'তিস্তায় তো পানিই নেই'
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগে আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বাঁকুড়ায় এক শোভাযাত্রায় মমতা
সাফ জানিয়ে দেন, তিস্তার পানি চুক্তির আগে সব সময় নিজের রাজ্যের স্বার্থ
দেখবেন তিনি। মমতার দাবি, এ চুক্তির ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার তার সঙ্গে
কোনো পরামর্শ করেনি। স্থানীয়দের পানির সমস্যা সম্পর্কে মমতা বলেন, 'তিস্তায়
তো পানিই নেই। এখন যদি কোনো পানি না থাকে, আমি কী করব?' তিনি বলেন,
'তিস্তা নদীতে কোনো পানি নেই। মুকুতমনিপুর শুকিয়ে গেছে।
মহানন্দা শুকিয়ে গেছে। এখন এপ্রিল মাস, এরপর মে, তারপরে আসবে জুন। এরপরই
শুরু হবে বৃষ্টি। বৃষ্টি হতে হতে জুলাই। তো, এই তিন মাস পানির জন্য শোচনীয়
অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হবে আমাদের।' আগামী ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা নয়াদিল্লি যাচ্ছেন। সাত বছর পর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর
আমন্ত্রণে দেশটিতে যাচ্ছেন।
এ সফর বাংলাদেশ ও ভারতের ‘বৃহত্তর বন্ধুত্বের
পথ দেখাবে’ বলে মনে করে দিল্লি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
বাংলাদেশের দীর্ঘ প্রত্যাশিত তিস্তার পানিবণ্টন ইস্যুতে বরফ গলানোর চেষ্টাও
করছেন। এ লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে সফরকালে
শেখ হাসিনার মুখোমুখি করাবেন মোদি। শনিবার হায়দরাবাদ হাউসে অনুষ্ঠেয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে
পারেন মমতা। এছাড়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে রাষ্ট্রপতি ভবনে যে
নৈশভোজের
আয়োজন করা হয়েছে, তাতে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির আমন্ত্রণ গ্রহণ
করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতরও জানায়, শেখ
হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে মমতা দিল্লি আসছেন। তিস্তা চুক্তি না
হলেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে এ সফরে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ইতিমধ্যে জানিয়েছেন,
প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে ৩৩টি চুক্তি, এমওইউ ও দলিল সই করার জন্যে চূড়ান্ত
করেছে বাংলাদেশ। এসব চুক্তির মধ্যে আছে সাইবার নিরাপত্তা, প্রযুক্তি,
পরমাণু শক্তি, বিজ্ঞান এবং প্রতিরক্ষা খাতের নানা বিষয়।
No comments