বলিউড সুন্দরীদের ডায়েট
বয়স
যতই বাড়ুক বলিউড অভিনেত্রীদের দেখলে তা বোঝা দায়। সেই একই রকম মেদহীন
ছিপছিপে গড়ন। কিভাবে থাকেন এতটা ঝরঝরে? রহস্যটা কী? তাদের ডায়েট চার্ট
দেখলেই বুঝবেন এর রহস্য।
মাধুরীর নাচ
‘ফিটনেস রুটিন মানেই কত্থক। তার বাইরে যোগাসন বা ফ্রি হ্যান্ড চলতেই পারে। হাঁটা তো মাস্ট। কিন্তু এর কোনো একটা বাদ গেলেও নাচ বাদ দেয়া যাবে না।’ ফিটনেস বিষয়ে মাধুরী দীক্ষিতের এমনই বক্তব্য। বলেছেন, ‘আমার ফিগারের রহস্য কত্থক। সপ্তাহে চার দিন কত্থক মাস্ট। বাকি দিনে এক্সারসাইজ। তাও কার্ডিও, যোগা আর ওয়েট লিফটিং। এছাড়াও আমার বর আর দুই পুত্রের সাথে আউটডোর গেমস আমার ভীষণ ফেভারিট এক্সারসাইজ’। ডায়েটটা ভারি অদ্ভুত মাধুরীর। দিনে অন্তত ছয়বার খান। তবে পরিমাণে কম। আর সেই ডায়েটে ফ্রেশ ফ্রুটস আর সবজি মাস্ট। আলাদা করে লাঞ্চ বা ডিনার করেন না। তবে ব্রেকফাস্ট করেন নিয়ম মাফিক। আর সেই ব্রেকফাস্টে এক বাটি মৌসুমি ফল, মাখন ছাড়া টোস্ট আর স্কিমড মিল্ক মাস্ট। সিরিয়াল খুব একটা পছন্দ করেন না তিনি। তার ডায়েটের একটা বড় অংশ জুড়েই আছে পানি। সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই লিটার পানি খান বেশ খানিকক্ষণ সময় ধরে। তার মধ্যে মধ্যেই চলতে থাকে ফিটনেস রুটিন, ব্রেকফাস্ট ইত্যাদি। সফট ড্রিংকস তো ছুঁয়েও দেখেন না। এমনকি চা কফিতেও তার অ্যালার্জি। পানীয় বলতে তার কাছে দুধ আর পানি। ত্বকের পরিচর্যার জন্য ময়েশ্চারাইজার আর সানস্ক্রিনই যথেষ্ট মনে করেন মাধুরী। আর চুলের জন্য রেগুলার অয়েল মাসাজ। মাধুরীর মতে, খাওয়া-দাওয়ায় সামঞ্জস্য থাকলে ত্বক ও চলু এমনিই সুন্দর থাকে। বাইরে থেকে কসমেটিক্স লাগিয়ে খুব লাভ হয় না। তাই ডায়েটে টক দই, পালং শাক, বাদাম আর ডিম রাখেন নায়িকা।
ফিটনেস ফ্যানাটিক প্রিয়াংকা
প্রিয়াংকা চোপড়ার দিনটা শুরুই হয় জিমে। দিনের শুরুতেই ট্রেড মিলে টানা পনেরো মিনিট না হাঁটলে তার মুড অফ হয়ে যায়। এখানেই শেষ নয়, ট্রেড মিল পেরিয়েও জিম পর্ব চলতেই থাকে। পরবর্তী ধাপে পুশ-আপস, তারপর বেঞ্চ জাম্প, রিভার্স ক্রাঞ্চ, বাইসেপ কার্ল সবই একে একে প্র্যাকটিস করেন। কোনোটার জন্য ২০ মিনিট আবার কোনোটার জন্য আধ ঘণ্টা। জিম থেকে বেরিয়ে শুরু হয় যোগা। এরপর হট শাওয়ার নিয়ে তারপর বাকি কাজে মন দেন নায়িকা। আর ডায়েট? তাও কি নিয়ম মাফিক? ‘অবশ্যই।’ বললেন প্রিয়াংকা। দুই ঘণ্টা অন্তর অল্প করে খান। ব্রেকফাস্টে দুটি ডিমের সাদা, আর দুধ মাস্ট। ওটস থাকলেও থাকলে পারে। লাঞ্চে রুটি, ডাল, সবজি আর স্যালাদ। মাঝে চাই নারকেলের পানি আর বাদাম। ইভিনিং স্ন্যাক হিসেবে প্রিয়াংকার ডায়েটে রয়েছে স্প্রাউটেড স্যালাদ আর টারকি স্যান্ডউইচ। আর ডিনারে স্যুপ, গ্রিলড চিকেন বা ফিশ আর সবজি। তন্দুরি তার বিশেষ প্রিয়। বললেন, ‘মাসে একবার তন্দুরি খেয়েই ফেলি। কখনও বা চকোলেট, পেস্ট্রি ইত্যাদিও খাই। সেক্ষেত্রে পরের দিন এক্সট্রা জিমটাইম মাস্ট।’ তবে ডায়েট যেমনই হোক না কেন, তাতে প্রোটিন থাকা খুবই জরুরি। ব্যালান্স ডায়েটে কার্ব যদি বা একটু কম থাকলেও চলে প্রোটিন নাকি শারীরিক ডেভেলপমেন্টের জন্য মাস্ট।
জিমে নেই ঐশ্বর্য
জিমে যাওয়ায় ভীষণ অনীহা ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের। নিয়ম করে এক্সারসাইজ তিনি মোটেও করতে পারেন না। বরং তার ওয়ার্কআউট রুটিনে হাঁটা মাস্ট। জোরে হাঁটা অথবা জগিং এই দিয়ে দিন শুরু হয় ঐশ্বর্যর। তবে তারও আগে চাই ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার। কোনো একটা মৌসুমি ফ্রুট মাসাজ তিনি নেন ঘুম থেকে উঠেই। তারপর ট্র্যাক স্যুট পরে হাঁটতে বেরিয়ে পরেন। এরপর কার্ডিও আর যোগাসন। এই নিয়েই অ্যাশের ফিটনেস প্রোগ্রাম। খাওয়াদাওয়ায় ঐশ্বর্য একটু রিল্যাক্সড। জানালেন, ডাল, ভাত আর সবজির উপরেই বেঁচে রয়েছেন। বিয়ের পর তবু চিকেন একটু খেতে শিখেছেন। ব্রেকফাস্ট কখনওই স্কিপ করেন না। তবে সকালে উঠে এক গ্লাস গরম পানিতে লেবু আর মধু মিশিয়ে খাওয়া তার অভ্যাস। এরপর সবজি সেদ্ধ অথবা ওটস। লাঞ্চে চাই এমন সব সবজি যা সহজেই হজম করা যায়। সবজি সেদ্ধতে কিন্তু মন নেই অ্যাশের। তিনি রান্না করা সবজি খান। তবে অবশ্যই তেলটা কম দিয়ে। সবজি খেতে ইচ্ছে না করলে রুটি আর ডাল। আর ডিনার সারেন ব্রাউন রাইস, ডাল, সবজি আর গ্রিলড ফিশ দিয়ে। সারা দিনে গুনে গুনে আট গ্লাস পানি খান অ্যাশ। শরীরকে সজল রাখতে বেশি করে পানি খাওয়া মাস্ট। তবে ফলের ক্ষেত্রে কিন্তু রসের ভক্ত নন। বরং ফ্রেশ ফ্রুটই তার প্রিয়।
আলিয়ার ব্যালেন্স
যোগ থেকে ডায়েট সবকিছুতেই একটা ব্যালেন্স চাই আলিয়া ভাটের। সপ্তাহে তিন দিন এক্সারসাইজের জন্য রেখেছেন তিনি। সোম, বুধ এবং শুক্রবার চাই এক্সারসাইজ। শুরু হয় পাঁচ মিনিট ওয়ার্ম আপ আর দশ মিনিশ ট্রেড মিল দিয়ে। তারপর সোমবারের জন্য রয়েছে পুশ-আপস আর আর্ম এক্সারসাইজ। বুধবার চাই ক্রাঞ্চেস আর ব্যাক এক্সারসাইজ। আর শুক্রবারের জন্য লেগ এক্সারসাইজ আর লাং এক্সারসাইজ বাঁধা। সপ্তাহের বাকি দিনগুলো এক্সারসাইজে বিরতি। এক্সারসাইজের মতোই খাওয়া-দাওয়াতেও একটা ভারসাম্য বজায় রাখেন আলিয়া। ব্রেকফাস্টে তিনি এক বাটি পোহা খাবেনই। সাথে সবজি সেদ্ধ। ব্রেকফাস্টের পর একটা মিড মর্নিং স্ন্যাক্স খান আলিয়া। তাতে থাকে ফল, সাম্বার আর ইডলি। লাঞ্চে নিরামিষ। ডাল, রুটি আর সবজি। সান্ধ্যকালীন হালকা খাবারের মধ্যে ইডলি একটা মাস্ট। তার সাথে কফি। কিন্তু কফিতে চিনি বাদ। আর রাতে রুটি বা ভাতের সাথে ডাল, সবজি আর চিকেন। আলিয়া নিজের খাবার নিজেই বানিয়ে নিতে পছন্দ করেন। আর ঘুমানোর অন্তত দুই ঘণ্টা আগেই সেরে নেন ডিনার।
ফুডি দীপিকা
খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসটা দীপিকার ছোটবেলার। স্কুল জীবনে ব্যাডমিন্টন প্র্যাকটিস করানোর জন্য বাবা ভোরবেলা ঘুম থেকে তুলে দিতেন। অভ্যাসটা রয়েই গেছে। কিন্তু এত ভোরে উঠে তিনি কী করেন? সকাল ৬টায় উঠেই শুরু হয় দীপিকার যোগা প্র্যাকটিস। ফ্রি হ্যান্ড করলে শরীর ঝরঝরে থাকে তবে তার চেয়েও ভালো লাগে তার হাঁটতে। হাঁটা অবশ্য এখন আর হয়ে ওঠে না। এক্সারসাইজ হিসেবে নাচও দীপিকার বিশেষ প্রিয়। ‘নাচলে শরীরে একটা ছন্দ থাকে। আর সেই ছন্দ আমাদের ব্যবহারেও ছড়িয়ে যায়। অভিনয়ের ক্ষেত্রে এই ছন্দটা খুবই জরুরি’ বললেন দীপ। এক্সারসাইজ ছাড়াও নিশ্চয়ই খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও লাগাম টানতে হয়। ‘একদমই না’ বক্তব্য দীপিকার। তিনি নাকি বিশাল ফুডি। সবকিছু খান। ব্রেকফাস্টে দুটি ডিম আর লো ফ্যাট দুধ দিয়ে দিনটা শুরু হয়। তারপর লাঞ্চে গ্রিলড ফিশ আর প্রচুর পরিমাণে সেদ্ধ সবজি। সন্ধ্যাবেলা তার আবার হালকা স্ন্যাক্স খাওয়ার অভ্যাস। তাতে আমন্ড আর ফিল্টার কফি মাস্ট। কখনও বা নর্থ ইন্ডিয়ানও চলে। এরপর ডিনারে পুরোপুরি নিরামিষে চলে যান দীপিকা। রুটি, স্যালাদ আর সেদ্ধ সবজি দিয়ে সেরে নেন ডিনার। জানিয়েছেন ফল তার দুর্বলতা। তিনি ফ্রুটি থাকতে ভালোবাসেন। তাই ফ্রেশ ফ্রুটস আর ফ্রুট জ্যুস প্রচুর পরিমাণে খান তিনি। এছাড়াও সাউথ ইন্ডিয়ান যে কোনো খাবারই তার প্রিয়। ডোসা, ইডলি, উপমা সবই চলে। তবে আলুর পুর, নারকেলের চাটনি এগুলো বাদ রাখতেই হয়।
বয়স যতই বাড়ুক বলিউড অভিনেত্রীদের দেখলে তা বোঝা দায়। সেই একই রকম মেদহীন ছিপছিপে গড়ন। কিভাবে থাকেন এতটা ঝরঝরে? রহস্যটা কী? তাদের ডায়েট চার্ট দেখলেই বুঝবেন এর রহস্য। মাধুরীর নাচ ‘ফিটনেস রুটিন মানেই কত্থক। তার বাইরে যোগাসন বা ফ্রি হ্যান্ড চলতেই পারে। হাঁটা তো মাস্ট। কিন্তু এর কোনো একটা বাদ গেলেও নাচ বাদ দেয়া যাবে না।’ ফিটনেস বিষয়ে মাধুরী দীক্ষিতের এমনই বক্তব্য। বলেছেন, ‘আমার ফিগারের রহস্য কত্থক। সপ্তাহে চার দিন কত্থক মাস্ট। বাকি দিনে এক্সারসাইজ। তাও কার্ডিও, যোগা আর ওয়েট লিফটিং। এছাড়াও আমার বর আর দুই পুত্রের সাথে আউটডোর গেমস আমার ভীষণ ফেভারিট এক্সারসাইজ’। ডায়েটটা ভারি অদ্ভুত মাধুরীর। দিনে অন্তত ছয়বার খান। তবে পরিমাণে কম। আর সেই ডায়েটে ফ্রেশ ফ্রুটস আর সবজি মাস্ট। আলাদা করে লাঞ্চ বা ডিনার করেন না। তবে ব্রেকফাস্ট করেন নিয়ম মাফিক। আর সেই ব্রেকফাস্টে এক বাটি মৌসুমি ফল, মাখন ছাড়া টোস্ট আর স্কিমড মিল্ক মাস্ট। সিরিয়াল খুব একটা পছন্দ করেন না তিনি। তার ডায়েটের একটা বড় অংশ জুড়েই আছে পানি। সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই লিটার পানি খান বেশ খানিকক্ষণ সময় ধরে। তার মধ্যে মধ্যেই চলতে থাকে ফিটনেস রুটিন, ব্রেকফাস্ট ইত্যাদি। সফট ড্রিংকস তো ছুঁয়েও দেখেন না। এমনকি চা কফিতেও তার অ্যালার্জি। পানীয় বলতে তার কাছে দুধ আর পানি। ত্বকের পরিচর্যার জন্য ময়েশ্চারাইজার আর সানস্ক্রিনই যথেষ্ট মনে করেন মাধুরী। আর চুলের জন্য রেগুলার অয়েল মাসাজ। মাধুরীর মতে, খাওয়া-দাওয়ায় সামঞ্জস্য থাকলে ত্বক ও চলু এমনিই সুন্দর থাকে। বাইরে থেকে কসমেটিক্স লাগিয়ে খুব লাভ হয় না। তাই ডায়েটে টক দই, পালং শাক, বাদাম আর ডিম রাখেন নায়িকা। ফিটনেস ফ্যানাটিক প্রিয়াংকা প্রিয়াংকা চোপড়ার দিনটা শুরুই হয় জিমে। দিনের শুরুতেই ট্রেড মিলে টানা পনেরো মিনিট না হাঁটলে তার মুড অফ হয়ে যায়। এখানেই শেষ নয়, ট্রেড মিল পেরিয়েও জিম পর্ব চলতেই থাকে। পরবর্তী ধাপে পুশ-আপস, তারপর বেঞ্চ জাম্প, রিভার্স ক্রাঞ্চ, বাইসেপ কার্ল সবই একে একে প্র্যাকটিস করেন। কোনোটার জন্য ২০ মিনিট আবার কোনোটার জন্য আধ ঘণ্টা। জিম থেকে বেরিয়ে শুরু হয় যোগা। এরপর হট শাওয়ার নিয়ে তারপর বাকি কাজে মন দেন নায়িকা। আর ডায়েট? তাও কি নিয়ম মাফিক? ‘অবশ্যই।’ বললেন প্রিয়াংকা। দুই ঘণ্টা অন্তর অল্প করে খান। ব্রেকফাস্টে দুটি ডিমের সাদা, আর দুধ মাস্ট। ওটস থাকলেও থাকলে পারে। লাঞ্চে রুটি, ডাল, সবজি আর স্যালাদ। মাঝে চাই নারকেলের পানি আর বাদাম। ইভিনিং স্ন্যাক হিসেবে প্রিয়াংকার ডায়েটে রয়েছে স্প্রাউটেড স্যালাদ আর টারকি স্যান্ডউইচ। আর ডিনারে স্যুপ, গ্রিলড চিকেন বা ফিশ আর সবজি। তন্দুরি তার বিশেষ প্রিয়। বললেন, ‘মাসে একবার তন্দুরি খেয়েই ফেলি। কখনও বা চকোলেট, পেস্ট্রি ইত্যাদিও খাই। সেক্ষেত্রে পরের দিন এক্সট্রা জিমটাইম মাস্ট।’ তবে ডায়েট যেমনই হোক না কেন, তাতে প্রোটিন থাকা খুবই জরুরি। ব্যালান্স ডায়েটে কার্ব যদি বা একটু কম থাকলেও চলে প্রোটিন নাকি শারীরিক ডেভেলপমেন্টের জন্য মাস্ট। জিমে নেই ঐশ্বর্য জিমে যাওয়ায় ভীষণ অনীহা ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের। নিয়ম করে এক্সারসাইজ তিনি মোটেও করতে পারেন না। বরং তার ওয়ার্কআউট রুটিনে হাঁটা মাস্ট। জোরে হাঁটা অথবা জগিং এই দিয়ে দিন শুরু হয় ঐশ্বর্যর। তবে তারও আগে চাই ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার। কোনো একটা মৌসুমি ফ্রুট মাসাজ তিনি নেন ঘুম থেকে উঠেই। তারপর ট্র্যাক স্যুট পরে হাঁটতে বেরিয়ে পরেন। এরপর কার্ডিও আর যোগাসন। এই নিয়েই অ্যাশের ফিটনেস প্রোগ্রাম। খাওয়াদাওয়ায় ঐশ্বর্য একটু রিল্যাক্সড। জানালেন, ডাল, ভাত আর সবজির উপরেই বেঁচে রয়েছেন। বিয়ের পর তবু চিকেন একটু খেতে শিখেছেন। ব্রেকফাস্ট কখনওই স্কিপ করেন না। তবে সকালে উঠে এক গ্লাস গরম পানিতে লেবু আর মধু মিশিয়ে খাওয়া তার অভ্যাস। এরপর সবজি সেদ্ধ অথবা ওটস। লাঞ্চে চাই এমন সব সবজি যা সহজেই হজম করা যায়। সবজি সেদ্ধতে কিন্তু মন নেই অ্যাশের। তিনি রান্না করা সবজি খান। তবে অবশ্যই তেলটা কম দিয়ে। সবজি খেতে ইচ্ছে না করলে রুটি আর ডাল। আর ডিনার সারেন ব্রাউন রাইস, ডাল, সবজি আর গ্রিলড ফিশ দিয়ে। সারা দিনে গুনে গুনে আট গ্লাস পানি খান অ্যাশ। শরীরকে সজল রাখতে বেশি করে পানি খাওয়া মাস্ট। তবে ফলের ক্ষেত্রে কিন্তু রসের ভক্ত নন। বরং ফ্রেশ ফ্রুটই তার প্রিয়। আলিয়ার ব্যালেন্স যোগ থেকে ডায়েট সবকিছুতেই একটা ব্যালেন্স চাই আলিয়া ভাটের। সপ্তাহে তিন দিন এক্সারসাইজের জন্য রেখেছেন তিনি। সোম, বুধ এবং শুক্রবার চাই এক্সারসাইজ। শুরু হয় পাঁচ মিনিট ওয়ার্ম আপ আর দশ মিনিশ ট্রেড মিল দিয়ে। তারপর সোমবারের জন্য রয়েছে পুশ-আপস আর আর্ম এক্সারসাইজ। বুধবার চাই ক্রাঞ্চেস আর ব্যাক এক্সারসাইজ। আর শুক্রবারের জন্য লেগ এক্সারসাইজ আর লাং এক্সারসাইজ বাঁধা। সপ্তাহের বাকি দিনগুলো এক্সারসাইজে বিরতি। এক্সারসাইজের মতোই খাওয়া-দাওয়াতেও একটা ভারসাম্য বজায় রাখেন আলিয়া। ব্রেকফাস্টে তিনি এক বাটি পোহা খাবেনই। সাথে সবজি সেদ্ধ। ব্রেকফাস্টের পর একটা মিড মর্নিং স্ন্যাক্স খান আলিয়া। তাতে থাকে ফল, সাম্বার আর ইডলি। লাঞ্চে নিরামিষ। ডাল, রুটি আর সবজি। সান্ধ্যকালীন হালকা খাবারের মধ্যে ইডলি একটা মাস্ট। তার সাথে কফি। কিন্তু কফিতে চিনি বাদ। আর রাতে রুটি বা ভাতের সাথে ডাল, সবজি আর চিকেন। আলিয়া নিজের খাবার নিজেই বানিয়ে নিতে পছন্দ করেন। আর ঘুমানোর অন্তত দুই ঘণ্টা আগেই সেরে নেন ডিনার। ফুডি দীপিকা খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসটা দীপিকার ছোটবেলার। স্কুল জীবনে ব্যাডমিন্টন প্র্যাকটিস করানোর জন্য বাবা ভোরবেলা ঘুম থেকে তুলে দিতেন। অভ্যাসটা রয়েই গেছে। কিন্তু এত ভোরে উঠে তিনি কী করেন? সকাল ৬টায় উঠেই শুরু হয় দীপিকার যোগা প্র্যাকটিস। ফ্রি হ্যান্ড করলে শরীর ঝরঝরে থাকে তবে তার চেয়েও ভালো লাগে তার হাঁটতে। হাঁটা অবশ্য এখন আর হয়ে ওঠে না। এক্সারসাইজ হিসেবে নাচও দীপিকার বিশেষ প্রিয়। ‘নাচলে শরীরে একটা ছন্দ থাকে। আর সেই ছন্দ আমাদের ব্যবহারেও ছড়িয়ে যায়। অভিনয়ের ক্ষেত্রে এই ছন্দটা খুবই জরুরি’ বললেন দীপ। এক্সারসাইজ ছাড়াও নিশ্চয়ই খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও লাগাম টানতে হয়। ‘একদমই না’ বক্তব্য দীপিকার। তিনি নাকি বিশাল ফুডি। সবকিছু খান। ব্রেকফাস্টে দুটি ডিম আর লো ফ্যাট দুধ দিয়ে দিনটা শুরু হয়। তারপর লাঞ্চে গ্রিলড ফিশ আর প্রচুর পরিমাণে সেদ্ধ সবজি। সন্ধ্যাবেলা তার আবার হালকা স্ন্যাক্স খাওয়ার অভ্যাস। তাতে আমন্ড আর ফিল্টার কফি মাস্ট। কখনও বা নর্থ ইন্ডিয়ানও চলে। এরপর ডিনারে পুরোপুরি নিরামিষে চলে যান দীপিকা। রুটি, স্যালাদ আর সেদ্ধ সবজি দিয়ে সেরে নেন ডিনার। জানিয়েছেন ফল তার দুর্বলতা। তিনি ফ্রুটি থাকতে ভালোবাসেন। তাই ফ্রেশ ফ্রুটস আর ফ্রুট জ্যুস প্রচুর পরিমাণে খান তিনি। এছাড়াও সাউথ ইন্ডিয়ান যে কোনো খাবারই তার প্রিয়। ডোসা, ইডলি, উপমা সবই চলে। তবে আলুর পুর, নারকেলের চাটনি এগুলো বাদ রাখতেই হয়।
মাধুরীর নাচ
‘ফিটনেস রুটিন মানেই কত্থক। তার বাইরে যোগাসন বা ফ্রি হ্যান্ড চলতেই পারে। হাঁটা তো মাস্ট। কিন্তু এর কোনো একটা বাদ গেলেও নাচ বাদ দেয়া যাবে না।’ ফিটনেস বিষয়ে মাধুরী দীক্ষিতের এমনই বক্তব্য। বলেছেন, ‘আমার ফিগারের রহস্য কত্থক। সপ্তাহে চার দিন কত্থক মাস্ট। বাকি দিনে এক্সারসাইজ। তাও কার্ডিও, যোগা আর ওয়েট লিফটিং। এছাড়াও আমার বর আর দুই পুত্রের সাথে আউটডোর গেমস আমার ভীষণ ফেভারিট এক্সারসাইজ’। ডায়েটটা ভারি অদ্ভুত মাধুরীর। দিনে অন্তত ছয়বার খান। তবে পরিমাণে কম। আর সেই ডায়েটে ফ্রেশ ফ্রুটস আর সবজি মাস্ট। আলাদা করে লাঞ্চ বা ডিনার করেন না। তবে ব্রেকফাস্ট করেন নিয়ম মাফিক। আর সেই ব্রেকফাস্টে এক বাটি মৌসুমি ফল, মাখন ছাড়া টোস্ট আর স্কিমড মিল্ক মাস্ট। সিরিয়াল খুব একটা পছন্দ করেন না তিনি। তার ডায়েটের একটা বড় অংশ জুড়েই আছে পানি। সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই লিটার পানি খান বেশ খানিকক্ষণ সময় ধরে। তার মধ্যে মধ্যেই চলতে থাকে ফিটনেস রুটিন, ব্রেকফাস্ট ইত্যাদি। সফট ড্রিংকস তো ছুঁয়েও দেখেন না। এমনকি চা কফিতেও তার অ্যালার্জি। পানীয় বলতে তার কাছে দুধ আর পানি। ত্বকের পরিচর্যার জন্য ময়েশ্চারাইজার আর সানস্ক্রিনই যথেষ্ট মনে করেন মাধুরী। আর চুলের জন্য রেগুলার অয়েল মাসাজ। মাধুরীর মতে, খাওয়া-দাওয়ায় সামঞ্জস্য থাকলে ত্বক ও চলু এমনিই সুন্দর থাকে। বাইরে থেকে কসমেটিক্স লাগিয়ে খুব লাভ হয় না। তাই ডায়েটে টক দই, পালং শাক, বাদাম আর ডিম রাখেন নায়িকা।
ফিটনেস ফ্যানাটিক প্রিয়াংকা
প্রিয়াংকা চোপড়ার দিনটা শুরুই হয় জিমে। দিনের শুরুতেই ট্রেড মিলে টানা পনেরো মিনিট না হাঁটলে তার মুড অফ হয়ে যায়। এখানেই শেষ নয়, ট্রেড মিল পেরিয়েও জিম পর্ব চলতেই থাকে। পরবর্তী ধাপে পুশ-আপস, তারপর বেঞ্চ জাম্প, রিভার্স ক্রাঞ্চ, বাইসেপ কার্ল সবই একে একে প্র্যাকটিস করেন। কোনোটার জন্য ২০ মিনিট আবার কোনোটার জন্য আধ ঘণ্টা। জিম থেকে বেরিয়ে শুরু হয় যোগা। এরপর হট শাওয়ার নিয়ে তারপর বাকি কাজে মন দেন নায়িকা। আর ডায়েট? তাও কি নিয়ম মাফিক? ‘অবশ্যই।’ বললেন প্রিয়াংকা। দুই ঘণ্টা অন্তর অল্প করে খান। ব্রেকফাস্টে দুটি ডিমের সাদা, আর দুধ মাস্ট। ওটস থাকলেও থাকলে পারে। লাঞ্চে রুটি, ডাল, সবজি আর স্যালাদ। মাঝে চাই নারকেলের পানি আর বাদাম। ইভিনিং স্ন্যাক হিসেবে প্রিয়াংকার ডায়েটে রয়েছে স্প্রাউটেড স্যালাদ আর টারকি স্যান্ডউইচ। আর ডিনারে স্যুপ, গ্রিলড চিকেন বা ফিশ আর সবজি। তন্দুরি তার বিশেষ প্রিয়। বললেন, ‘মাসে একবার তন্দুরি খেয়েই ফেলি। কখনও বা চকোলেট, পেস্ট্রি ইত্যাদিও খাই। সেক্ষেত্রে পরের দিন এক্সট্রা জিমটাইম মাস্ট।’ তবে ডায়েট যেমনই হোক না কেন, তাতে প্রোটিন থাকা খুবই জরুরি। ব্যালান্স ডায়েটে কার্ব যদি বা একটু কম থাকলেও চলে প্রোটিন নাকি শারীরিক ডেভেলপমেন্টের জন্য মাস্ট।
জিমে নেই ঐশ্বর্য
জিমে যাওয়ায় ভীষণ অনীহা ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের। নিয়ম করে এক্সারসাইজ তিনি মোটেও করতে পারেন না। বরং তার ওয়ার্কআউট রুটিনে হাঁটা মাস্ট। জোরে হাঁটা অথবা জগিং এই দিয়ে দিন শুরু হয় ঐশ্বর্যর। তবে তারও আগে চাই ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার। কোনো একটা মৌসুমি ফ্রুট মাসাজ তিনি নেন ঘুম থেকে উঠেই। তারপর ট্র্যাক স্যুট পরে হাঁটতে বেরিয়ে পরেন। এরপর কার্ডিও আর যোগাসন। এই নিয়েই অ্যাশের ফিটনেস প্রোগ্রাম। খাওয়াদাওয়ায় ঐশ্বর্য একটু রিল্যাক্সড। জানালেন, ডাল, ভাত আর সবজির উপরেই বেঁচে রয়েছেন। বিয়ের পর তবু চিকেন একটু খেতে শিখেছেন। ব্রেকফাস্ট কখনওই স্কিপ করেন না। তবে সকালে উঠে এক গ্লাস গরম পানিতে লেবু আর মধু মিশিয়ে খাওয়া তার অভ্যাস। এরপর সবজি সেদ্ধ অথবা ওটস। লাঞ্চে চাই এমন সব সবজি যা সহজেই হজম করা যায়। সবজি সেদ্ধতে কিন্তু মন নেই অ্যাশের। তিনি রান্না করা সবজি খান। তবে অবশ্যই তেলটা কম দিয়ে। সবজি খেতে ইচ্ছে না করলে রুটি আর ডাল। আর ডিনার সারেন ব্রাউন রাইস, ডাল, সবজি আর গ্রিলড ফিশ দিয়ে। সারা দিনে গুনে গুনে আট গ্লাস পানি খান অ্যাশ। শরীরকে সজল রাখতে বেশি করে পানি খাওয়া মাস্ট। তবে ফলের ক্ষেত্রে কিন্তু রসের ভক্ত নন। বরং ফ্রেশ ফ্রুটই তার প্রিয়।
আলিয়ার ব্যালেন্স
যোগ থেকে ডায়েট সবকিছুতেই একটা ব্যালেন্স চাই আলিয়া ভাটের। সপ্তাহে তিন দিন এক্সারসাইজের জন্য রেখেছেন তিনি। সোম, বুধ এবং শুক্রবার চাই এক্সারসাইজ। শুরু হয় পাঁচ মিনিট ওয়ার্ম আপ আর দশ মিনিশ ট্রেড মিল দিয়ে। তারপর সোমবারের জন্য রয়েছে পুশ-আপস আর আর্ম এক্সারসাইজ। বুধবার চাই ক্রাঞ্চেস আর ব্যাক এক্সারসাইজ। আর শুক্রবারের জন্য লেগ এক্সারসাইজ আর লাং এক্সারসাইজ বাঁধা। সপ্তাহের বাকি দিনগুলো এক্সারসাইজে বিরতি। এক্সারসাইজের মতোই খাওয়া-দাওয়াতেও একটা ভারসাম্য বজায় রাখেন আলিয়া। ব্রেকফাস্টে তিনি এক বাটি পোহা খাবেনই। সাথে সবজি সেদ্ধ। ব্রেকফাস্টের পর একটা মিড মর্নিং স্ন্যাক্স খান আলিয়া। তাতে থাকে ফল, সাম্বার আর ইডলি। লাঞ্চে নিরামিষ। ডাল, রুটি আর সবজি। সান্ধ্যকালীন হালকা খাবারের মধ্যে ইডলি একটা মাস্ট। তার সাথে কফি। কিন্তু কফিতে চিনি বাদ। আর রাতে রুটি বা ভাতের সাথে ডাল, সবজি আর চিকেন। আলিয়া নিজের খাবার নিজেই বানিয়ে নিতে পছন্দ করেন। আর ঘুমানোর অন্তত দুই ঘণ্টা আগেই সেরে নেন ডিনার।
ফুডি দীপিকা
খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসটা দীপিকার ছোটবেলার। স্কুল জীবনে ব্যাডমিন্টন প্র্যাকটিস করানোর জন্য বাবা ভোরবেলা ঘুম থেকে তুলে দিতেন। অভ্যাসটা রয়েই গেছে। কিন্তু এত ভোরে উঠে তিনি কী করেন? সকাল ৬টায় উঠেই শুরু হয় দীপিকার যোগা প্র্যাকটিস। ফ্রি হ্যান্ড করলে শরীর ঝরঝরে থাকে তবে তার চেয়েও ভালো লাগে তার হাঁটতে। হাঁটা অবশ্য এখন আর হয়ে ওঠে না। এক্সারসাইজ হিসেবে নাচও দীপিকার বিশেষ প্রিয়। ‘নাচলে শরীরে একটা ছন্দ থাকে। আর সেই ছন্দ আমাদের ব্যবহারেও ছড়িয়ে যায়। অভিনয়ের ক্ষেত্রে এই ছন্দটা খুবই জরুরি’ বললেন দীপ। এক্সারসাইজ ছাড়াও নিশ্চয়ই খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও লাগাম টানতে হয়। ‘একদমই না’ বক্তব্য দীপিকার। তিনি নাকি বিশাল ফুডি। সবকিছু খান। ব্রেকফাস্টে দুটি ডিম আর লো ফ্যাট দুধ দিয়ে দিনটা শুরু হয়। তারপর লাঞ্চে গ্রিলড ফিশ আর প্রচুর পরিমাণে সেদ্ধ সবজি। সন্ধ্যাবেলা তার আবার হালকা স্ন্যাক্স খাওয়ার অভ্যাস। তাতে আমন্ড আর ফিল্টার কফি মাস্ট। কখনও বা নর্থ ইন্ডিয়ানও চলে। এরপর ডিনারে পুরোপুরি নিরামিষে চলে যান দীপিকা। রুটি, স্যালাদ আর সেদ্ধ সবজি দিয়ে সেরে নেন ডিনার। জানিয়েছেন ফল তার দুর্বলতা। তিনি ফ্রুটি থাকতে ভালোবাসেন। তাই ফ্রেশ ফ্রুটস আর ফ্রুট জ্যুস প্রচুর পরিমাণে খান তিনি। এছাড়াও সাউথ ইন্ডিয়ান যে কোনো খাবারই তার প্রিয়। ডোসা, ইডলি, উপমা সবই চলে। তবে আলুর পুর, নারকেলের চাটনি এগুলো বাদ রাখতেই হয়।
বয়স যতই বাড়ুক বলিউড অভিনেত্রীদের দেখলে তা বোঝা দায়। সেই একই রকম মেদহীন ছিপছিপে গড়ন। কিভাবে থাকেন এতটা ঝরঝরে? রহস্যটা কী? তাদের ডায়েট চার্ট দেখলেই বুঝবেন এর রহস্য। মাধুরীর নাচ ‘ফিটনেস রুটিন মানেই কত্থক। তার বাইরে যোগাসন বা ফ্রি হ্যান্ড চলতেই পারে। হাঁটা তো মাস্ট। কিন্তু এর কোনো একটা বাদ গেলেও নাচ বাদ দেয়া যাবে না।’ ফিটনেস বিষয়ে মাধুরী দীক্ষিতের এমনই বক্তব্য। বলেছেন, ‘আমার ফিগারের রহস্য কত্থক। সপ্তাহে চার দিন কত্থক মাস্ট। বাকি দিনে এক্সারসাইজ। তাও কার্ডিও, যোগা আর ওয়েট লিফটিং। এছাড়াও আমার বর আর দুই পুত্রের সাথে আউটডোর গেমস আমার ভীষণ ফেভারিট এক্সারসাইজ’। ডায়েটটা ভারি অদ্ভুত মাধুরীর। দিনে অন্তত ছয়বার খান। তবে পরিমাণে কম। আর সেই ডায়েটে ফ্রেশ ফ্রুটস আর সবজি মাস্ট। আলাদা করে লাঞ্চ বা ডিনার করেন না। তবে ব্রেকফাস্ট করেন নিয়ম মাফিক। আর সেই ব্রেকফাস্টে এক বাটি মৌসুমি ফল, মাখন ছাড়া টোস্ট আর স্কিমড মিল্ক মাস্ট। সিরিয়াল খুব একটা পছন্দ করেন না তিনি। তার ডায়েটের একটা বড় অংশ জুড়েই আছে পানি। সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই লিটার পানি খান বেশ খানিকক্ষণ সময় ধরে। তার মধ্যে মধ্যেই চলতে থাকে ফিটনেস রুটিন, ব্রেকফাস্ট ইত্যাদি। সফট ড্রিংকস তো ছুঁয়েও দেখেন না। এমনকি চা কফিতেও তার অ্যালার্জি। পানীয় বলতে তার কাছে দুধ আর পানি। ত্বকের পরিচর্যার জন্য ময়েশ্চারাইজার আর সানস্ক্রিনই যথেষ্ট মনে করেন মাধুরী। আর চুলের জন্য রেগুলার অয়েল মাসাজ। মাধুরীর মতে, খাওয়া-দাওয়ায় সামঞ্জস্য থাকলে ত্বক ও চলু এমনিই সুন্দর থাকে। বাইরে থেকে কসমেটিক্স লাগিয়ে খুব লাভ হয় না। তাই ডায়েটে টক দই, পালং শাক, বাদাম আর ডিম রাখেন নায়িকা। ফিটনেস ফ্যানাটিক প্রিয়াংকা প্রিয়াংকা চোপড়ার দিনটা শুরুই হয় জিমে। দিনের শুরুতেই ট্রেড মিলে টানা পনেরো মিনিট না হাঁটলে তার মুড অফ হয়ে যায়। এখানেই শেষ নয়, ট্রেড মিল পেরিয়েও জিম পর্ব চলতেই থাকে। পরবর্তী ধাপে পুশ-আপস, তারপর বেঞ্চ জাম্প, রিভার্স ক্রাঞ্চ, বাইসেপ কার্ল সবই একে একে প্র্যাকটিস করেন। কোনোটার জন্য ২০ মিনিট আবার কোনোটার জন্য আধ ঘণ্টা। জিম থেকে বেরিয়ে শুরু হয় যোগা। এরপর হট শাওয়ার নিয়ে তারপর বাকি কাজে মন দেন নায়িকা। আর ডায়েট? তাও কি নিয়ম মাফিক? ‘অবশ্যই।’ বললেন প্রিয়াংকা। দুই ঘণ্টা অন্তর অল্প করে খান। ব্রেকফাস্টে দুটি ডিমের সাদা, আর দুধ মাস্ট। ওটস থাকলেও থাকলে পারে। লাঞ্চে রুটি, ডাল, সবজি আর স্যালাদ। মাঝে চাই নারকেলের পানি আর বাদাম। ইভিনিং স্ন্যাক হিসেবে প্রিয়াংকার ডায়েটে রয়েছে স্প্রাউটেড স্যালাদ আর টারকি স্যান্ডউইচ। আর ডিনারে স্যুপ, গ্রিলড চিকেন বা ফিশ আর সবজি। তন্দুরি তার বিশেষ প্রিয়। বললেন, ‘মাসে একবার তন্দুরি খেয়েই ফেলি। কখনও বা চকোলেট, পেস্ট্রি ইত্যাদিও খাই। সেক্ষেত্রে পরের দিন এক্সট্রা জিমটাইম মাস্ট।’ তবে ডায়েট যেমনই হোক না কেন, তাতে প্রোটিন থাকা খুবই জরুরি। ব্যালান্স ডায়েটে কার্ব যদি বা একটু কম থাকলেও চলে প্রোটিন নাকি শারীরিক ডেভেলপমেন্টের জন্য মাস্ট। জিমে নেই ঐশ্বর্য জিমে যাওয়ায় ভীষণ অনীহা ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের। নিয়ম করে এক্সারসাইজ তিনি মোটেও করতে পারেন না। বরং তার ওয়ার্কআউট রুটিনে হাঁটা মাস্ট। জোরে হাঁটা অথবা জগিং এই দিয়ে দিন শুরু হয় ঐশ্বর্যর। তবে তারও আগে চাই ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার। কোনো একটা মৌসুমি ফ্রুট মাসাজ তিনি নেন ঘুম থেকে উঠেই। তারপর ট্র্যাক স্যুট পরে হাঁটতে বেরিয়ে পরেন। এরপর কার্ডিও আর যোগাসন। এই নিয়েই অ্যাশের ফিটনেস প্রোগ্রাম। খাওয়াদাওয়ায় ঐশ্বর্য একটু রিল্যাক্সড। জানালেন, ডাল, ভাত আর সবজির উপরেই বেঁচে রয়েছেন। বিয়ের পর তবু চিকেন একটু খেতে শিখেছেন। ব্রেকফাস্ট কখনওই স্কিপ করেন না। তবে সকালে উঠে এক গ্লাস গরম পানিতে লেবু আর মধু মিশিয়ে খাওয়া তার অভ্যাস। এরপর সবজি সেদ্ধ অথবা ওটস। লাঞ্চে চাই এমন সব সবজি যা সহজেই হজম করা যায়। সবজি সেদ্ধতে কিন্তু মন নেই অ্যাশের। তিনি রান্না করা সবজি খান। তবে অবশ্যই তেলটা কম দিয়ে। সবজি খেতে ইচ্ছে না করলে রুটি আর ডাল। আর ডিনার সারেন ব্রাউন রাইস, ডাল, সবজি আর গ্রিলড ফিশ দিয়ে। সারা দিনে গুনে গুনে আট গ্লাস পানি খান অ্যাশ। শরীরকে সজল রাখতে বেশি করে পানি খাওয়া মাস্ট। তবে ফলের ক্ষেত্রে কিন্তু রসের ভক্ত নন। বরং ফ্রেশ ফ্রুটই তার প্রিয়। আলিয়ার ব্যালেন্স যোগ থেকে ডায়েট সবকিছুতেই একটা ব্যালেন্স চাই আলিয়া ভাটের। সপ্তাহে তিন দিন এক্সারসাইজের জন্য রেখেছেন তিনি। সোম, বুধ এবং শুক্রবার চাই এক্সারসাইজ। শুরু হয় পাঁচ মিনিট ওয়ার্ম আপ আর দশ মিনিশ ট্রেড মিল দিয়ে। তারপর সোমবারের জন্য রয়েছে পুশ-আপস আর আর্ম এক্সারসাইজ। বুধবার চাই ক্রাঞ্চেস আর ব্যাক এক্সারসাইজ। আর শুক্রবারের জন্য লেগ এক্সারসাইজ আর লাং এক্সারসাইজ বাঁধা। সপ্তাহের বাকি দিনগুলো এক্সারসাইজে বিরতি। এক্সারসাইজের মতোই খাওয়া-দাওয়াতেও একটা ভারসাম্য বজায় রাখেন আলিয়া। ব্রেকফাস্টে তিনি এক বাটি পোহা খাবেনই। সাথে সবজি সেদ্ধ। ব্রেকফাস্টের পর একটা মিড মর্নিং স্ন্যাক্স খান আলিয়া। তাতে থাকে ফল, সাম্বার আর ইডলি। লাঞ্চে নিরামিষ। ডাল, রুটি আর সবজি। সান্ধ্যকালীন হালকা খাবারের মধ্যে ইডলি একটা মাস্ট। তার সাথে কফি। কিন্তু কফিতে চিনি বাদ। আর রাতে রুটি বা ভাতের সাথে ডাল, সবজি আর চিকেন। আলিয়া নিজের খাবার নিজেই বানিয়ে নিতে পছন্দ করেন। আর ঘুমানোর অন্তত দুই ঘণ্টা আগেই সেরে নেন ডিনার। ফুডি দীপিকা খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসটা দীপিকার ছোটবেলার। স্কুল জীবনে ব্যাডমিন্টন প্র্যাকটিস করানোর জন্য বাবা ভোরবেলা ঘুম থেকে তুলে দিতেন। অভ্যাসটা রয়েই গেছে। কিন্তু এত ভোরে উঠে তিনি কী করেন? সকাল ৬টায় উঠেই শুরু হয় দীপিকার যোগা প্র্যাকটিস। ফ্রি হ্যান্ড করলে শরীর ঝরঝরে থাকে তবে তার চেয়েও ভালো লাগে তার হাঁটতে। হাঁটা অবশ্য এখন আর হয়ে ওঠে না। এক্সারসাইজ হিসেবে নাচও দীপিকার বিশেষ প্রিয়। ‘নাচলে শরীরে একটা ছন্দ থাকে। আর সেই ছন্দ আমাদের ব্যবহারেও ছড়িয়ে যায়। অভিনয়ের ক্ষেত্রে এই ছন্দটা খুবই জরুরি’ বললেন দীপ। এক্সারসাইজ ছাড়াও নিশ্চয়ই খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও লাগাম টানতে হয়। ‘একদমই না’ বক্তব্য দীপিকার। তিনি নাকি বিশাল ফুডি। সবকিছু খান। ব্রেকফাস্টে দুটি ডিম আর লো ফ্যাট দুধ দিয়ে দিনটা শুরু হয়। তারপর লাঞ্চে গ্রিলড ফিশ আর প্রচুর পরিমাণে সেদ্ধ সবজি। সন্ধ্যাবেলা তার আবার হালকা স্ন্যাক্স খাওয়ার অভ্যাস। তাতে আমন্ড আর ফিল্টার কফি মাস্ট। কখনও বা নর্থ ইন্ডিয়ানও চলে। এরপর ডিনারে পুরোপুরি নিরামিষে চলে যান দীপিকা। রুটি, স্যালাদ আর সেদ্ধ সবজি দিয়ে সেরে নেন ডিনার। জানিয়েছেন ফল তার দুর্বলতা। তিনি ফ্রুটি থাকতে ভালোবাসেন। তাই ফ্রেশ ফ্রুটস আর ফ্রুট জ্যুস প্রচুর পরিমাণে খান তিনি। এছাড়াও সাউথ ইন্ডিয়ান যে কোনো খাবারই তার প্রিয়। ডোসা, ইডলি, উপমা সবই চলে। তবে আলুর পুর, নারকেলের চাটনি এগুলো বাদ রাখতেই হয়।
No comments