শিক্ষক যখন যৌন নিপীড়ক
শিক্ষক
বা শিক্ষিকারা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। তাদেরকে দেখা হয় শিক্ষার্থীদের
অভিভাবক হিসেবে। তারা শিক্ষার্থীদের দেন সঠিক দিকনির্দেশনা। কিন্তু তাদের
কেউ কেউ যখন শিক্ষার্থীর জন্য হয়ে ওঠেন হায়েনার মতো তখন সংশ্লিষ্ট ওই
শিক্ষক বা শিক্ষিকা সম্মানের জায়গাটি হারিয়ে ফেলেন। মানুষ তখন তাকে সম্মান
করার পরিবর্তে ঘৃণা করে। এমনই এক পাশবিকতা জেগে উঠেছিল স্কটল্যান্ডের এক
শিক্ষক জর্জ ফিশারের মধ্যে। সে এক ছাত্রীকে বেশি নম্বর দিয়ে প্রলুব্ধ
করেছে। এরপর তার ধীরে ধীনে তার দিকে অগ্রসর হয়ে তার কুমারিত্ব হরণ করেছে।
তাও আবার স্কুল চত্বরে। জর্জ ফিশার বিবাহিত। অনলাইন ডেইলি মিরর এ খবর
দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এক ছাত্রীর বয়স যখন ১২ বছর তখনই তার দিকে চোখ পড়ে
জর্জ ফিশারের। সে তাকে বেশি নম্বর দিয়ে আকৃষ্ট করা শুরু করে। এভাবে তার
সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে একসময় তার ভিতরের পিশাচটি বেরিয়ে আসে। ওই ছাত্রীকে
তার শিকারে পরিণত করে। শয্যাসঙ্গী করে তার সম্ভ্রম লুট করে। ওই ছাত্রীর
পিতামাতা যখন কর্মক্ষেত্রে ছুটে যেতেন তখনই জর্জ ফিশার তার বাড়িতে গিয়ে
হাজির হতো। সেখানে অবাধে ওই ছাত্রীর সঙ্গে মেলামেশা করেছে সে। এ কথা সে
স্বীকার করেছে জেনারেল টিচিং কাউন্সিলের কাছে। এ বিষয়ে যৌন অপরাধের একটি
অভিযোগ নিবন্ধিত হয়েছে ৩১ শে জানুয়ারি। তবে রিপোর্টটি বিলম্বে প্রকাশ হয়েছে
মঙ্গলবার। এতে বলা হয়েছে, এ অপরাধের জন্য ওই শিক্ষককে ৮ মাসের জেল দিয়েছে
কিলমারনোক শেরিফ কোর্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই ছাত্রীর বয়স যখন মাত্র ১২
বছর তখনই তার সঙ্গে মোবাইল নম্বর বিনিময় করে জর্জ ফিশার। ছাত্রীটির বয়স ১৬
হলে তাদের সম্পর্ক মারাত্মক আকার ধারণ করে। এ সময় জর্জ ফিশার ওই ছাত্রীর
বাসায় যাওয়া আসা শুরু করে। বিশেষ করে যখন তার মা-বাবা কাজের জন্য বাইরে
বেরিয়ে যেতেন সেই সময়টাকে মোক্ষম সুযোগ হিসেবে বেছে নিতো জর্জ ফিশার। এ সময়
ওই ছাত্রীর সঙ্গে বিছানায় লুটোপুটি খাওয়া শুরু করে। চলতে থাকে তাদের অবাধ
যৌনাচার। শুধু বাসায়ই নয়, তাদের এই অবাধ সম্পর্ক স্কুলের ভিতরেও চলতে থাকে।
জর্জ ফিশারকে ৮ মাসের জেল দেয়া হলেও এ বিষয়ে শুনানি চলছে।
No comments