যা থাকছে আর্তনাদ বইয়ে
নির্যাতন
রোহিঙ্গাদের ব্যথিত হৃদয়ের অশ্রু নিয়ে রীনা আকতার তুলির লেখা ‘আর্তনাদ’
বইটি লোমহর্ষক অনেক ঘটনার খণ্ডচিত্র ফুটে উঠেছে। বইটিতে থাকছে রোহিঙ্গাদের
শেকড়ের পরিচয়- কীভাবে তাদের জাতিগত অধিকার হনন করা হয়েছে। চালানো হয়েছে
জুলুম-অত্যাচার; যেন পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া ভিটেমাটি থেকে তারা বিতাড়িত
হয়। বইটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্মি সেনাদের ভয়াবহ নির্যাতন,
নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আর্তনাদ, সম্ভ্রম হারানো নারীদের বিয়োগব্যথা,
বাবা-মা হারা শিশুদের ব্যথাভরা চোখ, নাফ নদীতে নৌকা ডুবে যাওয়া,
অন্তঃসত্ত্বা নারীদের কষ্ট, বিধবা নারীর আর্তনাদ, রোহিঙ্গাদের প্রতি
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভালোবাসা, মমতাময়ী মাতা শেখ হাসিনার কান্না এবং
রোহিঙ্গা শিশুদের শীতবৃষ্টির দুর্ভোগসহ বিভিন্ন বিষয়। বইটির সব লেখা
রোহিঙ্গাদের বাস্তবজীবন আর চোখে দেখা রোহিঙ্গা জীবন থেকে নেয়া। প্রতিটি
বিষয় রোহিঙ্গাদের বাস্তবজীবনের ব্যথিত হৃদয়ের অশ্রু। পৃথিবীর সবচেয়ে
নির্যাতিত সংখ্যালঘু জাতির নাম রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গারা রাষ্ট্রহীন জাতি,
যাদের কোনো ভোটের অধিকার নেই। যুগ যুগ ধরে নিজ জন্মভূমিতে বসবাস করলেও আজ
তারা উদ্বাস্তু, পথের মানুষ এবং পথই হয়েছে তাদের ঠিকানা।
শর্তবর্ষ আগে
পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া ভিটেমাটিতে কেটেছে শৈশব, যৌবন। যেখানে শেকড়ের
পরিচয়; সে দেশ তাদের নয়। নির্বিচারে চালানো হয়েছে গণহত্যা, গণধর্ষণের পর
নারীদের করা হয়েছে জবাই ও আগুনে নিক্ষেপ। মানুষরূপী হায়েনার দল মায়ের কোল
থেকে শিশুদের হেঁচকা টানে কেড়ে নিয়ে বুটের নিচে পিষে মেরেছে। শেষমেশ
শেকড়ছাড়া করতে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বসতভিটা। বর্মি সেনাদের নির্যাতন থেকে
বাঁচাতে প্রচণ্ড খরতাপ বা তুফানের মধ্যে ঠিকানার খোঁজে গন্তব্যহীন পথে
অবিরত হাঁটছে তারা। মাতৃভূমি ছেড়ে আজ তারা ভিন দেশে আশ্রয়ী। বইটি প্রকাশ
করেছে বেহুলা বাংলা প্রকাশনী। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে যারা বই কিনতে চান, তারা
নিচের উল্লিখিত নম্বরটিতে যোগাযোগ করতে পারেন। একুশে বইমেলায় বইটি পাওয়া
যাচ্ছে বেহুলা বাঙলা প্রকাশনীর ১৭৩ ও ১৭৪ নম্বর স্টলে (সোহরাওয়ার্দী
উদ্যান গেট)। এ ছাড়া বইটি সংগ্রহের জন্য ফোন করতে পারেন ০১৭২৩৭৫২৮৯৪
নম্বরে।
No comments