হাইতিতে অক্সফাম প্রধানের পতিতা কানেকশন, ছিলেন বাংলাদেশেও
যেকোনো
দুর্যোগ উপদ্রুত অঞ্চলের মতো হাইতিতেও ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর মানবিক সংকট
প্রকট হয়ে ওঠে। ক্ষুধা ও অভাবের তাড়নায় অনেকেই বাধ্য হন পতিতাবৃত্তিতে নাম
লেখাতে। আর দুর্যোগ উপদ্রুত মানুষকে সহায়তা করতে যেসব সংস্থা কাজ করে,
তাদেরই কর্তাব্যক্তি যখন অভাবক্লিষ্ট মেয়েদের পতিতা হিসেবে ব্যবহার করেন,
তাহলে বিষয়টি কী দাঁড়ায়? অনেকটা তেমনই হয়েছে বৃটেনের অন্যতম বৃহৎ দাতব্য
সংস্থা অক্সফামের ক্ষেত্রে। হাইতিতে সংস্থাটির খোদ কান্ট্রি ডিরেক্টরই এই
কাজ করেছিলেন। কিন্তু বিষয়টি প্রকাশের বদলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল
অক্সফাম।
রোল্যান্ড ভ্যান হাউওয়েরমেইরেন নামে ওই কর্মকর্তাকে সংস্থা থেকে বিদায় দেওয়া হলেও, ওই ব্যক্তিই পরবর্তীতে ‘অ্যাকশন অ্যাগেইন্সট হাঙ্গার’ নামে আরেকটি বৃহৎ ফরাসি দাতব্য সংস্থার বাংলাদেশ মিশন প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন।
ফরাসি দাতব্য সংস্থাটি জানিয়েছে, অক্সফামের কাছে রোল্যান্ডের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলেও, তারা তাদের সাবেক এই কর্মীর গুরুতর অসদাচরণের কথা জানায় নি। বরং, অক্সফামে কর্মরত রোল্যান্ডের সাবেক সহকর্মীরা তার ব্যাপারে ইতিবাচক সুপারিশই করেছিল। ফলে হাইতিতে অত বড় কা- ঘটানোর পর, আরেকটি অসহায় গোষ্ঠীর সংস্পর্শে আসার সুযোগ পান ওই কর্মকর্তা। বৃটিশ পত্রিকা দ্য টাইমস এ খবর দিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, রোল্যান্ড (৬৮) ২০১১ সালে হাইতিতে অক্সফামের কান্ট্রি ডিরেক্টর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তার আগে তিনি স্বীকার করেন যে, নিজের বাসায় তিনি পতিতাদের নিয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অ্যাকশন অ্যাগেইন্সট হাঙ্গারে’র (এএএইচ) বাংলাদেশ মিশন প্রধান হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
(এএএইচ) জানিয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে রোল্যান্ডকে নিয়োগের আগে বিভিন্ন তথ্য যাচাই বাছাই করা হয়েছিল। কিন্তু তার পূর্বতন কর্মস্থল অক্সফাম রোল্যান্ডের গুরুতর নৈতিক অসদাচরণের বিষয়ে কোনো তথ্য জানায় নি। এমনকি যেই অভ্যন্তরীণ তদন্তের ফলে তার ওই কেলেঙ্কারির কথা জানা যায় ও তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়, সেই ব্যাপারেও অক্সফাম কিছু জানায় নি। এএইচ’র এক মুখপাত্র বলেন, ‘বরং, অক্সফামে রোল্যান্ডের সাবেক অনেক সহকর্মীই তার ব্যাপারে ইতিবাচক সুপারিশ করেছেন। এদের মধ্যে মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করেছেন এমন এক কর্মকর্তাও রয়েছেন।’
দ্য টাইমসের তদন্তে বের হয়ে আসে যে, অক্সফাম হাইতির ওই তদন্ত ধামাচাপা দিয়েছে। পতিতা ব্যবহার, ‘পর্নোগ্রাফিক ও অবৈধ বিষয়াদি’ ইন্টারনেট থেকে নামানো, ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ বিভিন্ন অভিযোগে অক্সফাম অভ্যন্তরীনভাবে তদন্ত করার পর, রোল্যান্ড সহ ৬ জন পুরুষ কর্মকর্তা সংস্থাটি থেকে পদত্যাগ করেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার অক্সফাম তাদের সাবেক ওই কর্মীর আচরণের নিন্দা জানিয়েছে। অক্সফাম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘২০১১ সালে হাইতিতে অক্সফামের কিছু কর্মীর যে অসদাচরণের কথা প্রকাশ পেয়েছে, তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য ও আমাদের মূল্যবোধের পরিপন্থী।’ দ্য টাইমস পত্রিকা থেকে যখন অক্সফামের কাছে তাদের সাবেক কয়েকজন কর্মীর পতিতা সংসর্গের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়, তখন সংস্থাটি জানায়, ‘যখনই আমরা তাদের ওই আচরণের কথা জানতে পারি, আমরা তৎক্ষণাৎ অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করি। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক পতিতাদেরকে ব্যবহার করার অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি।’ সংস্থাটি জানায়, চারজন কর্মীকে ওই তদন্তের পর বরখাস্ত করা হয়। তদন্ত শেষের আগেই তিনজন পদত্যাগ করেন।
অক্সফাম অবশ্য দ্য টাইমসের খবর অস্বীকার করেনি। পত্রিকাটির প্রতিবেদনে একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ডেলমাসে একটি অতিথি শালায় কিছু অল্পবয়স্ক পতিতাদেরকে সেক্স পার্টিতে আমন্ত্রণ জানায় অক্সফামের ওই কর্মীরা। কিছু পতিতা এমনকি অক্সফামের টি-শার্টও পরে ছিল তখন।
২০১০ সালের ওই ভূমিকম্পের পর হাইতিতে ২ লাখ ২০ হাজার মানুষ নিহত হন। প্রায় লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন। বৃটেনের চ্যারিটি কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, এ ধরণের ঘটনা দাতব্য ও ত্রাণ সংস্থার প্রতি মানুষের আস্থা খর্ব করার ঝুঁকি সৃষ্টি করে। আমরা আশা করবো যে, অতীতের ঘটনা থেকে দাতব্য সংস্থাগুলো শিক্ষা নিয়েছে বলে আমাদেরকে নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।
রোল্যান্ড ভ্যান হাউওয়েরমেইরেন নামে ওই কর্মকর্তাকে সংস্থা থেকে বিদায় দেওয়া হলেও, ওই ব্যক্তিই পরবর্তীতে ‘অ্যাকশন অ্যাগেইন্সট হাঙ্গার’ নামে আরেকটি বৃহৎ ফরাসি দাতব্য সংস্থার বাংলাদেশ মিশন প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন।
ফরাসি দাতব্য সংস্থাটি জানিয়েছে, অক্সফামের কাছে রোল্যান্ডের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলেও, তারা তাদের সাবেক এই কর্মীর গুরুতর অসদাচরণের কথা জানায় নি। বরং, অক্সফামে কর্মরত রোল্যান্ডের সাবেক সহকর্মীরা তার ব্যাপারে ইতিবাচক সুপারিশই করেছিল। ফলে হাইতিতে অত বড় কা- ঘটানোর পর, আরেকটি অসহায় গোষ্ঠীর সংস্পর্শে আসার সুযোগ পান ওই কর্মকর্তা। বৃটিশ পত্রিকা দ্য টাইমস এ খবর দিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, রোল্যান্ড (৬৮) ২০১১ সালে হাইতিতে অক্সফামের কান্ট্রি ডিরেক্টর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তার আগে তিনি স্বীকার করেন যে, নিজের বাসায় তিনি পতিতাদের নিয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অ্যাকশন অ্যাগেইন্সট হাঙ্গারে’র (এএএইচ) বাংলাদেশ মিশন প্রধান হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
(এএএইচ) জানিয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে রোল্যান্ডকে নিয়োগের আগে বিভিন্ন তথ্য যাচাই বাছাই করা হয়েছিল। কিন্তু তার পূর্বতন কর্মস্থল অক্সফাম রোল্যান্ডের গুরুতর নৈতিক অসদাচরণের বিষয়ে কোনো তথ্য জানায় নি। এমনকি যেই অভ্যন্তরীণ তদন্তের ফলে তার ওই কেলেঙ্কারির কথা জানা যায় ও তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়, সেই ব্যাপারেও অক্সফাম কিছু জানায় নি। এএইচ’র এক মুখপাত্র বলেন, ‘বরং, অক্সফামে রোল্যান্ডের সাবেক অনেক সহকর্মীই তার ব্যাপারে ইতিবাচক সুপারিশ করেছেন। এদের মধ্যে মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করেছেন এমন এক কর্মকর্তাও রয়েছেন।’
দ্য টাইমসের তদন্তে বের হয়ে আসে যে, অক্সফাম হাইতির ওই তদন্ত ধামাচাপা দিয়েছে। পতিতা ব্যবহার, ‘পর্নোগ্রাফিক ও অবৈধ বিষয়াদি’ ইন্টারনেট থেকে নামানো, ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ বিভিন্ন অভিযোগে অক্সফাম অভ্যন্তরীনভাবে তদন্ত করার পর, রোল্যান্ড সহ ৬ জন পুরুষ কর্মকর্তা সংস্থাটি থেকে পদত্যাগ করেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার অক্সফাম তাদের সাবেক ওই কর্মীর আচরণের নিন্দা জানিয়েছে। অক্সফাম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘২০১১ সালে হাইতিতে অক্সফামের কিছু কর্মীর যে অসদাচরণের কথা প্রকাশ পেয়েছে, তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য ও আমাদের মূল্যবোধের পরিপন্থী।’ দ্য টাইমস পত্রিকা থেকে যখন অক্সফামের কাছে তাদের সাবেক কয়েকজন কর্মীর পতিতা সংসর্গের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়, তখন সংস্থাটি জানায়, ‘যখনই আমরা তাদের ওই আচরণের কথা জানতে পারি, আমরা তৎক্ষণাৎ অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করি। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক পতিতাদেরকে ব্যবহার করার অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি।’ সংস্থাটি জানায়, চারজন কর্মীকে ওই তদন্তের পর বরখাস্ত করা হয়। তদন্ত শেষের আগেই তিনজন পদত্যাগ করেন।
অক্সফাম অবশ্য দ্য টাইমসের খবর অস্বীকার করেনি। পত্রিকাটির প্রতিবেদনে একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ডেলমাসে একটি অতিথি শালায় কিছু অল্পবয়স্ক পতিতাদেরকে সেক্স পার্টিতে আমন্ত্রণ জানায় অক্সফামের ওই কর্মীরা। কিছু পতিতা এমনকি অক্সফামের টি-শার্টও পরে ছিল তখন।
২০১০ সালের ওই ভূমিকম্পের পর হাইতিতে ২ লাখ ২০ হাজার মানুষ নিহত হন। প্রায় লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন। বৃটেনের চ্যারিটি কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, এ ধরণের ঘটনা দাতব্য ও ত্রাণ সংস্থার প্রতি মানুষের আস্থা খর্ব করার ঝুঁকি সৃষ্টি করে। আমরা আশা করবো যে, অতীতের ঘটনা থেকে দাতব্য সংস্থাগুলো শিক্ষা নিয়েছে বলে আমাদেরকে নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।
No comments