গওহর রিজভীর পাকিস্তান সফর, নানা আলোচনা
আচমকা
পাকিস্তান সফর করলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা
ড. গওহর রিজভী। গত ২ থেকে ৫ই মে পর্যন্ত দেশটিতে ছিলেন তিনি। কূটনৈতিক
সূত্রগুলো তার পাকিস্তান সফরের তথ্য নিশ্চিত করলেও সফরসূচির বিস্তারিত
জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে। তবে একটি সূত্রের দাবি- গত কয়েক বছরে একাধিকবার
ড. রিজভী পাকিস্তান সফর করেছেন। কিন্তু কখনই তা প্রচার পায়নি। করাচির
খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠান হাবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি তিনি। প্রতিষ্ঠানটির
পরিচালনা বোর্ডের সভাসহ নানা কারণে তাকে করাচি যেতে হয়। তবে এবারে তিনি
একটু বেশি সময় কাটিয়েছেন। সময়ের বিবেচনায় তার সফরটি তাৎপর্যপূর্ণ বলেও
মন্তব্য করে ওই সূত্র। তবে উপদেষ্টার ওই সফরের পেছনে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক
কারণ থাকলেও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঢাকা যখন ওআইসি সম্মেলনে ব্যস্ত, ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন পাকিস্তানে। অবশ্য গত মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দু’জন সচিবও পাকিস্তান সফর করেছেন। তাদের সফরের উদ্দেশ্য ছিল ওআইসি’র সহকারী মহাসচিব (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি) পদে ভোট চাওয়া। পাকিস্তানসহ ভোটার প্রায় সব রাষ্ট্রেই গেছেন প্রার্থী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও কনস্যুলার) কামরুল আহসানসহ ঢাকার প্রতিনিধিরা। গোপন ব্যালটে ৬ ভোট পেয়ে হেরে গেছেন বাংলাদেশের প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বী কাজাখস্তান ১২ ভোট পেয়ে ওআইসিতে সহকারী মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছে। ঢাকার কূটনীতিকরা বলছেন- প্রায় একযুগের বেশি সময় পর ওআইসি’র নীতি-নির্ধারণী কোনো পদে প্রার্থী দেয় বাংলাদেশ। ইন্দোনেশিয়াও প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু ঢাকার অনুরোধে তারা তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়। এ অবস্থায় এশিয়ার ১৮টি দেশ নিয়ে গঠিত ‘এশিয়ান’ গ্রুপের ওই নির্বাচনটি ঢাকার জন্য ছিল প্রেস্টিজ লড়াই। ওই নির্বাচন বা ভোট চাওয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার পাকিস্তান সফরের কোনো সম্পর্ক আছে কি-না? তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে অনেকে এর সঙ্গে যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করছেন। তাদের দাবি- কূটনীতিতে স্থায়ী শত্রুতা বলে কিছু নেই। তাছাড়া ‘কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’- বঙ্গবন্ধু প্রণীত এমন পররাষ্ট্র নীতির আলোকেই পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে বাংলাদেশ। সে হিসেবে ওআাইসি’র নির্বাচনে জয়ের জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক সমর্থন চেয়েছিল বাংলাদেশ। জয়ের জন্য দৌড়ঝাঁপ-লবিং কোনো কিছুরই কমতি করেনি ঢাকা। এমন গুঞ্জনও আছে গোপন ব্যালটে বাংলাদেশ নিজের ভোট ছাড়া যে ৫ দেশের সমর্থন পেয়েছে তার মধ্যে পাকিস্তানও রয়েছে। পাকিস্তান কি সত্যিই বাংলাদেশকে ভোট দিয়েছে? এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন- ‘আমরা ভোট চেয়েছি। কিন্তু তারা ভোট দিলে তো আমাদের ভোট আরও বাড়তো।’
উপদেষ্টার সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইসলামাবাদ ও করাচি মিশনের কর্মকর্তারা যা বললেন- প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. রিজভীর পাকিস্তান সফর বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাউথ এশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কূটনীতিকরা বিস্ময় প্রকাশ করেন। বলেন- সত্যিই আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা সফর করলে আমাদের জানাবেন কেন? তার দপ্তর তো মিশনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেই সফরটি বাস্তবায়ন করতে পারে। এ নিয়ে জানতে চাইলে ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের এক কূটনীতিক অবশ্য মানবজমিনকে বলেন- ‘প্রধানমন্ত্রীর মাননীয় উপদেষ্টা পাকিস্তানে এসেছিলেন শুনেছি, কিন্তু বিস্তারিত জানি না। আমাদের মিশনের একজন কর্মকর্তা করাচিতে গিয়েছিলেন সেই সময়ে উপদেষ্টা স্যারের সঙ্গে তার দেখা হয়েছে। তিনি এটুকুই বলেছেন।’ করাচিস্থ বাংলাদেশের উপ-হাই কমিশনার নূর-ই-হেলাল সাইফুর রহমান গতকাল সন্ধ্যায় মানবজমিনকে বলেন- ‘উপদেষ্টা স্যার এসেছিলেন। তিনি এখানে কয়েকদিন ছিলেন। কিন্তু কোথায় তার কি শিডিউল ছিল আমি বিস্তারিত জানি না। তবে স্যার একদিন আমাদের আমন্ত্রণে ডিনার করেছেন।’ উপদেষ্টা যখন করাচিতে তখন মিশনে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা বিষয়ক একটি সেমিনার ছিল। তাতে উপদেষ্টা অংশ নেননি বলেও জানান উপ-হাইকমিশনার। তিনি বলেন, ‘আমি যেটুকু জানি উপদেষ্টা স্যার হাবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশনে এসেছিলেন। এটি ছিল তাদের প্রথম কনভোকেশন। আমি এতে আমন্ত্রিত ছিলাম না বলে বিস্তারিত বলতে পারছি না। তবে এটুকু জানি সমাবর্তনের আগে ট্রাস্টি বোর্ডের মিটিং, লাঞ্চ, ডিনার এবং পরবর্তী অনুষ্ঠানগুলোতে স্যার অংশ নিয়েছেন। এখানে থাকাকালে অনেকের সঙ্গেই তার দেখা হয়েছে। এখানে তার আত্মীয়-স্বজনও রয়েছেন। কিন্তু কার কার সঙ্গে দেখা হয়েছে তার বিস্তারিত বলতে পারছি না।’ উপ-হাইকমিশনার বলেন, এখানে আমি ৩ বছর ধরে আছি। এ সময় অন্তত ৪-৫বার রিজভী স্যার এসেছেন। মূলত হাবিব বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিকই তিনি থাকেন। বড়জোর আমরা মিশনে একবার লাঞ্চ বা ডিনারে তাকে আমরা পাই।
ঢাকা যখন ওআইসি সম্মেলনে ব্যস্ত, ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন পাকিস্তানে। অবশ্য গত মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দু’জন সচিবও পাকিস্তান সফর করেছেন। তাদের সফরের উদ্দেশ্য ছিল ওআইসি’র সহকারী মহাসচিব (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি) পদে ভোট চাওয়া। পাকিস্তানসহ ভোটার প্রায় সব রাষ্ট্রেই গেছেন প্রার্থী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও কনস্যুলার) কামরুল আহসানসহ ঢাকার প্রতিনিধিরা। গোপন ব্যালটে ৬ ভোট পেয়ে হেরে গেছেন বাংলাদেশের প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বী কাজাখস্তান ১২ ভোট পেয়ে ওআইসিতে সহকারী মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছে। ঢাকার কূটনীতিকরা বলছেন- প্রায় একযুগের বেশি সময় পর ওআইসি’র নীতি-নির্ধারণী কোনো পদে প্রার্থী দেয় বাংলাদেশ। ইন্দোনেশিয়াও প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু ঢাকার অনুরোধে তারা তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়। এ অবস্থায় এশিয়ার ১৮টি দেশ নিয়ে গঠিত ‘এশিয়ান’ গ্রুপের ওই নির্বাচনটি ঢাকার জন্য ছিল প্রেস্টিজ লড়াই। ওই নির্বাচন বা ভোট চাওয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার পাকিস্তান সফরের কোনো সম্পর্ক আছে কি-না? তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে অনেকে এর সঙ্গে যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করছেন। তাদের দাবি- কূটনীতিতে স্থায়ী শত্রুতা বলে কিছু নেই। তাছাড়া ‘কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’- বঙ্গবন্ধু প্রণীত এমন পররাষ্ট্র নীতির আলোকেই পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে বাংলাদেশ। সে হিসেবে ওআাইসি’র নির্বাচনে জয়ের জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক সমর্থন চেয়েছিল বাংলাদেশ। জয়ের জন্য দৌড়ঝাঁপ-লবিং কোনো কিছুরই কমতি করেনি ঢাকা। এমন গুঞ্জনও আছে গোপন ব্যালটে বাংলাদেশ নিজের ভোট ছাড়া যে ৫ দেশের সমর্থন পেয়েছে তার মধ্যে পাকিস্তানও রয়েছে। পাকিস্তান কি সত্যিই বাংলাদেশকে ভোট দিয়েছে? এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন- ‘আমরা ভোট চেয়েছি। কিন্তু তারা ভোট দিলে তো আমাদের ভোট আরও বাড়তো।’
উপদেষ্টার সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইসলামাবাদ ও করাচি মিশনের কর্মকর্তারা যা বললেন- প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. রিজভীর পাকিস্তান সফর বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাউথ এশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কূটনীতিকরা বিস্ময় প্রকাশ করেন। বলেন- সত্যিই আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা সফর করলে আমাদের জানাবেন কেন? তার দপ্তর তো মিশনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেই সফরটি বাস্তবায়ন করতে পারে। এ নিয়ে জানতে চাইলে ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের এক কূটনীতিক অবশ্য মানবজমিনকে বলেন- ‘প্রধানমন্ত্রীর মাননীয় উপদেষ্টা পাকিস্তানে এসেছিলেন শুনেছি, কিন্তু বিস্তারিত জানি না। আমাদের মিশনের একজন কর্মকর্তা করাচিতে গিয়েছিলেন সেই সময়ে উপদেষ্টা স্যারের সঙ্গে তার দেখা হয়েছে। তিনি এটুকুই বলেছেন।’ করাচিস্থ বাংলাদেশের উপ-হাই কমিশনার নূর-ই-হেলাল সাইফুর রহমান গতকাল সন্ধ্যায় মানবজমিনকে বলেন- ‘উপদেষ্টা স্যার এসেছিলেন। তিনি এখানে কয়েকদিন ছিলেন। কিন্তু কোথায় তার কি শিডিউল ছিল আমি বিস্তারিত জানি না। তবে স্যার একদিন আমাদের আমন্ত্রণে ডিনার করেছেন।’ উপদেষ্টা যখন করাচিতে তখন মিশনে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা বিষয়ক একটি সেমিনার ছিল। তাতে উপদেষ্টা অংশ নেননি বলেও জানান উপ-হাইকমিশনার। তিনি বলেন, ‘আমি যেটুকু জানি উপদেষ্টা স্যার হাবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশনে এসেছিলেন। এটি ছিল তাদের প্রথম কনভোকেশন। আমি এতে আমন্ত্রিত ছিলাম না বলে বিস্তারিত বলতে পারছি না। তবে এটুকু জানি সমাবর্তনের আগে ট্রাস্টি বোর্ডের মিটিং, লাঞ্চ, ডিনার এবং পরবর্তী অনুষ্ঠানগুলোতে স্যার অংশ নিয়েছেন। এখানে থাকাকালে অনেকের সঙ্গেই তার দেখা হয়েছে। এখানে তার আত্মীয়-স্বজনও রয়েছেন। কিন্তু কার কার সঙ্গে দেখা হয়েছে তার বিস্তারিত বলতে পারছি না।’ উপ-হাইকমিশনার বলেন, এখানে আমি ৩ বছর ধরে আছি। এ সময় অন্তত ৪-৫বার রিজভী স্যার এসেছেন। মূলত হাবিব বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিকই তিনি থাকেন। বড়জোর আমরা মিশনে একবার লাঞ্চ বা ডিনারে তাকে আমরা পাই।
No comments