সবার দৃষ্টি বিলাসবহুল মার-এ-লাগোয়
মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রথমবারের
মতো বৃহস্পতিবার সরাসরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের
ফ্লোরিডায় বিলাসবহুল মার-এ-লাগো রিসোর্টে জিনপিংকে স্বাগত জানাবেন
ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়া ও বাণিজ্য প্রশ্নে ক্রমবর্ধমান সংকটের প্রেক্ষাপটে
বিশ্বের সবচেয়ে টানাপড়েনের এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি নতুন অধ্যায়ের
সূচনা হতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বের ক্ষমতাধর দুই রাষ্ট্রপ্রধান
তাদের স্বার্থের রেষারেষিতে দর কষাকষি করবেন। মার-এ-লাগোতে বিদেশি
রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈঠক এটিই প্রথম নয়। তবে এই
বৈঠকটিই সবচেয়ে ঐশ্বর্যশালী বলে মনে করা হচ্ছে। আটলান্টিকের কোল ঘেঁষে
ভূমধ্যসাগর স্টাইলের খেজুর-ডাল আকৃতির ১৭ একর জায়গা নিয়ে মার-এ-লাগো
রিসোর্ট। ১৯২৪-২৭ সালে মার্কিন ধনকুবের নারী মারিজোরি মেরিওয়েদার পোস্ট এই
রিসোর্ট তৈরি করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও বিদেশি অতিথিদের অবকাশ যাপন
স্থান হিসেবে তিনি এই রিসোর্টের পরিকল্পনা করেন। ১৯৭৩ সালে পোস্টের মৃত্যুর
পর রিসোর্টটি প্রেসিডেন্টের বিনোদন স্থান হিসেবে সরকারকে দিয়ে দেয়া হয়।
তবে এর রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ প্রতিবছর সরকারের ১০ লাখ ডলার ব্যয় হয়। এছাড়া
বিমানে উড়ে এসে এখানে ল্যান্ডিং করাও সহজ ছিল না।
ফলে পরবর্তী
প্রেসিডেন্টরা এই রিসোর্ট ব্যবহারে আগ্রহী ছিলেন না। পরবর্তীতে মার-এ-লাগোর
মালিকানা আবার পোস্ট ফাউন্ডেশনের আওতায় আসে। ১৯৮৫ সালে এই রিসোর্ট বিক্রির
ঘোষণা দিলে আবাসন ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন কিনে নেন। বলা হয়ে থাকে,
মার-এ-লাগোর আবাসিক কক্ষগুলো চোখ ধাঁধানো করতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণ-পাতার
সব মজুদ ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৯২৭ সালে যখন এটি খুলে দেয়া তখন এর প্রধান
ভবনটির আয়তন ছিল ৫৫,৭০০ বর্গফুট। এই রিসোর্টে মোট ১১৮টি কক্ষ আছে, এর মধ্যে
৫৮টি বেডরুম ও ৩৩টি বাথরুম। ইউরোপীয় প্যালেসের আদলে রুমগুলো সাজানো হয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প রিসোর্টের মালিক হওয়ার পর এর উন্নয়ন ও ফার্নিশিংয়ে এক কোটি
ডলার ব্যয় করেন। তিনি এতে নতুন একটি বিচ ক্লাব, টেনিস কোর্ট, বলরুম
নির্মাণ করেন। তাতে অন্তত ৭০ লাখ ডলারের স্বর্ণ-পাতা ব্যবহার করা হয়।
No comments