যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান
যুদ্ধাপরাধে
জড়িত থাকাসম্পর্কিত বাংলাদেশের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। গতকাল
সোমবার ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মৌসুমী
রহমানকে তলব করে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে প্রতিবাদ
জানায়।
পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া ও সার্ক) বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করেছেন। তাকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ২৩ নভেম্বর একটি নোটের মাধ্যমে যেসব অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করছে পাকিস্তান সরকার। যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত থাকার যে ইঙ্গিত পাকিস্তানের প্রতি করা হয়েছে সরকার তাও প্রত্যাখ্যান করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাথে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে পাকিস্তান আগ্রহী। তারপরও পাকিস্তানকে মানহানি করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টা দুঃখজনক। পাকিস্তান বিশ্বাস করে দুই দেশের জনগণ বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন কেবল বজায় রাখাই নয়; বরং আরো শক্তিশালী করতে চায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলাদেশ সরকার এ চেতনাকে সম্মান দেখাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।
গত বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে জানানো হয়, পাকিস্তানের আইনপ্রণেতারা বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারপ্রক্রিয়াকে সর্বসম্মতিক্রমে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করার পরদিন এমএনএ শেখ আফতাব আহমেদ ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করার সিদ্ধান্তের কথা জানান। আইনপ্রণেতারা বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যেতে পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ এবং বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে পাকিস্তান সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করায় গত ২৩ নভেম্বর দেশটির হাইকমিশনার সুজা আলমকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। এ দিন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পাকিস্তান হাইকমিশনারকে তলব করে প্রতিবাদ জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপক্ষীয়) মিজানুর রহমান। হাইকমিশনারের হাতে দেয়া প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকারী ও গণহত্যাকারীদের পক্ষ নিয়ে পাকিস্তান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধাকালে সংঘটিত অপরাধগুলোর সাথে তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততা স্বীকার করে নিলো। এ ধরনের অযাচিত মন্তব্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নগ্ন হস্তক্ষেপ, যা গ্রহণযোগ্য নয়।
যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করার প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিচারের রায় দেয়া হয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়ায় কেবল অভিযুক্তদের অপরাধ বিবেচনায় নেয়া হয়েছে, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নয়। একটি স্বাধীন দেশের বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে ভিত্তিহীন ও ধার করা মন্তব্য করা পাকিস্তানের উচিত নয়।
এর এক দিন আগে অর্থাৎ ২২ নভেম্বর পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘আমরা গভীর উদ্বেগ ও বেদনার সাথে দুঃখজনক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে দেখলাম। এ ঘটনায় পাকিস্তান খুবই মর্মাহত। ১৯৭১ সালের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশে ত্রুটিপূর্ণ বিচারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া আমরা লক্ষ করছি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ১৯৭৪ সালের ৯ এপ্রিল স্বারিত বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান চুক্তির চেতনার ভিত্তিতে বিষয়টির মীমাংসা হওয়া প্রয়োজন। ১৯৭১ সালের বিষয়গুলোকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়াই এ চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল।
চুক্তিটি অনুসরণ করলে বাংলাদেশের ‘সম্প্রীতি ও সুনাম’ আরো বাড়ত বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া ও সার্ক) বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করেছেন। তাকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ২৩ নভেম্বর একটি নোটের মাধ্যমে যেসব অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করছে পাকিস্তান সরকার। যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত থাকার যে ইঙ্গিত পাকিস্তানের প্রতি করা হয়েছে সরকার তাও প্রত্যাখ্যান করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাথে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে পাকিস্তান আগ্রহী। তারপরও পাকিস্তানকে মানহানি করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টা দুঃখজনক। পাকিস্তান বিশ্বাস করে দুই দেশের জনগণ বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন কেবল বজায় রাখাই নয়; বরং আরো শক্তিশালী করতে চায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলাদেশ সরকার এ চেতনাকে সম্মান দেখাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।
গত বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে জানানো হয়, পাকিস্তানের আইনপ্রণেতারা বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারপ্রক্রিয়াকে সর্বসম্মতিক্রমে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করার পরদিন এমএনএ শেখ আফতাব আহমেদ ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করার সিদ্ধান্তের কথা জানান। আইনপ্রণেতারা বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যেতে পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ এবং বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে পাকিস্তান সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করায় গত ২৩ নভেম্বর দেশটির হাইকমিশনার সুজা আলমকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। এ দিন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পাকিস্তান হাইকমিশনারকে তলব করে প্রতিবাদ জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপক্ষীয়) মিজানুর রহমান। হাইকমিশনারের হাতে দেয়া প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকারী ও গণহত্যাকারীদের পক্ষ নিয়ে পাকিস্তান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধাকালে সংঘটিত অপরাধগুলোর সাথে তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততা স্বীকার করে নিলো। এ ধরনের অযাচিত মন্তব্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নগ্ন হস্তক্ষেপ, যা গ্রহণযোগ্য নয়।
যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করার প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিচারের রায় দেয়া হয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়ায় কেবল অভিযুক্তদের অপরাধ বিবেচনায় নেয়া হয়েছে, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নয়। একটি স্বাধীন দেশের বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে ভিত্তিহীন ও ধার করা মন্তব্য করা পাকিস্তানের উচিত নয়।
এর এক দিন আগে অর্থাৎ ২২ নভেম্বর পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘আমরা গভীর উদ্বেগ ও বেদনার সাথে দুঃখজনক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে দেখলাম। এ ঘটনায় পাকিস্তান খুবই মর্মাহত। ১৯৭১ সালের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশে ত্রুটিপূর্ণ বিচারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া আমরা লক্ষ করছি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ১৯৭৪ সালের ৯ এপ্রিল স্বারিত বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান চুক্তির চেতনার ভিত্তিতে বিষয়টির মীমাংসা হওয়া প্রয়োজন। ১৯৭১ সালের বিষয়গুলোকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়াই এ চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল।
চুক্তিটি অনুসরণ করলে বাংলাদেশের ‘সম্প্রীতি ও সুনাম’ আরো বাড়ত বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
No comments