সেই ‘ভাগ্যবান’ ব্যাংককে দেয়া হলো এক হাজার কোটি টাকা by সৈয়দ সামসুজ্জামান নীপু
আবারো
সেই ‘ভাগ্যবান’ ব্যাংককে এক হাজার কোটি টাকা দেয়া হলো। ভাগ্যবান ব্যাংকটির
নাম ‘বেসিক ব্যাংক’। আর এই অর্থ দিয়েছে সরকারের অর্থমন্ত্রণালয়। পুরো
টাকাই দেয়া হয়েছে জনগণের কাছ থেকে আদায় করা করের টাকা থেকে। গতকাল অর্থ
বিভাগ থেকে এই অর্থ ছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয়। কেন দেয়া হলো ১০০০ হাজার কোটি
টাকা? বলা হয়েছে ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি পূরণে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে। কেন
এই ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি। আসলে পুরোপুরি
রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাংকটিতে গত কয়েক বছরে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে
এই মূলধন ঘাটতি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে
বেসিক ব্যাংকে আত্মসাৎ করা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি পরিমাণ
অর্থ। আর এই অর্থ আত্মসাতে সহযোগিতা করেছে ব্যাংকের সাবেক একজন ব্যবস্থাপনা
পরিচালক, পরিচালন পর্ষদ এবং ক্ষমতাসীন রাজনীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গরা।
যারা দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি।
কিন্তু ধারাবাহিক প্রতি বছর বেসিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি হয় এবং তা
মোকাবেলায় জনগণের করের টাকা থেকে অর্থ দেয়া হচ্ছে। গতকালের এক হাজার কোটি
টাকাসহ এ পর্যন্ত চার দফায় বেসিক ব্যাংককে সরকার অর্থ দিয়েছে গুনে গুনে তিন
হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। আর এসব অর্থেরই অনুমোদন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল
আবদুল মুহিত।
অর্থনীতিবিদরা দুর্নীতিগ্রস্ত এই ব্যাংকে অর্থ দেয়াকে চরম অনৈতিক হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন, এই অর্থ দেয়ার মাধ্যমে দুর্নীতিকে উৎসাহ দেয়া হলো- যা কিনা অপচয়ের নামান্তর, কারণ বেসিক ব্যাংক সরকারের দেয়া অর্থ কখনোই ফেরত দিতে পারবে না।
অর্থ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে-চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ব্যাংকের মূলধন পুনর্গঠনে বিনিয়োগ খাতে রক্ষিত মোট ২০০০ হাজার কোটি টাকা থেকে এই অর্থ দেয়া হলো। বেসিক ব্যাংককে এক হাজার কোটি টাকা দেয়ার ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ থেকে গতানুুগতিক কিছু শর্তারোপ করা হয়েছে। শর্তের মধ্যে রয়েছে- এ অর্থ ব্যয়ে প্রচলিত সব বিধি-বিধান ও অনুশাসনাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। যে উদ্দেশ্যে এ অর্থ দেয়া হলো ওই উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো খাতে এ অর্থ ব্যয় করা যাবে না এবং ভবিষ্যতে এ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়ী থাকবেন।
এর আগেও বেসিক ব্যাংকের আর্থিক সঙ্কট কমানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তিন দফায় দুই হাজার ৩৯০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছিল। প্রথমবার ২০১৪ সালে দুই দফায় যথাক্রমে ৭৯০ কোটি টাকা এবং দ্বিতীয় দফায় ৪০০ কোটি টাকা দেয়া হয়। পরে গত বছর দেয়া হয়েছিল আরো ১২ শ’ কোটি টাকা। এ সম্পর্কিত অর্থ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘অর্থ বিভাগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংকের মূলধন পুনর্গঠনে বিনিয়োগ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ১২০০ কোটি টাকা বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের অনুকূলে মূলধন পুনর্ভরণখাতে প্রদান করা হলো’।
গতকাল জারি করা প্রজ্ঞাপনে বেসিক ব্যাংককে এক হাজার কোটি টাকা থেকে দেয়া ছাড়াও আরো কয়েকটি সরকারি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দেয়া হয়েছে। এ পাঁচটি ব্যাংক ও একটি ঋণদানকারী সংস্থাকে আর এক হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়। এর মধ্যে সরকারি খাতের বৃহত্তম ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণে দেয়া হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। একইভাবে রূপালী ব্যাংককেও দেয়া হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া সরকারি ঋণদানকারী সংস্থা ‘বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনকে তহবিল সহায়তা বাবদ দেয়া হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। সুদ ভর্তুকি বাবদ রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংককে দেয়া হয়েছে যথাক্রমে ১০০ কোটি ও ১৬৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধনের সরকারি অংশ বাবদ গ্রামীণ ব্যাংকের অনুকূলে ছাড় করা হয়েছে ২২ লাখ টাকা। আর রাইট শেয়ারের চাঁদা বাবদ আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডকে দেয়া হয়েছে ১৮৫ কোটি টাকা।
হাউজ বিল্ডিংকে ১৫০ কোটি টাকা দেয়ার বিপরীতে বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এই শর্তের মধ্যে রয়েছে ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ বিএইচবিএফসি কর্তৃক পরিচালিত গৃহ নির্মাণখাতে ব্যবহ্নত হবে। বার্ষিক ৩ শতাংশ হারে এ ঋণের ওপর সুদ প্রদান করতে হবে। এই ঋণ ২০ বছরে ছয় মাসিক ভিত্তিতে ৪০টি সমান কিস্তিতে আসল ও সুদসহ পরিশোধ করতে হবে। ঋণের টাকা উত্তোলনের তারিখ হতে পাঁচ বছর পর এ ঋণের টাকা আদায়যোগ্য। তবে প্রথম পাঁচ বছরের জন্য সুদ প্রদেয় হবে। সরকার প্রদত্ত এ ঋণের বিষয়ে অর্থ বিভাগের সাথে বিধিমতে বিএইচবিএফসিকে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে।
অর্থনীতিবিদরা দুর্নীতিগ্রস্ত এই ব্যাংকে অর্থ দেয়াকে চরম অনৈতিক হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন, এই অর্থ দেয়ার মাধ্যমে দুর্নীতিকে উৎসাহ দেয়া হলো- যা কিনা অপচয়ের নামান্তর, কারণ বেসিক ব্যাংক সরকারের দেয়া অর্থ কখনোই ফেরত দিতে পারবে না।
অর্থ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে-চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ব্যাংকের মূলধন পুনর্গঠনে বিনিয়োগ খাতে রক্ষিত মোট ২০০০ হাজার কোটি টাকা থেকে এই অর্থ দেয়া হলো। বেসিক ব্যাংককে এক হাজার কোটি টাকা দেয়ার ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ থেকে গতানুুগতিক কিছু শর্তারোপ করা হয়েছে। শর্তের মধ্যে রয়েছে- এ অর্থ ব্যয়ে প্রচলিত সব বিধি-বিধান ও অনুশাসনাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। যে উদ্দেশ্যে এ অর্থ দেয়া হলো ওই উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো খাতে এ অর্থ ব্যয় করা যাবে না এবং ভবিষ্যতে এ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়ী থাকবেন।
এর আগেও বেসিক ব্যাংকের আর্থিক সঙ্কট কমানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তিন দফায় দুই হাজার ৩৯০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছিল। প্রথমবার ২০১৪ সালে দুই দফায় যথাক্রমে ৭৯০ কোটি টাকা এবং দ্বিতীয় দফায় ৪০০ কোটি টাকা দেয়া হয়। পরে গত বছর দেয়া হয়েছিল আরো ১২ শ’ কোটি টাকা। এ সম্পর্কিত অর্থ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘অর্থ বিভাগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংকের মূলধন পুনর্গঠনে বিনিয়োগ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ১২০০ কোটি টাকা বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের অনুকূলে মূলধন পুনর্ভরণখাতে প্রদান করা হলো’।
গতকাল জারি করা প্রজ্ঞাপনে বেসিক ব্যাংককে এক হাজার কোটি টাকা থেকে দেয়া ছাড়াও আরো কয়েকটি সরকারি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দেয়া হয়েছে। এ পাঁচটি ব্যাংক ও একটি ঋণদানকারী সংস্থাকে আর এক হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়। এর মধ্যে সরকারি খাতের বৃহত্তম ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণে দেয়া হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। একইভাবে রূপালী ব্যাংককেও দেয়া হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া সরকারি ঋণদানকারী সংস্থা ‘বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনকে তহবিল সহায়তা বাবদ দেয়া হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। সুদ ভর্তুকি বাবদ রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংককে দেয়া হয়েছে যথাক্রমে ১০০ কোটি ও ১৬৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধনের সরকারি অংশ বাবদ গ্রামীণ ব্যাংকের অনুকূলে ছাড় করা হয়েছে ২২ লাখ টাকা। আর রাইট শেয়ারের চাঁদা বাবদ আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডকে দেয়া হয়েছে ১৮৫ কোটি টাকা।
হাউজ বিল্ডিংকে ১৫০ কোটি টাকা দেয়ার বিপরীতে বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এই শর্তের মধ্যে রয়েছে ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ বিএইচবিএফসি কর্তৃক পরিচালিত গৃহ নির্মাণখাতে ব্যবহ্নত হবে। বার্ষিক ৩ শতাংশ হারে এ ঋণের ওপর সুদ প্রদান করতে হবে। এই ঋণ ২০ বছরে ছয় মাসিক ভিত্তিতে ৪০টি সমান কিস্তিতে আসল ও সুদসহ পরিশোধ করতে হবে। ঋণের টাকা উত্তোলনের তারিখ হতে পাঁচ বছর পর এ ঋণের টাকা আদায়যোগ্য। তবে প্রথম পাঁচ বছরের জন্য সুদ প্রদেয় হবে। সরকার প্রদত্ত এ ঋণের বিষয়ে অর্থ বিভাগের সাথে বিধিমতে বিএইচবিএফসিকে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে।
No comments