বন্ডে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা কমল
এখন থেকে কোনো ব্যাংক তার মূলধনের ৫ শতাংশের বেশি কোনো এক প্রতিষ্ঠানের বন্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ করতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বুধবার এ নির্দেশনা দিয়েছে। আগে ব্যাংকগুলো তাদের মূলধনের ১০ শতাংশ পর্যন্ত এক প্রতিষ্ঠানের বন্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ করতে পারত। বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বলেছে, এক প্রতিষ্ঠানের বন্ডে বিনিয়োগ কোনোভাবেই একক ঋণগ্রহীতার সীমা অতিক্রম করতে পারবে না। গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমতি নিয়ে ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে বন্ড ছেড়ে বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকগুলোও তাতে বিনিয়োগ করে থাকে। গতকালের জারি করা নির্দেশনার মাধ্যমে সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন পরিপালন ও মূলধনের সংজ্ঞা সুস্পষ্ট করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এখন থেকে কোনো ব্যাংক তার আদায়কৃত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংয়ের ৫ শতাংশের বেশি একক কোনো কোম্পানির বন্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ করতে পারবে না। যে বন্ডে ব্যাংক বিনিয়োগ করবে, সেটি অবশ্যই বিএসইসির অনুমোদিত হতে হবে।
কোন ধরনের কোম্পানির বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে, তা জানিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এমন কোম্পানির বন্ড বা ডিবেঞ্চার কেনা যাবে, যার অভ্যন্তরীণ ক্রেডিট রেটিং বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বীকৃত কোনো রেটিং এজেন্সি থেকে ন্যূনতম রেটিং মান দীর্ঘ মেয়াদে ‘২’ ও স্বল্প-মেয়াদে এস ২ পাওয়া। তবে কোনো ব্যাংক থেকে ইস্যু করা ইন্সট্রুমেন্টে (স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নয় এবং ব্যাংকের টায়ার ২ মূলধনে বিবেচনাযোগ্য ইন্সট্রুমেন্ট) বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না। আর পরিপত্র জারির তারিখে কোনো ব্যাংকের ধারণ করা বন্ড বা ডিবেঞ্চারের পরিমাণ নির্ধারিত সীমার বেশি হলে তা মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত ধারণ করা যাবে। তবে মেয়াদপূর্তির পর নগদায়নের মাধ্যমে বন্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগসীমা ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনে নতুন সংযোজিত ২৬ক-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন ২০১৩-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে নতুন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে বন্ডে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা কমলেও বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ করপোরেট বন্ডে ব্যাংকের বিনিয়োগ খুবই কম। তা ছাড়া কোনো ব্যাংকের বিনিয়োগসীমার বেশি হলেও মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত ধারণ করা যাবে।
No comments