মেধাবী দুই বোনের গল্প
তাহেরা
ও তাছমিন্নাহার দুই বোন। নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমন ঘরে তাদের জন্ম। তারা
অনেক সময় খেয়ে না খেয়ে বিদ্যালয়ে ক্লাস করেছে। টিফিনের সময় তাদের সহপাঠীরা
টাকা দিয়ে অনেক কিছু কিনে খেলেও তারা ক্লাসের মধ্যেই বই পড়া নিয়ে ব্যস্ত
থাকতো। দরিদ্রতা তাদের দমাতে পারেনি। তারা এবার এসএসসি/ দাখিল পরীক্ষায় শত
প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে জিপিএ-৫ অর্জন করে এলাকার মুখ উজ্জ্বল করেছে। তাদের
স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়া। কিন্তু সন্তানদের এই আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন বাস্তবায়ন নিয়ে
সংশয়ের মধ্যে রয়েছে বাবা-মায়েরা।
তারা দুই বোন এবার লালবাড়ি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তারা পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিল। তাদের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ঘৃলাই সরকারপাড়া গ্রামে। তাদের বাবা তারাজুল ইসলাম ঝাল চানাচুর বিক্রিতা ও মা হাফিজা বেগম গৃহিণী।
জানা গেছে, তারাজুল ইসলামের চার মেয়ে। এর মধ্যে তাহেরা প্রথম ও তাছমিন্নাহার দ্বিতীয়। তার তৃতীয় মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে এবং চতুর্থ মেয়ে প্রথম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। তার জমি বলতে রয়েছে আড়াই শতক বসতবাড়ি। সেখানে একটি মাটির ঘরে তাদের বসবাস। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তারাজুল ইসলাম একটি ভাঙা ভ্যানে করে ঝাল চানাচুর বিক্রি করেন। বাবা গরিব হওয়ায় মেয়েরাও কখনো লেখাপড়ার খরচের জন্য বাবাকে চাপ দেয়নি। তারা কখনো টিউশনি করে আবার কখনো বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগিতা নিয়ে লেখাপড়া করেছে।
ভালো ফলাফলের জন্য তাহেরা ও তাছমিন্নাহার স্কুল শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। তবে লেখাপড়া শিখে তাহেরা ডাক্তার এবং তাছমিন্নাহার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু দরিদ্রতার কষাঘাতে তাদের এই স্বপ্ন আদৌ কি বাস্তবায়ন হবে!
বাবা তারাজুল ইসলাম বলেন, ‘মুই সারা দিন চানাচুর বিক্রি করে ২-৩শ টাকা আয় করো। তা দিয়ে সংসার চলে না। বেটি দুইটা ভালো ফল করার পর বড় বড় স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু মুই গরিব মানুষ, তাদের কি এই স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো। তাদেরকে (মেয়ে) বলছু (বলেছি) মা হামরা (আমরা) গরিব মানুষ, এতো বড় স্বপ্ন হামার দেখা কি ঠিক। তোমরা লেখাপড়া ছেড়ে দেও। মোর এই কথা শুনে তারা শুধু কাঁদছে আর কাঁদছে। তারা বলছে বাবা হামরা গরিব দেখি কি স্বপ্ন দেখতে পারি না। দোয়া করেন আল্লাহ একদিন হামার স্বপ্ন পূরণ করবে।’ তার মা হাফিজা বেগম বলেন, ‘মোর বেটিরা কখনও কোনো জিনিসের জন্য বায়না ধরেনি। তাদের নেকাপড়ার (লেখাপড়া) প্রতি খুব ঝোঁক। খেয়ে না খেয়ে স্কুল করেছে। তারা রেজাল ভালো করায় গ্রামের মানুষ কওচে তোমার বেটিরা সোনা। তাদের লেখাপড়া বন্ধ করেন না। তারা একদিন অনেক বড় জায়গায় যাইবে, গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করবে। কিন্তু টাকা না থাকলে ওদেরকে কিভাবে পড়াইম?’
তারা দুই বোন এবার লালবাড়ি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তারা পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিল। তাদের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ঘৃলাই সরকারপাড়া গ্রামে। তাদের বাবা তারাজুল ইসলাম ঝাল চানাচুর বিক্রিতা ও মা হাফিজা বেগম গৃহিণী।
জানা গেছে, তারাজুল ইসলামের চার মেয়ে। এর মধ্যে তাহেরা প্রথম ও তাছমিন্নাহার দ্বিতীয়। তার তৃতীয় মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে এবং চতুর্থ মেয়ে প্রথম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। তার জমি বলতে রয়েছে আড়াই শতক বসতবাড়ি। সেখানে একটি মাটির ঘরে তাদের বসবাস। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তারাজুল ইসলাম একটি ভাঙা ভ্যানে করে ঝাল চানাচুর বিক্রি করেন। বাবা গরিব হওয়ায় মেয়েরাও কখনো লেখাপড়ার খরচের জন্য বাবাকে চাপ দেয়নি। তারা কখনো টিউশনি করে আবার কখনো বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগিতা নিয়ে লেখাপড়া করেছে।
ভালো ফলাফলের জন্য তাহেরা ও তাছমিন্নাহার স্কুল শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। তবে লেখাপড়া শিখে তাহেরা ডাক্তার এবং তাছমিন্নাহার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু দরিদ্রতার কষাঘাতে তাদের এই স্বপ্ন আদৌ কি বাস্তবায়ন হবে!
বাবা তারাজুল ইসলাম বলেন, ‘মুই সারা দিন চানাচুর বিক্রি করে ২-৩শ টাকা আয় করো। তা দিয়ে সংসার চলে না। বেটি দুইটা ভালো ফল করার পর বড় বড় স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু মুই গরিব মানুষ, তাদের কি এই স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো। তাদেরকে (মেয়ে) বলছু (বলেছি) মা হামরা (আমরা) গরিব মানুষ, এতো বড় স্বপ্ন হামার দেখা কি ঠিক। তোমরা লেখাপড়া ছেড়ে দেও। মোর এই কথা শুনে তারা শুধু কাঁদছে আর কাঁদছে। তারা বলছে বাবা হামরা গরিব দেখি কি স্বপ্ন দেখতে পারি না। দোয়া করেন আল্লাহ একদিন হামার স্বপ্ন পূরণ করবে।’ তার মা হাফিজা বেগম বলেন, ‘মোর বেটিরা কখনও কোনো জিনিসের জন্য বায়না ধরেনি। তাদের নেকাপড়ার (লেখাপড়া) প্রতি খুব ঝোঁক। খেয়ে না খেয়ে স্কুল করেছে। তারা রেজাল ভালো করায় গ্রামের মানুষ কওচে তোমার বেটিরা সোনা। তাদের লেখাপড়া বন্ধ করেন না। তারা একদিন অনেক বড় জায়গায় যাইবে, গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করবে। কিন্তু টাকা না থাকলে ওদেরকে কিভাবে পড়াইম?’
No comments