২৯টি মাস যদি ফিরে পেতাম আরিফের আক্ষেপ by চৌধুরী মুমতাজ আহমদ
২০১৩
সালের ১৫ই জুন জনতার ভোটে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন
আরিফুল হক চৌধুরী। সিলেট নগরের বাসিন্দারা তাকে পাঁচ বছরের জন্য নগরভবনের
চাবি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। সে মেয়াদ এখন ফুরিয়ে যাওয়ার পথে। নির্বাচন কমিশন
নতুন করে ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করেছে। আসছে ৩০শে জুলাই সিলেটবাসী আবার নতুন
করে বেছে নেবেন নিজেদের অভিভাবক। তবে আরিফের মনে দুঃখ রয়েই গেছে। পাঁচ
বছরের জন্য দায়িত্ব পেলেও তিনি প্রায় অর্ধেক সময়ই দায়িত্ব থেকে দূরে ছিলেন।
তাই নগরবাসীকে দেয়া অনেক প্রতিশ্রুতিই পূরণ করতে পারেননি তিনি। মানবজমিনের
সঙ্গে আলাপে সে দুঃখটাই অকপটে বলে গেলেন আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি মনে করেন,
জনতার রায়ে তাদের সেবা করার যে অধিকার তিনি পেয়েছিলেন, সেটা থেকে তিনি
বঞ্চিত হয়েছেন। সময়ের অভাবে অনেক প্রতিশ্রুতিই পূরণ করতে পারেননি।
নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা তাই তার কাছে ‘অসময়ে’ই বলে মনে হচ্ছে।
পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হলেও সব মিলিয়ে প্রায় ২৯ মাসই দায়িত্বের বাইরে ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় এ সময়টা পদহারা ছিলেন। এর মধ্যে কারাগারে বন্দি অবস্থায় কেটেছে পুরো দুই বছর। বাকি সময়টুকু কেটেছে পদ ফিরে পাওয়ার জন্য আইনি লড়াইয়ে। আরিফুল হক চৌধুরী মনে করছেন, যে সময়টুকুতে তিনি সেবা করার সুযোগ হারিয়েছেন সেটা যদি তাকে ফিরিয়ে দেয়া হতো তবে তিনি নগরবাসীকে দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো হয়তো পূরণ করতে পারতেন। যে স্বপ্ন তিনি নগরবাসীকে দেখিয়েছিলেন সেটা পূরণ করতে না পারার আক্ষেপে পুড়ছেন আরিফুল হক। পেছন ফিরে চাইলে দেখতে পান অনেক কাজই বাকি রয়ে গেছে।
আরিফুল হক চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, নগরবাসী আমাকে তাদের পবিত্র আমানত হিসেবে নগরভবনের চাবি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। আমি চেষ্টা করেছি, তাদের সে আমানত যথাযথভাবে রক্ষা করে তাদের সেবা করে যেতে। দীর্ঘদিন দায়িত্বহীন থাকায় আমি তাদের সে সেবা হয়তো দিতে পারিনি। কিন্তু আমার চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায়ও বিষয়টি আমাকে যন্ত্রণা দিয়েছিল যে, জনতার দায়িত্ব নিয়েও আমি সে দায়িত্ব পালন করতে পারছি না। আরিফ মনে করেন, পুরোটা না হলেও আরো কিছুটা সময় পেলে তিনি বাকি থাকা প্রতিশ্রুতির কিছুটা হয়তো পূরণ করতে পারতেন।
মেয়র হিসেবে আরিফের পথচলা মোটেও সুখকর ছিল না। দায়িত্বগ্রহণের দেড় বছরের মাথায় থমকে যায় সে চলার পথ। ২০১৪ সালের শেষ দিকে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর ওই বছরের ৩০শে ডিসেম্বর হবিগঞ্জের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আরিফুল হক। যেতে হয় কারাগারে, হারাতে হয় মেয়র পদও।
মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার কারণে ২০১৫ সালের ৭ই জানুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। কারাগারে থাকা অবস্থায়ই আরিফুল হক অভিযুক্ত হন ১২ বছর আগে সংঘটিত আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলা সংশ্লিষ্ট মামলায়ও। মামলাগুলো মাথায় নিয়েই দুই বছর কারাগারের ভেতরে কাটাতে হয় আরিফুল হককে। উচ্চ আদালত থেকে সবকটি মামলায় জামিন লাভের পরই ২০১৭ সালের ৪ঠা জানুয়ারি মুক্তির দুয়ার খুলে আরিফের জন্য। মুক্তি পাওয়ার পর বরখাস্তের সাময়িক আদেশ চ্যালেঞ্জ করলে হাইকোর্ট ওই বছরের ১৩ই মার্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশটি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে দেন। রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের পর স্থগিতাদেশটি টিকে যাওয়ায় ওই বছরের ৩০শে মার্চ নগরের দায়িত্ব নিয়েছিলেন আরিফুল হক। তবে সে দায়িত্বকালের মেয়াদ ছিল মাত্র তিন ঘণ্টা। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে আবার বরখাস্তের চিঠি আসে আরিফুল হকের নামে। আবার পদ হারান, আবার আইনি লড়াইয়ে নামেন আরিফ। মাসখানেক আইনি লড়াই শেষে ২০১৭ সালের ৪ঠা মে আবার দায়িত্ব বুঝে নেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হলেও সব মিলিয়ে প্রায় ২৯ মাসই দায়িত্বের বাইরে ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় এ সময়টা পদহারা ছিলেন। এর মধ্যে কারাগারে বন্দি অবস্থায় কেটেছে পুরো দুই বছর। বাকি সময়টুকু কেটেছে পদ ফিরে পাওয়ার জন্য আইনি লড়াইয়ে। আরিফুল হক চৌধুরী মনে করছেন, যে সময়টুকুতে তিনি সেবা করার সুযোগ হারিয়েছেন সেটা যদি তাকে ফিরিয়ে দেয়া হতো তবে তিনি নগরবাসীকে দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো হয়তো পূরণ করতে পারতেন। যে স্বপ্ন তিনি নগরবাসীকে দেখিয়েছিলেন সেটা পূরণ করতে না পারার আক্ষেপে পুড়ছেন আরিফুল হক। পেছন ফিরে চাইলে দেখতে পান অনেক কাজই বাকি রয়ে গেছে।
আরিফুল হক চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, নগরবাসী আমাকে তাদের পবিত্র আমানত হিসেবে নগরভবনের চাবি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। আমি চেষ্টা করেছি, তাদের সে আমানত যথাযথভাবে রক্ষা করে তাদের সেবা করে যেতে। দীর্ঘদিন দায়িত্বহীন থাকায় আমি তাদের সে সেবা হয়তো দিতে পারিনি। কিন্তু আমার চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায়ও বিষয়টি আমাকে যন্ত্রণা দিয়েছিল যে, জনতার দায়িত্ব নিয়েও আমি সে দায়িত্ব পালন করতে পারছি না। আরিফ মনে করেন, পুরোটা না হলেও আরো কিছুটা সময় পেলে তিনি বাকি থাকা প্রতিশ্রুতির কিছুটা হয়তো পূরণ করতে পারতেন।
মেয়র হিসেবে আরিফের পথচলা মোটেও সুখকর ছিল না। দায়িত্বগ্রহণের দেড় বছরের মাথায় থমকে যায় সে চলার পথ। ২০১৪ সালের শেষ দিকে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর ওই বছরের ৩০শে ডিসেম্বর হবিগঞ্জের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আরিফুল হক। যেতে হয় কারাগারে, হারাতে হয় মেয়র পদও।
মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার কারণে ২০১৫ সালের ৭ই জানুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। কারাগারে থাকা অবস্থায়ই আরিফুল হক অভিযুক্ত হন ১২ বছর আগে সংঘটিত আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলা সংশ্লিষ্ট মামলায়ও। মামলাগুলো মাথায় নিয়েই দুই বছর কারাগারের ভেতরে কাটাতে হয় আরিফুল হককে। উচ্চ আদালত থেকে সবকটি মামলায় জামিন লাভের পরই ২০১৭ সালের ৪ঠা জানুয়ারি মুক্তির দুয়ার খুলে আরিফের জন্য। মুক্তি পাওয়ার পর বরখাস্তের সাময়িক আদেশ চ্যালেঞ্জ করলে হাইকোর্ট ওই বছরের ১৩ই মার্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশটি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে দেন। রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের পর স্থগিতাদেশটি টিকে যাওয়ায় ওই বছরের ৩০শে মার্চ নগরের দায়িত্ব নিয়েছিলেন আরিফুল হক। তবে সে দায়িত্বকালের মেয়াদ ছিল মাত্র তিন ঘণ্টা। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে আবার বরখাস্তের চিঠি আসে আরিফুল হকের নামে। আবার পদ হারান, আবার আইনি লড়াইয়ে নামেন আরিফ। মাসখানেক আইনি লড়াই শেষে ২০১৭ সালের ৪ঠা মে আবার দায়িত্ব বুঝে নেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
No comments