সুন্দরবন ও বাংলাদেশের অর্থনীতি by ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ
বঙ্গোপসাগরের
তীরে ও বিশ্বের সেরা গহিন গরান বন (mangrove forest) সুন্দরবনের নীড়ে গড়ে
ওঠা গাঙ্গেয় বদ্বীপ বাংলাদেশ যেন প্রকৃতির এক বিচিত্র বিলাস। তার মাথার ওপর
হিমালয় পর্বত, সাইবেরিয়ার হিমবাহ ঠেকিয়ে চলে অবিরত; পায়ের নিচে বঙ্গোপসাগর
তার ধোয়ায় পা প্রতিনিয়ত। সে কারণেই কর্কটক্রান্তি রেখার ওপর দাঁড়িয়েও চরম
নয় তার আবহাওয়া; নাতিশীতোষ্ণতার, মওসুমি বায়ুর বরমাল্য বরিষণে বাংলা সতত
সবুজ শস্য-শ্যামল। আর তাই দ্বিজেন্দ্রলালের কথাই ঠিক- ‘ধন ধানে পুষ্পে ভরা
আমাদের এই বসুন্ধরা’, তার সাথে এ কথা আরো সঠিক ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে
নাকো তুমি’। বাংলাদেশ আর তার তাবত বাসিন্দাদেরকে ভালোবাসা দিয়ে রানীও
করেছে, আবার ভিখারিও বানিয়েছে প্রকৃতি। তাদেরকে হঠাৎ এমন করে জাগিয়ে দেয়
যে, ‘জ্বলে পুড়ে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়’; আবার হঠাৎ তাদের গহিন ঘুমের
দেশেও পাঠায়। তাদের অবস্থা পদ্মার পলিমাটির মতো ‘পানিতে ভিজে নরম কাদা,
শুকিয়ে গেলে কঠিন খট খটে’। অসম্ভব চাহিদা অথচ অল্পেই তুষ্ট, সময় পেলে
অকর্মণ্য অলসতায় সময় করে পার, ‘আমার বলার কিছু ছিল না’ বলে ফ্যাল ফ্যাল করে
তাকানোয়, অন্যের ওপর দোষ চাপানোয়, আক্ষেপ বেদনা প্রকাশেই প্রাণান্ত; অপর
দিকে সৃজনশীলতায় ধৈর্যের বড়ই অভাব।
সাফল্যকে স্থায়ীকরণে, টেকসইকরণে মনোযোগে
বিভ্রান্তি; আবার ব্যর্থতায় ম্রিয়মান-উজ্জ্বল, বাংলাদেশের ক্রিকেট দল হঠাৎ
যেমন ঝলসে ওঠে। বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলের দৈর্ঘ্য ৭১০ কিলোমিটার, এর মধ্যে
সুন্দরবন ১২৫ কিলোমিটার, নদীর মোহনা ও ছোট-বড় দ্বীপমালা ২৭৫ কিলোমিটার,
সমতল ও সমুদ্রসৈকত ৩১০ কিলোমিটার। টেকনাফের নাফ নদীর মোহনা থেকে সাতক্ষীরা
জেলার সীমান্ত নদী রায়মঙ্গল- কালিন্দী পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম
বিভাগের মোট ১৪টি উপকূলীয় জেলায় বিস্তৃত বাংলাদেশের উপকূলেই দেশের প্রধান
দু’টি সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম ও মংলা এবং নির্মীয়মান পায়রা বন্দর, বিশ্বের
সেরা গহিন গরান বন সুন্দরবন এবং বিশ্বের অন্যতম অখণ্ডিত (unbroken)
সমুদ্রসৈকত বা বেলাভূমি কক্সবাজার অবস্থিত। দেশের শতকরা ২৫ ভাগ মানুষ যেমন
এই উপকূল অঞ্চলে বসবাস করে তেমনি জাতীয় অর্থনীতিতে জিডিপির কমবেশি প্রায়
শতকরা ২৫ ভাগ অবদানও এ অঞ্চলেরই। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে
অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও এ অঞ্চল, এর অবকাঠামো এবং এখানে
বসবাসকারী জনগণের অর্থনৈতিক জীবন নানা দৈব দুর্বিপাক, বৈষম্য, অবহেলা আর
অমনোযোগের শিকার। সাম্প্রতিককালের সর্বশেষ সর্বনাশের সন্দেশ হচ্ছে,
সুন্দরবনের গা ঘেঁষে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পাঁয়তারা। যতই বলা হোক,
এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না, যারা যেভাবে
বলছেন, তারা তো যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবেন না সেই সর্বনাশ ভোগ করতে।
আন্তর্জাতিক নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে ভাটির দেশ ও জাতির সামাজিক অর্থনীতির
হাটঘাট কিভাবে তিলে তিলে পয়মাল করা হচ্ছে, তা দেখার পরও অন্ধত্বের অভিনয় তো
সুন্দরবনের সাথে অসুন্দর ব্যবহারের বিমূর্ত প্রকাশ। ভারত সাগরের
উত্তর-পূর্ব ভাগে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের পশ্চিম উপকূলে ২০.২৫ ও
২৩.২ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৩৫ ও ৯২.২৪ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে বঙ্গোপসাগরের
ভৌগোলিক অবস্থানই এমন যে, কথায় কথায় তার মেজাজ বিগড়ে যায়, মওসুমি সঞ্চরণশীল
মেঘের অবারিত অভিসার যেমন তাকে নাচায়,
তেমনি জাতীয় কবি নজরুলের ক্ষুধিত
বন্ধু সে তৃষিত জলধি যার চিত্ত শত ক্ষুধার উদ্রেক করে, উপকূলবাসীর জীবন
তছনছ করতে তার আনন্দ যেন বেশি। বলা নেই কওয়া নেই, সমুদ্র প্রায় সময় উত্তাল
থাকে। তার মন পবনের ঠিকানা বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর ঠাঁই পায় না। তার এই
পাগলামি সুন্দরবন বরাবরই মাথা পেতে নিয়ে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট,
পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা ও পটুয়াখালীকে শেলটার দিয়ে চলেছে। ১৭৯৭ থেকে শুরু
করে ২০০৯ সালে আইলা পর্যন্ত সময়ের শুমার পর্যালোচনায় দেখা গেছে মোট ৪৭৮
বার মাঝারি ও মোটা দাগের জলোচ্ছ্বাস, গোর্কি, হারিকেন, সিডর, নার্গিসরা
বাংলাদেশের উপকূলকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ১৭৩ বছরে
প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে ৩২৯টি, এসেছে গড়ে ৫-১০ বছর পরপর। কিন্তু
স্বাধীন বাংলাদেশের ১৪৯টি ঝড় বা জলোচ্ছ্বাস ঘটেছে ঘন ঘন। মাত্র এক বছরের
ব্যবধানে সর্বশেষ সিডর আর আইলার আঘাতে সুন্দরবনও পর্যুদস্ত হয়েছে।
প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চল প্রকৃতির বিরূপ আচরণের
প্রথম ও প্রত্যক্ষ শিকার সব সময়েই। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে উপকূলীয় অঞ্চলের
অর্থনীতির সুরতহাল রিপোর্ট পর্যালোচনা করলে এটি প্রতিভাত হয়ে ওঠে যে, জাতীয়
অর্থনীতির আন্তসলিলা শক্তির উদ্বোধন যার হাতে, সেই সুন্দরবন বেদনায় সবচেয়ে
বিবর্ণ। বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরো অর্থনীতির অনেক প্রবণতার সূচক
সন্ধানে কালাতিপাত করে, কিন্তু উপকূলীয় জেলা নিচয়ের আর্থসামাজিক
চালচিত্রের, খানাপুরী থেকে শুরু করে ভূমি বণ্টন ব্যবস্থা, চাষাবাদের
হাল-হকিকত, প্রাণিসম্পদের সালতামামিসহ অনেক কিছুরই বাস্তবতার ব্যাখ্যা
তাদের কাছে নেই। উপকূলীয় অঞ্চলের অর্থনীতি যেন শুধু দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের
মাথাব্যথা সূত্রে সমুপস্থিত; শুধু আকালের দিনে নাকালের মোহনায় এবং একমাত্র
মিডিয়ায়। নদীর অববাহিকাই মানব সভ্যতার সূতিকাগার, কৃষিই প্রাচীনতম জীবিকা
আর সবুজ-শ্যামল প্রান্তরে প্রাণিসম্পদের সমারোহই জীবনায়নের স্পন্দন।
বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চল এসব সত্য ও সম্ভারে সমৃদ্ধ, তা তো চর্যাপদের পাতা
থেকেও জানা যায়। সমুদ্র ও নদীমেখলা প্রকৃতি আর সবুজ-শ্যামল পরিবেশের
সংমিশ্রণে উপকূল অঞ্চল গোটা দেশের, সমাজের, অর্থনীতির জন্য অনিবার্য
অবকাঠামো শুধু নয়; উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সার্বিক ভারসাম্য রক্ষার জন্যও জরুরি।
এটি সুপ্রাচীন কাল থেকে, ইতিহাসের পথ ধরে এ সত্য সতত সব ভূগোলে স্বীকৃত
থাকলেও প্রাচীন এই জনপদে তা যেন সব সময় নতুন করে মনে করিয়ে দিতে হয়, যখন
পালা করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে সবাই। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে
পড়ে, তাপমাত্রার পরিবর্তনপ্রসূত তারতম্য সূত্রে সমুদ্রের তলদেশ স্ফীত হয়ে
ওঠার ফলে পরিবেশ ভারসাম্যহীনতার যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে চলেছে
বিশ্বের প্রায় সব সমুদ্র উপকূল বেষ্টনীতে, বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী বাংলাদেশের
জন্য তা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা-এর অশনি সঙ্কেত দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের
নিম্নাঞ্চল, বিশেষ করে অদূরবর্তী দ্বীপাঞ্চল সামান্য জলোচ্ছ্বাসের
ছুতানাতাতেই তলিয়ে যাচ্ছে, তা উদ্ধারে কোনো কার্যক্রম সফল হচ্ছে না।
সুন্দরবনের প্রাণীবৈচিত্র্য বিপন্ন হতে চলেছে এর প্রভাবে। বাংলাদেশের
উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতির জন্য তা দুঃসংবাদ বৈকি। বিদ্যুতের
প্রয়োজনীয়তার অনস্বীকার্য বিষয়কে বিতর্কিত করতে নয়, cause আর effect এর
কচলা কচলিতে আখেরে দেশ ও অর্থনীতির উন্নয়ন রূপকল্প ব্যর্থতার বিবরে যাতে
চলে না যায়, সে দিকে সবার সজাগ সজ্ঞান দৃষ্টিক্ষেপ বাঞ্ছনীয়। সেখানেও
সুন্দরবন আছে। বলা হয়েছে, সেখানে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বসানোয় বাধা এসেছে
সেখানকার উচ্চ সালিশালয় থেকে, অথচ এখানে নিষ্পত্তি নেই নানান আবেদন
নিবেদনের, অন্যের স্বার্থে আত্মস্বার্থ জলাঞ্জলি দেয়ার আয়াস আয়োজনের,
দাবিদাওয়া উপেক্ষার আস্ফালনের। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি
গুণগত ও কার্যকারণগত পরিবর্তন সময়ের প্রেক্ষাপটে স্পষ্ট হয়ে উঠছে; ওপরের
সারণি পর্যালোচনায় তা বোঝা যায়। স্বাধীনতা লাভের পাঁচ দশকের মাথায় এসে
দেশের সমাজ ও অর্থনীতিতে যত পরিবর্তন তথা সাফল্যজনিত সূচক শনাক্ত করা সম্ভব
হয়েছে তার মধ্যে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জন অন্যতম। ১৯৭১ সালে মহান
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে দেশের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি। সেই সময়
চাষাবাদযোগ্য ২৫৫ লাখ একর জমিতে ১০০ লাখ টন ধান উৎপাদিত হতো, ২০০৮ সালে
জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৪০ লাখে দাঁড়ালেও এ সময় ২৬১ লাখ একর জমিতে ধান উৎপাদিত
হয়েছে ২৯০ লাখ মেট্রিক টন অর্থাৎ প্রায় তিন গুণ। দ্বিগুণ বর্ধিত জনসংখ্যার
জন্য তিন গুণ বর্ধিত পরিমাণে খাদ্যশস্য উৎপাদন নিঃসন্দেহে খাদ্যে
স্বয়ম্ভরতা অর্জনের ক্ষেত্রে একটি বিরাট অগ্রগতি বা সাফল্য। ১৯৭০ থেকে ২০০৮
সময়ে বাজেটে ক্রমান্বয়ে কৃষি খাতের জন্য বরাদ্দের হিস্যা যথেষ্ট হ্রাস (১৯
শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ!) পাওয়া সত্ত্বেও এ প্রবৃদ্ধি একটি নীরব বিপ্লবের
সাক্ষ্য বহন করে। এর অগ্রসাধক হলো দেশের কৃষক সমাজ। এই প্রেক্ষাপটে উপকূলীয়
অঞ্চলে কৃষি অর্থনীতির অবদান তুলনামূলকভাবে নিম্নমুখী। উপকূলীয় অঞ্চলের
কৃষিখাত প্রধানত শস্য ও অশস্য-এ দু’ভাগে বিভক্ত। প্রথমত, বারবার প্রাকৃতিক
দুর্যোগকবলিত হওয়ায় খাদ্যশস্য উৎপাদন তুলনামূলকভাবে এ ক্ষেত্রে বৃদ্ধি
পায়নি। একটি পরিশীলিত সমীক্ষা-গবেষণা পর্যালোচনায় দেখা যায়,
১৯৮৪ থেকে ১৯৯৭
সালের মধবর্তী মাত্র ১৩ বছরে জাতীয় পর্যায়ে যেখানে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ
শস্য (খাদ্য ও অর্থকরী ফসল) উৎপাদিত হয়েছে, সেখানে উপকূলীয় অঞ্চলে একই সময়ে
শস্য উৎপাদন কমেছে। উজান থেকে পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় পানিতে লবণাক্ততা
বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানে চাষাবাদযোগ্য জমি ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেলেও চাষাবাদ
পদ্ধতি প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েও কাঙ্ক্ষিত ফল ততটা
আসেনি, যতটা অশস্য অর্থকরী খাতে অর্থাৎ মৎস্য চাষসহ প্রাণিসম্পদ চাষ ও
বিকল্প পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে এসেছে। অশস্য খাতে আপাত ব্যাপক সাফল্যের ফলে
কৃষি থেকে গড়পড়তায় জিডিপিতে এখনো সমানুপাতিকহারে অবদান (২৫ শতাংশ থেকে ২৩
শতাংশ) রেখে চলেছে এ অঞ্চল। অশস্য খাতের এ সাফল্য টেকসই করা যেমন প্রয়োজন,
একই সাথে শস্য উৎপাদনে, জমির সঠিক ব্যবহারে, উপায় উপাদান সরবরাহে, চাষ
পদ্ধতিতে আধুনিক প্রযুক্তির সমাবেশ ঘটানো এবং এমনকি ভূমি প্রশাসনেও সংস্কার
আবশ্যক। মোদ্দা কথা, সময়ের প্রেক্ষাপটে উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে
যে পরিবর্তন সূচিত হচ্ছে, তার গতি-প্রকৃতি বিচার-বিশ্লেষণ জরুরি হয়ে
দাঁড়িয়েছে। এ জন্য যে, এটাকে যথাসময়ে যথাপ্রযত্ন দেয়া সম্ভব না হলে,
উষ্ণায়নের প্রভাবক ক্ষয়ক্ষতিকে যথা নিয়ন্ত্রণ ও মোকাবেলা করা সম্ভব না হলে
সমূহ সম্ভাবনাময় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের অবদান থেকে অদূরভবিষ্যতে জাতীয়
অর্থনীতি শুধু বঞ্চিতই হবে না, সময়ের ব্যবধানে জলবায়ুর পরিবর্তন প্রভাবে
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এটি গোটা দেশ ও অর্থনীতির জন্য দুর্ভাবনা-দুর্গতির
কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে। দেশের প্রধান দু’টি সামুদ্রিক বন্দর, প্রাকৃতিক
সম্পদের স্বর্গ সুন্দরবন এবং পর্যটন সম্ভাবনাসমৃদ্ধ কক্সবাজারকে কার্যকর
অবস্থায় পাওয়া জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন অভিযাত্রার জন্য যে কত জরুরি, তা তো
বলার অপেক্ষা রাখে না। সিডর ও আইলায় সুন্দরবন ও সংলগ্ন এলাকার মানুষ ও
অন্যান্য প্রাণি সম্পদের ওপর যে দুর্বিষহ ও নেতিবাচক প্রভাব প্রতিক্রিয়া
লক্ষ করা যায়, তাতে উপকূলীয় কৃষি অর্থনীতি নিয়ে নতুন করে ভেবে দেখা প্রয়োজন
দেখা দিয়েছে।
লেখক : সরকারের সাবেক সচিব এবং এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান
লেখক : সরকারের সাবেক সচিব এবং এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান
No comments