বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন মূল্যায়ন
বাংলাদেশে
ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালে ঘটে
যাওয়া ঘটনাগুলোর বিশ্লেষণ করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল তাদের এ
সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের
সংবিধানে ইসলামকে বলা হয়েছে রাষ্ট্রধর্ম। কিন্তু একই সঙ্গে এখানে ধারণ করা
হয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতা। এর অধীনে ধর্মীয় অবমাননাকে ঠেকানো হয়েছে। দেয়া হয়েছে
সব ধর্মের প্রতি সমতা। বয়ানে কি বলবেন এ জন্য সারা দেশের ইমামদের
নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এর উদ্দেশ্য জঙ্গিবাদ ঠেকানো এবং উস্কানিমূলক
বার্তায় মসজিদের ওপর নজরদারি করা। যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী একজন
ব্লগারকে ২০১৫ সালে হত্যার সঙ্গে জড়িত আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট একটি গ্রুপের
সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দু’সন্দেহভাজনকে নভেম্বরে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মিডিয়ার
রিপোর্ট অনুসারে, এর মধ্যে একজন সন্দেহভাজন অন্য চারজন ধর্মনিরপেক্ষ
কর্মীদের হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সরকারি নির্দেশনা সত্ত্বেও
গ্রাম্য নেতারা মাঝেমাঝেই স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে এক হয়ে নারীদের
শাস্তি দিতে ‘এক্সট্রাজুডিশিয়াল’ ফতোয়া দিয়ে থাকেন।
হিন্দু ও খ্রিস্টানদের মতো ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মাঝে মাঝেই রিপোর্ট করে যে, তাদের জোর করে উচ্ছেদ করা ঠেকাতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে সরকার। একই ঘটনা জমি দখল করার ক্ষেত্রেও। স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন ও মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলা ভাষায় লেখা পাঠ্যপুস্তকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ধর্মনিরপেক্ষতা আনতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। এতে অমুসলিম লেখকদের লেখা বাদ রাখা হয়েছে। এমন সব বিষয়ের স্থানে ব্যবহার করা হয়েছে ইসলামিক বিষয়বস্তু। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান, উৎসবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনকে অব্যাহতভাবে মোতায়েন করছে সরকার। যেসব অনুষ্ঠানে সহিংস টার্গেট হওয়ার আশঙ্কা থাকে সেখানেই এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়। বছরজুড়ে বৌদ্ধ ও হিন্দু সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছে। জুনে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অংশে বাঙালি মুসলিম গ্রামবাসী ৩০০ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এসব বাড়িঘর চাকমাদের, যাদের বেশির ভাগই সংখ্যালঘু বৌদ্ধ। হামলার সময় মারা গেছেন ৭০ বছর বয়সী এক নারী।
স্থানীয় একজন মুসলিম অধিবাসীকে হত্যার ঘটনায় এই অগ্নিসংযোগ করা হয়। নভেম্বরে ইসলাম অবমাননা করে ফেসবুকে এমন একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয় রংপুরে। তখন উত্তেজিত জনতা রংপুরে হিন্দুদের প্রায় ৩০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনাকালে এবং প্রকাশ্য বিবৃতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের অন্যান্য প্রতিনিধি ধর্মের নামে সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। সরকারকে উদ্বুদ্ধ করেছেন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার সমুন্নত রাখতে এবং সহনশীলতার পরিবেশ বজায় রাখতে। এ জন্য স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের সদস্য, বেসরকারি সংগঠন ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও অন্য স্টাফরা। এ সময়ে তারা ধর্মীয় সহনশীলতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। ধর্ম ও উগ্র সহিংসতার মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। দূতাবাস মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের মানবিক সহায়তা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মীয় শিক্ষা কর্মসূচি বিনিময় করেছে দূতাবাস।
একটি বহুজাতিক সমাজে ধর্ম ও ধর্মীয় স্বাধীনতার ভূমিকা উদঘাটন ছিল এর উদ্দেশ্য। এতে ২০১৬ সালে ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগার, অনলাইন এক্টিভিস্ট, লেখক ও প্রকাশক মিলিয়ে ৬ জনকে হত্যা করা হয়। এ নিয়ে তদন্ত অপরিপূর্ণ রয়েছে। এমনটা বলা হচ্ছে মিডিয়ার রিপোর্টে। বছর শেষ হয়ে গেলেও পুলিশ এ ঘটনায় কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে পারে নি। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে ইসলাম অবমাননা বা ইসলামের বিরুদ্ধে আক্রমণ করার কারণে ৯ জনকে হত্যা করা হয়। আল কায়েদার আদর্শে উদ্বুদ্ধ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসার আল ইসলাম-এর দায় স্বীকার করে। এই ৯ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে হাইকোর্ট দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পুলিশ সন্দেহভাজনদেরকে আরো দুটি হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত করে। তবে ছয়টি তদন্ত মুলতবি পড়ে থাকে। ৯ই সেপ্টেম্বর শীর্ষ একটি দৈনিক রিপোর্ট করে যে, ওই মুলতবি ছয়টি মামলায় পুলিশ ৪৩ সন্দেহভাজনের মধ্যে মাত্র ৭ জনকে আটক করেছে। ৬ই নভেম্বর পুলিশ ঘোষণা দেয় তারা আবু সিদ্দিক সোহেল নামে একজনকে আটক করেছে। সে ২০১৫ সালে ব্লগার অভিজিত রায়কে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। ২৩শে নভেম্বর পুলিশ আরো বলে তারা আরো একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তার নাম আরাফাত রহমান। সেও অভিজিত হত্যায় জড়িত।
হিন্দু ও খ্রিস্টানদের মতো ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মাঝে মাঝেই রিপোর্ট করে যে, তাদের জোর করে উচ্ছেদ করা ঠেকাতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে সরকার। একই ঘটনা জমি দখল করার ক্ষেত্রেও। স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন ও মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলা ভাষায় লেখা পাঠ্যপুস্তকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ধর্মনিরপেক্ষতা আনতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। এতে অমুসলিম লেখকদের লেখা বাদ রাখা হয়েছে। এমন সব বিষয়ের স্থানে ব্যবহার করা হয়েছে ইসলামিক বিষয়বস্তু। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান, উৎসবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনকে অব্যাহতভাবে মোতায়েন করছে সরকার। যেসব অনুষ্ঠানে সহিংস টার্গেট হওয়ার আশঙ্কা থাকে সেখানেই এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়। বছরজুড়ে বৌদ্ধ ও হিন্দু সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছে। জুনে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অংশে বাঙালি মুসলিম গ্রামবাসী ৩০০ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এসব বাড়িঘর চাকমাদের, যাদের বেশির ভাগই সংখ্যালঘু বৌদ্ধ। হামলার সময় মারা গেছেন ৭০ বছর বয়সী এক নারী।
স্থানীয় একজন মুসলিম অধিবাসীকে হত্যার ঘটনায় এই অগ্নিসংযোগ করা হয়। নভেম্বরে ইসলাম অবমাননা করে ফেসবুকে এমন একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয় রংপুরে। তখন উত্তেজিত জনতা রংপুরে হিন্দুদের প্রায় ৩০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনাকালে এবং প্রকাশ্য বিবৃতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের অন্যান্য প্রতিনিধি ধর্মের নামে সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। সরকারকে উদ্বুদ্ধ করেছেন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার সমুন্নত রাখতে এবং সহনশীলতার পরিবেশ বজায় রাখতে। এ জন্য স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের সদস্য, বেসরকারি সংগঠন ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও অন্য স্টাফরা। এ সময়ে তারা ধর্মীয় সহনশীলতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। ধর্ম ও উগ্র সহিংসতার মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। দূতাবাস মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের মানবিক সহায়তা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মীয় শিক্ষা কর্মসূচি বিনিময় করেছে দূতাবাস।
একটি বহুজাতিক সমাজে ধর্ম ও ধর্মীয় স্বাধীনতার ভূমিকা উদঘাটন ছিল এর উদ্দেশ্য। এতে ২০১৬ সালে ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগার, অনলাইন এক্টিভিস্ট, লেখক ও প্রকাশক মিলিয়ে ৬ জনকে হত্যা করা হয়। এ নিয়ে তদন্ত অপরিপূর্ণ রয়েছে। এমনটা বলা হচ্ছে মিডিয়ার রিপোর্টে। বছর শেষ হয়ে গেলেও পুলিশ এ ঘটনায় কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে পারে নি। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে ইসলাম অবমাননা বা ইসলামের বিরুদ্ধে আক্রমণ করার কারণে ৯ জনকে হত্যা করা হয়। আল কায়েদার আদর্শে উদ্বুদ্ধ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসার আল ইসলাম-এর দায় স্বীকার করে। এই ৯ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে হাইকোর্ট দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পুলিশ সন্দেহভাজনদেরকে আরো দুটি হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত করে। তবে ছয়টি তদন্ত মুলতবি পড়ে থাকে। ৯ই সেপ্টেম্বর শীর্ষ একটি দৈনিক রিপোর্ট করে যে, ওই মুলতবি ছয়টি মামলায় পুলিশ ৪৩ সন্দেহভাজনের মধ্যে মাত্র ৭ জনকে আটক করেছে। ৬ই নভেম্বর পুলিশ ঘোষণা দেয় তারা আবু সিদ্দিক সোহেল নামে একজনকে আটক করেছে। সে ২০১৫ সালে ব্লগার অভিজিত রায়কে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। ২৩শে নভেম্বর পুলিশ আরো বলে তারা আরো একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তার নাম আরাফাত রহমান। সেও অভিজিত হত্যায় জড়িত।
No comments