‘বিরোধীদের ধরপাকড়ে আসল অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে’ by তামান্না মোমিন খান
হোসনি দালানের বোমা হামলার সঙ্গে বগুড়ার শিয়া মসজিদের হামলার যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানী মীজানুর রহমান শেলী। তিনি মানবজমিনকে বলেন, বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে এ ঘটনাগুলোর সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর কোন সম্পর্ক নেই। তাহলে কারা এগুলো করছে? এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তারপরও তো এসব ঘটনা প্রশমিত হচ্ছে না। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারাই আসল অপরাধী সেটাও প্রমাণ করতে পারছে না সরকার। এভাবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ধরপাকড় করে কোন কাজ হবে না বরং, আসল অপরাধী পার পেয়ে যাবে। সরকার যদি অপরাধীদের ধরতে না পারে তাহলে জনমনে সন্দেহ থেকে যাবে। সমাজে স্বস্তি দমন নিপীড়নের মধ্যে আসে না বরং জনমনে শান্তি থাকলেই আসে। কারণ, এ দেশের মানুষ ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। সরকারের এসব অপরধ দমন করতে কঠোর নজরদারির প্রয়োজন তানা হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন বিষয়ে শেলী বলেন, দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচন হলে দলীয় বিভেদ তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে যাবে। ভয়ের বিষয় হলো এই যে, প্রধান দলগুলোর কেন্দ্রীয় নেতারা যদি তৃণমূল নেতাদের সহিংতা বন্ধের বিষয়ে সচেতন না করে বরং উস্কানি দিয়ে থাকে তাহলে সহিংসতার আশঙ্কা আরও বেড়ে যাবে। এত করে দলগুলোর ভেতরেই তৃণমূল নেতাদের মধ্যে প্রতিহিংসার জন্ম হবে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন বড় দলগুলোর মধ্যে যে অবিশ্বাসের জন্ম হয়েছে এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন কেউ সুষ্ঠভাবে কাজ করতে পারবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা সৃষ্টি হলেই কেবল অবাধ সুষ্ঠু নির্বচন সম্ভব বলে মনে করেন মীজানুর রহমান শেলী।
No comments