কারো শর্ত মানছে না ইরান, বাড়াচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা
ইরানের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি বলেছেন, ফরাসি
প্রেসিডেন্টের পরিকল্পিত তেহরান সফরের ব্যাপারে কোনো শর্ত মেনে নেবে না তার
দেশ। সোমবার তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। চলতি বছর ফরাসি
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনের ইরান সফরের কথা রয়েছে। কিন্তু এ সফরের
ব্যাপারে প্যারিস তেহরানকে শর্ত দিয়েছে বলে কোনো কোনো গণমাধ্যমে প্রকাশিত
খবর সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কাসেমি বলেন, ইরান গত চার দশকে অন্য
দেশগুলোর সঙ্গে নিজের আচরণ কেমন হবে তা প্রমাণ করেছে। তিনি বলেন, দু’দেশের
মধ্যে সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান থাকা সত্ত্বেও ইরান এতটা বিপদে পড়েনি যে
ফ্রান্সের অন্যায় শর্ত মানতে হবে। ইরান কারো শর্ত মেনে নয় বরং নিজের নীতি
অনুযায়ী কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে বলে তিনি জানান। ফ্রান্স ইরানকে ঠিক কি শর্ত
দিয়েছে তা স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে ইরানের সিনিয়র সংসদ সদস্য জাওয়াদ কারিমি
কুদ্দুসি সম্প্রতি বলেছেন, শর্ত মেনে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সফরের আয়োজন
করবে না তেহরান।
প্রয়োজনে পরিকল্পিত সফর বাতিল করা হবে। ইরানের ইসলামি
বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র উপ-প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেন
সালামি বলেছেন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নিখুঁতভাবে আঘাত হানার
ক্ষমতা বাড়ানোর কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। শত্রুর বিমানবাহী রণতরীগুলো
মোকাবেলায় এ কৌশল নেয়া হয়েছে। ইরানের টিভি চ্যানেল 'খাবার'-কে দেয়া
সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সালামি বলেন, শত্রুর
হুমকি মোকাবেলার একটি উপায় হলো নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতা
বাড়ানো। ইরানের বিশেষজ্ঞরা সাগরে শত্রুদের অবস্থান চিহ্নিত করার সক্ষমতা
জোরদার করেছে। এর ফলে ইরানের বিরুদ্ধে বিমানবাহী রণতরী ব্যবহারের পরিকল্পনা
কাজে আসবে না। তিনি বলেন, ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় উদ্বিগ্ন হয়ে
আমেরিকা এখন ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
আমেরিকা ও তার কয়েকটি মিত্র দেশ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে
নানা অপপ্রচার চালালেও তেহরান সব সময় বলে আসছে, প্রতিরক্ষার জন্য এ
কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। কোনো দেশের ওপর আগ্রাসন চালানোর কোনো ইচ্ছে
ইরানের নেই।
No comments