সৌদি আরব সফরে মাথা ঢাকলেন না তেরেসা
সৌদি
আরব সফরে গিয়ে মাথা না ঢেকে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ব্রিটিশ
প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। মঙ্গলবার তিনি রিয়াদে অবতরণ করেন। তবে পোশাকের
ক্ষেত্রে সৌদি আরবের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনুসরণ করতে তিনি
অস্বীকৃতি জানান। এর আগে প্রথম নারী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে
মার্গারেট থ্যাচার সৌদি সফরের সময় লম্বা গাউন পরেছিলেন ও হ্যাট দিয়ে মাথা
ঢেকেছিলেন। খবর সিএনএনের। সৌদি আরবের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। ইসলামের বিধান
অনুযায়ী সেখানে জনসমক্ষে নারীদের রক্ষণশীল ড্রেস-কোড ব্যবহারের আইন আছে।
নারীরা পুরো শরীর ঢেকে লম্বা পোশাক পরেন, যা ‘আবায়া’ বা বোরকা নামে পরিচিত।
এর সঙ্গে হিজাব বা নিকাব পরে তাদের মাথা ও চুল ঢেকে রাখেন। ১৯৮৫ সালে
মার্গারেট থ্যাচার তৎকালীন বাদশা ফাহাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে এ
ঐতিহ্যকে সম্মান জানান। তবে তেরেসা মে-ই প্রথম নারী নন, যিনি সৌদি আরবের ওই
প্রথা ভেঙে সফর করেছেন। এর আগে সাবেক মার্কিন ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা তার
স্বামী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সৌদি সফরে গিয়ে মাথা ঢাকেননি। ২০১৫
সালে বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজের মৃত্যুতে শোক জানাতে ওবামা দম্পতি
সেখানে যান।
তবে সৌদি নেতাদের সঙ্গে করমর্দন করায় মিশেল ওবামা সমালোচিত হন।
সৌদি আরবে বিদ্যমান ইসলামী আইন অনুযায়ী বৈবাহিক ও রক্তের সম্পর্ক (মাহরাম)
ছাড়া কোনো নারীর শরীর স্পর্শ করার অনুমতি নেই। এর আগে ২০১২ সালে সাবেক
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন সৌদি ও উপসাগরীয়
পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে তার মাথা ঢাকেননি। এছাড়া ২০০৭ সালে সাবেক
মার্কিন ফার্স্টলেডি লরা বুশ (প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের স্ত্রী) ও
২০১০ সালে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলও সৌদি সফরকালে মাথা
ঢাকেননি। এদিকে ব্রেক্সিটের (ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগ) পর বিনিয়োগ নিশ্চিত
রাখতে এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণের তাগিদে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা
মে রিয়াদ সফরে গেছেন। আরব বিশ্বে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার
সৌদি আরব। সৌদি শেয়ারবাজারের প্রধান সারা আল-সুহাইমি এবং সৌদি সাম্রাজ্যের
সিংহাসনের প্রথম উত্তরাধিকারী ও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রাউন প্রিন্স
মোহাম্মদ বিন নায়েফের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মে। বুধবার বাদশাহ সালমানের সঙ্গেও
বৈঠক করেন তিনি।
No comments