অচল আমেরিকা অনড় ট্রাম্প
হোয়াইট
হাউসের বিবৃতি আর নিজের ট্যুইটার পোস্ট দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট
জানিয়ে দিয়েছেন, অচলাবস্থা কাটাতে ডেমোক্র্যাট সেনেটরদের সঙ্গে সমঝোতা
হওয়ার আগে অভিবাসন প্রশ্নে কোনো আলোচনা করবে না রিপাবলিকানরা। তবে ইতিমধ্যে
সমঝোতার উদ্যোগ নিয়ে ১৮ জন সিনেটরের একটি দল রিপাবলিকান সিনেটর সুসান
কলিনসের কাছে গেছেন। অভিবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনার মধ্য দিয়ে
অচলাবস্থা নিরসনের প্রস্তাব দিয়েছেন তারা। কলিনস তাদের কোনও আশার কথা
শোনাতে পারেননি। হাউস স্পিকার পল রায়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন ট্রাম্প। বেশ
কয়েকবার বৈঠক করেছেন সিনেটর মিচ ম্যাককনেলের সঙ্গেও। তার উদ্দেশ্য ছিল
কীভাবে এই সংকটের সমাধান করা যায়। তবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারা
স্যান্ডার্স বলেছেন, শাটডাউন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত কোনো আলোচনায় অংশ
নেবেন না ট্রাম্প। ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাজেট বাড়ানো সংক্রান্ত একটি বিলে
সেনেটররা একমত হতে না পারায় শনিবার স্থগিত হয়ে যায় আমেরিকার সরকারি
কাজকর্ম।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষণ থেকে দেখা গেছে,
বাজেট নিয়ে সিনেটরদের ভাগ হয়ে যাওয়ার মূল কারণ অভিবাসন-নীতিতে আমেরিকা
সরকারের প্রস্তাবিত পরিবর্তন। আমেরিকায় অবৈধ তরুণ অভিবাসীদের সামাজিক
সুরক্ষায় ওবামা ঘোষিত ‘ড্রিমার কর্মসূচি’ পরিচালনায় বরাদ্দ অর্থ নিয়ে দুই
ভাগে ভাগ হয় সিনেট। ওই কর্মসূচির আওতায় যে সাত লক্ষ তরুণ-তরুণী সাময়িকভাবে
আমেরিকায় থাকার অনুমতি পেয়েছে, তাদের ব্যাপারে কোনো স্থায়ী সমাধানকে
সমঝোতার শর্ত হিসেবে তুলে ধরে ডেমোক্র্যাটরা। অন্যদিকে রিপাবলিকান
প্রতিনিধিরা পুরো বিষয়টিকে সাময়িক সমাধান হিসেবে দেখতেই আগ্রহী। এ নিয়ে
রিপাবলিকানদের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় শেষপর্যন্ত বাজেটের সমঝোতা প্রস্তাব
পাশের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম ৬০ ভোটও মেলেনি। হোয়াইট হাউসের সর্বশেষ
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অচলাবস্থা নিরসনের চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার আগে অভিবাসী
ইস্যুতে সমঝোতা করতে নারাজ ট্রাম্প।’ নিজের ট্যুইটার পোস্টেও ’আমেরিকা
ফাস্ট’ লিখে অভিবাসীদের বিষয়ে কঠোর মনোভাবের আভাস দিয়েছেন তিনি। আরো এক
ট্যুইটার পোস্টে লিখেছেন, ডেমোক্র্যাটদের অভিবাসী প্রীতির কাছে তাদের
সেনাবাহিনী অপহৃত হয়ে আছে। ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর জো মানচিন মার্কিন
সংবাদমাধ্যম ব্লমবার্গকে বলেন, রিপবালিকান সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম ও
ডেমোক্র্যাট ডিক ডারবিনের অভিবাসন প্রস্তাবই আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল।
মানচিন বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি দু’পক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান
বের করতে চাই। আর অভিবাসন ইস্যু অবশ্যই থাকবে।’
No comments