'মোদি সরকার মুসলিমদের কর্মসংস্থান ও শিক্ষার ওপর জোর দিচ্ছে'
ভারতের
কেন্দ্রীয় নরেন্দ্র মোদি সরকার মুসলিমদের কর্মসংস্থান, ক্ষমতায়ন ও শিক্ষার
ওপর জোর দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী ও
বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নাকভি।
তিনি আজ (শনিবার) বেসরকারি এক হিন্দি টিভি চ্যানেলে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে ওই মন্তব্য করেন। মুখতার আব্বাস নাখভি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বিজেপি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচারের পরিবেশ ছিল। আমাদের উন্নয়নের খসড়া ভোটের জন্য নয়। আমরা উন্নয়ন ও শিক্ষার ক্ষেত্রে কারো সঙ্গে বৈষম্য করিনি। কোনও ‘তোষণ’ ছাড়াই আমরা ক্ষমতায়ণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
নাখভি বলেন, ‘যখন মোদি সরকার ক্ষমতায় এসেছিল তখন সরকারি চাকরিতে ৪.৫ শতাংশ মুসলিম প্রতিনিধিত্ব ছিল। আমরা গত দু’বছর ধরে বিনাব্যয়ে কোচিং শুরু করেছি যার ফলে ১২৬ জনের বেশি শিক্ষার্থী ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে যারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছিল।’
তিনি বলেন, ‘মুসলিম নারীদের অবশ্যই নির্বাচনে টিকিট পাওয়া উচিত। আমরা এ জন্য খুশি যে আজ থেকে প্রায় ২০/২৫ বছর আগে বিজেপি’র ব্যাপারে মুসলিমরা ভাবতেন তারা বিজেপিকে ভোট দেবেন না। কিন্তু এখন সেই ধারণা পাল্টে গেছে। এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন চিন্তা ভাবনা করার পর মেরিটের ভিত্তিতে ভোট দেন।’
এর আগে একই টিভি চ্যানেলে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে মজলিশ ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি বলেন, ‘দেশে কেবল হিন্দু ভোটব্যাংক আছে, মুসলিম ভোটব্যাংক নেই। ধর্ম ও সম্প্রদায়ের নামে নির্বাচন হচ্ছে। রাজনীতিতে সব সম্প্রদায়ের প্রতি নজর দেয়া উচিত। কিন্তু কংগ্রেস ও বিজেপি মুসলিমদের সমর্থন করেনি।’
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি মুসলিমদের (শিক্ষা ও চাকরিতে কোটা) সংরক্ষণ দেয়ার পক্ষে সাফাই দিয়ে বলেন, দেশে দলিতদের উপরে এখনো অত্যাচার হচ্ছে। একইভাবে মুসলিমদের উপরেও অত্যাচার হচ্ছে। সেজন্য মুসলিমদেরও সংরক্ষণ সুবিধা পাওয়া উচিত।
ওই আলোচনা সভায় বিজেপি’র সিনিয়র নেতা সুব্রমনিয়াম স্বামী বলেন, মুসলিমদের সংরক্ষণ নয় বরং ইতিবাচক উৎসাহের প্রয়োজন। তার দাবি মুসলিমরা ৮ শ’ বছর ধরে দেশে রাজত্ব করেছে সেজন্য এ ধরণের সম্প্রদায়কে সংরক্ষণ দেয়া উচিত নয়।
কিন্তু আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ‘সংবিধানে এর ব্যবস্থাপনা আছে সেজন্য ওই অধিকারকে আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে আদায় করবো।’
এদিকে, মুসলিমদের কর্মসংস্থান, ক্ষমতায়ন ইত্যাদি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাখভি যে দাবি করেছেন তাকে খারিজ করে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের ‘উদার আকাশ’ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ।
ফারুক আহমেদ আজ (শনিবার) রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর মুসলিমদের কর্মসংস্থানে জোরালো আঘাত দেয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে তিনি বলেন, উত্তর প্রদেশে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে গরু কেনাবেচা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চামড়া শিল্পে আঘাত এসেছে ও গোশত বিক্রির সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘বিগত লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে কম মুসলিম প্রতিনিধি নির্বাচিত হতে পেরেছেন। গুজরাট, উত্তর প্রদেশসহবিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি মুসলিমদের প্রার্থী না করে বঞ্চিত করেছে। সুতরাং মুখতার আব্বাস নাকভির মুসলিম উন্নয়নের দাবি ঠিক নয়।’
তিনি আজ (শনিবার) বেসরকারি এক হিন্দি টিভি চ্যানেলে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে ওই মন্তব্য করেন। মুখতার আব্বাস নাখভি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বিজেপি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচারের পরিবেশ ছিল। আমাদের উন্নয়নের খসড়া ভোটের জন্য নয়। আমরা উন্নয়ন ও শিক্ষার ক্ষেত্রে কারো সঙ্গে বৈষম্য করিনি। কোনও ‘তোষণ’ ছাড়াই আমরা ক্ষমতায়ণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
নাখভি বলেন, ‘যখন মোদি সরকার ক্ষমতায় এসেছিল তখন সরকারি চাকরিতে ৪.৫ শতাংশ মুসলিম প্রতিনিধিত্ব ছিল। আমরা গত দু’বছর ধরে বিনাব্যয়ে কোচিং শুরু করেছি যার ফলে ১২৬ জনের বেশি শিক্ষার্থী ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে যারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছিল।’
তিনি বলেন, ‘মুসলিম নারীদের অবশ্যই নির্বাচনে টিকিট পাওয়া উচিত। আমরা এ জন্য খুশি যে আজ থেকে প্রায় ২০/২৫ বছর আগে বিজেপি’র ব্যাপারে মুসলিমরা ভাবতেন তারা বিজেপিকে ভোট দেবেন না। কিন্তু এখন সেই ধারণা পাল্টে গেছে। এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন চিন্তা ভাবনা করার পর মেরিটের ভিত্তিতে ভোট দেন।’
এর আগে একই টিভি চ্যানেলে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে মজলিশ ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি বলেন, ‘দেশে কেবল হিন্দু ভোটব্যাংক আছে, মুসলিম ভোটব্যাংক নেই। ধর্ম ও সম্প্রদায়ের নামে নির্বাচন হচ্ছে। রাজনীতিতে সব সম্প্রদায়ের প্রতি নজর দেয়া উচিত। কিন্তু কংগ্রেস ও বিজেপি মুসলিমদের সমর্থন করেনি।’
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি মুসলিমদের (শিক্ষা ও চাকরিতে কোটা) সংরক্ষণ দেয়ার পক্ষে সাফাই দিয়ে বলেন, দেশে দলিতদের উপরে এখনো অত্যাচার হচ্ছে। একইভাবে মুসলিমদের উপরেও অত্যাচার হচ্ছে। সেজন্য মুসলিমদেরও সংরক্ষণ সুবিধা পাওয়া উচিত।
ওই আলোচনা সভায় বিজেপি’র সিনিয়র নেতা সুব্রমনিয়াম স্বামী বলেন, মুসলিমদের সংরক্ষণ নয় বরং ইতিবাচক উৎসাহের প্রয়োজন। তার দাবি মুসলিমরা ৮ শ’ বছর ধরে দেশে রাজত্ব করেছে সেজন্য এ ধরণের সম্প্রদায়কে সংরক্ষণ দেয়া উচিত নয়।
কিন্তু আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ‘সংবিধানে এর ব্যবস্থাপনা আছে সেজন্য ওই অধিকারকে আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে আদায় করবো।’
এদিকে, মুসলিমদের কর্মসংস্থান, ক্ষমতায়ন ইত্যাদি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাখভি যে দাবি করেছেন তাকে খারিজ করে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের ‘উদার আকাশ’ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ।
ফারুক আহমেদ আজ (শনিবার) রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর মুসলিমদের কর্মসংস্থানে জোরালো আঘাত দেয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে তিনি বলেন, উত্তর প্রদেশে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে গরু কেনাবেচা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চামড়া শিল্পে আঘাত এসেছে ও গোশত বিক্রির সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘বিগত লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে কম মুসলিম প্রতিনিধি নির্বাচিত হতে পেরেছেন। গুজরাট, উত্তর প্রদেশসহবিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি মুসলিমদের প্রার্থী না করে বঞ্চিত করেছে। সুতরাং মুখতার আব্বাস নাকভির মুসলিম উন্নয়নের দাবি ঠিক নয়।’
No comments