নিপীড়ন, অপবাদ স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
ফরিদপুরের
ভাঙ্গা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের যৌন হয়রানি সহ্য করতে না পেরে
আত্মহত্যা করেছে ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার
রাতে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী লম্পট শিক্ষকের বিচার চেয়ে লাশ নিয়ে
ভাঙ্গা থানার সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে।
জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আলগি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মনিরুজ্জামানের দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে হিরামনি ইতিশা। ভাঙ্গা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী। প্রতিটি ক্লাসেই প্রথম হয়ে আসছিল। মেধাবী ছাত্রীটিকে নিয়ে পিতামাতার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার বানানোর। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ক্লাস চলাকালে তাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতো। ক্লাসে ফেল করিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করতো। শিক্ষকের বাসায় প্রাইভেট পড়তে গেলে প্রায়ই তাকে যৌন হয়রানি করতো। ইতিমধ্যে শিক্ষকের নিপীড়নের বিষয়টি সহপাঠীদের মাধ্যমে এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। বিষয়টি চলে আসে ওই শিক্ষকের স্ত্রীর কানে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে শিক্ষকের বাসায় গেলে স্ত্রী মাহামুদা বেগম তাকে বকাঝকা করেন। একদিকে শিক্ষকের নিপীড়ন আর স্ত্রীর অপমান সইতে না পেরে ইতিশা বাসায় ফিরে ফ্যানের সঙ্গে গলায় উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল সকালে ভাঙ্গা থানার সামনে ঘটনার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। ওদিকে মেয়েটির সহপাঠীরা জানায়, আমরা শিক্ষকের কাছে যাই শিক্ষা নিতে। আর শিক্ষকরা যদি আমাদেরকে যৌন হয়রানি করেন তবে আমরা কোথায় যাবো। এ ধরনের শিক্ষকের আমরা উপযুক্ত বিচার চাই যা দেখে দেশের অন্য কোন স্কুলে এমন ঘটনা না ঘটে। মেয়েটির পিতা মনিরুজ্জামান বলেন, আমি আমার মেয়ের আত্মহত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তির বিচার চাই। এখন আমার জীবনের সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। আমার মেয়ে প্রতি ক্লাসেই প্রথম স্থান অধিকার করতো। এমন একটি মেয়ের যারা সর্বনাশ করলো তাদের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি। আলগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাউসার আলী বলেন, এমন একটি মেধাবী ছাত্রীর জীবনাটা এমন হয়ে গেল। আমি ইউনিয়নবাসী পক্ষ হতে এ লম্পট শিক্ষকের বিচার দাবি করছি।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল্লাহ্ বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠাচ্ছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আলগি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মনিরুজ্জামানের দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে হিরামনি ইতিশা। ভাঙ্গা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী। প্রতিটি ক্লাসেই প্রথম হয়ে আসছিল। মেধাবী ছাত্রীটিকে নিয়ে পিতামাতার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার বানানোর। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ক্লাস চলাকালে তাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতো। ক্লাসে ফেল করিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করতো। শিক্ষকের বাসায় প্রাইভেট পড়তে গেলে প্রায়ই তাকে যৌন হয়রানি করতো। ইতিমধ্যে শিক্ষকের নিপীড়নের বিষয়টি সহপাঠীদের মাধ্যমে এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। বিষয়টি চলে আসে ওই শিক্ষকের স্ত্রীর কানে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে শিক্ষকের বাসায় গেলে স্ত্রী মাহামুদা বেগম তাকে বকাঝকা করেন। একদিকে শিক্ষকের নিপীড়ন আর স্ত্রীর অপমান সইতে না পেরে ইতিশা বাসায় ফিরে ফ্যানের সঙ্গে গলায় উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল সকালে ভাঙ্গা থানার সামনে ঘটনার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। ওদিকে মেয়েটির সহপাঠীরা জানায়, আমরা শিক্ষকের কাছে যাই শিক্ষা নিতে। আর শিক্ষকরা যদি আমাদেরকে যৌন হয়রানি করেন তবে আমরা কোথায় যাবো। এ ধরনের শিক্ষকের আমরা উপযুক্ত বিচার চাই যা দেখে দেশের অন্য কোন স্কুলে এমন ঘটনা না ঘটে। মেয়েটির পিতা মনিরুজ্জামান বলেন, আমি আমার মেয়ের আত্মহত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তির বিচার চাই। এখন আমার জীবনের সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। আমার মেয়ে প্রতি ক্লাসেই প্রথম স্থান অধিকার করতো। এমন একটি মেয়ের যারা সর্বনাশ করলো তাদের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি। আলগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাউসার আলী বলেন, এমন একটি মেধাবী ছাত্রীর জীবনাটা এমন হয়ে গেল। আমি ইউনিয়নবাসী পক্ষ হতে এ লম্পট শিক্ষকের বিচার দাবি করছি।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল্লাহ্ বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠাচ্ছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments