রাজনীতির অনুশীলনে পুলিশের অনুমতি by তৈমূর আলম খন্দকার
যেকোনো
বিবেচনায় বিএনপি একটি সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে। সন্দেহ নেই যে বিএনপির জন্ম
ক্ষমতাসীন সরকারের সময়ে। কিন্তু দীর্ঘ অতিক্রান্ত সময়ের মধ্য দিয়ে বিএনপি
নিপীড়ন-নির্যাতনের এসিড টেস্টে উত্তীর্ণ হয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রওনক জাহান
উল্লেখ করেছেন যে, ‘She (Khaleda Zia) succeeded in transforming the BNP
from a state-sponsored sarkary party to an opposition party...Õ (Rounaq
Jahan : 2015:31) প্রথমবারের মতো দলটি এরশাদ স্বৈরাচারের দমনপীড়ন আমলেরও
এবং ভাঙনের মুখোমুখি হয়েছিল। দ্বিতীয়বার তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের
নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তৃতীয়ত এখন অন্য নামের বাকশাল কর্তৃক
হত্যা, হামলা এবং মামলার মোকাবেলা করছে। বিএনপির এই সঙ্কট বাংলাদেশ জাতি
রাষ্ট্রের সাথে একাকার হয়ে গেছে। রাষ্ট্র কোনো নৈর্ব্যক্তিক সত্তা নয়।
সরকার, সংসদ, রাজনৈতিক দল এবং গণতন্ত্রÑ সব মিলিয়ে যদি রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য
নির্ণয় করা হয়, তাহলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিও সঙ্কট থেকে সঙ্কটে অবতীর্ণ
এবং উত্তীর্ণ হচ্ছে। বাংলাদেশের এই সঙ্কটকে জিল্লুর আর খান ‘নেতৃত্বের
সঙ্কট’ বলে চিহ্নিত করেছেন (Zillur R. Khan:1984:187)। বাংলাদেশের বিগত
প্রায় ৫০ বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এ বক্তব্যের সত্যতা মিলবে। দেশের
রাজনৈতিক নেতৃত্ব সম্পর্কে ব্যাকরণিক কথাবার্তা যাই হোক না কেন, সম্মোহনী
নেতৃত্ব Charismatic Leadership) -কে চ্যালেঞ্জ করা একটি বাস্তবতা বর্জিত
ধারণা। ১/১১ এর পরে দেশের একজন শীর্ষ সম্মানীয় ব্যক্তিকে দিয়েও সামরিক
নেতৃত্বের এক্সপেরিমেন্ট সফল হয়নি। তখন মাইনাস টু ফর্মুলা কার্যকর করা
যায়নি। বরং ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের ক্ষমতাহীন সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব বা
উত্তরাধিকারের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে। প্রধান দুটো দল-আওয়ামী লীগ এবং
বিএনপির নেতৃত্বের ইতিহাস উত্তরাধিকারীর সাক্ষ্য বহন করে। নামগুলো না এনে
এক কথায় বলা যায়, এই দুটো দলের উত্তরাধিকারের বাইরে গিয়ে যে বা যারা ‘হিরো’
হতে চেয়েছেন, তারাই ‘জিরো’ হয়ে গেছেন। উভয় দলে প্রবীণ প্রাজ্ঞজনদের
উপস্থিতি ব্যাপক। মূলত এদের অবস্থানের মাধ্যমে যে সম্মিলিত নেতৃত্ব
(Collective leadership) সৃষ্টি হয়, তাই দলকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়।
কিন্তু উত্তরাধিকারের নেতৃত্বেই সে অর্জন প্রতিষ্ঠিত হয়। আজ বিএনপি যে
সঙ্কট সময় অতিক্রম করছে, সে ক্ষেত্রেও উপর্যুক্ত তত্ত্ব কথা প্রাসঙ্গিক
বলেই বিবেচিত। চার দিকে যখন ঘনঘোর অন্ধকার, রাজনৈতিক নিপীড়ন এবং বিচারের
নামে যখন অবিচার গ্রাস করছে সমগ্র সংগঠনকে, তখন এর নেতৃত্ব যে সুচিন্তিত,
দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবেন- সেটাই বাস্তবসম্মত।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে এই প্রশ্নটি
চার দিকে ঘুরপাক খাচ্ছে, কে হবেন পরবর্তী নেতা? এ বিষয়ে তিনটি বিষয়
বিবেচনায় এসেছে। প্রথমত, সাংগঠনিক কাঠামো। দ্বিতীয়ত, বিরাজমান পরিস্থিতি।
তৃতীয়ত, দ্বিধাহীন গ্রহণযোগ্যতা। এই তিনটি বিবেচনা যদি মাথায় থাকে তাহলে যে
যৌক্তিক সিদ্ধান্তটি আসে সেটাই বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এবং সম্মিলিত
নেতৃত্ব গ্রহণ করেছেন। কাঠামোগতভাবে তারেক রহমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান
হিসেবে প্রতিষ্ঠিত আছেন। নেতৃত্ব অর্পণকে নিয়মতান্ত্রিক করার জন্য
প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে হয়েছে। কিন্তু মূল কাঠামোগত স্পিরিট যথার্থ রয়েছে।
দ্বিতীয়ত, কাঠামোগত স্পিরিটের বাইরে গিয়ে যদি অন্য কাউকে দায়িত্ব দেয়া হতো,
তাহলে সরকারের একই রকম নিপীড়ন তার ওপর নেমে আসত। আমরা জানি লোভ-লালসা,
ভয়-ভীতি অগ্রাহ্য করে নেতৃত্বকে এগিয়ে নেয়ার মতো বিশ্বস্ত, প্রবীণ ও অভিজ্ঞ
নেতা বিএনপিতে আছেন। তার পরও কে এম ওবায়দুর রহমানের অভিজ্ঞতাকে সতর্কতা
হিসেবেই গ্রহণ করতে হয়। তারেক রহমান দেশের বাইরে আছেন বলে অসংখ্য তীর তাকে
বিদ্ধ করছে না। সে কৌশলগত বিবেচনা বোধহয়, বিএনপি নেতৃত্ব করেছেন। তৃতীয়ত যে
বিষয়টি সবচেয়ে স্পর্শকাতর তা হলো, সবার কাছে প্রশ্নহীনভাবে আনুগত্য লাভ
করা। কোনো মানুষই মানবিক দুর্বলতা থেকে ঊর্ধ্বে নয়। আর বাংলাদেশের
রাজনীতিতে হিংসাবিদ্বেষ, দ¦ন্দ্ব-কলহ-কোন্দল নয় অস্বাভাবিক বিষয়।
সর্বোপরি, যে সম্মোহনী সূর্য থেকে আলো নিচ্ছে সবাই-সেই শহীদ জিয়াউর
রহমানের প্রতি সবারই সতত আনুগত্য রয়েছে। এখানে একটি কথা উল্লেখ করা
প্রয়োজন, তারেক রহমান শুধু পিতার উত্তরাধিকারকে ধারণ করেন না; তিনি তার
স্বকীয় মেধা-মনন ও রাজনৈতিক কুশলতা দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মৌলিক অবদান
রাখছেন। সুতরাং ‘উত্তরাধিকার এবং স্বকীয়তার রাজনীতি ‘যেথা হলো লীন’, তিনিই
তো অপরিহার্যভাবে দলের নেতৃত্বে বরিত হবেন- এটাই স্বাভাবিক। এই স্বাভাবিক
বিষয়টি নিয়ে যারা অস্বাভাবিক ভাবনা চিন্তায় নিমগ্ন, তারা বিএনপির কেউ নন।
এমনকি এই সংগঠনের প্রতি শুভেচ্ছা, সহানুভূতি পোষণ করেন-এমন কেউ তারা নন।
তারা সেই ব্যক্তি ও শক্তি যারা বিএনপিকে নির্মূল করার জন্য বিগত এক যুগ ধরে
অহরহ ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। তারা আজ নাকি বিএনপির শুভার্থী। শীর্ষ
ব্যক্তিত্ব উপদেশ বর্ষণ করছেন, বিস্ময় প্রকাশ করেছেন- কী করে ভাগ তার ওপর
বর্তায়! আসল কথা, অন্যরকম হলে তাকে বাগে আনতে, লোভ দেখাতে, এমনকি ভীতির
মাধ্যমে অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতেন।২০১৪ সালের বোগাস নির্বাচনের তিনি
এরশাদের সাথে কী কী করা হয়েছে তা পাঠক সাধারণ নিশ্চয় ভুলে যাননি। তারা আরো
প্রশ্ন তুলেছেন তারেক রহমানের সাজাপ্রাপ্তির বিষয়ে। এই সাজাটি কখন কারা
দিয়েছিলেন, সেটি প্রশ্ন করার বিষয়। তারেক রহমান বিচারে ‘বেকসুর খালাস’
পেয়েছিলেন। অথচ সেটি উদাহরণ নয়। উদাহরণ হচ্ছে সাজা পাওয়া। ১/১১ পর থেকে
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে এবং অনেক মামলা
দেয়া হয়েছে। কিন্তু ওই সময়ের দায়ের করা কোনো মামলায় তাকে নিশ্চিতভাবে কি
দোষী করা গেছে? মামলার সর্বশেষ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে
চূড়ান্তভাবে দোষী করা যায় না। তারেককে কেন্দ্র করে যে বদনাম ও বিশেষণ আরোপ
করা হয়, তা তার প্রাপ্য নয়। মানুষ হিসেবে তিনি নিশ্চয় ভুল-ত্রুটির ঊর্ধ্বে
নন। তাই তাকে নিচু মানুষ অথবা অতিমানুষ কোনোটাই ভাবার অবকাশ নেই।
প্রতিপক্ষের উচ্চারণ এবং আস্ফালনের যথার্থতা আছে। বাংলাদেশের বর্তমান ও
ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে তারেক রহমান যে একমাত্র চ্যালেঞ্জ- এটা বুঝবার জন্য
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হওয়ার দরকার নেই। একজন সাধারণ মানুষও সে বাস্তবতা বোঝে।
সুতরাং তুণের সব তীরই যে তার প্রতি নিক্ষিপ্ত হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তাকে
ছোট করার, হেয় প্রতিপন্ন করার লোকের অভাব নেই। নবিস নেতা থেকে প্রবীণ নেতা
সবাই কলকণ্ঠে তাকে নিয়ে বিষোদগার করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে একজন প্রবীণ
সাংবাদিক যিনি সম্ভবত তার পিতার চেয়েও বয়সে বড়, তিনি অনেক কথা লিখছেন।
তারাই আবার রাজনীতিতে সভ্যতা-ভব্যতা, সৌজন্য-সংস্কৃতি এবং সম্মান সমীহ করার
কথা বলছেন। বাংলাদেশের যেকোনো সচেতন মানুষ একমত যে, ওটি তাকে মানায় না।
উনারা কথায় কথায় গণতন্ত্রের ছবক দেন; গণতন্ত্রের জন্য প্রাণপাত করেন। অথচ
তারাই এ দেশে গণতন্ত্রের সর্বনাশ করেছিলেন। সঙ্গতভাবেই প্রশ্ন উত্থাপন করা
যায়, এ দেশে কারা বাকশাল কায়েম করেছিলেন? কারা স্বৈরাচারী এরশাদকে স্বাগত
জানিয়েছিলেন? কারা ১৯৮৬ সালে পাতানো সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন?
কারা অচ্ছুৎ দলকে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কায়েমের আন্দোলন করেছিলেন?
অবশেষে কারা কী কারণে সে ব্যবস্থা সংবিধান থেকে মুছে নিলেন? কারা ২০১৪ সালে
১৫৩ জনকে ভোট ছাড়াই ‘জিতিয়ে’ এনেছিলেন? কারা নির্বাচন ব্যবস্থার সমূলে
বিনাশ সাধন করেছেন? কারা মানুষের মৌলিক অধিকার, সভা-সমিতির অধিকারকে
অস্বীকার করছেন? কারা সর্বোচ্চ আদালতকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন? গবেষণায়
এরকম অনেক প্রশ্ন তুলে সত্যতা যাচাই বাছাই করা হয়। এটা কি সত্য নয় যে,
বাকশাল কর্তৃক গণতন্ত্রের নির্বাসনের পর ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান পুনরায়
বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন। এটা কি সত্য নয় যে, আওয়ামী লীগ ১৯৭৭
সালের ‘রাজনৈতিক দলবিধি’র আওতায় নিবন্ধিত। এটা কি সত্য নয় যে, জিয়াউর
রহমানের শাসনামলে তার সিদ্ধান্তে নির্বাসন থেকে সে দলের নেত্রী ফিরে
এসেছিলেন? সেদিন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের কোন্দলে যখন জর্জরিত, শীর্ষ
নেতৃত্বের কোন্দলে যখন প্রবীণ নেতারা ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত, তখন শেখ হাসিনা
বয়সে অনেক কম হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দ্বিধাহীনভাবে
গ্রহণযোগ্য হয়েছিলেন। শোনা যায় ড. কামাল হোসেন ‘সব সমস্যার সমাধান’ হিসেবে
নেত্রীর নাম প্রস্তাব করেছিলেন। তখন সবকিছুর ঊর্ধ্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের উত্তরাধিকারের প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল। তখন যদি এটি সিদ্ধ
হয়ে থাকে, তাহলে এখন সেই একই নীতি ও বিশ্বাসে তারেক রহমানের গ্রহণযোগ্যতা
প্রশ্নহীন হবে না। ভক্তেরা তুলনামূলক আলোচনা করে অনেক ফারাক বের করতে
চেষ্টা করবেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে ভক্তের কাছে ভক্তিই বড় কথা; তা যেকোনো
মানদণ্ডেই বিচার করা হোক। নিরাসক্ত রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে যদি বিচার করা
যায় তাহলে আমরা দেখব- ঘটনার স্থান-কাল যাই হোক, (ক) ১৯৭৫ সালে একটি পরিবার
গণতন্ত্র হত্যা করেছিল। ১৯৭৭ সালে আরেকটি পরিবার সেই গণতন্ত্র
পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছিল। (খ) ১৯৮২ সালে স্বৈরাচার গণতন্ত্রকে নির্বাসন
দিয়েছিল সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আরেকটি পরিবারের পক্ষ থেকে আপসহীন
নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। (গ) ১৯৯১ সালে জাতীয় ঐকমত্যের
ভিত্তিতে বিএনপি রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি বাতিল করে সংসদীয় গণতন্ত্রে
প্রত্যাবর্তন করেছিল। (ঘ) যখন গণতন্ত্র নির্বাসিত, নিবাচনব্যবস্থা
বিপর্যস্ত, তখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধানের জন্য নিরন্তর সংগ্রাম ও আন্দোলনের
আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে, সে কারণেই বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবরণ করতে হয়েছে। দীর্ঘ আলোচনা
পর্যালোচনায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, এ দেশে জাতীয়তাবাদী শক্তি তথা বিএনপি
গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারকারী রাজনৈতিক দল। এর নেতা-নেত্রীরা বারবার অপশক্তির
কবল থেকে গণতন্ত্রকে মুক্ত ও পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে দেশের জনগণের কাছে সমর্পণ
করেছেন। বিগত এক যুগ ধরে বাংলাদেশে হৃত গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন
চলছে, তাতে জিয়া পরিবার তথা বেগম খালেদা জিয়া নিরলসভাবে ভয়ভীতি,
জেল-জুলুমকে তুচ্ছ করে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। জিয়া পরিবারের হাতে গণতন্ত্র
আবর্তিত, বিবর্তিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ
সংগ্রাম তাই সঙ্গতভাবেই বেগম জিয়ার অনুপস্থিতিতে তার উত্তরাধিকারে ন্যস্ত
হয়েছে। সুতরাং এই সঙ্কটময় সময়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্রের সংগ্রাম
সফলতা লাভ করবে, এটাই কোটি কোটি মানুষের প্রত্যাশা। সেটাই যেন বাংলাদেশের
ভবিতব্য।
লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com
লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com
No comments