‘বিপজ্জনক অবস্থায় ফিরতে চায় না রোহিঙ্গারা’
রোহিঙ্গাদের
ফেরত পাঠানোর আগে রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন ঢাকায়
নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিক ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। গতকাল
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তারা এ তাগিদ দেন। ব্রিফিংয়ে
পূর্ব-পশ্চিম, দূর ও কাছের বিভিন্ন সব রাষ্ট্র ও সংস্থার জ্যেষ্ঠ
প্রতিনিধিরা প্রায় অভিন্ন সুরেই বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা তাদের নিজ ভূমে ফিরে যাক, এটাই দেখতে চায় বিশ্ব।
কিন্তু তাদের ফেরানোর আগে অবশ্যই রাখাইনকে রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য নিরাপদ
করতে হবে। তাদের প্রত্যাবাসনটি হতে হবে টেকসই। আর এটি করতে হলে অবশ্যই
আগ্রহী রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে ফেরত পাঠাতে হবে।
কোনো অবস্থাতেই জোর করা যাবে না। নির্যাতিতদের ফের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ঠেলে দেয়া ঠিক হবে না মন্তব্য করে পশ্চিমা দূতরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, তারা নিজেরাও অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। অনেকেই ফিরতে আগ্রহী, কিন্তু তারা কোনো বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ফিরতে চায় না। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট সই হওয়ার প্রেক্ষাপটে ঢাকায় থাকা জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রধানদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দুই পর্বে কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। সেখানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও সচিব শহীদুল হকসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মূলত রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়কে আরো ঘনিষ্ঠভাবে পাশে পেতে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। শুরুতে পশ্চিমা দেশ, জোট ও সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি ছাড়াও ভারত, চীন, জাপান, কেরিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশের মিশন প্রধানদের ব্রিফ করেন মন্ত্রী। ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় তাদের প্রশ্ন এবং উদ্বেগের কথাগুলো সরকারের বিবেচনায় উপস্থাপন করেন। মন্ত্রী তাদের জিজ্ঞাসার জবাব এবং উদ্বেগ নিরসনে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন। পরে ওআইসি জোটের সদস্যদের ব্রিফ করেন মন্ত্রী। সেখানে প্যালেস্টাইনের দূত দৈনিক ৩০০ জনকে ফেরত পাঠানোর চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এ সংখ্যা না বাড়ালে প্রত্যাবাসন শেষ হতে এক থেকে দেড় যুগ লেগে যাবে! মন্ত্রী অবশ্য তার জবাবে প্রত্যাবাসন শুরুর ওপর জোর দেন। বলেন, আগে শুরু হোক। বাকিটা পরে দেখা যাবে। ব্রিফিং সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে উৎসাহিত করতে জোর দেন কূটনীতিকরা। তারা বলেছেন, বাস্তুচ্যুতরা যেন রাখাইনে ফিরতে নিরাপদ বোধ করে, আস্থা ও ভরসা পায়- এমন পরিবেশ মিয়ানমারকেই নিশ্চিত করতে হবে। ব্রিফিংয়ে অংশ নেয়া দূত ও উন্নয়ন সংস্থার প্রায় সব প্রতিনিধিই তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন। ব্রিফিং শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, এ প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে যুক্ত করা হবে। তাদের সঙ্গে এ নিয়ে একটি চুক্তি সই করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সহায়তা নেবে। তবে তারা জাতিসংঘকে নয়, রেডক্রসকে যুক্ত করতে নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। বৈঠক শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া নিরাপদ ও টেকসই করতে রাখাইন রাজ্যে প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বলেন, এ জন্য সেখানে টেকসই উন্নয়ন দরকার। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া প্রক্রিয়ায় নিজেদের সমর্থন বজায় রাখার নিশ্চয়তাও দেন ভারতীয় দূত। বৃটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেকও বলেন, তাদের ফিরে যাওয়ার বিষয়টি অবশ্যই টেকসই হতে হবে। আর এ জন্য তা ‘নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও সম্মানের’ সঙ্গে তাদের ফেরাতে হবে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটও রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্ব দেন। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বাংলাদেশকে মার্কিন সমর্থনের বিষয়টিও নিশ্চিত করেন তিনি।
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের সহায়তা নেবে সরকার: এদিকে ব্রিফিং শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের সহায়তা নেবে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে এ নিয়ে শিগগিরই চুক্তি করবে সরকার। মন্ত্রী বলেন, চুক্তির একটি খসড়া নিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। চুক্তি সই হলে তারা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবে।’ কূটনৈতিক সূত্র বলছে, জাতিসংঘের পরামর্শেই শেষ পর্যন্ত ইউএনএইচসিআরকে প্রত্যাবসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ফেরানোর আগে তাদের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি ফরম রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি চূড়ান্ত হয়েছে। একটি পরিবারকে একটি ইউনিট হিসেবে গণ্য করা হবে। এ নিয়ে ফের তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে বলেও জানান মন্ত্রী। তবে ২৩শে নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সই হওয়া দ্বিপক্ষীয় অ্যারেঞ্জমেন্টের দুই মাসের মধ্যে অর্থাৎ ২৩শে জানুয়ারির মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আগামীকাল সেই ডেটলাইন মতে প্রত্যাবাসন শুরুর কথা জানিয়েছে মিয়ানমার। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। কাজও অনেক দূর এগিয়েছে। তবে কবে রোহিঙ্গারা যাওয়া শুরু করবে এ নিয়ে আমি কোনো দিনক্ষণ বলা ঠিক হবে না। আমরা কাজ করছি। দেখা যাক কি হয়। এ নিয়ে যা কাজ হয়েছে আমি আমাদের বিদেশি কূটনীতিকদের সবই বলেছি। মন্ত্রী আরো বলেন, যেসব রোহিঙ্গার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, সেসব ঘরবাড়ি তৈরি করতে সহায়তা দিচ্ছে ভারত, চীন ও জাপান। মিয়ানমারের সঙ্গে তারা কাজ করতে সম্মত হয়েছে। আমরা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার জন্য প্রস্তাব করেছি। আমরা চাই, মিয়ানমারের প্রতিবেশী পাঁচটি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা রাখাইন রাজ্য সফর করুন। তারা আগেও সফর করেছেন। প্রত্যাবাসন শুরু হলে আমিও সেখানে যাবো। উল্লেখ্য, গত ২৫শে আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। আর গত বছরের অক্টোবর থেকে জুলাই পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসে প্রায় ৯০ হাজার রোহিঙ্গা। এর আগে থেকে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল।
কোনো অবস্থাতেই জোর করা যাবে না। নির্যাতিতদের ফের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ঠেলে দেয়া ঠিক হবে না মন্তব্য করে পশ্চিমা দূতরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, তারা নিজেরাও অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। অনেকেই ফিরতে আগ্রহী, কিন্তু তারা কোনো বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ফিরতে চায় না। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট সই হওয়ার প্রেক্ষাপটে ঢাকায় থাকা জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রধানদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দুই পর্বে কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। সেখানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও সচিব শহীদুল হকসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মূলত রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়কে আরো ঘনিষ্ঠভাবে পাশে পেতে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। শুরুতে পশ্চিমা দেশ, জোট ও সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি ছাড়াও ভারত, চীন, জাপান, কেরিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশের মিশন প্রধানদের ব্রিফ করেন মন্ত্রী। ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় তাদের প্রশ্ন এবং উদ্বেগের কথাগুলো সরকারের বিবেচনায় উপস্থাপন করেন। মন্ত্রী তাদের জিজ্ঞাসার জবাব এবং উদ্বেগ নিরসনে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন। পরে ওআইসি জোটের সদস্যদের ব্রিফ করেন মন্ত্রী। সেখানে প্যালেস্টাইনের দূত দৈনিক ৩০০ জনকে ফেরত পাঠানোর চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এ সংখ্যা না বাড়ালে প্রত্যাবাসন শেষ হতে এক থেকে দেড় যুগ লেগে যাবে! মন্ত্রী অবশ্য তার জবাবে প্রত্যাবাসন শুরুর ওপর জোর দেন। বলেন, আগে শুরু হোক। বাকিটা পরে দেখা যাবে। ব্রিফিং সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে উৎসাহিত করতে জোর দেন কূটনীতিকরা। তারা বলেছেন, বাস্তুচ্যুতরা যেন রাখাইনে ফিরতে নিরাপদ বোধ করে, আস্থা ও ভরসা পায়- এমন পরিবেশ মিয়ানমারকেই নিশ্চিত করতে হবে। ব্রিফিংয়ে অংশ নেয়া দূত ও উন্নয়ন সংস্থার প্রায় সব প্রতিনিধিই তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন। ব্রিফিং শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, এ প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে যুক্ত করা হবে। তাদের সঙ্গে এ নিয়ে একটি চুক্তি সই করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সহায়তা নেবে। তবে তারা জাতিসংঘকে নয়, রেডক্রসকে যুক্ত করতে নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। বৈঠক শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া নিরাপদ ও টেকসই করতে রাখাইন রাজ্যে প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বলেন, এ জন্য সেখানে টেকসই উন্নয়ন দরকার। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া প্রক্রিয়ায় নিজেদের সমর্থন বজায় রাখার নিশ্চয়তাও দেন ভারতীয় দূত। বৃটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেকও বলেন, তাদের ফিরে যাওয়ার বিষয়টি অবশ্যই টেকসই হতে হবে। আর এ জন্য তা ‘নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও সম্মানের’ সঙ্গে তাদের ফেরাতে হবে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটও রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্ব দেন। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বাংলাদেশকে মার্কিন সমর্থনের বিষয়টিও নিশ্চিত করেন তিনি।
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের সহায়তা নেবে সরকার: এদিকে ব্রিফিং শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের সহায়তা নেবে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে এ নিয়ে শিগগিরই চুক্তি করবে সরকার। মন্ত্রী বলেন, চুক্তির একটি খসড়া নিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। চুক্তি সই হলে তারা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবে।’ কূটনৈতিক সূত্র বলছে, জাতিসংঘের পরামর্শেই শেষ পর্যন্ত ইউএনএইচসিআরকে প্রত্যাবসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ফেরানোর আগে তাদের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি ফরম রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি চূড়ান্ত হয়েছে। একটি পরিবারকে একটি ইউনিট হিসেবে গণ্য করা হবে। এ নিয়ে ফের তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে বলেও জানান মন্ত্রী। তবে ২৩শে নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সই হওয়া দ্বিপক্ষীয় অ্যারেঞ্জমেন্টের দুই মাসের মধ্যে অর্থাৎ ২৩শে জানুয়ারির মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আগামীকাল সেই ডেটলাইন মতে প্রত্যাবাসন শুরুর কথা জানিয়েছে মিয়ানমার। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। কাজও অনেক দূর এগিয়েছে। তবে কবে রোহিঙ্গারা যাওয়া শুরু করবে এ নিয়ে আমি কোনো দিনক্ষণ বলা ঠিক হবে না। আমরা কাজ করছি। দেখা যাক কি হয়। এ নিয়ে যা কাজ হয়েছে আমি আমাদের বিদেশি কূটনীতিকদের সবই বলেছি। মন্ত্রী আরো বলেন, যেসব রোহিঙ্গার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, সেসব ঘরবাড়ি তৈরি করতে সহায়তা দিচ্ছে ভারত, চীন ও জাপান। মিয়ানমারের সঙ্গে তারা কাজ করতে সম্মত হয়েছে। আমরা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার জন্য প্রস্তাব করেছি। আমরা চাই, মিয়ানমারের প্রতিবেশী পাঁচটি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা রাখাইন রাজ্য সফর করুন। তারা আগেও সফর করেছেন। প্রত্যাবাসন শুরু হলে আমিও সেখানে যাবো। উল্লেখ্য, গত ২৫শে আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। আর গত বছরের অক্টোবর থেকে জুলাই পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসে প্রায় ৯০ হাজার রোহিঙ্গা। এর আগে থেকে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল।
No comments