প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ব্যবসা হচ্ছে
প্রথম আলো: ২০১৭ সালে আপনাদের ব্যবসা কেমন ছিল?
সুব্রত রঞ্জন দাস: আমাদের যা প্রত্যাশা ছিল, তার চেয়ে ব্যবসা ভালো হয়েছে। মোটরসাইকেল বিক্রিতে ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ গত বছর আমরা ৩৭টি ‘থ্রি-এস’ (সেলস, সার্ভিস, স্পেয়ার) সেন্টার বা কেন্দ্র চালু করেছি, লক্ষ্য ছিল ৩০টি। এসব কেন্দ্র থেকে মোটরসাইকেল কেনার পাশাপাশি গ্রাহকেরা বিক্রয়োত্তর সেবা নিতে ও যন্ত্রাংশ কিনতে পারবেন। ক্রেতার প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে দ্রুত সেবার বিস্তার ঘটানো হয়েছে।
প্রথম আলো: ইয়ামাহার কটি মডেলের মোটরসাইকেল এখন দেশের বাজারে আছে?
সুব্রত রঞ্জন দাস: বাংলাদেশে বর্তমানে ইয়ামাহার সাতটি মডেলের মোটরসাইকেল রয়েছে। এর মধ্যে ১৫০ সিসি ইঞ্জিন ক্ষমতার ৫টি ও ১২৫ সিসির ২টি। বছরের প্রথম মাসেই অর্থাৎ জানুয়ারিতে সব মডেলের দাম ৩ শতাংশ কমানো হয়েছে। ইয়ামাহার মোটরসাইকেলের সবচেয়ে বড় তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো—বিশ্বাসযোগ্যতা, আরাম ও ভারসাম্য। আমরাই প্রথম এ দেশে ফুয়েল ইনজেকশন প্রযুক্তির মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছি।
প্রথম আলো: জাপানি ব্র্যান্ড হলেও বাংলাদেশে বিক্রি হওয়া ইয়ামাহা মোটরসাইকেল আসে ভারত থেকে, এগুলোর মানও কী একই?
সুব্রত রঞ্জন দাস: মানুষ ইয়ামাহা পছন্দ করে মানের কারণে। ভারতে যে মোটরসাইকেল তৈরি হয়, তার মান সম্পূর্ণভাবে জাপানের ইয়ামাহা নিয়ন্ত্রণ করে। ভারত থেকে ইয়ামাহার মোটরসাইকেল শুধু বাংলাদেশেই নয়, অন্যান্য দেশেও রপ্তানি হয়।
প্রথম আলো: আপনাদের ব্যবসায় এখন বড় সমস্যা কী?
সুব্রত রঞ্জন দাস: সম্পূর্ণ তৈরি মোটরসাইকেল আমদানিতে সব মিলিয়ে ১৫১ শতাংশ কর দিতে হয়। এটা পুনর্বিবেচনা করার যথেষ্ট সুযোগ আছে। দেশে মোটরসাইকেলের উৎপাদন উৎসাহিত করতে গিয়ে আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক অনেক বেশি বাড়ানো হয়েছে। একটি ১৫০০ সিসি ইঞ্জিনক্ষমতার মোটরগাড়ি আমদানিতে শুল্ক দিতে হয় ১২০ শতাংশ, কিন্তু ১৫০ সিসির একটি মোটরসাইকেলের জন্য এই হার ৩০ শতাংশ বেশি। মোটরসাইকেল উৎপাদকদের সুরক্ষা দিতে আমদানির ক্ষেত্রে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ যৌক্তিক নয়। ভারত মোটরসাইকেল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও সেখানে মোটরসাইকেল আমদানিতে শুল্ক ১১০ শতাংশ। একইভাবে বাংলাদেশে স্কুটার আমদানিতেও শুল্কহার অনেক বেশি, এটা কমিয়ে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ করা উচিত। নারীদের স্বচ্ছন্দে চলাফেরার জন্য স্কুটারের আমদানি শুল্ক অবশ্যই কমানো উচিত।
প্রথম আলো: মোটরসাইকেল আমদানির ক্ষেত্রে আপনারা কী চান?
সুব্রত রঞ্জন দাস: সংযোজিত বা পূর্ণাঙ্গ মোটরসাইকেল আমদানিতে শুল্কহার কমিয়ে ১১০ থেকে ১২০ শতাংশ করা উচিত। এতে তরুণদের আরও ভালো মোটরসাইকেল প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। আশেপাশের দেশের তুলনায় আমরা অনেক কম মোটরসাইকেল ব্যবহার করি। এর মূল কারণ হলো দাম। শুধু ব্যবসা করাই এসিআইয়ের মতো একটি বৃহৎ কোম্পানির উদ্দেশ্য নয়, মানুষ যদি কম দামে মানসম্পন্ন মোটরসাইকেল পায়, তাহলে অনেক মানুষের উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এ জন্য সরকারের নীতিমালা ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য একই থাকা উচিত।
প্রথম আলো: ইয়ামাহার প্রতিদ্বন্দ্বী হোন্ডাসহ আরও কয়েকটি ব্র্যান্ড দেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু করছে। এ বিষয়ে আপনাদের চিন্তাভাবনা কী?
সুব্রত রঞ্জন দাস: ইয়ামাহা যেসব মোটরসাইকেল বাংলাদেশে বিক্রি করে এগুলো উচ্চ প্রযুক্তির। এ ধরনের উচ্চ প্রযুক্তির মোটরসাইকেল বাংলাদেশে তৈরি করতে অনেক সময় লাগবে। মোটরসাইকেল উৎপাদনের একটি বড় বিষয় হলো সরবরাহ ব্যবস্থা। হোন্ডা বা ইয়ামাহা বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উৎপাদনে অনেকের ওপর নির্ভরশীল, এ দিকটি বাংলাদেশে এখনো উন্নত হয়নি। প্রকৃত অর্থে উৎপাদন বলতে যা বোঝায়, সেটি এখনো হচ্ছে না।
প্রথম আলো: এসিআই বাংলাদেশে একটি প্রতিষ্ঠিত নাম। আপনারা ইয়ামাহার সঙ্গে যৌথভাবে এমন কিছু কী করতে পারেন না?
সুব্রত রঞ্জন দাস: ইয়ামাহা যে মানের মোটরসাইকেল বিক্রি করে, সেটার সরবরাহ ব্যবস্থা পাঁচ বছরে তৈরি করা কঠিন। উৎপাদন করার ঘোষণা দিয়ে আমরা কর ছাড়ের সুযোগ নিতে চাই না। আমরা চাই, মোটরসাইকেল উৎপাদক ও আমদানিকারকদের মধ্যে একটা ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করা হোক।
প্রথম আলো: ইয়ামাহা নিয়ে এসিআই মোটরসের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
সুব্রত রঞ্জন দাস: উচ্চ প্রযুক্তির মোটরসাইকেল শ্রেণিতে আমরা ১ নম্বর অবস্থান ধরে রাখতে চাই। এ জন্য সর্বোচ্চ মানের পণ্য ও সেবা গ্রাহককে দিতে চাই।
সুব্রত রঞ্জন দাস: আমাদের যা প্রত্যাশা ছিল, তার চেয়ে ব্যবসা ভালো হয়েছে। মোটরসাইকেল বিক্রিতে ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ গত বছর আমরা ৩৭টি ‘থ্রি-এস’ (সেলস, সার্ভিস, স্পেয়ার) সেন্টার বা কেন্দ্র চালু করেছি, লক্ষ্য ছিল ৩০টি। এসব কেন্দ্র থেকে মোটরসাইকেল কেনার পাশাপাশি গ্রাহকেরা বিক্রয়োত্তর সেবা নিতে ও যন্ত্রাংশ কিনতে পারবেন। ক্রেতার প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে দ্রুত সেবার বিস্তার ঘটানো হয়েছে।
প্রথম আলো: ইয়ামাহার কটি মডেলের মোটরসাইকেল এখন দেশের বাজারে আছে?
সুব্রত রঞ্জন দাস: বাংলাদেশে বর্তমানে ইয়ামাহার সাতটি মডেলের মোটরসাইকেল রয়েছে। এর মধ্যে ১৫০ সিসি ইঞ্জিন ক্ষমতার ৫টি ও ১২৫ সিসির ২টি। বছরের প্রথম মাসেই অর্থাৎ জানুয়ারিতে সব মডেলের দাম ৩ শতাংশ কমানো হয়েছে। ইয়ামাহার মোটরসাইকেলের সবচেয়ে বড় তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো—বিশ্বাসযোগ্যতা, আরাম ও ভারসাম্য। আমরাই প্রথম এ দেশে ফুয়েল ইনজেকশন প্রযুক্তির মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছি।
প্রথম আলো: জাপানি ব্র্যান্ড হলেও বাংলাদেশে বিক্রি হওয়া ইয়ামাহা মোটরসাইকেল আসে ভারত থেকে, এগুলোর মানও কী একই?
সুব্রত রঞ্জন দাস: মানুষ ইয়ামাহা পছন্দ করে মানের কারণে। ভারতে যে মোটরসাইকেল তৈরি হয়, তার মান সম্পূর্ণভাবে জাপানের ইয়ামাহা নিয়ন্ত্রণ করে। ভারত থেকে ইয়ামাহার মোটরসাইকেল শুধু বাংলাদেশেই নয়, অন্যান্য দেশেও রপ্তানি হয়।
প্রথম আলো: আপনাদের ব্যবসায় এখন বড় সমস্যা কী?
সুব্রত রঞ্জন দাস: সম্পূর্ণ তৈরি মোটরসাইকেল আমদানিতে সব মিলিয়ে ১৫১ শতাংশ কর দিতে হয়। এটা পুনর্বিবেচনা করার যথেষ্ট সুযোগ আছে। দেশে মোটরসাইকেলের উৎপাদন উৎসাহিত করতে গিয়ে আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক অনেক বেশি বাড়ানো হয়েছে। একটি ১৫০০ সিসি ইঞ্জিনক্ষমতার মোটরগাড়ি আমদানিতে শুল্ক দিতে হয় ১২০ শতাংশ, কিন্তু ১৫০ সিসির একটি মোটরসাইকেলের জন্য এই হার ৩০ শতাংশ বেশি। মোটরসাইকেল উৎপাদকদের সুরক্ষা দিতে আমদানির ক্ষেত্রে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ যৌক্তিক নয়। ভারত মোটরসাইকেল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও সেখানে মোটরসাইকেল আমদানিতে শুল্ক ১১০ শতাংশ। একইভাবে বাংলাদেশে স্কুটার আমদানিতেও শুল্কহার অনেক বেশি, এটা কমিয়ে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ করা উচিত। নারীদের স্বচ্ছন্দে চলাফেরার জন্য স্কুটারের আমদানি শুল্ক অবশ্যই কমানো উচিত।
প্রথম আলো: মোটরসাইকেল আমদানির ক্ষেত্রে আপনারা কী চান?
সুব্রত রঞ্জন দাস: সংযোজিত বা পূর্ণাঙ্গ মোটরসাইকেল আমদানিতে শুল্কহার কমিয়ে ১১০ থেকে ১২০ শতাংশ করা উচিত। এতে তরুণদের আরও ভালো মোটরসাইকেল প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। আশেপাশের দেশের তুলনায় আমরা অনেক কম মোটরসাইকেল ব্যবহার করি। এর মূল কারণ হলো দাম। শুধু ব্যবসা করাই এসিআইয়ের মতো একটি বৃহৎ কোম্পানির উদ্দেশ্য নয়, মানুষ যদি কম দামে মানসম্পন্ন মোটরসাইকেল পায়, তাহলে অনেক মানুষের উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এ জন্য সরকারের নীতিমালা ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য একই থাকা উচিত।
প্রথম আলো: ইয়ামাহার প্রতিদ্বন্দ্বী হোন্ডাসহ আরও কয়েকটি ব্র্যান্ড দেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু করছে। এ বিষয়ে আপনাদের চিন্তাভাবনা কী?
সুব্রত রঞ্জন দাস: ইয়ামাহা যেসব মোটরসাইকেল বাংলাদেশে বিক্রি করে এগুলো উচ্চ প্রযুক্তির। এ ধরনের উচ্চ প্রযুক্তির মোটরসাইকেল বাংলাদেশে তৈরি করতে অনেক সময় লাগবে। মোটরসাইকেল উৎপাদনের একটি বড় বিষয় হলো সরবরাহ ব্যবস্থা। হোন্ডা বা ইয়ামাহা বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উৎপাদনে অনেকের ওপর নির্ভরশীল, এ দিকটি বাংলাদেশে এখনো উন্নত হয়নি। প্রকৃত অর্থে উৎপাদন বলতে যা বোঝায়, সেটি এখনো হচ্ছে না।
প্রথম আলো: এসিআই বাংলাদেশে একটি প্রতিষ্ঠিত নাম। আপনারা ইয়ামাহার সঙ্গে যৌথভাবে এমন কিছু কী করতে পারেন না?
সুব্রত রঞ্জন দাস: ইয়ামাহা যে মানের মোটরসাইকেল বিক্রি করে, সেটার সরবরাহ ব্যবস্থা পাঁচ বছরে তৈরি করা কঠিন। উৎপাদন করার ঘোষণা দিয়ে আমরা কর ছাড়ের সুযোগ নিতে চাই না। আমরা চাই, মোটরসাইকেল উৎপাদক ও আমদানিকারকদের মধ্যে একটা ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করা হোক।
প্রথম আলো: ইয়ামাহা নিয়ে এসিআই মোটরসের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
সুব্রত রঞ্জন দাস: উচ্চ প্রযুক্তির মোটরসাইকেল শ্রেণিতে আমরা ১ নম্বর অবস্থান ধরে রাখতে চাই। এ জন্য সর্বোচ্চ মানের পণ্য ও সেবা গ্রাহককে দিতে চাই।
No comments