ভারতে মুসলিম ও দলিতদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে: মায়াবতী
বিএসপি প্রধান মায়াবতী |
ভারতের
উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বিএসপি প্রধান মায়াবতী বলেছেন,
‘ভারতে আরএসএসের এজেন্ডা কার্যকর করার চেষ্টা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় নরেন্দ্র
মোদি সরকারের আমলে মুসলিম, দলিত ও দরিদ্রদের ওপরে নির্যাতন হচ্ছে। মোদি
সরকারের আমলে উনা কাণ্ড এবং রোহিত ভেমুলার মতো ঘটনা ঘটেছে।’
তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) দলিত নেতা কাশিরামের জয়ন্তীতে পাঞ্জাবের চণ্ডীগড়ে এক জনসমাবেশে ভাষণ দেয়ার সময় ওই মন্তব্য করেন। 'সংবিধান বাঁচাও, সংরক্ষণ বাঁচাও' নামে ওই সমাবেশ থেকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালচনা করেন।
মায়াবতী বলেন, ‘পুঁজিবাদী দলকে ক্ষমতায় আসা রুখে দিতে হবে। (শিক্ষা ও চাকরিতে কোটা) সংরক্ষণ শেষ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। ওবিসিদের (অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি) সংরক্ষণ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। মায়াবতী বেসরকারি ক্ষেত্রে সংরক্ষণ চালুর পক্ষে সাফাই দিয়ে মোদি সরকার একে কার্যকর করছে না বলে মন্তব্য করেন।
মায়াবতী উত্তর প্রদেশে সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে সমাজবাদী পার্টিকে সমর্থন করা প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিজেপি খুব শিগগিরি লোকসভা নির্বাচন করাতে পারে। আমরা বিজেপিকে শিক্ষা দেয়ার জন্য সমাজবাদী পার্টিকে সমর্থন করেছিলাম।’
মায়াবতী কংগ্রেসের সমালোচনা করে বলেন, কংগ্রেস শাসনামলে মণ্ডল কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা হয়নি। তারা বাবাসাহেব আম্বেদকরকে ‘ভারত রত্ন’ সম্মানও দেয়নি। দীর্ঘকাল বাদে ভি পি সিং সরকার তাকে ‘ভারত রত্ন’ দিয়েছিল। মণ্ডল কমিশনের সুপারিশ কার্যকর না করা এবং আম্বেদকরকে ‘ভারত রত্ন’ সম্মানে ভূষিত না করার জন্য কংগ্রেসকে তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে বলেও মায়াবতী মন্তব্য করেন।
দলিত-মুসলিম নির্যাতন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ‘সাম্য শান্তি ও সম্প্রীতি মঞ্চ’-এর সভাপতি ও দলিত আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস আজ রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের কতগুলো পরিসংখ্যান বেরিয়েছে। প্রত্যেকটিতে দেখা যাচ্ছে সমস্ত বিজেপিশাসিত রাজ্যে দলিতদের ওপরে আক্রমণ বেড়েছে। খুন, হত্যা, অবিচার এসব বেড়েছে। বিজেপি যেসব রাজ্যে ক্ষমতায় আছে সেব জায়গায় সাম্প্রদায়িক বিশেষ করে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা অনেক বেড়েছে। ছোটোখাটো, বড় সব ধরণের দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। গোরক্ষার নামে যে হত্যা তাও আমরা দেখেছি। ফলে বিজেপি যেখানে যেখানে ক্ষমতায় সেসব জায়গায় দলিত ও মুসলিমদের ওপরে আক্রমণ তীব্রতর হয়েছে।’
আরএসএস একইরকমভাবে দলিত ও মুসলিম বিদ্বেষী হওয়ায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হবে বলেও সুকৃতি রঞ্জন বাবু মন্তব্য করেন।
তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) দলিত নেতা কাশিরামের জয়ন্তীতে পাঞ্জাবের চণ্ডীগড়ে এক জনসমাবেশে ভাষণ দেয়ার সময় ওই মন্তব্য করেন। 'সংবিধান বাঁচাও, সংরক্ষণ বাঁচাও' নামে ওই সমাবেশ থেকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালচনা করেন।
মায়াবতী বলেন, ‘পুঁজিবাদী দলকে ক্ষমতায় আসা রুখে দিতে হবে। (শিক্ষা ও চাকরিতে কোটা) সংরক্ষণ শেষ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। ওবিসিদের (অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি) সংরক্ষণ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। মায়াবতী বেসরকারি ক্ষেত্রে সংরক্ষণ চালুর পক্ষে সাফাই দিয়ে মোদি সরকার একে কার্যকর করছে না বলে মন্তব্য করেন।
মায়াবতী উত্তর প্রদেশে সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে সমাজবাদী পার্টিকে সমর্থন করা প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিজেপি খুব শিগগিরি লোকসভা নির্বাচন করাতে পারে। আমরা বিজেপিকে শিক্ষা দেয়ার জন্য সমাজবাদী পার্টিকে সমর্থন করেছিলাম।’
মায়াবতী কংগ্রেসের সমালোচনা করে বলেন, কংগ্রেস শাসনামলে মণ্ডল কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা হয়নি। তারা বাবাসাহেব আম্বেদকরকে ‘ভারত রত্ন’ সম্মানও দেয়নি। দীর্ঘকাল বাদে ভি পি সিং সরকার তাকে ‘ভারত রত্ন’ দিয়েছিল। মণ্ডল কমিশনের সুপারিশ কার্যকর না করা এবং আম্বেদকরকে ‘ভারত রত্ন’ সম্মানে ভূষিত না করার জন্য কংগ্রেসকে তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে বলেও মায়াবতী মন্তব্য করেন।
দলিত-মুসলিম নির্যাতন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ‘সাম্য শান্তি ও সম্প্রীতি মঞ্চ’-এর সভাপতি ও দলিত আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস আজ রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের কতগুলো পরিসংখ্যান বেরিয়েছে। প্রত্যেকটিতে দেখা যাচ্ছে সমস্ত বিজেপিশাসিত রাজ্যে দলিতদের ওপরে আক্রমণ বেড়েছে। খুন, হত্যা, অবিচার এসব বেড়েছে। বিজেপি যেসব রাজ্যে ক্ষমতায় আছে সেব জায়গায় সাম্প্রদায়িক বিশেষ করে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা অনেক বেড়েছে। ছোটোখাটো, বড় সব ধরণের দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। গোরক্ষার নামে যে হত্যা তাও আমরা দেখেছি। ফলে বিজেপি যেখানে যেখানে ক্ষমতায় সেসব জায়গায় দলিত ও মুসলিমদের ওপরে আক্রমণ তীব্রতর হয়েছে।’
আরএসএস একইরকমভাবে দলিত ও মুসলিম বিদ্বেষী হওয়ায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হবে বলেও সুকৃতি রঞ্জন বাবু মন্তব্য করেন।
No comments