এফবিআইয়ের উপপ্রধানকে বরখাস্ত, ‘রাজনৈতিক প্রতিশোধ নিচ্ছে সরকার’
এফবিআইয়ের
দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা বা উপপ্রধান অ্যানড্রু ম্যাকাবে’কে বরখাস্ত
করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস। তার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট
ডনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করছিলেন। ওদিকে বরখাস্ত
হওয়ার পর ম্যাকাবে বলেছেন, তাকে টার্গেট করা হয়েছে। এর কারণ,
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে যে তদন্ত
হচ্ছে তাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাধার সৃষ্টি করেছেন কিনা তিনি তার
গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যক্ষদর্শী। তাকে বরখাস্ত করে শুক্রবার জেফ সেশনস একটি
বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেছেন, আইন মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীন ওয়াচডগ বা
পর্যবেক্ষকরা দেখতে পেয়েছেন যে, ম্যাকাবে অনেক তথ্য পাচার করেছেন
সাংবাদিকদের কাছে। তার কর্মকান্ড নিয়ে তদন্তকারীদের ভুল তথ্য দিয়েছেন। জেফ
সেশনস বলেছেন, প্রতিটি কর্মকর্তা, কর্মচারী সর্বোচ্চ সততা, বিশুদ্ধতা ও
জবাবদিহিতার অধিকারী হবেন এমনটা প্রত্যাশা করে এফবিআই। কিন্তু তার বিরুদ্ধে
আনীত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ম্যাকাবে। তিনি বলেছেন, তার বিরুদ্ধে
প্রতিশোধ নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন । উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী
হিলারি ক্লিনটন ও ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের
বিরষয়ে তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই অ্যানড্রু ম্যাকাবে’র। এ বিষয়ে
তিনি লম্বা একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তিনি বলেন, তার মনে হয় রাজনৈতিক
উদ্দেশে তাকে টার্গেট করা হয়েছে। এর কারণ, এফবিআইয়ের সাবেক পরিচালক জেমস
কমি দাবি করেছিলেন যে, রাশিয়া তদন্তকে গলাটিপে হত্যা করার জন্য তার ওপর চাপ
সৃষ্টি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আর জেমস কমির এই দাবিকে সমর্থন
করেছিলেন ম্যাকাবে। গত বছর জেমস কমিকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প। এরপর
টেলিভিশনে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, রাশিয়া সংক্রান্ত ইস্যুতে তিনি জেমস
কমিকে বরখাস্ত করেছেন। ওদিকে মাত্র দু’দিন পর রোববার ৫০তম জন্মদিন
অ্যানড্রু ম্যাকাবে’র। ওই দুইটি দিন সময় পেলে তিনি এক রকম বৈধতা পেতেন।
সেটা হলো এফবিআই থেকে পূর্ণাঙ্গ পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতেন
ম্যাকাবে। জেমস কমিকে বরখাস্তের নয় মাস পরে তাকে বরখাস্ত করায়, ম্যাকাবের
পেনশনটা এখন ঝুঁকিতে পড়ে গেল।
No comments