সৌদি-মার্কিন সামরিক সহযোগিতা বিস্তার: তাতেও কী শেষ রক্ষা হবে রিয়াদের?
আমেরিকা
ও সৌদি আরবের সামরিক কর্মকর্তারা রাজধানী রিয়াদে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন।
সৌদি একটি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, সৌদি আরবের ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী
বিষয়ক মন্ত্রী খালেদ বিন আব্দুল আজিজ বিন আইয়াফসহ দেশটির বেশ ক'জন সামরিক
কর্মকর্তা মার্কিন সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত
হয়েছেন।
সৌদি আরবের উত্তরে আমেরিকার সঙ্গে যখন দেশটির সামরিক মহড়া চলছে ঠিক তখন এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। দু'দেশের মধ্যে প্রায় ১১ হাজার কোটি ডলার মূল্যের সামরিক চুক্তির পর এই সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সৌদি আরব ও আমেরিকার মধ্যে এমন সময় সামরিক সহযোগিতা বেড়েছে যখন সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য খুব শিগগিরি ওয়াশিংটন সফরে যাবেন বলে কথা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তিনি ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনে জেতার পর সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান গত বছরের মার্চে ওয়াশিংটনে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এরপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম বিদেশ সফরে রিয়াদে আসেন এবং দু'দেশের মধ্যে হাজার হাজার কোটি ডলার মূল্যের নজিরবিহীন সামরিক চুক্তি সই হয়। চুক্তি সইয়ের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অত্যন্ত অপমানজনক ভাষায় একে গুরুর দুধ দোয়ার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
দৈনিক রাই আর ইয়াওম এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে ওই চুক্তিকে আরব দেশগুলোর কাছ থেকে সুবিধা আদায়ে আমেরিকার বিরাট সাফল্য বলে অভিহিত করেছিল। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, "এখন সময় এসেছে আরব নেতাদের এটা চিন্তা করা যে, আমেরিকা কেন প্রতিনিয়ত তাদেরকে অপমান অপদস্থ করে এবং তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছে।"
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে নজিরবিহীন সামরিক চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল আঞ্চলিক পরাশক্তিতে পরিণত করার স্বপ্ন দেখিয়ে তেল সমৃদ্ধ আরব এ দেশটির সম্পদ লুট করা। এ ছাড়া, ফিলিস্তিন সংকটকে ভুলিয়ে দেয়া, এ অঞ্চলে ইসরাইলের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করা এবং আরব দেশগুলোকে আমেরিকার গোয়েন্দাবৃত্তি ও সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করা আমেরিকার অন্যতম উদ্দেশ্য। ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের পরাজয় এবং রিয়াদের মনোবল ভেঙে পড়ার সঙ্গেও সৌদি-মার্কিন সামরিক সহযোগিতা বিস্তারেরও সম্পর্ক রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।
আমেরিকা ও সৌদি আরব এমন সময় যৌথ সামরিক মহড়া চালাচ্ছে যখন ওয়াশিংটনের সমর্থন নিয়ে লড়াই শুরু করে সৌদি সরকার ইয়েমেন যুদ্ধের চোরাবালিতে আটকা পড়েছে। ইয়েমেনের সরকার ও জনগণের প্রবল প্রতিরোধের কারণে আমেরিকা ও সৌদি আরব এখন পর্যন্ত ওই দেশটিতে তাদের কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য ঘটনাবলীতেও আমেরিকা ও সৌদি আরব একের পর এক পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে। এমনকি সৌদি আরবের সঙ্গে হাজার হাজার কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র চুক্তি করেও মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
সৌদি আরবের উত্তরে আমেরিকার সঙ্গে যখন দেশটির সামরিক মহড়া চলছে ঠিক তখন এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। দু'দেশের মধ্যে প্রায় ১১ হাজার কোটি ডলার মূল্যের সামরিক চুক্তির পর এই সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সৌদি আরব ও আমেরিকার মধ্যে এমন সময় সামরিক সহযোগিতা বেড়েছে যখন সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য খুব শিগগিরি ওয়াশিংটন সফরে যাবেন বলে কথা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তিনি ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনে জেতার পর সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান গত বছরের মার্চে ওয়াশিংটনে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এরপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম বিদেশ সফরে রিয়াদে আসেন এবং দু'দেশের মধ্যে হাজার হাজার কোটি ডলার মূল্যের নজিরবিহীন সামরিক চুক্তি সই হয়। চুক্তি সইয়ের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অত্যন্ত অপমানজনক ভাষায় একে গুরুর দুধ দোয়ার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
দৈনিক রাই আর ইয়াওম এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে ওই চুক্তিকে আরব দেশগুলোর কাছ থেকে সুবিধা আদায়ে আমেরিকার বিরাট সাফল্য বলে অভিহিত করেছিল। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, "এখন সময় এসেছে আরব নেতাদের এটা চিন্তা করা যে, আমেরিকা কেন প্রতিনিয়ত তাদেরকে অপমান অপদস্থ করে এবং তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছে।"
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে নজিরবিহীন সামরিক চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল আঞ্চলিক পরাশক্তিতে পরিণত করার স্বপ্ন দেখিয়ে তেল সমৃদ্ধ আরব এ দেশটির সম্পদ লুট করা। এ ছাড়া, ফিলিস্তিন সংকটকে ভুলিয়ে দেয়া, এ অঞ্চলে ইসরাইলের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করা এবং আরব দেশগুলোকে আমেরিকার গোয়েন্দাবৃত্তি ও সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করা আমেরিকার অন্যতম উদ্দেশ্য। ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের পরাজয় এবং রিয়াদের মনোবল ভেঙে পড়ার সঙ্গেও সৌদি-মার্কিন সামরিক সহযোগিতা বিস্তারেরও সম্পর্ক রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।
আমেরিকা ও সৌদি আরব এমন সময় যৌথ সামরিক মহড়া চালাচ্ছে যখন ওয়াশিংটনের সমর্থন নিয়ে লড়াই শুরু করে সৌদি সরকার ইয়েমেন যুদ্ধের চোরাবালিতে আটকা পড়েছে। ইয়েমেনের সরকার ও জনগণের প্রবল প্রতিরোধের কারণে আমেরিকা ও সৌদি আরব এখন পর্যন্ত ওই দেশটিতে তাদের কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য ঘটনাবলীতেও আমেরিকা ও সৌদি আরব একের পর এক পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে। এমনকি সৌদি আরবের সঙ্গে হাজার হাজার কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র চুক্তি করেও মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
No comments