যমুনার দুর্গম চরে বাদাম চাষ by সাগর বসাক
সিরাজগঞ্জের
শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা নদীর চরে এ বছর প্রায় ১ হাজার বিঘা জমিতে বাদাম
চাষ করা হচ্ছে। প্রতি বছরই উপজেলার দুর্গম চর এলাকা বলে পরিচিত কৈজুরি,
সোনাতুনী, গালা ও জালালপুর ইউনিয়নের যমুনা নদীর চরে বাদামের চাষ হয়। এছাড়া
পোতাজিয়া ও রূপবাটি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী কিছু জমিতেও বাদাম চাষ করা
হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় মাকড়া, বানতিয়ার, ছোট চামতারা, বড় চামতারা, কুরশি
চরাঞ্চল ও রাউতারা, শেলাচাপড়ির বাদাম চাষিদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। যমুনা
নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের বেলে মাটিতে বাদামের চাষ করা হয়। বাদাম চাষে
চাষিদের বাড়তি খরচ নেই বললেই চলে। তাই দিনদিন যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলে বাদাম
চাষে ক্রমেই ঝুঁকছে চাষিরা। স্থানীয় বাদাম চাষিদের ভাষ্যমতে, ‘চরাঞ্চলের
বেলে মাটিতে বাদামের ফলন বেশ ভালো হচ্ছে। সেচ ও নিড়ানি ছাড়াই স্বল্প খরচে
বাদামের জমিতে সামান্য সার ও কীটনাশক প্রয়োগে ফলন বেশ ভালো পাওয়া যায়।
বাজারে বাদামের চাহিদা থাকায় বেশ লাভবান হচ্ছে চাষিরা। ফলে গত কয়েক বছর ধরে
বাদাম চাষিরা একে অপরের দেখাদেখিতে লাভজনক বাদাম চাষের দিকে ঝুঁকছে।’
শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মনজু আলম সরকার জানান,‘ শাহজাদপুর যমুনার চরে বিঘাপ্রতি ১৪ থেকে ১৫ মন বাদাম উৎপাদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চরাঞ্চলের বেলে মাটিতে লাভজনক বাদাম চাষের পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বাদাম চাষিদের পরামর্শ ও উৎসাহ দেয়া হচ্ছে এবং বাদাম চাষে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। অন্যদিকে, কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে আরও বেশি জমিতে বাদাম চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে স্থানীয় চাষিরা। এদিকে বাদামের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা বেশ খুশি।
শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মনজু আলম সরকার জানান,‘ শাহজাদপুর যমুনার চরে বিঘাপ্রতি ১৪ থেকে ১৫ মন বাদাম উৎপাদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চরাঞ্চলের বেলে মাটিতে লাভজনক বাদাম চাষের পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বাদাম চাষিদের পরামর্শ ও উৎসাহ দেয়া হচ্ছে এবং বাদাম চাষে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। অন্যদিকে, কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে আরও বেশি জমিতে বাদাম চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে স্থানীয় চাষিরা। এদিকে বাদামের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা বেশ খুশি।
No comments