। চাচার বাড়িতে থাকতাম আমরা। সেখানকার রক্ষণশীল সংস্কৃতি হওয়া সত্ত্বেও আমি এবং আমার বোন স্কুলে যেতে শুরু করি। আমি কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক পলিসি এন্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে পড়াশুনা শেষ করি। দুই বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বেশি নম্বর নিয়ে আমি স্নাতক পাস করি। সেই পুরো সময়টাতে আমার বাবা কখনও আমাকে সমর্থন করা বন্ধ করেন নি।
কয়েক বছর আগে আমি আর আমার বোন স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলা দেখতে যাই। স্টেডিয়ামে বেশি নারী উপস্থিত ছিল না। ফলে আমাদের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ আমাদের নিয়ে সমালোচনা এবং নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে শুরু করে। স্টেডিয়ামে পুরুষদের মধ্যে আমাদেরকে দেখে বেহায়াও বলতে থাকে। অনেকে আবার বলেছিল, আমরা ব্যাভিচার ছড়ানোর চেষ্টা করছি এবং আমেরিকানরা আমাদেরকে টাকা দিয়েছে। যখন আমার বাবা ফেসবুকে কিছু কমেন্ট দেখলেন, তখন তিনি বললেন, তুমি সঠিক কাজ করেছো। আমি খুশি যে তুমি কিছু সংখ্যক বোকাকে উত্যক্ত করেছো। জীবন অনেক ছোট। যতটা পারো সেটা উপভোগ কর।
তিন বছর আগে গজনিতে আমাদের গ্রামে আমি একটি স্কুল খুলতে চেয়েছিলাম। এ নিয়ে বাবার সঙ্গে কথা বলি। তিনি আমাকে বলেন, সাংস্কৃতিক বিধিনিষেধের কারণে এ কাজ প্রায় অসম্ভব। নিরাপত্তাজনিত কারণে একজন ছেলের পক্ষেও এ কাজে অসুবিধা রয়েছে। তিনি বলেন, স্কুলের বদলে মাদ্রাসা করতে চাইলে তার একটি সম্ভবনা থেকে যায়। শেষ পর্যন্ত আমি নিজের গ্রামই অতিক্রম করতে পারি নি। আমি ও আমার এক বোন এখনও এই স্বপ্ন পূরণের আশা করি। ইতিমধ্যে, আমি বেশ কয়েক বছর ধরে এই অঞ্চলে নারী শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং ক্ষমতায়নের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন এনজিওর সঙ্গে কাজ করেছি। মেয়েদের স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার অধিকার এবং চাকরির অধিকার নিয়ে বিভিন্ন আলোচনায় উপস্থিত থেকেছি।
বিয়ের ব্যাপারে আমি নিজের জন্য এমন কাউকে বেছে নিতে পছন্দ করব যিনি আমার বাবার মতো চারিত্রিক গুণাবলি স¤পন্ন। যিনি আমাকে সমর্থন করবেন এবং আমাদের পাশে দাঁড়াবেন। যার পরিবার আমাকে সমর্থন করবে। যদি তারা তা না করেন, তাহলে আমি তাদেরকে বুঝাবো। তাদের মানসিকতা পরিবর্তনের চেষ্টা করব। আমি বিশ্বাস করি, আমি জীবনে যা অর্জন করেছি, তার সঙ্গে আপস করব না।
এই বছরের শুরুতে আমার বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার মৃত্যুতে আমি এমন একজনকে হারিয়েছি, যার প্রতিনিয়ত সমর্থনে আমি আজকের এই আমি হয়ে উঠতে পেরেছি। আমি জানি তার আশির্বাদ সব সময় আমার সঙ্গে থাকবে।
বর্তমানে তিনি নিজ দেশ আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা এবং নারী ক্ষমতায়নের প্রচারণা চালান। তার এই অনুপ্রেরণাদায়ক কাজের জন্যই তিনি বিবিসির প্রভাবশালী ১০০ নারীর একজন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
নিজের জীবনের কাহিনী এবং আফগানিস্তানের সমাজব্যবস্থা নিয়ে নার্গিস বলেন, জন্মের পর আমার ফুফু এবং অন্য আত্মীয়রা মায়ের উপর চাপ দিতে থাকেন, যাতে তিনি আমার বাবার দ্বিতীয় বিয়েতে সম্মতি দেন। আফগানিস্তানে একজন পুরুষের দুইজন, এমনকি তিন জন স্ত্রী থাকা বিরল কোনো বিষয় নয়। কখনও কখনও একাধিক বিয়ের কারণ হিসেবে বলা হয়, একজন নতুন স্ত্রী মানে হল একটি ছেলে সন্তান হবার নতুন সুযোগ। যখন আমার মা তাদের এই প্রস্তাবে অসম্মতি জানান, তখন তারা আমার বাবাকে অন্য কারো ছেলে সন্তানের সঙ্গে আমাকে বিনিময় করে নেবার পরামর্শ দেয়। এমনকি তারা এমন একটি পরিবারেরও সন্ধান পায়, যারা নিজেদের ছেলের বদলে আমাকে নিতে ইচ্ছুক ছিল। বাচ্চা বদল করা আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয়। এই ঘটনার কথা আমি কখনও শুনি নি। কিন্তু আফগানিস্তানের সমাজব্যবস্থায় ছেলেদের বেশি মূল্য দেয়া হয়। কেননা তাদেরকে পরিবারের জীবিকা-নির্বাহক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ছেলে সন্তান না থাকার কারণে মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে আমার মাকে কথা শুনাতো। যাতে তিনি বিপর্যস্ত হন এবং হীনমন্যতায় ভোগেন। আমাকে বদল করার বিষয়টি আমার মা প্রত্যাখ্যান করা সত্ত্বেও কিছু বয়স্ক মানুষ আমার বাবাকে বিভিন্ন কথা শুনাতে লাগল। তিনি স¤পূর্ণ ভিন্ন মানসিকতার মানুষ ছিলেন। তিনি ওইসব মানুষদের বলতেন, তিনি আমাকে ভালোবাসেন এবং তিনি একদিন প্রমাণ করবেন যে, একটি ছেলে যা পারে, একটি মেয়েও সেগুলো অর্জন করার সক্ষমতা রাখে। আমার বাবার জন্য এসব কিছু সহজ ছিল না। তিনি একজন সেনাসদস্য ছিলেন এবং এর আগে সাবেক সোভিয়েত সমর্থিত শাসনামলে তার কাজ করার ইতিহাস রয়েছে। আর সেই সময়ে আমাদের জেলা ধর্মীয় ও মৌলবাদে বিশ্বাসীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। তাই গ্রামের কিছু মানুষ আমার বাবাকে ঘৃণা করত এবং আমাদের সঙ্গে সামাজিক স¤পর্ক রাখত না। আমার বাবা নিজের কথায় বিশ্বাস রাখতেন। সবসময় নিজে যা বলতেন, তাই করতেন। বাবাই একমাত্র ব্যক্তি, আমার চরিত্রে যার ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। আমাদের জেলা তালেবান জঙ্গিরা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর অবস্থা সবচেয়ে খারাপ হয়ে যায়। ১৯৯৮ সালে আমার বাবা পাকিস্তানে পালিয়ে যান এবং কিছুদিন পরেই আমরাও সেখানে চলে যাই। সেখানে আমাদের জীবন সহজ ছিল না। বাবা এক জুতার কারখানার ম্যানেজারের কাজ পান। সে সময়ই সম্ভবত তাদের জীবনের সবচেয়ে ভালো ঘটনাটি ঘটে। তাদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
২০০১ সালে তালেবান শাসন ক্ষমতাচ্যুত হলে আমরা কাবুলে ফিরে যাই। তখন আমাদের নিজেদের বাড়ি ছিল না। চাচার বাড়িতে থাকতাম আমরা। সেখানকার রক্ষণশীল সংস্কৃতি হওয়া সত্ত্বেও আমি এবং আমার বোন স্কুলে যেতে শুরু করি। আমি কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক পলিসি এন্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে পড়াশুনা শেষ করি। দুই বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বেশি নম্বর নিয়ে আমি স্নাতক পাস করি। সেই পুরো সময়টাতে আমার বাবা কখনও আমাকে সমর্থন করা বন্ধ করেন নি।
কয়েক বছর আগে আমি আর আমার বোন স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলা দেখতে যাই। স্টেডিয়ামে বেশি নারী উপস্থিত ছিল না। ফলে আমাদের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ আমাদের নিয়ে সমালোচনা এবং নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে শুরু করে। স্টেডিয়ামে পুরুষদের মধ্যে আমাদেরকে দেখে বেহায়াও বলতে থাকে। অনেকে আবার বলেছিল, আমরা ব্যাভিচার ছড়ানোর চেষ্টা করছি এবং আমেরিকানরা আমাদেরকে টাকা দিয়েছে। যখন আমার বাবা ফেসবুকে কিছু কমেন্ট দেখলেন, তখন তিনি বললেন, তুমি সঠিক কাজ করেছো। আমি খুশি যে তুমি কিছু সংখ্যক বোকাকে উত্যক্ত করেছো। জীবন অনেক ছোট। যতটা পারো সেটা উপভোগ কর।
তিন বছর আগে গজনিতে আমাদের গ্রামে আমি একটি স্কুল খুলতে চেয়েছিলাম। এ নিয়ে বাবার সঙ্গে কথা বলি। তিনি আমাকে বলেন, সাংস্কৃতিক বিধিনিষেধের কারণে এ কাজ প্রায় অসম্ভব। নিরাপত্তাজনিত কারণে একজন ছেলের পক্ষেও এ কাজে অসুবিধা রয়েছে। তিনি বলেন, স্কুলের বদলে মাদ্রাসা করতে চাইলে তার একটি সম্ভবনা থেকে যায়। শেষ পর্যন্ত আমি নিজের গ্রামই অতিক্রম করতে পারি নি। আমি ও আমার এক বোন এখনও এই স্বপ্ন পূরণের আশা করি। ইতিমধ্যে, আমি বেশ কয়েক বছর ধরে এই অঞ্চলে নারী শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং ক্ষমতায়নের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন এনজিওর সঙ্গে কাজ করেছি। মেয়েদের স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার অধিকার এবং চাকরির অধিকার নিয়ে বিভিন্ন আলোচনায় উপস্থিত থেকেছি।
বিয়ের ব্যাপারে আমি নিজের জন্য এমন কাউকে বেছে নিতে পছন্দ করব যিনি আমার বাবার মতো চারিত্রিক গুণাবলি স¤পন্ন। যিনি আমাকে সমর্থন করবেন এবং আমাদের পাশে দাঁড়াবেন। যার পরিবার আমাকে সমর্থন করবে। যদি তারা তা না করেন, তাহলে আমি তাদেরকে বুঝাবো। তাদের মানসিকতা পরিবর্তনের চেষ্টা করব। আমি বিশ্বাস করি, আমি জীবনে যা অর্জন করেছি, তার সঙ্গে আপস করব না।
এই বছরের শুরুতে আমার বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার মৃত্যুতে আমি এমন একজনকে হারিয়েছি, যার প্রতিনিয়ত সমর্থনে আমি আজকের এই আমি হয়ে উঠতে পেরেছি। আমি জানি তার আশির্বাদ সব সময় আমার সঙ্গে থাকবে।
No comments