ট্রাম্পকে লেখা চিঠির জবাব পেল সেই খুদে
চোখের
সামনেই স্কুল আঙিনায় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয় প্রিয় বন্ধু। বন্ধুর
মৃত্যুতে ভেঙে পড়ে এভা। এর পর বন্ধুর মৃত্যুর বর্ণনা দিয়ে শিশুটি চিঠি লেখে
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে। কিছু দিন পর ট্রাম্পও সেই চিঠির জবাব
দেন। সাউথ ক্যারোলাইনার টাউনভিল শহরের এলিমেন্টরি স্কুলে পড়ে এভা। সেদিন
স্কুলে টিফিনের সময় এভা বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে-খেলতে স্কুলের মাঠে গিয়েছিল।
হঠাৎ ১৪ বছরের এক ছেলে স্কুলে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। একটি গুলি গিয়ে
লাগে এভার শিক্ষিকার কাঁধে। আর একটি লাগে সহপাঠীর পায়ে। তৃতীয় গুলিটি
লেগেছিল এভার প্রিয় বন্ধু ছয় বছরের জেকবের। তিন দিন পর মারা যায় সে। এর পর
জেকবের কথা স্মরণ করে ট্রাম্পকে চিঠি লেখে এভা। ‘প্রিয় মিস্টার
প্রেসিডেন্ট..., আমি সবটা শুনেছি, সব কিছু দেখেছি। আমার সব চেয়ে প্রিয়
বন্ধুর গায়ে গুলি লেগেছিল। ও মারা গেছে। আমার খুব মন খারাপ। আমি ওকে খুব
ভালোবাসতাম।
বন্দুক দেখলে আমার খুব ঘেন্না হয়।’ টাউনভিলের বাসিন্দা ছোট্ট
এভার চিঠি পেয়ে জবাব দিতে ভুলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হোয়াইট হাউস থেকে
পাঠানো চিঠিতে ট্রাম্প লেখেন- ‘প্রিয় এভা, তোমার চিঠির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
তুমি খুব সাহসী। তোমার বন্ধু জেকবকে হারানোর কথা শুনে আমি ও মিসেস ট্রাম্প
খুব কষ্ট পেয়েছি।’ অভিযুক্ত বন্দুকধারী স্কুলশিক্ষার্থী জেস অসবোর্নের
বিচার চলছে। নাবালক আইনে বিচার হবে নাকি বড়দের মতো করেই বিষয়টিকে দেখা
হবে, তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তদন্তে জানা গেছে, স্কুলের বন্ধুরা জেসকে
নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করত। সেই রাগেই বাবার বন্দুক নিয়ে স্কুলে গিয়ে হামলা
করেছিল সে। এভার জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেও বন্দুক আইন নিয়ে আলাদা করে কোনো
উচ্চবাচ্য করেননি ট্রাম্প। বরং তার জবাবে অনেকেই মনে করছেন, দেশবাসীর
নিরাপত্তার ওপরে জোর দিলেও বন্দুক আইন বদলাতে নারাজ তিনি।
No comments