শামসুল-মাজেদা দম্পতির জৈব সার by তোফাজেল হোসেন তপু
ভূমিহীন
বাবার সংসারে জন্ম নিয়ে শৈশব কেটেছে কোনোদিন অনাহারে কোনোদিন অর্ধাহারে।
যৌবনকাল গেছে অন্যের ক্ষেতে কামলার কাজ করে। আর বৃদ্ধ বয়সে এখন কৃষক শামছুল
ইসলাম জৈব কেঁচো কম্পোস্ট সার ও বালাইনাশক তৈরির যুদ্ধে নেমেছেন। অবদান
রাখছেন ঝিনাইদহসহ দেশের জৈব চাষাবাদে। তার সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী মাজেদা
বেগমও। তারা মনে করেন, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দিয়ে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্য
খেয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
তাছাড়া রাসায়নিক সার কৃষকদের জন্য ব্যয়বহুলও বটে। তাই এগুলো থেকে মানুষকে বাঁচাতে এ দম্পতি নিজ বাড়িতে বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করছেন জৈব সার ও বালাইনাশক। যা ইতোমধ্যে কৃষকেরা জমিতে ব্যবহার করে ভালো ফল পাচ্ছেন। কম্পোস্ট সার বিক্রি করে প্রতি মাসে তারা গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করছে। নিজেরাও সাংসারিকভাবে হয়েছেন স্বাবলম্বী। শামছুল ও মাজেদা দম্পত্তির বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বলরামপুর গ্রামে। কম্পোস্ট সারের পাশাপাশি এই দম্পত্তি উৎপাদন করছেন বিষমুক্ত সবজি ও পুদিনা পাতা।
সরেজমিনে শামছুল-মাজেদা দম্পতি গ্রাম বলরামপুর গ্রামে গেলে দেখা যায়, মাঠের মধ্যে একটা টিনের ছাউনির ঘরের নিচে সারি সারি বসানো রয়েছে প্রায় ৩ শতাধিক মাটির তৈরি চাড়ি। এগুলোতে গোবর, পচা লতাপাতায় ভরা। আর এর মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে লাল রঙের এক ধরনের কেঁচো। সেখানে কেঁচোগুলো একদিকে বংশবিস্তার করছে অন্যদিকে গোবর লতাপাতা খেয়ে মলত্যাগ করছে। কেঁচোর এ মলই শুকালে তৈরি হচ্ছে অধিক উর্বরাক্ষম কম্পোস্ট সার। অপরদিকে ঘরের এক কোণে রয়েছে মাটির তৈরি বড় বড় পাত্রে ভেজানো বিভিন্ন গাছের পাতা, বাকল, কান্ড, বীজ চূর্ণ। এখানে তৈরি করা হচ্ছে জৈব বালাইনাশক। যা কৃষকেরা তাদের ফসলি ক্ষেতে ব্যবহার করে সহজেই পোকামাকড় দমন করতে পারছেন। যে কারণে আশপাশের কৃষিনির্ভর গ্রামগুলোতে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়াও পড়েছে।
কথায় হয় শামসুল-মাজেদা দম্পতির সঙ্গে। তারা জানান, গত ২০১১ সাল থেকে তিনি এই কাজের সঙ্গে জড়িত হন। প্রথমে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের জৈব চাষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে কেঁচো কম্পোস্ট, বালাইনাশক ও জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন। এর পর নিজের বাড়িতে শুরু করেন কয়েকটি মাটির চাড়ি নিয়ে। আর এখন তাদের ৩০০ চাড়িতে কম্পোস্ট সার উৎপাদন করছেন। প্রতি ৪৫ দিনে একটি চাড়ি থেকে ১০ কেজি করে একবারে মোট ৩০০ কেজি কম্পোস্ট সার উৎপাদন হচ্ছে। এই দম্পত্তি আরো জানান, তাদের ৩০০ মাটির চাড়িতে ৫০০ গ্রাম করে কেচো আছে। সেই হিসেবে প্রায় ১৫০ কেজি কেঁচো আছে তাদের কাছে। এক কেজি কেঁচোর বাজার দর ১৫০০ টাকা। সব মিলিয়ে তাদের প্রায় আড়াই লাখ টাকার কেঁচো আছে। প্রতি কেজি সার বিক্রি করেন ১০ টাকা দরে। আর ৫০ কেজির এক বস্তা কম্পোস্ট সার বিক্রি করেন ৫০০ টাকায়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা কম্পোস্ট সার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এই ডিসেম্বর মাসেই প্রায় ১০০ বস্তা সার বিক্রি করেছেন তারা। প্রতি মাসে তাদের আয় সব খরচ বাদে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। তবে তিনি তার পাশে সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্যেক্তাকে আশা করছেন। তার উৎপাদিত কম্পোষ্ট সার তিনি প্যাকেজিং সহযোগিতা কামনা করেন।
কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারী শামছুল ইসলাম জানান, মাঠে তাদের নিজেদের এক ছটাক জমি নেই। গোয়ালে নেই গরু। তবুও আশপাশের গ্রাম থেকে গোবর কিনে তার মধ্যে কেঁচো ছেড়ে দিয়ে তৈরি করছেন কেঁচো কম্পোস্ট। অন্যদিকে নানা রকম গাছের ফল, কাণ্ড, পাতা দিয়ে বাড়িতে তৈরি করছেন জৈব বালাইনাশক। যা বিক্রি করে এখন সংসার চালাচ্ছেন। তিনি আরো জানান, নিজের জমি না থাকলেও বছর চুক্তিতে ২৫ শতাংশ জমি লিজ (বর্গা) নিয়েছেন। এর মধ্যে ১২ শতংশ জমিতে কম্পোস্ট কারখানা আর বাকি ১৩ শতাংশ জমিতে বিষমুক্ত সবজি চাষ করেন। বাণিজ্যিকভাবে তিনি প্রায় ৪ শতক জমিতে পুদিনা পাতা চাষ করছেন। এই কম্পোস্ট সার বিক্রি করে আরো ২ বিঘা জমি লিজ (বর্গা) নিয়েছেন।
কৃষাণী মাজেদা বেগম জানান, তার অভাবের সংসারে স্বামীর বয়স হয়ে যাওয়ায় এখন মাঠে তেমন একটা কাজ করতে পারেন না। ৪ বছর আগে একমাত্র ছেলে পান্নু মিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় যখন পঙ্গু প্রায়। তখন ভেবেছিলেন সংসার চালাতে নিজে কিছু একটা করবেন। কেঁচো পালন ও কেঁচো কম্পোস্ট সার ও জৈব বালাইনাশক তৈরির প্রশিক্ষণ নেন। বাড়ির কেউ রাজি না থাকায় গোপনে বাড়ির এক কোণে একটি পাত্রে কেঁচো রেখে পালন করতে থাকেন। কিছুদিন পরে কেঁচো বিক্রি করে পয়সা রোজগার শুরু হলে বাড়ির সকলেই এখন ঝুঁকে পড়েছেন কেঁচো পালন ও কেঁচো কম্পোস্ট সার তৈরিতে।
কৃষি বিশেষজ্ঞ ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম জানান, শামছুল-মাজেদা দম্পতির তৈরি কেঁচো কম্পোস্ট সার ও জৈব বালাইনাশক সম্পর্কে কৃষকদের মুখে শুনেছেন তারা ব্যবহার করে ভালো ফল পাচ্ছেন। তিনি জানান, জমিতে দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে প্রকৃতপক্ষে জমির উর্বরা ক্ষমতা কমে যায়। যে কারণে তারা অল্প রাসায়নিক সারের সঙ্গে কম্পোস্ট সার ব্যবহারের জন্য কৃষকদের বলছেন। এতে কৃষকদের ফসল উৎপাদন ব্যয় খানিকটা কমে আসছে। কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম আরো জানান, কৃষি অফিস থেকে তাকে সার্বিক পরামর্শ দিচ্ছেন। কেঁচো দিয়ে তৈরি কম্পোস্ট সার আমাদের দেশের কৃষিক্ষেত্রে বিরাট এক পরিবর্তন ঘটিয়ে দিতে পারে। কৃষি জমিতে এই কেঁচো কম্পোস্ট পর পর ৩ থেকে ৪ বছর ব্যবহার করলে আর রাসায়নিক সার ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না।
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের কৃষকেরা উচ্চ ফলনের আশায় দিনের পর দিন কৃষি জমিতে অধিকহারে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন। ফলে দিনে দিনে আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশের বিপর্যয়, মাটির স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে উর্বরতা শক্তি হারিয়ে ফেলছে। এছাড়াও অধিকহারে সেচের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে আর্সেনিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। উৎপাদিত কৃষিপণ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়ে মানুষ ক্যানসারের মতো বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আমাদের কৃষি কাজে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব বা কেঁচো কম্পোস্ট ব্যবহারে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
তাছাড়া রাসায়নিক সার কৃষকদের জন্য ব্যয়বহুলও বটে। তাই এগুলো থেকে মানুষকে বাঁচাতে এ দম্পতি নিজ বাড়িতে বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করছেন জৈব সার ও বালাইনাশক। যা ইতোমধ্যে কৃষকেরা জমিতে ব্যবহার করে ভালো ফল পাচ্ছেন। কম্পোস্ট সার বিক্রি করে প্রতি মাসে তারা গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করছে। নিজেরাও সাংসারিকভাবে হয়েছেন স্বাবলম্বী। শামছুল ও মাজেদা দম্পত্তির বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বলরামপুর গ্রামে। কম্পোস্ট সারের পাশাপাশি এই দম্পত্তি উৎপাদন করছেন বিষমুক্ত সবজি ও পুদিনা পাতা।
সরেজমিনে শামছুল-মাজেদা দম্পতি গ্রাম বলরামপুর গ্রামে গেলে দেখা যায়, মাঠের মধ্যে একটা টিনের ছাউনির ঘরের নিচে সারি সারি বসানো রয়েছে প্রায় ৩ শতাধিক মাটির তৈরি চাড়ি। এগুলোতে গোবর, পচা লতাপাতায় ভরা। আর এর মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে লাল রঙের এক ধরনের কেঁচো। সেখানে কেঁচোগুলো একদিকে বংশবিস্তার করছে অন্যদিকে গোবর লতাপাতা খেয়ে মলত্যাগ করছে। কেঁচোর এ মলই শুকালে তৈরি হচ্ছে অধিক উর্বরাক্ষম কম্পোস্ট সার। অপরদিকে ঘরের এক কোণে রয়েছে মাটির তৈরি বড় বড় পাত্রে ভেজানো বিভিন্ন গাছের পাতা, বাকল, কান্ড, বীজ চূর্ণ। এখানে তৈরি করা হচ্ছে জৈব বালাইনাশক। যা কৃষকেরা তাদের ফসলি ক্ষেতে ব্যবহার করে সহজেই পোকামাকড় দমন করতে পারছেন। যে কারণে আশপাশের কৃষিনির্ভর গ্রামগুলোতে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়াও পড়েছে।
কথায় হয় শামসুল-মাজেদা দম্পতির সঙ্গে। তারা জানান, গত ২০১১ সাল থেকে তিনি এই কাজের সঙ্গে জড়িত হন। প্রথমে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের জৈব চাষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে কেঁচো কম্পোস্ট, বালাইনাশক ও জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন। এর পর নিজের বাড়িতে শুরু করেন কয়েকটি মাটির চাড়ি নিয়ে। আর এখন তাদের ৩০০ চাড়িতে কম্পোস্ট সার উৎপাদন করছেন। প্রতি ৪৫ দিনে একটি চাড়ি থেকে ১০ কেজি করে একবারে মোট ৩০০ কেজি কম্পোস্ট সার উৎপাদন হচ্ছে। এই দম্পত্তি আরো জানান, তাদের ৩০০ মাটির চাড়িতে ৫০০ গ্রাম করে কেচো আছে। সেই হিসেবে প্রায় ১৫০ কেজি কেঁচো আছে তাদের কাছে। এক কেজি কেঁচোর বাজার দর ১৫০০ টাকা। সব মিলিয়ে তাদের প্রায় আড়াই লাখ টাকার কেঁচো আছে। প্রতি কেজি সার বিক্রি করেন ১০ টাকা দরে। আর ৫০ কেজির এক বস্তা কম্পোস্ট সার বিক্রি করেন ৫০০ টাকায়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা কম্পোস্ট সার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এই ডিসেম্বর মাসেই প্রায় ১০০ বস্তা সার বিক্রি করেছেন তারা। প্রতি মাসে তাদের আয় সব খরচ বাদে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। তবে তিনি তার পাশে সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্যেক্তাকে আশা করছেন। তার উৎপাদিত কম্পোষ্ট সার তিনি প্যাকেজিং সহযোগিতা কামনা করেন।
কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারী শামছুল ইসলাম জানান, মাঠে তাদের নিজেদের এক ছটাক জমি নেই। গোয়ালে নেই গরু। তবুও আশপাশের গ্রাম থেকে গোবর কিনে তার মধ্যে কেঁচো ছেড়ে দিয়ে তৈরি করছেন কেঁচো কম্পোস্ট। অন্যদিকে নানা রকম গাছের ফল, কাণ্ড, পাতা দিয়ে বাড়িতে তৈরি করছেন জৈব বালাইনাশক। যা বিক্রি করে এখন সংসার চালাচ্ছেন। তিনি আরো জানান, নিজের জমি না থাকলেও বছর চুক্তিতে ২৫ শতাংশ জমি লিজ (বর্গা) নিয়েছেন। এর মধ্যে ১২ শতংশ জমিতে কম্পোস্ট কারখানা আর বাকি ১৩ শতাংশ জমিতে বিষমুক্ত সবজি চাষ করেন। বাণিজ্যিকভাবে তিনি প্রায় ৪ শতক জমিতে পুদিনা পাতা চাষ করছেন। এই কম্পোস্ট সার বিক্রি করে আরো ২ বিঘা জমি লিজ (বর্গা) নিয়েছেন।
কৃষাণী মাজেদা বেগম জানান, তার অভাবের সংসারে স্বামীর বয়স হয়ে যাওয়ায় এখন মাঠে তেমন একটা কাজ করতে পারেন না। ৪ বছর আগে একমাত্র ছেলে পান্নু মিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় যখন পঙ্গু প্রায়। তখন ভেবেছিলেন সংসার চালাতে নিজে কিছু একটা করবেন। কেঁচো পালন ও কেঁচো কম্পোস্ট সার ও জৈব বালাইনাশক তৈরির প্রশিক্ষণ নেন। বাড়ির কেউ রাজি না থাকায় গোপনে বাড়ির এক কোণে একটি পাত্রে কেঁচো রেখে পালন করতে থাকেন। কিছুদিন পরে কেঁচো বিক্রি করে পয়সা রোজগার শুরু হলে বাড়ির সকলেই এখন ঝুঁকে পড়েছেন কেঁচো পালন ও কেঁচো কম্পোস্ট সার তৈরিতে।
কৃষি বিশেষজ্ঞ ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম জানান, শামছুল-মাজেদা দম্পতির তৈরি কেঁচো কম্পোস্ট সার ও জৈব বালাইনাশক সম্পর্কে কৃষকদের মুখে শুনেছেন তারা ব্যবহার করে ভালো ফল পাচ্ছেন। তিনি জানান, জমিতে দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে প্রকৃতপক্ষে জমির উর্বরা ক্ষমতা কমে যায়। যে কারণে তারা অল্প রাসায়নিক সারের সঙ্গে কম্পোস্ট সার ব্যবহারের জন্য কৃষকদের বলছেন। এতে কৃষকদের ফসল উৎপাদন ব্যয় খানিকটা কমে আসছে। কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম আরো জানান, কৃষি অফিস থেকে তাকে সার্বিক পরামর্শ দিচ্ছেন। কেঁচো দিয়ে তৈরি কম্পোস্ট সার আমাদের দেশের কৃষিক্ষেত্রে বিরাট এক পরিবর্তন ঘটিয়ে দিতে পারে। কৃষি জমিতে এই কেঁচো কম্পোস্ট পর পর ৩ থেকে ৪ বছর ব্যবহার করলে আর রাসায়নিক সার ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না।
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের কৃষকেরা উচ্চ ফলনের আশায় দিনের পর দিন কৃষি জমিতে অধিকহারে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন। ফলে দিনে দিনে আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশের বিপর্যয়, মাটির স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে উর্বরতা শক্তি হারিয়ে ফেলছে। এছাড়াও অধিকহারে সেচের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে আর্সেনিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। উৎপাদিত কৃষিপণ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়ে মানুষ ক্যানসারের মতো বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আমাদের কৃষি কাজে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব বা কেঁচো কম্পোস্ট ব্যবহারে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
No comments