নামে উত্তরের ইভাঙ্কা আসলে ভাইয়ের হাতের পুতুল
ক্ষমতায়
টিকে থাকতে কিংবা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বিশেষ পারদর্শী একনায়ক কিম জং উন।
রাষ্ট্রীয় গদি ধরে রাখতে ব্যবহার করেন যে কাউকে। এমনকি খুন করতেও
বিন্দুমাত্র বাধে না তার। যেন এক নেশায় পরিণত হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার আসনের
মোহে খুন করেছেন নিজের সৎভাইকে। এখন ব্যবহার করছেন নিজের বোন কিম ইয়ো
জং’কে। নামিয়ে দিয়েছেন রাজনীতির ময়দানে। কিম ইয়ো জংকে উত্তরের ইভাঙ্কা
ট্রাম্প’ বলে সম্বোধন করেছেন সিআইএ’র সাবেক এক কোরিয়ান বিশেষজ্ঞ সুয়ে মি
টেরি। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট কিম তার বোনের সামর্থ্যকে রাজনৈতিক মঞ্চে
পুরোপরি কাজে লাগাচ্ছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মেয়েকে
নিজ উপদেষ্টা বানিয়েছেন। কার্যত তিনিই মার্কিন ফার্স্টলেডির ভুমিকা পালন
করে থাকেন। মি টরি এক্ষেত্রে ট্রাম্পকন্যা এবং কিমের বোনের মধ্যে একটা মিল
খুঁজে পেয়েছেন। কোরিয়ার একটি টেলিভিশন চ্যানেল জানায়, নিজের বোনকে ২৩তম
শীতকালিন অলম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাঠিয়েছেন কিম। অন্যদিকে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পু আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি তার মেয়ে ইভাঙ্কাকে অলিম্পিকের
বিদায়ী অনুষ্ঠানে পাঠাচ্ছেন। কিন্তু পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ানো কিম বোনকে
বিশ্ব রাজনীতিতে ছুটিয়ে লাগাম ধরে রেখেছেন নিজ হাতে। ১৯৮৭ সালে জন্মগ্রহণ
করেন কিম ইয়ো জং। ভাই কিমের চেয়ে মাত্র চার বছরের ছোট। বর্তমানে তিনি
ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা। শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ায় শুরু
হওয়া অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট
কিমের নির্দেশনায় বোন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান। বিভিন্ন ব্রিটিশ
গণম্যাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অনেক দেশের বিশেষজ্ঞরা বলেন, কিমের বোনকে
পাঠানোর পেছনে কোনো একটা বিশেষ স্বার্থ রয়েছে উত্তর কোরিয়ার।
No comments