যে কারণে ইরানের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে শত্রুরা: সর্বোচ্চ নেতার বক্তব্য
ইরানের
সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি বলেছেন, ইসলামি বিপ্লবের দীর্ঘ
মেয়াদি লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং বিশ্বব্যাপী এর প্রভাবের বিষয়টি আঁচ করতে পেরেই
শত্রুরা আমাদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।
তিনি বিশেষজ্ঞ পরিষদের প্রধান ও সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেছেন। শত্রুদের সর্বাত্মক আগ্রাসন মোকাবেলায় নিরাপত্তা, আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে কঠিন সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, খোদাভীতি, ঐক্য, সামাজিক ন্যায়বিচার, অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ, বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রভৃতি গুণাবলী ইসলামি শাসন ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য ও আদর্শ এবং এ কারণে শত্রুরা একের পর এক ইরানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও শত্রুতায় লিপ্ত। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, সত্য ও মিথ্যার দ্বন্দ্ব অনিবার্য। আর এ ক্ষেত্রে মিথ্যার ওপর সত্যের বিজয়ের বিষয়ে আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হবেই।
প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের দুই মেরুকেন্দ্রীক বিশ্বব্যবস্থার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব বিজয় লাভ করে। 'না প্রাচ্য না পাশ্চাত্য' এই শ্লোগানের ওপর ভিত্তি করে ইরানে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামি শাসন ব্যবস্থা। মজলুম ও নির্যাতিত মানুষের প্রতি সমর্থন এবং জুলুমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ইরানের অবস্থানকে বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। ইসলামি বিপ্লবের শুরু থেকেই মজলুম ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইরানের অব্যাহত সমর্থন এ ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। সৎ মনোভাব, দূরদৃষ্টি এবং শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারণে ইরানের ইসলামি বিপ্লব শত্রুদের সব রকম আগ্রাসন মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে এবং বিজয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে।
ইরানে ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের শুরু থেকেই দেশটি আমেরিকার টার্গেটে পরিণত হয়। তারা ইরানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, "ইরানি জনগণের খোদাভীতি ও দৃঢ় ঈমানের কারণে তারা আমেরিকা ও দখলদার ইসরাইলের আর্থ-রাজনৈতিক, সামরিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন মোকাবেলায় আজো টিকে আছে।" বিপ্লবের পরপরই ইরাকের চাপিয়ে দেয়া আট বছরের পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধ এবং ইরাক ও সিরিয়ায় উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ইরানের জনগণের ঈমান, আন্তরিকতা ও দৃঢ়তার প্রমাণ পাওয়া যায়। সত্যপন্থীদের বিজয়ের বিষয়ে আল্লাহ যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এসব যুদ্ধে তা প্রমাণিত হয়েছে এবং বাতিলের ওপর হকের বিজয় হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের গ্রহণযোগ্যতা ও প্রভাব বাড়তে থাকায় শত্রুরা আরো বেশি হতাশ হয়ে পড়েছে এবং আট বছরের প্রতিরক্ষা যুদ্ধের পর তারা এ অঞ্চলে ইরানকে মোকাবেলায় ভিন্ন কৌশল বেঁছে নিয়েছে। আর তা হচ্ছে আমেরিকা ও ইসরাইল সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে ইরানসহ এ অঞ্চলের সব প্রতিরোধকামী শক্তিগুলোকে দুর্বল করার চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু ইরানের শক্ত অবস্থানের কারণে সন্ত্রাসী ও তাদের সমর্থকরা কোনো লক্ষ্যই অর্জন করতে পারেনি। এ থেকে বোঝা যায় ইরানের বর্তমান প্রজন্মের মানুষও ইসলামি বিপ্লবের আদর্শ রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তিনি বিশেষজ্ঞ পরিষদের প্রধান ও সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেছেন। শত্রুদের সর্বাত্মক আগ্রাসন মোকাবেলায় নিরাপত্তা, আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে কঠিন সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, খোদাভীতি, ঐক্য, সামাজিক ন্যায়বিচার, অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ, বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রভৃতি গুণাবলী ইসলামি শাসন ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য ও আদর্শ এবং এ কারণে শত্রুরা একের পর এক ইরানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও শত্রুতায় লিপ্ত। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, সত্য ও মিথ্যার দ্বন্দ্ব অনিবার্য। আর এ ক্ষেত্রে মিথ্যার ওপর সত্যের বিজয়ের বিষয়ে আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হবেই।
প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের দুই মেরুকেন্দ্রীক বিশ্বব্যবস্থার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব বিজয় লাভ করে। 'না প্রাচ্য না পাশ্চাত্য' এই শ্লোগানের ওপর ভিত্তি করে ইরানে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামি শাসন ব্যবস্থা। মজলুম ও নির্যাতিত মানুষের প্রতি সমর্থন এবং জুলুমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ইরানের অবস্থানকে বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। ইসলামি বিপ্লবের শুরু থেকেই মজলুম ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইরানের অব্যাহত সমর্থন এ ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। সৎ মনোভাব, দূরদৃষ্টি এবং শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারণে ইরানের ইসলামি বিপ্লব শত্রুদের সব রকম আগ্রাসন মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে এবং বিজয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে।
ইরানে ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের শুরু থেকেই দেশটি আমেরিকার টার্গেটে পরিণত হয়। তারা ইরানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, "ইরানি জনগণের খোদাভীতি ও দৃঢ় ঈমানের কারণে তারা আমেরিকা ও দখলদার ইসরাইলের আর্থ-রাজনৈতিক, সামরিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন মোকাবেলায় আজো টিকে আছে।" বিপ্লবের পরপরই ইরাকের চাপিয়ে দেয়া আট বছরের পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধ এবং ইরাক ও সিরিয়ায় উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ইরানের জনগণের ঈমান, আন্তরিকতা ও দৃঢ়তার প্রমাণ পাওয়া যায়। সত্যপন্থীদের বিজয়ের বিষয়ে আল্লাহ যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এসব যুদ্ধে তা প্রমাণিত হয়েছে এবং বাতিলের ওপর হকের বিজয় হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের গ্রহণযোগ্যতা ও প্রভাব বাড়তে থাকায় শত্রুরা আরো বেশি হতাশ হয়ে পড়েছে এবং আট বছরের প্রতিরক্ষা যুদ্ধের পর তারা এ অঞ্চলে ইরানকে মোকাবেলায় ভিন্ন কৌশল বেঁছে নিয়েছে। আর তা হচ্ছে আমেরিকা ও ইসরাইল সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে ইরানসহ এ অঞ্চলের সব প্রতিরোধকামী শক্তিগুলোকে দুর্বল করার চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু ইরানের শক্ত অবস্থানের কারণে সন্ত্রাসী ও তাদের সমর্থকরা কোনো লক্ষ্যই অর্জন করতে পারেনি। এ থেকে বোঝা যায় ইরানের বর্তমান প্রজন্মের মানুষও ইসলামি বিপ্লবের আদর্শ রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
No comments