জাতীয় সম্পদ আত্মসাৎ করে কেউ টিকতে পারবে না: ড. কামাল
সংবিধানের
অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, জাতীয় সম্পদ
আত্মসাৎ করে কেউ ক্ষমতায় টিকতে পারবে না। জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা
লুটপাট ও পাচার করা হচ্ছে। অথচ পাচারের টাকা ফেরত আনতে আত্মসাৎকারীদের
বিচারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। শনিবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে
(ডিআরইউ) জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আয়োজিত আইনজীবীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায়
এসব কথা বলেন তিনি। ড. কামাল হোসেন বলেন, জনগণের জন্য বঙ্গবন্ধরু
স্বাক্ষরিত উপহার হলো বাহাত্তরের সংবিধান। এই সংবিধানে জনগণকে দেশের মালিক
করা হয়েছে। দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতিবাজরা লুট করে নিয়ে
যাচ্ছে। এ অবস্থায় মাস্তানদের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দিয়ে দুর্নীতিবাজদের
পালাতে সুযোগ করে দেয়া ঠিক হবে না। দেশের মালিক জনগণ ঘরে নিশ্চুপ হয়ে বসে
থাকলে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সংবিধানের
অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু জনগণের জন্য রাজনীতি করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর নামে রাজনীতি করার নামে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুকে অপমাননা করছে। এ
সরকারের লুটপাটের জবাব চাইতে সবাইকে রাস্তায় নেমে আসতে হবে। দেশের
স্বাধীনতা রক্ষায় সব পেশার মানুষকে ঐক্যের শপথ নেয়ার আহবান জানান ড. কামাল
হোসেন। ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদ বলেন, দেশ চলছে
ভোটারবিহীন দখলদারদের মাধ্যমে। এ সরকার লুটপাটের সরকার। একাত্তরের
মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ও স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে
আইনজীবীদের ভূমিকা ছিল। বর্তমান সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের
ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান তিনি। সরকারের সমালোচনা করে গণফোরামের
কেন্দ্রীয় নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের
মহাসড়কের কথা বলে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে খাচ্ছে। ‘জয় বাংলা জয়
বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগান দিয়ে নারী নির্যাতন করছে। জনগণের আইনী অধিকার ও সুশাসন
সুবিধা হরণ করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বেচাকেনা করছে। এতে
অনেক পেশার অনেকে দলদাসে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। দেশে গণতান্ত্রিকা ধারা ফিরিয়ে
আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। জাতীয় আইনজীবী
সমিতির সভাপতি শাহ্ মো. খসরুজ্জামানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও
উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র আইনজীবী এ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, ফরোয়ার্ড
পার্টির চেয়ারম্যান আ ব ম মোস্তফা আমিন, প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.
আবদুল্লাহ সাকী, এ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন এ্যাডভোকেট মো. তারেক হোসেন
প্রমুখ।
No comments