সিটি নির্বাচন: সরব বনাম কৌশলী প্রচারণা হয়রানির অভিযোগ by রোকনুজ্জামান পিয়াস ও রাশিদুল ইসলাম
খুলনা
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জোর প্রচারণা চলছে। প্রচারণার কৌশলে একে অন্যকে
ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। বিএনপির প্রার্থীর
কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ নির্বিঘ্ন প্রচারে তারা পদে পদে বাধার শিকার
হচ্ছেন। যদিও সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষ থেকে এ অভিযোগ নাকচ করা হয়েছে।
গতকাল নগরীর দক্ষিণ প্রান্ত রূপসা ব্রিজ সংলগ্ন ৩১ নং ওয়ার্ডের শিপইয়ার্ড, লবণচরা, মতিয়াখালী, দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরি ও তার আশপাশ এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে অলিতে গলিতে সর্বত্র টানানো রয়েছে তালুকদার আবদুল খালেকের নৌকা প্রতীকের পোস্টার। প্রচারপত্র বিলি করছে নারী কর্মীদের বহর। একই অবস্থা দেখা যায় নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডের নতুনবাজার, অবদা বেড়িবাঁধ, গগন বাবু রোড, ট্যাং রোড এলাকায়। এ ব্যাপারে ওই ওয়ার্ডে বসবাসকারী মহানগর বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সেকেন্দার জাফর উল্লাহ খান সাচ্চু মানবজমিনকে বলেন, ধানের শীষের গণজোয়ার দেখে আওয়ামী লীগের লোকজন বিচলিত হয়ে পড়েছে। তারা এই গণজোয়ার ঠেকাতে অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের প্রচার-প্রচাণায় বাধা দিচ্ছে। ধানের শীষে ভোট না দিতে বস্তিতে বস্তিতে গিয়ে সাধারণ ভোটারদেরও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তবে আমরা সকল বাধা উপেক্ষা করে নীরবে ভোট প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। বিকাল ৩টার দিকে নগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের ছোট বয়রা, সোনডাঙ্গার খাঁ পাড়া, বয়রা মেইন রোড, হালদার পাড়া ও মেডিকেল কলেজের আশেপাশে ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। সেখানে আওয়ামী প্রার্থীর পক্ষে জমাট-জমাট প্রচারণা চলছিল। কম সময়ের ব্যবধানে পরপর দুটি ইজিবাইকের প্রচার মাইক দেখা গেছে। কিন্তু ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বিএনপির কোনো কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়নি। তবে বিকাল ৫টার পর নিউমার্কেটের উত্তর গেটে দেখা গেছে ধানের শীষের একটি প্রচার মাইক। এদিকে জয়-পরাজয় নির্ধারণী ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত খালিশপুর শিল্পাঞ্চল বিগত দিনের মতো ভোট উৎসব নেই। ভোটারদের নিজেদের মধ্যেও নির্বাচন নিয়ে নেই কোনো আলাপ-আলোচনা। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে সন্ধ্যার পর নৌকা মার্কার সমর্থনে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা নিয়মিতই আসছেন। তবে মাঝে মাঝে ধানের শীষ ও বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলররা গণসংযোগে আসেন। অন্যদিকে সন্ধ্যার পর ওই এলাকার দলীয় নেতকর্মীরা নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে পারে না বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন।
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা এডভোকেট নুরুল হাসান রুবা বলেন, অকারণেই প্রশাসনের লোকজন তাদের হয়রানি করছে। যার কারণে অনেক নেতাকর্মী নিজ বাড়িতে ও এলাকায় থাকতে পারেন না। রুবা বলেন, গত ২রা মে রাতে খালিশপুর, সোনাডাঙ্গা ও সদর থানা পুলিশ বিনা কারণে মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদ, মহানগর যুবদলের সভাপতিসহ ১৯ জনকে আটক করে। এর মধ্যে পূর্বেও কোনো মামলার আসামি না থাকায় খালিশপুর থানার এসআই শাহ আলম বাদী হয়ে পরদিন ২১ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২৫ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে। মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আসন্ন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন বান্চাল করার লক্ষ্যে অন্তর্ঘাতীমূলক কার্যকলাপ ও সরকারি কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ সরকারকে বেকায়দায় ফেলার পরিকল্পনা নিয়ে আসামিরা গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিল।
এজাহারের বর্ণনা উল্লেখ করে এই আইনজীবী আরো বলেন, পুলিশ মামলায় ঘটনার যেভাবে বিবরণ দিয়েছে তাতেই বোঝা যায় নির্বাচনী কর্মকাণ্ড থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের দূরে রাখার মিশন হাতে নিয়েছে। মামলায় আজ্ঞাত আসামি উল্লেখ থাকায় নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছে। তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাশাপাশি ওই এলাকায় সাদা পোশাকের পুলিশ অবস্থান করে। এ ছাড়া বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্টরাও আতঙ্কে অনেকেই গা-ঢাকা দিয়েছে। ইতিমধ্যে গত ২ তারিখ রাতে বিএনপি সমর্থিত ১৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ইমতিয়াজ আলম বাবুর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. রফিকুল ইসলামকে কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেপ্তার করেছে। ওই সময় তিনি প্রার্থীর সঙ্গেই অবস্থান করছিলেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রার্থী রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এ ছাড়া খুলনায় মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম নুরুল হুদার মতবিনিময় সভায়ও অভিযোগ করে ইমতিয়াজ আলম বাবু। প্রচারণার বাধার ব্যাপারে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলম বলেন, পুলিশের হয়রানি, নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি রাতে পুলিশের তল্লাশির কারণে নেতাকর্মীরা আতঙ্কে রয়েছে। গণসংযোগে নামলেও আওয়ামী লীগের লোকজন হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। এসব উপেক্ষা করেও নেতাকর্মীরা কৌশলে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে নির্বাচনী প্রাচারণায় বাধা আছে কিনা জানতে চাইলে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ মানবজমিনকে বলেন, এখনো পর্যন্ত প্রাচার প্রচারণায় কোন ধরনের বাধার সম্মুখীর হয়নি। তবে বিএনপির আচারণ বিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত ৫-৬ অভিযোগ রিটার্নিং অফিসার বরাবর দিয়েছি। বিএনপির প্রচারণায় বাধা সম্পর্কে তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, তাদের মুখে এমন কথা মানায় না। গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা আটক মাদক মামলার আসামি। তিনি আরো বলেন, হঠাৎ করে তারা প্রচারণা না চালানোর ঘোষণা দিলো। কিন্তু এখন ঠিকই প্রচারণা চালাচ্ছে। এর পেছনে তাদের কোন অসৎ উদ্দেশ্য ছিল।
গতকাল নগরীর দক্ষিণ প্রান্ত রূপসা ব্রিজ সংলগ্ন ৩১ নং ওয়ার্ডের শিপইয়ার্ড, লবণচরা, মতিয়াখালী, দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরি ও তার আশপাশ এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে অলিতে গলিতে সর্বত্র টানানো রয়েছে তালুকদার আবদুল খালেকের নৌকা প্রতীকের পোস্টার। প্রচারপত্র বিলি করছে নারী কর্মীদের বহর। একই অবস্থা দেখা যায় নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডের নতুনবাজার, অবদা বেড়িবাঁধ, গগন বাবু রোড, ট্যাং রোড এলাকায়। এ ব্যাপারে ওই ওয়ার্ডে বসবাসকারী মহানগর বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সেকেন্দার জাফর উল্লাহ খান সাচ্চু মানবজমিনকে বলেন, ধানের শীষের গণজোয়ার দেখে আওয়ামী লীগের লোকজন বিচলিত হয়ে পড়েছে। তারা এই গণজোয়ার ঠেকাতে অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের প্রচার-প্রচাণায় বাধা দিচ্ছে। ধানের শীষে ভোট না দিতে বস্তিতে বস্তিতে গিয়ে সাধারণ ভোটারদেরও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তবে আমরা সকল বাধা উপেক্ষা করে নীরবে ভোট প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। বিকাল ৩টার দিকে নগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের ছোট বয়রা, সোনডাঙ্গার খাঁ পাড়া, বয়রা মেইন রোড, হালদার পাড়া ও মেডিকেল কলেজের আশেপাশে ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। সেখানে আওয়ামী প্রার্থীর পক্ষে জমাট-জমাট প্রচারণা চলছিল। কম সময়ের ব্যবধানে পরপর দুটি ইজিবাইকের প্রচার মাইক দেখা গেছে। কিন্তু ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বিএনপির কোনো কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়নি। তবে বিকাল ৫টার পর নিউমার্কেটের উত্তর গেটে দেখা গেছে ধানের শীষের একটি প্রচার মাইক। এদিকে জয়-পরাজয় নির্ধারণী ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত খালিশপুর শিল্পাঞ্চল বিগত দিনের মতো ভোট উৎসব নেই। ভোটারদের নিজেদের মধ্যেও নির্বাচন নিয়ে নেই কোনো আলাপ-আলোচনা। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে সন্ধ্যার পর নৌকা মার্কার সমর্থনে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা নিয়মিতই আসছেন। তবে মাঝে মাঝে ধানের শীষ ও বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলররা গণসংযোগে আসেন। অন্যদিকে সন্ধ্যার পর ওই এলাকার দলীয় নেতকর্মীরা নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে পারে না বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন।
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা এডভোকেট নুরুল হাসান রুবা বলেন, অকারণেই প্রশাসনের লোকজন তাদের হয়রানি করছে। যার কারণে অনেক নেতাকর্মী নিজ বাড়িতে ও এলাকায় থাকতে পারেন না। রুবা বলেন, গত ২রা মে রাতে খালিশপুর, সোনাডাঙ্গা ও সদর থানা পুলিশ বিনা কারণে মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদ, মহানগর যুবদলের সভাপতিসহ ১৯ জনকে আটক করে। এর মধ্যে পূর্বেও কোনো মামলার আসামি না থাকায় খালিশপুর থানার এসআই শাহ আলম বাদী হয়ে পরদিন ২১ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২৫ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে। মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আসন্ন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন বান্চাল করার লক্ষ্যে অন্তর্ঘাতীমূলক কার্যকলাপ ও সরকারি কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ সরকারকে বেকায়দায় ফেলার পরিকল্পনা নিয়ে আসামিরা গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিল।
এজাহারের বর্ণনা উল্লেখ করে এই আইনজীবী আরো বলেন, পুলিশ মামলায় ঘটনার যেভাবে বিবরণ দিয়েছে তাতেই বোঝা যায় নির্বাচনী কর্মকাণ্ড থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের দূরে রাখার মিশন হাতে নিয়েছে। মামলায় আজ্ঞাত আসামি উল্লেখ থাকায় নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছে। তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাশাপাশি ওই এলাকায় সাদা পোশাকের পুলিশ অবস্থান করে। এ ছাড়া বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্টরাও আতঙ্কে অনেকেই গা-ঢাকা দিয়েছে। ইতিমধ্যে গত ২ তারিখ রাতে বিএনপি সমর্থিত ১৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ইমতিয়াজ আলম বাবুর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. রফিকুল ইসলামকে কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেপ্তার করেছে। ওই সময় তিনি প্রার্থীর সঙ্গেই অবস্থান করছিলেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রার্থী রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এ ছাড়া খুলনায় মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম নুরুল হুদার মতবিনিময় সভায়ও অভিযোগ করে ইমতিয়াজ আলম বাবু। প্রচারণার বাধার ব্যাপারে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলম বলেন, পুলিশের হয়রানি, নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি রাতে পুলিশের তল্লাশির কারণে নেতাকর্মীরা আতঙ্কে রয়েছে। গণসংযোগে নামলেও আওয়ামী লীগের লোকজন হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। এসব উপেক্ষা করেও নেতাকর্মীরা কৌশলে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে নির্বাচনী প্রাচারণায় বাধা আছে কিনা জানতে চাইলে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ মানবজমিনকে বলেন, এখনো পর্যন্ত প্রাচার প্রচারণায় কোন ধরনের বাধার সম্মুখীর হয়নি। তবে বিএনপির আচারণ বিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত ৫-৬ অভিযোগ রিটার্নিং অফিসার বরাবর দিয়েছি। বিএনপির প্রচারণায় বাধা সম্পর্কে তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, তাদের মুখে এমন কথা মানায় না। গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা আটক মাদক মামলার আসামি। তিনি আরো বলেন, হঠাৎ করে তারা প্রচারণা না চালানোর ঘোষণা দিলো। কিন্তু এখন ঠিকই প্রচারণা চালাচ্ছে। এর পেছনে তাদের কোন অসৎ উদ্দেশ্য ছিল।
No comments