সাত খুন মামলার চার্জশিট মারাত্মক ত্রুটিপূর্ণ : হাইকোর্ট
নারায়ণগঞ্জের
চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার চার্জশিটে মারাত্মক ত্রুটি রয়েছে বলে মন্তব্য
করেছেন হাইকোর্ট। এই মামলায় অধিকতর তদন্ত চেয়ে নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী
সেলিনা ইসলাম বিউটির করা রিট আবেদনের শুনানিতে আজ মঙ্গলবার আদালত এই
মন্তব্য করেন।
শুনানির এক পর্যায়ে বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, সাত খুন মামলার চার্জশিট আমি পর্যালোচনা করে দেখেছি। পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও চার্জশিট পর্যালোচনা করে আমার মনে হয়েছে, এতে মারাত্মক ত্রুটি রয়েছে।
আবেদনকারীর আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম বলেন, আমি ত্রুটির বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করবো না। আপনারা অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করুন। পর্যালোচনা করে ত্রুটির বিষয়টি বের করুন। এরপর আবেদনকারীর আইনজীবীর সময় বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী রোববার এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
সাত খুন মামলার চার্জশিট দাখিলের পর এর বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন জানায় নিহত কাউন্সিলের নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। কিন্তু তার আবেদন নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এবং জেলা ও দায়রা জজ খারিজ করে দেন। ওই খারিজের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে রিভিশন মামলা দায়ের করেন। এতে মামলাটির অধিকতর আবেদন জানানো হয়। গত ২৯ নভেম্বর এই আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়।
শুনানির শুরুতেই আবেদনকারীর আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার বলেন, মামলার বাদি এজাহারে যাদের আসামি করেছিলেন, তাদের মধ্যে চার্জশিটভুক্ত পাঁচজনের নাম বাদ দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এছাড়া এই মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন দেশের বাইরে ছিলো। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ পাওয়া যায়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ পেলে অনেক নতুন তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
বিচারপতি এম ইনায়তুর রহিম বলেন, মামলার চার্জশিট হয়ে গেছে। এখন নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ আছে কি-না? যদি থাকে তাহলে এর নজির দেখান।
এ সময় আদালত আরো বলেন, অধিকতর তদন্তের নামে এই মামলার বিচারের কাজ যদি কোনো কারণে বিলম্বিত হয়, তাহলে যারা ভেতরে (আসামি) আছেন, তারা না আবার সুযোগ নেয়। আবার এটিও সত্যি- যারা এই মামলার আসামি তাদের সকলেরই বিচার হওয়া দরকার।
এক পর্যায়ে বাসেত মজুমদার প্রস্তুতির সময় চাইলে আদালত রবিবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
গত বছরের ২৭ এপ্রিল দুপুরে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোড থেকে অপহরণ করা হয়। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের এবং ১ মে অপরজনের লাশ পাওয়া যায়। নিহত অপর পাঁচজন হলেন- নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম। এ ঘটনায় নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ফতুল্লা মডেল থানায় নূর হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, হাসমত আলী, আমিনুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ও ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ছাড়া চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল একই ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একই থানায় আরেকটি মামলা করেন।
শুনানির এক পর্যায়ে বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, সাত খুন মামলার চার্জশিট আমি পর্যালোচনা করে দেখেছি। পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও চার্জশিট পর্যালোচনা করে আমার মনে হয়েছে, এতে মারাত্মক ত্রুটি রয়েছে।
আবেদনকারীর আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম বলেন, আমি ত্রুটির বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করবো না। আপনারা অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করুন। পর্যালোচনা করে ত্রুটির বিষয়টি বের করুন। এরপর আবেদনকারীর আইনজীবীর সময় বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী রোববার এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
সাত খুন মামলার চার্জশিট দাখিলের পর এর বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন জানায় নিহত কাউন্সিলের নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। কিন্তু তার আবেদন নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এবং জেলা ও দায়রা জজ খারিজ করে দেন। ওই খারিজের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে রিভিশন মামলা দায়ের করেন। এতে মামলাটির অধিকতর আবেদন জানানো হয়। গত ২৯ নভেম্বর এই আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়।
শুনানির শুরুতেই আবেদনকারীর আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার বলেন, মামলার বাদি এজাহারে যাদের আসামি করেছিলেন, তাদের মধ্যে চার্জশিটভুক্ত পাঁচজনের নাম বাদ দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এছাড়া এই মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন দেশের বাইরে ছিলো। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ পাওয়া যায়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ পেলে অনেক নতুন তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
বিচারপতি এম ইনায়তুর রহিম বলেন, মামলার চার্জশিট হয়ে গেছে। এখন নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ আছে কি-না? যদি থাকে তাহলে এর নজির দেখান।
এ সময় আদালত আরো বলেন, অধিকতর তদন্তের নামে এই মামলার বিচারের কাজ যদি কোনো কারণে বিলম্বিত হয়, তাহলে যারা ভেতরে (আসামি) আছেন, তারা না আবার সুযোগ নেয়। আবার এটিও সত্যি- যারা এই মামলার আসামি তাদের সকলেরই বিচার হওয়া দরকার।
এক পর্যায়ে বাসেত মজুমদার প্রস্তুতির সময় চাইলে আদালত রবিবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
গত বছরের ২৭ এপ্রিল দুপুরে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোড থেকে অপহরণ করা হয়। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের এবং ১ মে অপরজনের লাশ পাওয়া যায়। নিহত অপর পাঁচজন হলেন- নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম। এ ঘটনায় নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ফতুল্লা মডেল থানায় নূর হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, হাসমত আলী, আমিনুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ও ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ছাড়া চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল একই ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একই থানায় আরেকটি মামলা করেন।
No comments