আফ্রিকার জেব্রা যশোরে এলো কীভাবে? by রাফসান জানি
আফ্রিকা
অঞ্চলের ৯টি জেব্রা উদ্ধার করা হয়েছে যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ার
সাতমাইল এলাকার একটি গরুর হাট (খাটাল) থেকে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতে
পাচারের উদ্দেশ্যে এই জেব্রাগুলো যশোরে নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে পাচার হওয়ার
আগেই গোয়েন্দা পুলিশ জেব্রাগুলো উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা
সম্ভব হয়নি।
গোয়েন্দা পুলিশ ও প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উদ্ধার হওয়া জেব্রাগুলো আফ্রিকান প্রজাতির। পাচারের নেপথ্যে বাণিজ্যের পাশাপাশি সৌন্দর্য্য বাড়ানোর জন্যও সৌখিন ব্যক্তিরা অবৈধভাবে নিজের কাছে রাখার জন্য জেব্রাগুলো সংরক্ষণ করতে পারে।
গত মঙ্গলবার (৮ মে) রাতে জেব্রাগুলো আটকের পর কোন পথে, কীভাবে, কারা এই প্রাণীগুলো যশোরে নিয়ে এসেছে, তা নিয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে গোয়েন্দা পুলিশ। যশোর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এসআই মো. মুরাদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে জানতে পারি— কিছু জেব্রা ভারতে পাচারের জন্য পশুর হাটে মজুদ রাখা হয়েছে। আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে ৫-৬ জন পাচারকারী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।’
তার্কিশ এয়ারলাইন্সের কার্গো বিমানে করে ৯টি জ্রেবা ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। আর সেখান থেকে দুটি খাঁচায় করে যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ার সাতমাইল এলাকার একটি গরুর হাটে (খাটাল) এনে রাখা হয়, বলে মনে করছেন এস আই মুরাদ। তার ভাষ্য— ‘আমরা জেব্রাগুলো উদ্ধারের সময় দুটি খাঁচা পেয়েছি। এই খাঁচার ওপরে একটি তার্কিশ সিল ছিল। যা থেকে বোঝা যায়,জেব্রাগুলো তুরস্ক থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে। এরপর ঢাকা থেকে খাঁচায় করে এখানে নিয়ে আসা হয়। তবে এই তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই চলছে।’
উদ্ধার হওয়া ৯টি জেব্রার মধ্যে একটি মৃত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া জেব্রাগুলোর মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। মোট নয়টা জেব্রার মধ্যে একটি জেব্রা মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বাকি আটটি খুলনা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
গরুর হাট থেকে বিদেশি প্রাণী উদ্ধারের ঘটনায় যশোর শার্শা থানায় বুধবার (৯ মে) একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় খাটালের (যেখানে জেব্রাগুলোকে পাওয়া গেছে) মালিক মো. তুতু (৪০), বেনাপোল পোর্টের মো. মুক্তি (৪৫), নরসিংদী পলাশ থানার রানা ভূঁইয়া (২৮), বগুড়ার আদমদিঘীর আমরুজ্জামান বাবুসহ (৩২)পাঁচ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে ৯টি জেব্রার আনুমানিক মূল্য বলা হয়েছে দুই কোটি ৭০ লাখ টাকা।
উদ্ধার করা জেব্রাগুলোর দাম প্রায় তিন কোটি টাকা হলেও এগুলোর কোনও দৃশ্যত বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নেই বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব মোল্লা। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এসব জেব্রা সাধারণত আফ্রিকান অঞ্চলে পাওয়া যায়। আফ্রিকান স্থানীয় কিছু উপজাতি ছাড়া সারাবিশ্বে জেব্রার মাংস কেউ খায় না। এছাড়া, জেব্রার শরীরের কোনও অংশ দিয়ে ওষুধ বা অন্যকিছুই তৈরি হয় না।’
তবে ব্যক্তিগতভাবে সংরক্ষণের জন্য এই জেব্রাগুলো আনা হতে পারে বলে ধারণা করছেন এই প্রাণিবিদ। তার ভাষ্য— ‘চিড়িয়াখানায় রেখে প্রদর্শন করা বা ব্যক্তিগতভাবে নিজের সংগ্রহে রাখার জন্য এগুলো আনা হতে পারে। এছাড়া, জেব্রার আর তেমন কোনও ইউটিলিটি নেই।’
একটি মৃতসহ ৯টি জেব্রা খুলনার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। খুব শিগগিরই গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে জেব্রাগুলোকে উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মদিনুল আহসান।
গোয়েন্দা পুলিশ ও প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উদ্ধার হওয়া জেব্রাগুলো আফ্রিকান প্রজাতির। পাচারের নেপথ্যে বাণিজ্যের পাশাপাশি সৌন্দর্য্য বাড়ানোর জন্যও সৌখিন ব্যক্তিরা অবৈধভাবে নিজের কাছে রাখার জন্য জেব্রাগুলো সংরক্ষণ করতে পারে।
গত মঙ্গলবার (৮ মে) রাতে জেব্রাগুলো আটকের পর কোন পথে, কীভাবে, কারা এই প্রাণীগুলো যশোরে নিয়ে এসেছে, তা নিয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে গোয়েন্দা পুলিশ। যশোর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এসআই মো. মুরাদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে জানতে পারি— কিছু জেব্রা ভারতে পাচারের জন্য পশুর হাটে মজুদ রাখা হয়েছে। আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে ৫-৬ জন পাচারকারী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।’
তার্কিশ এয়ারলাইন্সের কার্গো বিমানে করে ৯টি জ্রেবা ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। আর সেখান থেকে দুটি খাঁচায় করে যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ার সাতমাইল এলাকার একটি গরুর হাটে (খাটাল) এনে রাখা হয়, বলে মনে করছেন এস আই মুরাদ। তার ভাষ্য— ‘আমরা জেব্রাগুলো উদ্ধারের সময় দুটি খাঁচা পেয়েছি। এই খাঁচার ওপরে একটি তার্কিশ সিল ছিল। যা থেকে বোঝা যায়,জেব্রাগুলো তুরস্ক থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে। এরপর ঢাকা থেকে খাঁচায় করে এখানে নিয়ে আসা হয়। তবে এই তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই চলছে।’
উদ্ধার হওয়া ৯টি জেব্রার মধ্যে একটি মৃত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া জেব্রাগুলোর মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। মোট নয়টা জেব্রার মধ্যে একটি জেব্রা মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বাকি আটটি খুলনা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
গরুর হাট থেকে বিদেশি প্রাণী উদ্ধারের ঘটনায় যশোর শার্শা থানায় বুধবার (৯ মে) একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় খাটালের (যেখানে জেব্রাগুলোকে পাওয়া গেছে) মালিক মো. তুতু (৪০), বেনাপোল পোর্টের মো. মুক্তি (৪৫), নরসিংদী পলাশ থানার রানা ভূঁইয়া (২৮), বগুড়ার আদমদিঘীর আমরুজ্জামান বাবুসহ (৩২)পাঁচ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে ৯টি জেব্রার আনুমানিক মূল্য বলা হয়েছে দুই কোটি ৭০ লাখ টাকা।
উদ্ধার করা জেব্রাগুলোর দাম প্রায় তিন কোটি টাকা হলেও এগুলোর কোনও দৃশ্যত বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নেই বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব মোল্লা। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এসব জেব্রা সাধারণত আফ্রিকান অঞ্চলে পাওয়া যায়। আফ্রিকান স্থানীয় কিছু উপজাতি ছাড়া সারাবিশ্বে জেব্রার মাংস কেউ খায় না। এছাড়া, জেব্রার শরীরের কোনও অংশ দিয়ে ওষুধ বা অন্যকিছুই তৈরি হয় না।’
তবে ব্যক্তিগতভাবে সংরক্ষণের জন্য এই জেব্রাগুলো আনা হতে পারে বলে ধারণা করছেন এই প্রাণিবিদ। তার ভাষ্য— ‘চিড়িয়াখানায় রেখে প্রদর্শন করা বা ব্যক্তিগতভাবে নিজের সংগ্রহে রাখার জন্য এগুলো আনা হতে পারে। এছাড়া, জেব্রার আর তেমন কোনও ইউটিলিটি নেই।’
একটি মৃতসহ ৯টি জেব্রা খুলনার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। খুব শিগগিরই গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে জেব্রাগুলোকে উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মদিনুল আহসান।
No comments