চীনা স্মার্টফোনের বাজার বেড়েছে ২৫ শতাংশ, সিম্ফনি শীর্ষে
গত
বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত
বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারের আকার ১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে পূর্বের
তিন মাসের তুলনায় ৩ শতাংশ বেড়েছে। তবে চীনা ব্রান্ডের মোবাইল ফোনের বাজার
বাড়ছেই। মোট বাজারে আসা স্মার্টফোনের ৩৮ শতাংশই ছিল চীনা ব্রান্ডগুলোর। গত
বছরের তুলনায় চীনা ব্রান্ডের স্মার্টফোনের বাজার বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫ শতাংশ।
এমন তথ্য উঠে এসেছে কাউন্টারপয়েন্টের মার্কেট মনিটর প্রোগ্রামের গবেষণায়।
গবেষণার ফলাফল নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সহযোগী পরিচালক তরুণ পাঠক বলেন, ‘সামনের মাসগুলোতে ৪জি প্রযুক্তি সম্বলিত স্মার্টফোন বিক্রিতে অফার আসার সম্ভাবনায় অনেক গ্রাহক ডিভাইস কেনা থেকে বিরত রয়েছেন। এ কারণেই বাংলাদেশের স্মার্টফোন বিক্রির পরিমাণ গত বছরের এই তিন মাসের তুলনায় ১৮ শতাংশ কমেছে। এ বছরের প্রথম তিন মাসে গ্রামিনফোন, রবি ও বাংলালিংকের মতো নেতৃত্বস্থানীয় টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলো ৪জি সেবা চালু করেছে। যতই ৪জি কভারেজ বিস্তৃত হবে, ততই ৪জি প্রযুক্তির মোবাইলের চাহিদা বাড়বে। আমাদের অনুমান, আগের বছরের তুলনায় বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারের আকার এই বছর বৃদ্ধি পাবে ১৬ শতাংশ।’
বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারের প্রতিযোগিতামূলক চিত্র তুলে ধরে কাউন্টারপয়েন্টে রিসার্চের গবেষণা বিশ্লেষক সত্যজিৎ সিনহা বলেন, ‘১০০ ডলারের কম দামে স্মার্টফোন বিক্রির দিক থেকে, চীনা ব্রান্ডগুলো আগ্রাসীভাবে বাজার দখলে নিচ্ছে। কিন্তু তারপরও স্থানীয় ব্রান্ড সিম্ফনি বাজারে এখনও নেতৃত্ব দিচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আরেক স্থানীয় ব্রান্ড ওয়ালটন প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিজেদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে। ফলে এই কোম্পানির স্মার্টফোন বাজারে আসার হার গত বছরের তুলনায় ৭৪ শতাংশ বেড়েছে। সামনের দিনগুলোতে শীর্ষ ৫ ব্রান্ডের মধ্যে শক্ত প্রতিযোগিতা হবে।’
সিনহা আরও বলেন, ‘মূল সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী (ওইএম) কোম্পানিগুলোর উচিত স্থানীয়ভাবে যন্ত্রাংশ জোড়া লাগানোর পেছনে বিনিয়োগ করার বিষয়টি বিবেচনা করা। আমদানি শুল্ক সম্প্রতি বেড়ে যাওয়ায়, অনেক কোম্পানি যন্ত্রাংশ জোড়া লাগানোর কাজ বাংলাদেশেই করছে। ফলে যেসব প্রতিষ্ঠান ঘরোয়াভাবে যন্ত্রাংশ জোড়া লাগাচ্ছে, তারা দামের দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে এই কাজ শুরু করেছিল ওয়াল্টন। পরে সিম্ফনি, লাভা, স্যামসাং ও ট্রানসনের মতো ব্রান্ড যন্ত্রাংশ জোড়া লাগানোর পরিকল্পনা হাতে নেয়।’
সংক্ষেপে বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজার
জানুয়ারি থেকে মার্চে বাংলাদেশের স্মার্টফোন শিপমেন্ট গত বছরের চেয়ে ১৮ শতাংশ কমেছে। তবে গত তিন মাসের তুলনায় ৩ শতাংশ বেড়েছে।
দেশটির মোট মোবাইল শিপমেন্টের ২১ শতাংশই স্মার্টফোন। এ থেকে বোঝা যায় স্মার্টফোন ব্যবহারের গতি অল্প করে হলেও বাড়ছে।
বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারে এখনও সিম্ফনিই শীর্ষ ব্রান্ড। মোট ২১ শতাংশ বাজার ব্রান্ডটির দখলে। ১৫ শতাংশ জায়গা নিয়ে ওয়াল্টনের স্থান দ্বিতীয়। শীর্ষ ৫ ব্রান্ডের বাকি তিনটি বিদেশী।
ওয়াল্টন স্মার্টফোন বাজারে আসার হার গত বছরের চেয়ে ৭৪ শতাংশ বেড়েছে। এ বছরের প্রথম তিন মাসে ওয়াল্টন যত ফোন বাজারে এনেছে, তার ২৫ শতাংশই স্থানীয়ভাবে তৈরি করা।
২০১৮ সালের প্রথম তিন মাসে ফোন বাজারে আনার হার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আইটেলের। আগের বছরের তুলনায় এই বৃদ্ধি ছিল ৫৬৪ শতাংশ। মোট ১০ শতাংশ বাজার এখন এই ব্রান্ডের দখলে। আক্রমণাত্মক প্রচারণা ও পণ্যের স্বল্পদাম এই ব্রান্ডের ব্যবসায়িক সাফল্যের রহস্য। এই তিন মাসে স্যামসাং ও হুয়াওয়েকে টপকে তৃতীয় স্থান আইটেলের। আইটেলের এস১১ মডেল ছিল জনপ্রিয়।
স্যামসাং মোবাইল ১০ শতাংশ বাজার দখল করেছে। গত বছরের তুলনায় এই হার ৪৬ শতাংশ কম। তবে ৪জি স্মার্টফোন বিক্রির দিক থেকে স্যামসাং শীর্ষে। জে সিরিজ মডেলের বদৌলতে এই ক্যাটাগরির ২১ শতাংশ বাজারই স্যামসাং-এর। এই তিন মাসে মোট যত ৪জি ফোন বাজারে এসেছে, তার ১৭ শতাংশই স্যামসাং-এর জে সিরিজ মডেলের।
বাজারের ৮ শতাংশ হুয়াওয়ের দখলে। হুয়াওয়ের ওয়াই সিরিজের ওয়াই৩ ছিল জনপ্রিয় ৪জি মডেল। এই তিন মাসে যত ৪জি প্রযুক্তির ফোন বাজারে এসেছে তার ২০ শতাংশ ছিল হুয়াওয়ের।
ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ গ্রামিনফোন, রবি এজিয়াটা ও বাংলালিংক ৪জি সেবা চালু করে। তবে এখনও দেসজুড়ে এই সেবা বিস্তৃত হয়নি।
গবেষণার ফলাফল নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সহযোগী পরিচালক তরুণ পাঠক বলেন, ‘সামনের মাসগুলোতে ৪জি প্রযুক্তি সম্বলিত স্মার্টফোন বিক্রিতে অফার আসার সম্ভাবনায় অনেক গ্রাহক ডিভাইস কেনা থেকে বিরত রয়েছেন। এ কারণেই বাংলাদেশের স্মার্টফোন বিক্রির পরিমাণ গত বছরের এই তিন মাসের তুলনায় ১৮ শতাংশ কমেছে। এ বছরের প্রথম তিন মাসে গ্রামিনফোন, রবি ও বাংলালিংকের মতো নেতৃত্বস্থানীয় টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলো ৪জি সেবা চালু করেছে। যতই ৪জি কভারেজ বিস্তৃত হবে, ততই ৪জি প্রযুক্তির মোবাইলের চাহিদা বাড়বে। আমাদের অনুমান, আগের বছরের তুলনায় বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারের আকার এই বছর বৃদ্ধি পাবে ১৬ শতাংশ।’
বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারের প্রতিযোগিতামূলক চিত্র তুলে ধরে কাউন্টারপয়েন্টে রিসার্চের গবেষণা বিশ্লেষক সত্যজিৎ সিনহা বলেন, ‘১০০ ডলারের কম দামে স্মার্টফোন বিক্রির দিক থেকে, চীনা ব্রান্ডগুলো আগ্রাসীভাবে বাজার দখলে নিচ্ছে। কিন্তু তারপরও স্থানীয় ব্রান্ড সিম্ফনি বাজারে এখনও নেতৃত্ব দিচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আরেক স্থানীয় ব্রান্ড ওয়ালটন প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিজেদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে। ফলে এই কোম্পানির স্মার্টফোন বাজারে আসার হার গত বছরের তুলনায় ৭৪ শতাংশ বেড়েছে। সামনের দিনগুলোতে শীর্ষ ৫ ব্রান্ডের মধ্যে শক্ত প্রতিযোগিতা হবে।’
সিনহা আরও বলেন, ‘মূল সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী (ওইএম) কোম্পানিগুলোর উচিত স্থানীয়ভাবে যন্ত্রাংশ জোড়া লাগানোর পেছনে বিনিয়োগ করার বিষয়টি বিবেচনা করা। আমদানি শুল্ক সম্প্রতি বেড়ে যাওয়ায়, অনেক কোম্পানি যন্ত্রাংশ জোড়া লাগানোর কাজ বাংলাদেশেই করছে। ফলে যেসব প্রতিষ্ঠান ঘরোয়াভাবে যন্ত্রাংশ জোড়া লাগাচ্ছে, তারা দামের দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে এই কাজ শুরু করেছিল ওয়াল্টন। পরে সিম্ফনি, লাভা, স্যামসাং ও ট্রানসনের মতো ব্রান্ড যন্ত্রাংশ জোড়া লাগানোর পরিকল্পনা হাতে নেয়।’
সংক্ষেপে বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজার
জানুয়ারি থেকে মার্চে বাংলাদেশের স্মার্টফোন শিপমেন্ট গত বছরের চেয়ে ১৮ শতাংশ কমেছে। তবে গত তিন মাসের তুলনায় ৩ শতাংশ বেড়েছে।
দেশটির মোট মোবাইল শিপমেন্টের ২১ শতাংশই স্মার্টফোন। এ থেকে বোঝা যায় স্মার্টফোন ব্যবহারের গতি অল্প করে হলেও বাড়ছে।
বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারে এখনও সিম্ফনিই শীর্ষ ব্রান্ড। মোট ২১ শতাংশ বাজার ব্রান্ডটির দখলে। ১৫ শতাংশ জায়গা নিয়ে ওয়াল্টনের স্থান দ্বিতীয়। শীর্ষ ৫ ব্রান্ডের বাকি তিনটি বিদেশী।
ওয়াল্টন স্মার্টফোন বাজারে আসার হার গত বছরের চেয়ে ৭৪ শতাংশ বেড়েছে। এ বছরের প্রথম তিন মাসে ওয়াল্টন যত ফোন বাজারে এনেছে, তার ২৫ শতাংশই স্থানীয়ভাবে তৈরি করা।
২০১৮ সালের প্রথম তিন মাসে ফোন বাজারে আনার হার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আইটেলের। আগের বছরের তুলনায় এই বৃদ্ধি ছিল ৫৬৪ শতাংশ। মোট ১০ শতাংশ বাজার এখন এই ব্রান্ডের দখলে। আক্রমণাত্মক প্রচারণা ও পণ্যের স্বল্পদাম এই ব্রান্ডের ব্যবসায়িক সাফল্যের রহস্য। এই তিন মাসে স্যামসাং ও হুয়াওয়েকে টপকে তৃতীয় স্থান আইটেলের। আইটেলের এস১১ মডেল ছিল জনপ্রিয়।
স্যামসাং মোবাইল ১০ শতাংশ বাজার দখল করেছে। গত বছরের তুলনায় এই হার ৪৬ শতাংশ কম। তবে ৪জি স্মার্টফোন বিক্রির দিক থেকে স্যামসাং শীর্ষে। জে সিরিজ মডেলের বদৌলতে এই ক্যাটাগরির ২১ শতাংশ বাজারই স্যামসাং-এর। এই তিন মাসে মোট যত ৪জি ফোন বাজারে এসেছে, তার ১৭ শতাংশই স্যামসাং-এর জে সিরিজ মডেলের।
বাজারের ৮ শতাংশ হুয়াওয়ের দখলে। হুয়াওয়ের ওয়াই সিরিজের ওয়াই৩ ছিল জনপ্রিয় ৪জি মডেল। এই তিন মাসে যত ৪জি প্রযুক্তির ফোন বাজারে এসেছে তার ২০ শতাংশ ছিল হুয়াওয়ের।
ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ গ্রামিনফোন, রবি এজিয়াটা ও বাংলালিংক ৪জি সেবা চালু করে। তবে এখনও দেসজুড়ে এই সেবা বিস্তৃত হয়নি।
No comments