৮৫ বছরের বৃদ্ধের কান্ড!
১১ জুলাই ২০১৭ সকাল সাড়ে এগারটা। রামপুরা থানায় ফোন আসল ১৯৯/এ, উলন রোডস্থ ৪ তলার বাসার নীচ তলায় পরপর ৫/৬ টি গুলির ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য রামপুরা থানার ওসি, তদন্ত ও টহল টিমসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। জানতে পারেন, উক্ত বাসার মালিক হাজী এসএম আব্দুর রহমান (৮৫) তাহার লাইসেন্সকৃত রিভালবার থেকে ৫/৬ রাউন্ড ফায়ার করেছেন। তার পরিচয় তিনি এয়ার ফোর্সের অবসর প্রাপ্ত সদস্য।
ফায়ার করা একটি গুলি বাসার নীচ তলার পশ্চিম পাশে তারই ভাড়াটিয়া দ্বীপ দিপ্তি লন্ড্রী এন্ড সেলুনের মালিক নারায়ণ চন্দ্র দাস (৪৭) এর ডান কাঁধের পিছনের চামড়ায় লেগে সামান্য জখম করে।
তাৎক্ষণিকভাবে থানা পুলিশ, তার স্ত্রী ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনসহ তাকে বিভিন্ন কৌশলে বাইরে আসার জন্য অনুরোধ করলে তিনি দরজা বরাবর আরও ১ রাউন্ড গুলি করেন। যা দরজা ভেদ করে তার স্ত্রীর গলার পাশ দিয়ে লেগে সামান্য জখম হয়।এরপর পুলিশসহ অন্যান্যরা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখে। পরবর্তী সময়ে ডিএমপি’র মতিঝিল বিভাগের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে এসে পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন।
আত্মীয়রা বলেন, তার তিন কন্যার মধ্যে রত্না ও ছবি আমেরিকাতে এবং রুবি ইংলান্ডে বসবাস করে। ২ ছেলের মধ্যে ১ জন শাহীন বাংলাদেশে লাইট ফ্রিজের ব্যবসা করে এবং মাসুদ অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী।
তার স্ত্রী বাসার ৩য় তলায় থাকেন এবং তিনি অনুমান ১ মাস যাবৎ একাকী নিচ তলার একটি কক্ষে থাকেন। সম্প্রতি তার আচরণে পরিবর্তন হয়েছে। সে তার স্ত্রী সন্তানকে সহ্য করতে পারছিলেন না। সে যা ইচ্ছা তাই করত। গত কিছু দিন পূর্বে সে বাসায় উকিল ডেকে উক্ত বাড়িটি তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু তার স্ত্রী দলিলে সই না করায় সে তাহার স্ত্রীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
খবর নিয়ে আরো জানা গেল, তিনি দোকানদার নারায়ণ এর কাছ থেকে প্রতিদিন এক হাজার টাকা নিয়ে নিজের ইচ্ছা মত খাওয়া দাওয়া করত। ডায়াবেটিক রোগ থাকা সত্ত্বেও তার খাওয়ার কোন লিমিট ছিলনা। ঘটনার দিন সকাল বেলা সে নারায়ন এর কাছে ফোন করে এক হাজার টাকা চায়। নারায়ণ জানায় যে, দোকান খোলার পর টাকা দিবে। চাহিবা মাত্র টাকা না পেয়ে সে নিজের কক্ষের মধ্যে ঢুকে তার লাইসেন্স করা রিভলবার দিয়ে রুমের ভিতরেই এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে।
তার মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুলিশ উদ্ধার অভিযান থেকে বিরত থাকে এবং তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। এভাবেই কেটে গেল একটা দিন।অতঃপর পরের দিন ১২ জুলাই, ১৭ বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটায় তিনি হাতে ধারালো দা নিয়ে দরজায় কোপাতে শুরু করেন এবং চিৎকার করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি কিছুটা ক্লান্ত হয়ে ধারালো দা হাতে চেয়ারে বসে থাকলে পুলিশ রুমের পশ্চিম পাশের ফ্লাইউড আচমকা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে জাপটে ধরে তার হাত থেকে দা কেড়ে নেয় এবং তার সাথে থাকা রিভলবার টি হেফাজতে নেয়।
তার রিভলবার টি চেক করে দেখা যায় যে, রিভলবারে থাকা সবকয়টি গুলিই ফায়ার করা হয়ে গিয়েছে। তার সাথে থাকা ব্যাগের ভিতর ৩৩ টি রিভলবারের গুলির খোসা পাওয়া যায়। উক্ত মোঃ আব্দুর রহমান কে সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহতদেরও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে রামপুরা থানা পুলিশ।
আঁচমকা ৮৫ বছরের বৃদ্ধের এমন কর্মকান্ডের ব্যাখ্যা মেলেনি এখন পর্যন্ত।
সুত্রঃ ডিএমপি নিউজ
ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য রামপুরা থানার ওসি, তদন্ত ও টহল টিমসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। জানতে পারেন, উক্ত বাসার মালিক হাজী এসএম আব্দুর রহমান (৮৫) তাহার লাইসেন্সকৃত রিভালবার থেকে ৫/৬ রাউন্ড ফায়ার করেছেন। তার পরিচয় তিনি এয়ার ফোর্সের অবসর প্রাপ্ত সদস্য।
ফায়ার করা একটি গুলি বাসার নীচ তলার পশ্চিম পাশে তারই ভাড়াটিয়া দ্বীপ দিপ্তি লন্ড্রী এন্ড সেলুনের মালিক নারায়ণ চন্দ্র দাস (৪৭) এর ডান কাঁধের পিছনের চামড়ায় লেগে সামান্য জখম করে।
তাৎক্ষণিকভাবে থানা পুলিশ, তার স্ত্রী ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনসহ তাকে বিভিন্ন কৌশলে বাইরে আসার জন্য অনুরোধ করলে তিনি দরজা বরাবর আরও ১ রাউন্ড গুলি করেন। যা দরজা ভেদ করে তার স্ত্রীর গলার পাশ দিয়ে লেগে সামান্য জখম হয়।এরপর পুলিশসহ অন্যান্যরা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখে। পরবর্তী সময়ে ডিএমপি’র মতিঝিল বিভাগের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে এসে পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন।
আত্মীয়রা বলেন, তার তিন কন্যার মধ্যে রত্না ও ছবি আমেরিকাতে এবং রুবি ইংলান্ডে বসবাস করে। ২ ছেলের মধ্যে ১ জন শাহীন বাংলাদেশে লাইট ফ্রিজের ব্যবসা করে এবং মাসুদ অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী।
তার স্ত্রী বাসার ৩য় তলায় থাকেন এবং তিনি অনুমান ১ মাস যাবৎ একাকী নিচ তলার একটি কক্ষে থাকেন। সম্প্রতি তার আচরণে পরিবর্তন হয়েছে। সে তার স্ত্রী সন্তানকে সহ্য করতে পারছিলেন না। সে যা ইচ্ছা তাই করত। গত কিছু দিন পূর্বে সে বাসায় উকিল ডেকে উক্ত বাড়িটি তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু তার স্ত্রী দলিলে সই না করায় সে তাহার স্ত্রীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
খবর নিয়ে আরো জানা গেল, তিনি দোকানদার নারায়ণ এর কাছ থেকে প্রতিদিন এক হাজার টাকা নিয়ে নিজের ইচ্ছা মত খাওয়া দাওয়া করত। ডায়াবেটিক রোগ থাকা সত্ত্বেও তার খাওয়ার কোন লিমিট ছিলনা। ঘটনার দিন সকাল বেলা সে নারায়ন এর কাছে ফোন করে এক হাজার টাকা চায়। নারায়ণ জানায় যে, দোকান খোলার পর টাকা দিবে। চাহিবা মাত্র টাকা না পেয়ে সে নিজের কক্ষের মধ্যে ঢুকে তার লাইসেন্স করা রিভলবার দিয়ে রুমের ভিতরেই এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে।
তার মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুলিশ উদ্ধার অভিযান থেকে বিরত থাকে এবং তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। এভাবেই কেটে গেল একটা দিন।অতঃপর পরের দিন ১২ জুলাই, ১৭ বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটায় তিনি হাতে ধারালো দা নিয়ে দরজায় কোপাতে শুরু করেন এবং চিৎকার করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি কিছুটা ক্লান্ত হয়ে ধারালো দা হাতে চেয়ারে বসে থাকলে পুলিশ রুমের পশ্চিম পাশের ফ্লাইউড আচমকা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে জাপটে ধরে তার হাত থেকে দা কেড়ে নেয় এবং তার সাথে থাকা রিভলবার টি হেফাজতে নেয়।
তার রিভলবার টি চেক করে দেখা যায় যে, রিভলবারে থাকা সবকয়টি গুলিই ফায়ার করা হয়ে গিয়েছে। তার সাথে থাকা ব্যাগের ভিতর ৩৩ টি রিভলবারের গুলির খোসা পাওয়া যায়। উক্ত মোঃ আব্দুর রহমান কে সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহতদেরও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে রামপুরা থানা পুলিশ।
আঁচমকা ৮৫ বছরের বৃদ্ধের এমন কর্মকান্ডের ব্যাখ্যা মেলেনি এখন পর্যন্ত।
সুত্রঃ ডিএমপি নিউজ
No comments