ছোটরা পারে, বড়রা কেন পারবে না? by মীযানুল করীম
একটি
দৈনিক পত্রিকার একটি ছোট খবর। ভেতরের পাতায় সিঙ্গেল কলামে দুই লাইনের
হেডিং। উত্তরাঞ্চলের একটি জেলার উপজেলাপর্যায়ের সংবাদদাতার পাঠানো রিপোর্টে
জানানো হয়েছে, সেখানে সরকারি প্রাইমারি স্কুলগুলোতে স্টুডেন্টস কাউন্সিল
বা ‘কেবিনেট’ নির্বাচন হয়েছে। দৃষ্টান্ত হিসেবে একটি স্কুলের নির্বাচনী
পরিবেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশে।
সকাল ৯টা থেকে ৪ ঘণ্টায় ১৮৪ জন ছাত্রছাত্রী ভোট দিয়েছে। ওরা ক্লাস থ্রি
থেকে ফাইভের শিক্ষার্থী। এবার স্কুলটিতে প্রার্থী ছিল ১৭ জন। প্রতি
শ্রেণীতে দু’জন করে প্রতিনিধিসহ মোট সাতজনকে কেবিনেটে নির্বাচিত করা হয়।
প্রাথমিক স্তরের শিশুশিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য তাদের মধ্য থেকেই
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার ছাড়াও
আনসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হয়েছে। অর্থাৎ এসব ছোট ছোট ছেলেমেয়ে শুধু
ভোট দেয়া নয়, নির্বাচন পরিচালনার প্রশিক্ষণও নিচ্ছে। এই খবরটি ২৮ জানুয়ারির
পত্রিকার। অনেকেরই চোখে পড়েনি হয়তো। তবে খবরটি ছোট হলেও এর গুরুত্বটা বড়।
খবরে উল্লিখিত ছাত্র-ছাত্রীদের বয়স খুবই কম। তবে ওরা যা শিখেছে (এবং বড়দের
শিখিয়েছে) এর তাৎপর্য অনেক বেশি। বিশেষ করে যখন জাতীয় জীবনে সুষ্ঠু ও
নিরপেক্ষ নির্বাচন ‘সোনার হরিণ’ হয়ে উঠেছে এবং নির্বাচন হয়ে দাঁড়িয়েছে
প্রহসন ও ট্র্যাজেডি- তখন স্কুল কেবিনেট নির্বাচন শিক্ষা দিচ্ছে, আমাদের
রাজনীতি ও প্রশাসনের নির্বাচনসংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের অধিকাংশকে গণতন্ত্রের
স্কুলে সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্লাস করতে হবে।’ কয়েক বছর ধরে দেশের বহু স্থানে
স্কুলপর্যায়ে কেবিনেট বা সংসদ নির্বাচন হয়ে আসছে। এর উদ্দেশ্য, ছোটবেলা
থেকেই নেতৃত্বের গুণাবলি সৃষ্টি, গণতন্ত্রের যথাযথ চর্চার হাতেখড়ি এবং
নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব সচেতনতা তৈরি করা। এই দিক দিয়ে কয়েক দিন আগে দেশের
শত শত স্কুল-মাদরাসায় স্টুডেন্টস কেবিনেট বা কাউন্সিলের নির্বাচন ছিল
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে মিডিয়ায় এটি তেমন গুরুত্ব পায়নি। পর দিনের বেশ
কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ঘেঁটেও এ নির্বাচনের ছবি বা খবর, কিছুই পাওয়া গেল না।
একটি টিভি চ্যানেলে একটি জেলাশহরের প্রধান স্কুলটির নির্বাচনের যে ছবি
প্রচারিত হলো, তা দেখে বিভ্রান্তি জন্ম নিয়েছে। মনে হয়েছে, ওই স্কুলের
ছাত্ররা কাকে ভোট দেবে ঠিক করতে পারছিল না কিংবা প্রকাশ্যে একে অন্যের
অনুকরণে ভোট দিয়েছে। এমনটা করা হলে এই নির্বাচনের লক্ষ্য পুরো অর্জিত হবে
না।
রাজধানী থেকে দূরবর্তী এক জেলার প্রত্যন্ত এলাকার একজন স্কুলশিক্ষক
‘কেবিনেট’ নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরেছেন পত্রিকায়। তিনি লিখেছেন, ‘বন্ধু
তোমার একটি ভোটে/যোগ্য প্রার্থী যাবে জিতে, অমুকের দু’নয়ন/আদর্শ স্কুলের
উন্নয়ন, ভোটে এসেছি প্রথমবার/পাশে আছি আমি সবার।’ লাল-কমলা-হলুদ কাগজে
হাতেলেখা এ রকম শত শত রঙিন পোস্টারে দেশের মোট এক হাজার ৪৩টি মাধ্যমিক
বিদ্যালয় ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গত ২০১৫ সালের ৮ আগস্ট স্টুডেন্টস
কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রথমবারের মতো। স্মর্তব্য, সে বছর
মাধ্যমিকের সমমান সম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল ৪৮৭টি মাদরাসা এবং ৬১টি
কারিগরি বিদ্যালয়। ২১ মার্চ, ২০১৬ সালে দ্বিতীয় দফায় অবশিষ্ট মাধ্যমিক
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছিল। তৃতীয় দফায় ২০১৭-এর
৩০ মার্চ সারা দেশে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবার ২৭ জানুয়ারি ১৬ হাজার
৮৭টি এবং ২৯ জানুয়ারি ছয় হাজার ৫৫৭টি দাখিল মাদরাসায় কেবিনেট নির্বাচন হয়ে
গেল। এ বছর মোট ভোটার ছিল এক কোটি তিন লাখ ৮৪ হাজার ৩৪৮ জন ছাত্রছাত্রী।
মোট এক লাখ ৮১ হাজার ১৫২টি পদে দুই লাখ ৮৩ হাজার ৩৩৯ জন শিক্ষার্থী
প্রার্থী হয়েছিল। ভোটারদের উপস্থিতি ছিল স্কুলভেদে শতকরা ৮৫ থেকে ৯৫ ভাগ।
শুধু ভোটার হাজিরার দিক দিয়ে নয়, পরিবেশ ও পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রেও ছোটদের
এ নির্বাচন অনেক বড় নজির স্থাপন করেছে জাতির জন্য। কারণ, ভোটকেন্দ্র দখল,
কারচুপি বা জালিয়াতি, হামলা-হাঙ্গামা ইত্যাদি সন্ত্রাসী ঘটনা কিংবা
অনিয়ম-দুর্নীতি হয়নি। কোনো প্রার্থী পরাজিত হয়ে অথবা সম্ভাব্য পরাজয়ের মুখে
বয়কট করেনি নির্বাচন। এসব দেখে বড়দের লজ্জিত হওয়া এবং শিক্ষা নেয়া উচিত।
অথচ ছোটরাই বড়দের কাছে এসব শেখার কথা। কিন্তু আমরা প্রাপ্তবয়স্করা ভোট বা
নির্বাচন নিয়ে আচরণ করছি কাণ্ডজ্ঞানহীন কিংবা উন্মাদের মতো। অপর দিকে,
শিশু-কিশোরেরা তাদের নির্বাচনে দায়িত্ববোধ ও সুবিবেচনার পরিচয় দিচ্ছে।
দেশ-জাতির স্বার্থে স্কুল পার্লামেন্টের নির্বাচন থেকে গণতন্ত্রের পাঠ নিয়ে
ন্যাশনাল পার্লামেন্টের নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করা জরুরি। জানা
গেছে, স্কুলের আলোচ্য নির্বাচনে মুদ্রিত পোস্টার কিংবা কোনো প্রতীক ব্যবহার
করা হয়নি। দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচনের তো প্রশ্নই ওঠে না। যে হাইস্কুলে ষষ্ঠ
শ্রেণী থেকে পড়ানো হয়, সেখানে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত পাঁচটি ক্লাস থেকে এব জন
করে পাঁচজন এবং সেই সাথে সর্বাধিক ভোট পাওয়া তিনজন, অর্থাৎ মোট আটজন
প্রতিনিধিকে প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত করা হয়ে থাকে। তাদের নিয়ে প্রধান
নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় ছাত্রপরিষদ বা কেবিনেটের প্রথম
সভা। এর প্রধানকে বলা হয় ‘প্রধান প্রতিনিধি’। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এক
সপ্তাহের মধ্যে সভায় মিলিত হয়ে নিজেদের দায়িত্ব বণ্টন এবং সারা বছরের
পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকে। কেবিনেট বা পরিষদের মেয়াদ এক বছর এবং প্রতি বছর
নিয়মিত নির্বাচন করতে বলা হয়েছে। প্রতি মাসে এর কমপক্ষে একটি সভা হবে।
সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া এবং কার্যকর করার ব্যাপারে শিক্ষকেরা সহযোগিতা
করবেন; পরামর্শ দেবেন। দায়িত্ব বণ্টন করার কাজও তারা সম্পন্ন করে দেবেন।
এখন জানা দরকার, কেন এই ‘ছাত্রপরিষদ’? তাদের কাজ বা কর্তব্য কী কী? তাদের
দায়িত্বের মধ্যে আছে শিক্ষাঙ্গনের পরিচ্ছন্ন পরিবেশ (বর্জ্য
ব্যবস্থাপনাসহ), বইপুস্তকসহ শিক্ষা উপকরণ, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া, সাহিত্য
সংস্কৃতি, পানি, অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন, বৃক্ষরোপণ ও বাগান তৈরি, বিভিন্ন
দিবস পালন ও অনুষ্ঠান সম্পাদন, আইসিটি প্রভৃতি বিষয় দেখাশুনা করা।
প্রত্যাশা, এভাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতৃত্বের গুণাবলির বিকাশ
ঘটবে এবং সৃষ্টি হবে দায়িত্ববোধ। আর এই টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে শিক্ষালয়ে
সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
এতে শিক্ষার্থীরা নানা সমস্যা ও অসুবিধা থেকে
মুক্ত হয়ে মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া এবং অন্যান্য কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।
২০১৫ সালে স্টুডেন্টস কেবিনেট, অর্থাৎ ছাত্রপরিষদের নির্বাচন প্রথমবারের
মতো হলেও এর সূচনা আরো আগে। ২০১০ সালে বাছাই করা ১০০টি এবং পরের বছর ৭৪৩টি
প্রাইমারি স্কুলে এ ধরনের নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল পরীক্ষামূলক। ২০১২
সালে ১৩ হাজার ৫৮৩টি প্রাইমারিতে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছিল। হয়তো স্কুল
কাউন্সিল বা কেবিনেট নির্বাচন পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত হয়নি এখনো কিংবা এই
কেবিনেটের পক্ষে তার দায়িত্ব সম্পূর্ণ পালন করা সর্বত্র সম্ভব হয়নি। তবুও
এমন নির্বাচনের উদ্যোগ বেশ প্রশংসনীয় বলে গণ্য হবে। এ জন্য শর্ত হলো,
নির্বাচনের নির্দলীয় বৈশিষ্ট্য, নিরপেক্ষ পরিচালনা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও
অবাধে ভোট দেয়া। তা হলেই সুষ্ঠু বা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিত হতে
পারে। কথাটা এ দেশে ছোটদের চেয়ে বড়দের বেলায় বেশি প্রযোজ্য। প্রাইমারি
স্কুলে সুষ্ঠু নির্বাচনের অভিজ্ঞতা অর্জিত হলে তা শিক্ষার্থীরা বড় হয়ে
কর্মজীবনেও প্রয়োগ করবে, এটাই সবার কাক্সিক্ষত ও প্রত্যাশিত। এ জন্য
স্থানীয়, আঞ্চলিক ও জাতীয়- সব স্তরের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকা
চাই। অন্যথায় কচি কিশোর শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে দেশ ও জাতির উপযুক্ত
নেতৃত্ব দিতে এবং নাগরিক দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে না। স্কুলে স্কুলে সুষ্ঠু
নির্বাচনের ভিত্তিতে ছাত্রপরিষদ গঠনের লক্ষ্য রয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে। এসব
লক্ষ্য শুধু শিক্ষাজীবনের সাথে সম্পর্কিত নয়। এ নির্বাচনের উদ্দেশ্য যদি
পূরণ করা যায়, তা হলে দেশ ও জাতি সামগ্রিকভাবে উপকৃত হবে। বিশেষ করে
গণতন্ত্রহীনতা, স্বেচ্ছাচার, অবক্ষয় প্রভৃতির প্রেক্ষাপটে এ নির্বাচনের
আদর্শ-উদ্দেশ্য পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা অপরিহার্য। এ জন্য স্কুলের শিক্ষক,
পরিচালনা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং অভিভাবকদের নিজেদের জীবনে গণতান্ত্রিক
সংস্কৃতির নিত্য চর্চা থাকতে হবে। তাহলে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভোটদান
স্থায়ীভাবে ওদের উজ্জীবিত করবে গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে। তারাই
ভবিষ্যতে দেশের কাণ্ডারি হবে; জাতিকে দেবে নেতৃত্ব। তাই স্কুলজীবনের এই
নির্বাচনের চেতনা ও উপলব্ধি যেন তাদের মাঝে বজায় থাকে, সে দিকে বড়দের লক্ষ
রাখা চাই। তারা হতাশ হবে এবং তাদের এই নির্বাচনী কার্যক্রম লক্ষ্য অর্জনে
ব্যর্থ হবে যদি বড়রা গণতন্ত্রের কথা বলে কাজে করেন উল্টো এবং যদি নির্বাচন
হয়ে দাঁড়ায় ক্ষমতালোভীদের মঞ্চস্থ রাজনৈতিক প্রহসন।
স্কুলের স্টুডেন্টস কাউন্সিল বা ছাত্র পরিষদ নির্বাচনের মূল উদ্দেশ্য : শিশু-কিশোরদের মাঝে গণতন্ত্রের চর্চা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা এবং পরমতসহিষ্ণুতা বা সহনশীলতা সৃষ্টি করা। সেই সাথে, শিক্ষাকার্যক্রমে শিক্ষকদের সহায়তা, শতভাগ শিক্ষার্থীর ভর্তির নিশ্চয়তাবিধান এবং ঝরে পড়া রোধ করা, শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার কাজে সম্পৃক্ত করা, শিখন কার্যক্রমে অভিভাবকদের অংশগ্রহণ, দেশপ্রেম জাগ্রত এবং দায়িত্ববোধ তৈরি করা ইত্যাদিও এ নির্বাচনের উদ্দেশ্য। এসব উদ্দেশ্য কতটা অর্জিত হয়েছে, এ ক্ষেত্রে অনুকূল ও প্রতিকূল ফ্যাক্টর কী কী- এসব নিয়মিত মনিটরিং এবং সে মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। যা হোক, ছোটরা তো গণতন্ত্র চর্চার কাজটা সাধ্যমতো করে দেখিয়েছে। কিন্তু বড়রা কেন এদিক দিয়ে প্রত্যাশার অনেক পেছনে?
স্কুলের স্টুডেন্টস কাউন্সিল বা ছাত্র পরিষদ নির্বাচনের মূল উদ্দেশ্য : শিশু-কিশোরদের মাঝে গণতন্ত্রের চর্চা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা এবং পরমতসহিষ্ণুতা বা সহনশীলতা সৃষ্টি করা। সেই সাথে, শিক্ষাকার্যক্রমে শিক্ষকদের সহায়তা, শতভাগ শিক্ষার্থীর ভর্তির নিশ্চয়তাবিধান এবং ঝরে পড়া রোধ করা, শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার কাজে সম্পৃক্ত করা, শিখন কার্যক্রমে অভিভাবকদের অংশগ্রহণ, দেশপ্রেম জাগ্রত এবং দায়িত্ববোধ তৈরি করা ইত্যাদিও এ নির্বাচনের উদ্দেশ্য। এসব উদ্দেশ্য কতটা অর্জিত হয়েছে, এ ক্ষেত্রে অনুকূল ও প্রতিকূল ফ্যাক্টর কী কী- এসব নিয়মিত মনিটরিং এবং সে মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। যা হোক, ছোটরা তো গণতন্ত্র চর্চার কাজটা সাধ্যমতো করে দেখিয়েছে। কিন্তু বড়রা কেন এদিক দিয়ে প্রত্যাশার অনেক পেছনে?
No comments