ইসরাইলে গাইবেন না শাকিরা
এই
গ্রীষ্মে ইসরাইলের তেলআবিবে কনসার্ট করার কথা থাকলেও, অব্যাহত চাপের মুখে
সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছেন বিশ্বখ্যাত লাতিন গায়িকা
শাকিরা। তার এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনিরা। এ খবর দিয়েছে
ইলেক্ট্রনিক ইন্তিফাদা। ইসরাইলকে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিকভাবে বয়কট করার
আন্দোলন পিএসিবিআই এক বিবৃতিতে বলেছে, শাকিরার নাম ব্যবহার করে গাজার
সাম্প্রতিক হত্যাযজ্ঞকে ধামাচাপা দেয়ার যে পরিকল্পনা করেছিল ইসরাইল, তা
ব্যর্থ হয়েছে। বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে- ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বর্ণবিভেদ
(অ্যাপার্থেইড) ধামাচাপায় অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকার বিশেষ বাধ্যবাধকতা
রয়েছে শিল্পী ও বিশেষ করে জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূতদের।’
এদিকে শাকিরা ছাড়াও, তেল আবিব আন্তর্জাতিক সমকামী চলচ্চিত্র উৎসব থেকে অনেক আন্তর্জাতিক শিল্পী নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
গ্র্যামি-জয়ী কলম্বিয়ান শিল্পী শাকিরার পূর্ব-পুরুষ ছিলেন লেবানিজ। তিনি জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত। ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর ইসরাইলি নৃশংসতার অনেক কিছুই নথিবদ্ধ করা আছে ইউনিসেফের।
এর আগে শাকিরা যখন তেল আবিব কনসার্টে যেতে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছিলেন, তখন একে ইসরাইল বয়কট আন্দোলন বিডিএস’র ওপর ‘চপেটাঘাত’ হিসেবে বর্ণনা করেছিল ইসরাইল সমর্থকরা। কেউ কেউ বিষয়টিকে ইসরাইলের প্রতি শাকিরার সমর্থন হিসেবেও দেখেছেন।
কিন্তু এখন শাকিরা কনসার্ট বাতিল করায়, একে গুরুত্বহীনভাবে উপস্থাপন করছে ইসরাইল-পন্থিরা। যেমন, এই কনসার্টের আয়োজক লাইভ ন্যাশন সোমবার জানিয়েছে, শাকিরা তেল আবিবে পারফর্ম করবেন, এই খবর সত্য ছিল না। এই গ্রীষ্মে সময়সূচি ঠিকঠাকভাবে না মেলায়, শাকিরা ও লাইভ ন্যাশন ভবিষ্যতে কোনো এক সময় এই কনসার্ট আয়োজনের আশা করছে।
তবে এপ্রিলেই ইসরাইল হায়োম পত্রিকা জানিয়েছিল, জুলাইয়ে তেল আবিবে কনসার্ট করার ব্যাপারে একটি চুক্তিতে সইয়ের কাছাকাছি রয়েছেন শাকিরা। জেরুজালেম পোস্ট পত্রিকা মঙ্গলবার লিখেছে, চ্যানেল ২ এই মাসের শুরুতে শাকিরার কনসার্টের ‘এক্সক্লুসিভ’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
সব ঠিকঠাক থাকলে, এটি হতো ইসরাইলে শাকিরার প্রথম কনসার্ট। তবে এর আগে ২০১১ সালে একবার ইসরাইল সফর করেছিলেন তিনি। তখন তিনি তৎকালীন ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনেও যোগ দেন।
শাকিরা তেল আবিবে কনসার্ট করবেন, এমন খবর প্রকাশ হওয়ার পর বয়কট আন্দোলন সক্রিয় প্রচারণা শুরু করে। এই কনসার্ট বাতিলের জন্য অনেক প্রথিতযশা ব্যক্তি ও সংগঠন শাকিরার প্রতি আহ্বান জানান।
তবে শেষ পর্যন্ত শাকিরার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে লেবাননেরও একটি ভূমিকা থাকতে পারে। তেল আবিব থেকে লেবাননের সিডার্স ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যালে গান গাওয়ার কথা ছিল শাকিরার। কিন্তু দেশটিতে অনেকেই দাবি তোলেন, ইসরাইলে পারফর্ম করলে লেবাননের কনসার্ট যাতে বাতিল করা হয়।
শাকিরার এই সিদ্ধান্তকে ইসরাইল বয়কট আন্দোলন বিডিএস-এর প্রতি সমর্থন হিসেবে দেখছেন অনেকে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের বেশ ক’জন প্রখ্যাত শিল্পী ইসরাইলে পারফর্ম করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। গেল সপ্তাহে ব্রাজিলের লিজেন্ডারি শিল্পী গিলবার্তো গিল তেল আবিবে অনুষ্ঠেয় নিজের কনসার্ট বাতিল করেছেন। পর্তুগালের জাতীয় মঞ্চের পরিচালক তিয়াগো রড্রিগেজও এই বছরের ইসরাইল ফেস্টিভ্যাল থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
গত সপ্তাহে কয়েক ডজন বৃটিশ ব্যান্ড ফিলিস্তিনি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ইসরাইলকে সাংস্কৃতিকভাবে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিশ্ব সঙ্গীত ও বিনোদন জগতের অন্তত দুইজন বড় তারকা ইসরাইল সফরে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এর মধ্যে একজন হলেন নিউজিল্যান্ডের বিশ্বখ্যাত পপ তারকা লর্ডে। অপরজন হলিউড তারকা নাটালি পোর্টম্যান।
এদিকে শাকিরা ছাড়াও, তেল আবিব আন্তর্জাতিক সমকামী চলচ্চিত্র উৎসব থেকে অনেক আন্তর্জাতিক শিল্পী নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
গ্র্যামি-জয়ী কলম্বিয়ান শিল্পী শাকিরার পূর্ব-পুরুষ ছিলেন লেবানিজ। তিনি জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত। ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর ইসরাইলি নৃশংসতার অনেক কিছুই নথিবদ্ধ করা আছে ইউনিসেফের।
এর আগে শাকিরা যখন তেল আবিব কনসার্টে যেতে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছিলেন, তখন একে ইসরাইল বয়কট আন্দোলন বিডিএস’র ওপর ‘চপেটাঘাত’ হিসেবে বর্ণনা করেছিল ইসরাইল সমর্থকরা। কেউ কেউ বিষয়টিকে ইসরাইলের প্রতি শাকিরার সমর্থন হিসেবেও দেখেছেন।
কিন্তু এখন শাকিরা কনসার্ট বাতিল করায়, একে গুরুত্বহীনভাবে উপস্থাপন করছে ইসরাইল-পন্থিরা। যেমন, এই কনসার্টের আয়োজক লাইভ ন্যাশন সোমবার জানিয়েছে, শাকিরা তেল আবিবে পারফর্ম করবেন, এই খবর সত্য ছিল না। এই গ্রীষ্মে সময়সূচি ঠিকঠাকভাবে না মেলায়, শাকিরা ও লাইভ ন্যাশন ভবিষ্যতে কোনো এক সময় এই কনসার্ট আয়োজনের আশা করছে।
তবে এপ্রিলেই ইসরাইল হায়োম পত্রিকা জানিয়েছিল, জুলাইয়ে তেল আবিবে কনসার্ট করার ব্যাপারে একটি চুক্তিতে সইয়ের কাছাকাছি রয়েছেন শাকিরা। জেরুজালেম পোস্ট পত্রিকা মঙ্গলবার লিখেছে, চ্যানেল ২ এই মাসের শুরুতে শাকিরার কনসার্টের ‘এক্সক্লুসিভ’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
সব ঠিকঠাক থাকলে, এটি হতো ইসরাইলে শাকিরার প্রথম কনসার্ট। তবে এর আগে ২০১১ সালে একবার ইসরাইল সফর করেছিলেন তিনি। তখন তিনি তৎকালীন ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনেও যোগ দেন।
শাকিরা তেল আবিবে কনসার্ট করবেন, এমন খবর প্রকাশ হওয়ার পর বয়কট আন্দোলন সক্রিয় প্রচারণা শুরু করে। এই কনসার্ট বাতিলের জন্য অনেক প্রথিতযশা ব্যক্তি ও সংগঠন শাকিরার প্রতি আহ্বান জানান।
তবে শেষ পর্যন্ত শাকিরার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে লেবাননেরও একটি ভূমিকা থাকতে পারে। তেল আবিব থেকে লেবাননের সিডার্স ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যালে গান গাওয়ার কথা ছিল শাকিরার। কিন্তু দেশটিতে অনেকেই দাবি তোলেন, ইসরাইলে পারফর্ম করলে লেবাননের কনসার্ট যাতে বাতিল করা হয়।
শাকিরার এই সিদ্ধান্তকে ইসরাইল বয়কট আন্দোলন বিডিএস-এর প্রতি সমর্থন হিসেবে দেখছেন অনেকে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের বেশ ক’জন প্রখ্যাত শিল্পী ইসরাইলে পারফর্ম করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। গেল সপ্তাহে ব্রাজিলের লিজেন্ডারি শিল্পী গিলবার্তো গিল তেল আবিবে অনুষ্ঠেয় নিজের কনসার্ট বাতিল করেছেন। পর্তুগালের জাতীয় মঞ্চের পরিচালক তিয়াগো রড্রিগেজও এই বছরের ইসরাইল ফেস্টিভ্যাল থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
গত সপ্তাহে কয়েক ডজন বৃটিশ ব্যান্ড ফিলিস্তিনি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ইসরাইলকে সাংস্কৃতিকভাবে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিশ্ব সঙ্গীত ও বিনোদন জগতের অন্তত দুইজন বড় তারকা ইসরাইল সফরে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এর মধ্যে একজন হলেন নিউজিল্যান্ডের বিশ্বখ্যাত পপ তারকা লর্ডে। অপরজন হলিউড তারকা নাটালি পোর্টম্যান।
No comments