এমপিপুত্র রনির জোড়া খুন মামলা: রায় হলো না আবার যুক্তিতর্ক
রাজধানীর
রাস্তায় গভীর রাতে নিরীহ দু’শ্রমিককে গুলি করে হত্যার মামলায় মহিলা আওয়ামী
লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য পিনু খানের
ছেলে আসামি বখতিয়ার আলম রনির মামলার রায় গতকাল মঙ্গলবার ঘোষণা হয়নি। ঢাকার
প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আল মামুনের আদালতে চাঞ্চল্যকর মামলাটির
রায়ের জন্য গতকাল ধার্য ছিল। এজন্য আসামি রনিকে কারাগার থেকে আদালতেও
হাজির করা হয়। তবে রায় না দিয়ে বিচারক স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলাটিতে অধিকতর
যুক্তিতর্কের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেছেন। তা উল্লেখ করে তিনি অধিকতর
যুক্ততর্ক উপস্থাপনের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এ আদালতের পেশকার ফারুক
দেওয়ান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৩ই এপ্রিল রাতে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি থেকে গুলি ছোঁড়েন মহিলা সংসদ সদস্য পিনু খানের ছেলে রনি। তার গুলিতে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সিএনজি অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী এবং মধুবাগের রিকশাচালক আব্দুল হাকিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে ২০১৫ সালের ১৫ই এপ্রিল রাতে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরে মামলাটি তদন্তের পর চার্জশিট দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। চার্জ গঠনের পর মামলাটির বিচারিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ১৮ই অক্টোবর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দীপক কুমার দাসকে রনির পক্ষে জেরা করেন আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু। ওই দিন তদন্ত কর্মকতার জেরার মধ্য দিয়ে মামলাটির সাক্ষ্য ও জেরা কার্যক্রম শেষ হয়। গত ২০১৭ সালের ২৯শে অক্টোবর আত্মপক্ষ সর্মথনের মধ্য দিয়ে আদালতের জিজ্ঞাসায় রনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। এরপর গত ১০ই এপ্রিল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য দিনটি ধার্য্য করে ছিলেন আদালত। সেদিন যুক্তিতর্ক শুনানিতে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুস সাত্তার দুলাল আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়ার দাবি করেন। অপর দিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু আসামিকে খালাস দেয়ার দাবি জানান। অবশ্য এর আগে মামলার ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সম্পন্ন হয় জেরাও।
এ মামলায় ২০১৭ সালের ৮ই অক্টোবর রনির ড্রাইভার ইমরান ফকির সাক্ষ্য দেয়। একই বছরের ১লা জুন তিনি আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন। রনিকে আদালতে শনাক্তও করেন। আসামি পক্ষে এদিন তাকে জেরাও করা হয়েছে। এ ছাড়া নিহত অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলীর মেয়ে রুনা আক্তার, নিহত অপর রিকশাচালক আবদুল হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম ও নিহত অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলীর স্ত্রী সালমা বেগমসহ ২৪ জন তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। গুলি করার সময় গাড়িতে থাকা রনির দু’বন্ধু কামাল মাহমুদ ও টাইগার কামালকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে প্রদান করে। সব সাক্ষ্য, জেরা এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পরও অধিকতর যুক্তিতর্কের জন্য আদালত পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৩ই এপ্রিল রাতে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি থেকে গুলি ছোঁড়েন মহিলা সংসদ সদস্য পিনু খানের ছেলে রনি। তার গুলিতে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সিএনজি অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী এবং মধুবাগের রিকশাচালক আব্দুল হাকিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে ২০১৫ সালের ১৫ই এপ্রিল রাতে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরে মামলাটি তদন্তের পর চার্জশিট দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। চার্জ গঠনের পর মামলাটির বিচারিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ১৮ই অক্টোবর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দীপক কুমার দাসকে রনির পক্ষে জেরা করেন আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু। ওই দিন তদন্ত কর্মকতার জেরার মধ্য দিয়ে মামলাটির সাক্ষ্য ও জেরা কার্যক্রম শেষ হয়। গত ২০১৭ সালের ২৯শে অক্টোবর আত্মপক্ষ সর্মথনের মধ্য দিয়ে আদালতের জিজ্ঞাসায় রনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। এরপর গত ১০ই এপ্রিল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য দিনটি ধার্য্য করে ছিলেন আদালত। সেদিন যুক্তিতর্ক শুনানিতে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুস সাত্তার দুলাল আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়ার দাবি করেন। অপর দিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু আসামিকে খালাস দেয়ার দাবি জানান। অবশ্য এর আগে মামলার ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সম্পন্ন হয় জেরাও।
এ মামলায় ২০১৭ সালের ৮ই অক্টোবর রনির ড্রাইভার ইমরান ফকির সাক্ষ্য দেয়। একই বছরের ১লা জুন তিনি আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন। রনিকে আদালতে শনাক্তও করেন। আসামি পক্ষে এদিন তাকে জেরাও করা হয়েছে। এ ছাড়া নিহত অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলীর মেয়ে রুনা আক্তার, নিহত অপর রিকশাচালক আবদুল হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম ও নিহত অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলীর স্ত্রী সালমা বেগমসহ ২৪ জন তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। গুলি করার সময় গাড়িতে থাকা রনির দু’বন্ধু কামাল মাহমুদ ও টাইগার কামালকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে প্রদান করে। সব সাক্ষ্য, জেরা এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পরও অধিকতর যুক্তিতর্কের জন্য আদালত পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
No comments