ফরহাদ মজহার ঢাকায়
যশোরের নওয়াপাড়া থেকে উদ্ধারের পর কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক ফরহাদ মজহারকে ঢাকা আনা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তাকে ঢাকায় আনার পর আদাবর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সুজিত কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে একটি দল ফরহাদ মজহারকে ঢাকায় নিয়ে আসে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরে সকাল ১০টার দিকে তাকে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ফরহাদ মজহারকে ঢাকার আদাবর থানায় আনার পর তার পরিবারের সদস্যরা সেখানে তার সঙ্গে দেখা করেছেন। ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারে আমরা খুশি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চাইলে সব সম্ভব। তবে বাসায় না ফেরা পর্যন্ত উৎকণ্ঠায় আছি। এর আগে নিখোঁজের ১৯ ঘণ্টা পর সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোরেরে নওয়াপাড়া বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের সামনে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে র্যাব। বাসটি খুলনা থেকে ছেড়ে আসে। পরে তাকে স্থানীয় অভয়নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই কড়া প্রহরায় তাকে পার্শ্ববর্তী ফুলতলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখান থেকে আজ আনা হয় ঢাকা আদাবর থানায়। পরিবারের দাবি, ঢাকার শ্যামলীর নিজের বাসা থেকে সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে একটা ফোন পেয়ে বের হয়ে যান ফরহাদ মজহার। এরপর তার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে একাধিকবার মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এরপরই ফরহাদ মজহারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে তার পরিবার আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। এদিকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারের পর সোমবার রাত ১টার দিকে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হয়েছে, তিনি ঢাকা থেকে স্বেচ্ছায় খুলনায় ভ্রমণ করেন। দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিসসহ তার সঙ্গে ব্যাগপত্র ছিল। তবে এখনই এ বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। তাকে ঢাকায় এনে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পুলিশের এ দাবি নাকচ করে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ‘বাসার সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে তারা দেখেছেন, বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তার হাতে কোনো ধরনের ব্যাগপত্র ছিল না।’ পরিবারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, উদ্ধারের পর ফরহাদ মজহার পরিবারকে জানিয়েছেন- ‘সন্ধ্যার পর তার চোখের বাঁধন খোলা হয়’।
No comments