দেশে ২২ শতাংশ শিশু কম ওজন নিয়ে জন্ম নিচ্ছে
দেশে
বর্তমানে ২২ দশমিক ৬ শতাংশ শিশু কম ওজন নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। এসব শিশুর
মৃত্যুঝুঁকি অন্যদের চেয়ে ৪ গুণ বেশি। মেয়েশিশু ও বস্তি এলাকায় জন্ম নেয়া
শিশুদের ওজন কম হচ্ছে। একই সঙ্গে অস্ত্রোপচারের (সিজারিয়ান) শিশুর জন্ম
বাড়ছে। দেশে স্বাভাবিক প্রসব যেখানে ৬২ দশমিক ১ শতাংশ, সেখানে সিজারিয়ান
প্রসব ৩৫ দশমিক ৫ শতাংশ। সরকারের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের এক জরিপে
বিষয়টি উঠে এসেছে। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বুধবার ওই জরিপের তথ্য
উপস্থাপন ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলামের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও
পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বেসরকারি ক্লিনিকগুলোর বাণিজ্যিক
মানসিকতার কারণেই সিজারের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার বাড়ছে।
এ ক্ষেত্রে তিনি
মায়েদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়ে বলেন,
সিজারে হয়তো মায়ের কষ্ট কম হয়, কিন্তু স্বাভাবিকভাবে একটি শিশু জন্ম দেয়ার
পর একজন মায়ের যে আনন্দ হয় তা নিতান্তই প্রাকৃতিক ও অনাবিল। জরিপে জানানো
হয়, গর্ভবতী মায়েদের এক বাচ্চা প্রসবের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশই ছেলেশিশুর
জন্ম হয়ে থাকে। আর যমজ বাচ্চা প্রসবের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৪ শতাংশ ছেলেশিশু।
সরকারি হাসপাতালে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ, প্রাইভেট হাসপাতালে ২৭ দশমিক ২ শতাংশ,
এনজিও হাসপাতালে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, বাসায় ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং অন্যান্য
স্থানে ১ দশমিক ৫ শতাংশ প্রসব হয়ে থাকে। এতে আরও জানানো হয়,
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স দিয়ে ৫৫ শতাংশ, সিএসবিএস দিয়ে ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ আর
অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দাই দ্বারা ১০ দশমিক ৭ শতাংশ এবং আত্মীয়-প্রতিবেশীদের
দিয়ে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ শিশুর জন্ম হয়।
No comments