এরশাদের বিবৃতি সমাচার by শওকত হোসেন
যেকোনো
সামরিক সরকারের শুরুটা মুখস্থ বলা যায়। ক্ষমতা দখল করেই দুর্নীতির
বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কিছু রাজনীতিবিদ ও
ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়, খরচ কমানোর নির্দেশনা আসে, সামরিক শাসক নিজেরাও
সাইকেলে করে অফিসে যান। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শুরুর দিকটার কথা মনে করে
দেখতে পারেন।এরশাদ সামরিক শাসন জারি করেছিলেন ১৯৮২-এর ২৪ মার্চ। ওই দিনই
জাতির উদ্দেশে নিয়ম মেনে ভাষণ দিলেন তিনি। আরও অনেক কিছুর সঙ্গে বললেন,
‘আমাদের দেশের অর্থনৈতিক সংকটের একটি প্রধান দিক হলো ব্যাংকিং সেক্টরে
দারুণ কারচুপি এবং দুর্নীতি। সার্বিকভাবে প্রকল্প বিশ্লেষণ না করে ও
অর্থনৈতিক কার্যকারিতার বিচার ছাড়াই এবং অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের
ঋণ নীতিমালা অমান্য করে ঋণ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান
নামমাত্র ছিল। এদের প্রায় সবাই রাজনৈতিক কারণে বিভিন্ন দল বা নেতা বা পদস্থ
কর্মকর্তাদের বদৌলতে তাদের ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থে এই অর্থ লাভ করে এবং
জনগণের গচ্ছিত জাতীয় সঞ্চয় অপচয় করে। আজ ব্যাংক পরিচালকদের জবাবদিহি করতে
হচ্ছে। সহস্র কোটি টাকার ঋণ দেওয়ার যৌক্তিকতা দেখাতে তারা অপারগ, কয়েক শ
কোটি টাকা আজ অনাদায়ি হওয়ার আশঙ্কা। ওই সব দায়ী ব্যক্তি শুধু অনিয়ম,
দুর্নীতি করেননি, তাঁরা জনগণের সঞ্চিত আমানত নিয়ে জনগণের সঙ্গে
বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এ ব্যাপারে নিয়োজিত কমিটি বিশদ পর্যালোচনা করছে এবং
যথাসময়ে সমুচিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ খালি বক্তৃতা দেবেন কিন্তু কাজ করবেন
না, এটা তো নতুন সামরিক শাসকের মানায় না। কাজও করে দেখান তিনি। এরশাদ সে
সময় তিনটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন:
১. এক মাস পরে অর্থাৎ, ১২ এপ্রিল প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের সচিবালয় থেকে যেসব প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক, বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বা অন্য কোনো তফসিলি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন কারণে ঋণ সংগ্রহ করেছেন দ্রুত তা পরিশোধের জন্য নির্দেশ জারি।
২. ব্রিগেডিয়ার এ কাশেমের নেতৃত্বে অনাদায়ি ঋণ আদায় এবং এ-সংক্রান্ত জটিলতা পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন।
৩. ব্যাংক লুটপাট ও দুর্নীতির অভিযোগে কয়েকজন বড় ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে প্রেরণ।
আরেকটি কাজ করছিলেন এরশাদ। ব্যাংক থেকে বৃহৎ ঋণগ্রহীতাদের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেন। আর তাতে ঋণখেলাপিদের বিষয়ে পেয়েছিলেন চমকপ্রদ অনেক তথ্য। তবে দেশের কথা ভেবে যে এরশাদ এসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, এটা ভাবার কোনো কারণ ছিল না। কেননা, শুরুতে ভালো ভালো কথা বললেও এরশাদের এসব কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য জানা গিয়েছিল দ্রুতই। এই তথ্য তিনি সংগ্রহ করেছিলেন কোনো সদুদ্দেশ্যে নয়, বরং রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য। এরশাদ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য এসব ব্যবসায়ীকে ব্যবহার করেছিলেন। বেশি দিন কাউকেই জেলে থাকতে হয়নি। জেলে যাওয়া অনেক ব্যবসায়ীই পরে তাঁর রাজনৈতিক দলের অর্থদাতা, সদস্য ও মন্ত্রী হয়েছিলেন। কেবল এরশাদই যে ব্যবসায়ীদের ব্যবহার করেছিলেন তা নয়, সুযোগ নিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরাও। এরশাদের ৯ বছরের শাসনামল ছিল সেই সব ব্যবসায়ীর উত্থানের কাল, যাঁদের বিরুদ্ধে শুরুতে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। সময়টা ছিল ঋণখেলাপিদের উত্থানের দ্বিতীয় পর্ব। শুরুটা হয়েছিল জিয়ার আমলে। এরশাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তা নতুন মাত্রা পেয়েছিল। বেসরকারি খাতের ব্যাংক করার অনুমোদন দিয়েছিলেন এরশাদ। আর সেই সব ঋণখেলাপি সরকারি ব্যাংকের টাকা মেরেই বেসরকারি ব্যাংকের মালিক হয়েছিলেন। ওই সময়টায় দেশে ব্যাংক কোম্পানি আইন ছিল না। ব্যাংক কর্মকর্তারা তাঁদের ব্যক্তিগত বিবেচনায় খেলাপি ঋণ নির্ধারণ করতেন। ফলে কাগজে-কলমে সে সময়ের হিসাবে দেশে খেলাপি ঋণের হার ছিল ৮ শতাংশ। কিন্তু এরশাদ আমলের শেষ দিকে আর্থিক খাত সংস্কার কর্মসূচির (এফএসআরপি) আওতায় বিশ্বব্যাংক সমীক্ষা করে বলেছিল, খেলাপি ঋণের হার হবে ৩০ শতাংশ। আর ঋণের শ্রেণিবিন্যাস আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী করলে সেটা হতো আরও বেশি, ৬০ শতাংশ।
১. এক মাস পরে অর্থাৎ, ১২ এপ্রিল প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের সচিবালয় থেকে যেসব প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক, বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বা অন্য কোনো তফসিলি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন কারণে ঋণ সংগ্রহ করেছেন দ্রুত তা পরিশোধের জন্য নির্দেশ জারি।
২. ব্রিগেডিয়ার এ কাশেমের নেতৃত্বে অনাদায়ি ঋণ আদায় এবং এ-সংক্রান্ত জটিলতা পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন।
৩. ব্যাংক লুটপাট ও দুর্নীতির অভিযোগে কয়েকজন বড় ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে প্রেরণ।
আরেকটি কাজ করছিলেন এরশাদ। ব্যাংক থেকে বৃহৎ ঋণগ্রহীতাদের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেন। আর তাতে ঋণখেলাপিদের বিষয়ে পেয়েছিলেন চমকপ্রদ অনেক তথ্য। তবে দেশের কথা ভেবে যে এরশাদ এসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, এটা ভাবার কোনো কারণ ছিল না। কেননা, শুরুতে ভালো ভালো কথা বললেও এরশাদের এসব কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য জানা গিয়েছিল দ্রুতই। এই তথ্য তিনি সংগ্রহ করেছিলেন কোনো সদুদ্দেশ্যে নয়, বরং রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য। এরশাদ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য এসব ব্যবসায়ীকে ব্যবহার করেছিলেন। বেশি দিন কাউকেই জেলে থাকতে হয়নি। জেলে যাওয়া অনেক ব্যবসায়ীই পরে তাঁর রাজনৈতিক দলের অর্থদাতা, সদস্য ও মন্ত্রী হয়েছিলেন। কেবল এরশাদই যে ব্যবসায়ীদের ব্যবহার করেছিলেন তা নয়, সুযোগ নিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরাও। এরশাদের ৯ বছরের শাসনামল ছিল সেই সব ব্যবসায়ীর উত্থানের কাল, যাঁদের বিরুদ্ধে শুরুতে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। সময়টা ছিল ঋণখেলাপিদের উত্থানের দ্বিতীয় পর্ব। শুরুটা হয়েছিল জিয়ার আমলে। এরশাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তা নতুন মাত্রা পেয়েছিল। বেসরকারি খাতের ব্যাংক করার অনুমোদন দিয়েছিলেন এরশাদ। আর সেই সব ঋণখেলাপি সরকারি ব্যাংকের টাকা মেরেই বেসরকারি ব্যাংকের মালিক হয়েছিলেন। ওই সময়টায় দেশে ব্যাংক কোম্পানি আইন ছিল না। ব্যাংক কর্মকর্তারা তাঁদের ব্যক্তিগত বিবেচনায় খেলাপি ঋণ নির্ধারণ করতেন। ফলে কাগজে-কলমে সে সময়ের হিসাবে দেশে খেলাপি ঋণের হার ছিল ৮ শতাংশ। কিন্তু এরশাদ আমলের শেষ দিকে আর্থিক খাত সংস্কার কর্মসূচির (এফএসআরপি) আওতায় বিশ্বব্যাংক সমীক্ষা করে বলেছিল, খেলাপি ঋণের হার হবে ৩০ শতাংশ। আর ঋণের শ্রেণিবিন্যাস আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী করলে সেটা হতো আরও বেশি, ৬০ শতাংশ।
এরশাদের সময়ে প্রায় দুই বছর অর্থমন্ত্রী ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি
পরিস্থিতির একটা বর্ণনা দেন ১৯৯১ সালে প্রকাশিত একটি বইয়ে। তিনি লিখেছিলেন,
‘বাংলাদেশে ব্যাংকঋণ পরিশোধ না করাটা এখন এক রকম সর্বজনীন অভ্যাস। বড় বড়
ব্যবসায়ী, সফল শিল্পপতি বা গ্রামীণ মাতব্বর কেউই ঋণ পরিশোধ করে না। তার ফলে
উদ্যোগী লোকেরা বা গরিব চাষিরা কোনো ঋণ পায় না, সুস্থ অর্থনৈতিক
কর্মকাণ্ড চলতে পারে না।...ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ ব্যক্তিরা গোষ্ঠী হিসেবে
সরকারের সহযোগী, তাই এদের মর্জিই হলো সরকারের প্রচেষ্টা। বিশেষ গোষ্ঠীকে
নিজের দলে রাখতে গেলে স্বভাবতই দেশের বা জনতার স্বার্থ বিসর্জন দিতে হয়।’
এরশাদ ও তার শাসনামল নিয়ে এত কথা কেন বলছি? এরশাদের সাম্প্রতিক একটি
বিবৃতিই এর প্রধান কারণ। গত ২৪ জানুয়ারি এই বিবৃতিটি তিনি গণমাধ্যমে পাঠান।
আগে পড়ি সেই বিবৃতিটি। শিরোনাম হচ্ছে, ‘বেক্সিমকো নিয়ে সংসদে বাবলুর
বক্তব্য নিজস্ব, দলীয় নয়: এরশাদ’। বিবৃতিতে এরপর এরশাদ বলেছেন, ‘২৩
জানুয়ারিতে সংসদে জিয়াউদ্দিন বাবলু পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে খেলাপি
ঋণসংক্রান্ত বিষয়ে বলতে গিয়ে বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণ পুনঃতফসিল প্রসঙ্গে যে
বক্তব্য দিয়েছেন, তা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। তাঁর এই অভিমতের সঙ্গে
জাতীয় পার্টি দলগতভাবে একমত পোষণ করে না। বেক্সিমকো গ্রুপ একটি বহুমাত্রিক
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এর রয়েছে ৬০ হাজার কর্মী। এই গ্রুপটি বাংলাদেশের
বেসরকারি খাতের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। এই গ্রুপটি যে সকল
খাতে বিনিয়োগ করেছে, সে খাতগুলো বাংলাদেশের জিডিপিতে ৭৫ শতাংশ অবদান রাখছে।
জাতীয় স্বার্থেই এই ধরনের শিল্প গ্রুপের সুবিধা-অসুবিধা সকলেরই বিবেচনা
করা উচিত। আমরা এটাও অনুধাবন করি যে বেক্সিমকো গ্রুপের পুনঃতফসিলীকৃত
ঋণসুবিধা দেশের প্রচলিত ব্যাংকিং নীতিমালার আওতায় পড়ে, যা বাংলাদেশ
ব্যাংকের অনুমোদিত। আমরা বিশ্বাস করি যে ব্যাংকিং খাতের বর্তমান অবস্থা
অর্থ মন্ত্রণালয় এবং সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে। সুতরাং জনাব বাবলুর ব্যক্তিগত
অভিমত নিয়ে এ বিষয়ে আর কোনো ভুল-বোঝাবুঝির অবকাশ থাকবে না।’এর আগের দিন এই
প্রথম আলোতেই ‘বেক্সিমকো গ্রুপকে আবারও বিশেষ সুবিধা’ শিরোনামে একটি
প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল। এ নিয়েই জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু
পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। আর এর ঠিক পরের দিনেই
দলের চেয়ারম্যানের এই বিবৃতি। প্রশ্ন হচ্ছে এরশাদ পাল্টা বিবৃতি কেন দিতে
গেলেন। আসলে বেক্সিমকো-এরশাদ সম্পর্কটা তো পুরোনো। নয় বছরের শাসনামলের সেই
যে পারস্পরিক পৃষ্ঠপোষকতা, তা কি আর এত সহজে যাওয়ার। তার ওপর এরশাদ এখন
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। আর বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ
রহমান আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়নবিষয়ক উপদেষ্টা। সুতরাং
এই দুজনের মাঝখানে ফাটল ধরানোর সাধ্য কি আছে জিয়াউদ্দিন বাবলুর?
তাহলে
জিয়াউদ্দিন বাবলু কি এই দুজনের পুরোনো সখ্য জানতেন না? এরশাদ যেমন পুরোনো
স্বৈরাচার, বেক্সিমকো গ্রুপও তেমনি পুরোনো খেলাপি। স্বৈরাচারের তকমা কাটাতে
এরশাদকে যেমন ২৭ বছর ধরে নানা ধরনের কৌশল করতে হচ্ছে, সালমান এফ রহমানকেও
তেমনি ঋণ পুনঃতফসিল, পুনর্গঠন, বিশেষ সুবিধা-এ রকম নানা উপায় বের করে
খেলাপির নাম কাটিয়ে নতুন নতুন ঋণ নিতে হয়েছে। রাজনীতিবিদ আর ব্যবসায়ীর যে
নেক্সাস বা বন্ধন তারই একটি উদাহরণ এরশাদের বিবৃতি। সবশেষে সাবেক
রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের একটি বক্তৃতার কটি লাইন বলতে চাই।
১৯৯৮ সালের ১৮ মে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (বিআইবিএম)
ব্যাংকে নৈতিকতা বিষয়ে নুরুল মতিন স্মারক বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তিনি
বলেছিলেন, ‘আমাদের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে ঋণখেলাপিরা মহা বিপজ্জনক
পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। যে যত বেশি ঋণখেলাপি, সে তত বেশি প্রভাবশালী।
ঋণখেলাপিরা প্রায় সব রাজনৈতিক দলেই ছড়িয়ে আছে। তাই তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ব্যাংক থেকে যারা মোটা অঙ্কের ঋণ গ্রহণ করেছে, এমনকি হাজার কোটি টাকার ওপরও
ঋণ গ্রহণ করছে, তাদের রাজনৈতিক দলগুলো প্রশ্রয় দিচ্ছে। যেমন ছাত্র,
মাস্তান ও সন্ত্রাসীরা ছাড়া আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো চলে না, তেমনি বড় বড়
ঋণখেলাপি ছাড়াও রাজনৈতিক দল চলে না। এই ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে রাজনৈতিক
দলগুলো মোটা ধরনের ফান্ড সংগ্রহ করে।...বর্তমানে ৫০ এমনকি ৫০০ কোটি টাকা ঋণ
গ্রহণকারী কেউ কেউ ঋণের টাকা শুধু পরিশোধই বন্ধ রাখেনি, তারা মাথা উঁচু
করে হাঁটে, জোর গলায় কথা বলে, কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করে, এমনকি ঋণের টাকা
পরিশোধের জন্য তাগাদা দিলে ব্যাংকে হুমকি পর্যন্ত দেয়।’
২০১৮ সালে এসে কথাগুলো পড়লে কি অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়?
শওকত হোসেন প্রথম আলোর বার্তা বিভাগের সমন্বয়ক
২০১৮ সালে এসে কথাগুলো পড়লে কি অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়?
শওকত হোসেন প্রথম আলোর বার্তা বিভাগের সমন্বয়ক
No comments