অন্য মামলাগুলোর কী হবে?
মানবতাবিরোধী
অপরাধের অভিযোগে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ
মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে শনিবার দিবাগত রাতে। মৃত্যুদণ্ড
কার্যকর হলেও মুজাহিদের বিরুদ্ধে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাসহ বেশ
কিছু মামলা বিচারাধীন। এসব ঘটনায় মুজাহিদ জড়িত ছিলেন কি ছিলেন না- সে
প্রশ্ন এখন রয়েই যাবে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, ফৌজদারি আইন অনুযায়ী
কারও বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলে কোন মামলায় মৃত্যুদণ্ড রায় হলে এবং তা
কার্যকর হলে তার ক্ষেত্রে অন্য মামলাগুলো অকার্যকর হয়ে যায়। কারণ মৃত
ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন ধরনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও রায় ঘোষণা করা হয় না।
মুজাহিদের আইনজীবী ও পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, ৫ বছরের বেশি সময় ধরে মুজাহিদের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাসহ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, গাড়ি পোড়ানো, পুলিশের কাজে বাধাদানসহ ১৩টি মামলা করা হয়। রাজধানীর বিভিন্ন থানাসহ ফরিদপুরের বিভিন্ন থানায় মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। মুজাহিদের আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, সব মামলাই বর্তমান সরকারের আমলে করা। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত-সংক্রান্ত এমনি একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯শে জুন গ্রেপ্তার হন জামায়াত নেতা মুজাহিদ। একই বছরের ২রা আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। চলতি বছরের ১৬ই জুন মুজাহিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে গঠিত ৪ সদস্যের আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ। মুজাহিদের আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই দিনই ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে হাজির করা হয় রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে স্থাপিত বিশেষ আদালতে। এমনকি আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার রায় ঘোষণার পর ৯ ও ১০ই নভেম্বর এ মামলায় অন্যদের সঙ্গে তাকেও হাজিরা দিতে হয়। ২৩শে নভেম্বর সোমবারও ২১শে আগস্ট মামলায় তার হাজিরার কথা ছিল।
মুজাহিদের মৃত্যুদ কার্যকরের কয়েক ঘন্টা আগে ২১শে নভেম্বর দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে মুজাহিদের পরিবারের পক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মুজাহিদের স্ত্রী তামান্না-ই-জাহান বলেন, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আগে যে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) ছিল সেখানে মুজাহিদের নাম ছিল না। ২০১০ সালে তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর কারাগারে থাকাবস্থায় এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলমান থাকাবস্থায় ২০১১ সালে এ মামলায় সম্পূরক চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং নিয়মিতভাবে তাকে এ মামলায় হাজির করা হয়। তিনি বলেন, ২১শে আগস্ট মামলায় এখন সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। সম্পূরক চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় জাতির সামনে তিনি একজন হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত হবেন। তাই বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে এই মামলায় নিজের পক্ষে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অধিকার রাখেন তিনি। মুজাহিদের উদ্ধৃতি দিয়ে তার স্ত্রী বলেন, ১৯শে নভেম্বর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি বলেছেন, ২১শে আগস্টে গ্রেনেড হামলা মামলায় তার অবস্থান কী হবে তা তিনি লিখিতভাবে প্রেসিডেন্টের কাছে জানতে চাইবেন।
জানতে চাইলে মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর মানবজমিনকে বলেন, ওনার (মুজাহিদ) বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা ছাড়াও আরও ১২টি মামলা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২১শে আগস্ট মামলায় নিয়মিতই তিনি হাজিরা দিয়েছেন। এখন আমাদের প্রশ্ন- মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর ২১শে আগস্টের মামলাসহ ওনার বিরুদ্ধে দাখিলকৃত মামলাগুলোর ভবিষ্যৎ কী হবে? কিন্তু এ প্রশ্ন কার কাছে করবো? তিনি বলেন, আইনজীবীরা বলছেন, আব্বার মৃত্যু হওয়ায় এসব মামলার কার্যকারিতা এমনিতেই শেষ হয়ে যাবে। আদালত হয়তো এটি করবেন। কিন্তু মামলার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়া মানে তো তিনি এসব মামলায় দোষী না নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া নয়। মাবরুর আরও বলেন, ২১শে আগস্ট মামলায় এখন পর্যন্ত ১৭৫ জনের বেশি সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। কিন্তু কোন সাক্ষী এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার কথা বলেননি। এখন ২১শে আগস্ট মামলায় তিনি দোষী না নির্দোষী- সেটা যেমন তিনিও জানতে পারেননি, তেমনি আমরাও জানতে পারলাম না।
এদিকে মুজাহিদের পরিবারের সদস্যদের এমন দাবির বিষয়ে শনিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, মুজাহিদের পরিবার এসব কথা বলে জনমনে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা দাবি করেন, ফৌজদারি আইনে বলা আছে, যদি কারও বিরুদ্ধে ৫টি মামলাও থাকে এবং একটিতে যদি তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়, তাহলে অন্য মামলাগুলো এমনিতেই অকার্যকর হয়ে যাবে। কারণ মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালত কোন সাক্ষ্য গ্রহণ করেন না এবং রায়ও দেবেন না। মাহবুবে আলম আরও বলেন, তার (মুজাহিদ) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ অন্যান্য মামলায় তার আর কোন দায় থাকবে না। জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার পূর্ব কথার পুনরাবৃত্তি করে মানবজমিনকে বলেন, ক্রিমিনাল জুরিসপ্রুডেন্স অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যেমন কোন সাক্ষ্য গ্রহণ হয় না, তেমনি কোন রায়ও ঘোষণা করা যায় না। মুজাহিদের পরিবার যা বলছে তা অযথাই বলছে।
২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মুজাহিদের আইনজীবী পারভেজ হোসেন মানবজমিনকে বলেন, সংবিধানের ৪৯ ধারা অনুযায়ী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড রহিত করার জন্য সংবাদ সম্মেলন করে আমরা আবেদন জানিয়েছিলাম। যাতে তিনি ২১শে আগস্ট মামলায় দোষী না নির্দোষ তা প্রমাণ করার সুযোগ পান। কিন্তু সে সুযোগ তিনি পাননি। তিনি বলেন, গত সোমবার এ মামলায় মুজাহিদের হাজির হওয়ার কথা ছিল। আদালতের বিচারক আসামি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুর বিষয়সংক্রান্ত নথিপত্র দাখিলের জন্য প্রসিকিউশনকে নির্দেশ দিয়েছেন। আইনানুযায়ী এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হবে। মৃত্যুবরণ করায় শুধু এ মামলা নয়, অন্যান্য মামলা থেকেও মৃত ব্যক্তি হিসেবে তিনি অব্যাহতি পাবেন।
২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান এ বিষয়ে মানবজমিনকে বলেন, আদালত মুজাহিদের মৃত্যু সংক্রান্ত নথিপত্র দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। কারাগার থেকে তা এসে পৌঁছলেই আমরা আদালতে তা দাখিল করবো। ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়ায় এই মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পাবেন। তিনি বলেন, যেহেতু মুজাহিদ মৃত্যুবরণ করেছেন তাই আইন অনুযায়ী এ মামলায় ওনার বিচার আর হবে না। উনি দোষী না নির্দোষ সেটিও রায়ে উল্লেখ থাকবে না।
মুজাহিদের আইনজীবী ও পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, ৫ বছরের বেশি সময় ধরে মুজাহিদের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাসহ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, গাড়ি পোড়ানো, পুলিশের কাজে বাধাদানসহ ১৩টি মামলা করা হয়। রাজধানীর বিভিন্ন থানাসহ ফরিদপুরের বিভিন্ন থানায় মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। মুজাহিদের আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, সব মামলাই বর্তমান সরকারের আমলে করা। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত-সংক্রান্ত এমনি একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯শে জুন গ্রেপ্তার হন জামায়াত নেতা মুজাহিদ। একই বছরের ২রা আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। চলতি বছরের ১৬ই জুন মুজাহিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে গঠিত ৪ সদস্যের আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ। মুজাহিদের আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই দিনই ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে হাজির করা হয় রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে স্থাপিত বিশেষ আদালতে। এমনকি আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার রায় ঘোষণার পর ৯ ও ১০ই নভেম্বর এ মামলায় অন্যদের সঙ্গে তাকেও হাজিরা দিতে হয়। ২৩শে নভেম্বর সোমবারও ২১শে আগস্ট মামলায় তার হাজিরার কথা ছিল।
মুজাহিদের মৃত্যুদ কার্যকরের কয়েক ঘন্টা আগে ২১শে নভেম্বর দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে মুজাহিদের পরিবারের পক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মুজাহিদের স্ত্রী তামান্না-ই-জাহান বলেন, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আগে যে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) ছিল সেখানে মুজাহিদের নাম ছিল না। ২০১০ সালে তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর কারাগারে থাকাবস্থায় এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলমান থাকাবস্থায় ২০১১ সালে এ মামলায় সম্পূরক চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং নিয়মিতভাবে তাকে এ মামলায় হাজির করা হয়। তিনি বলেন, ২১শে আগস্ট মামলায় এখন সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। সম্পূরক চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় জাতির সামনে তিনি একজন হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত হবেন। তাই বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে এই মামলায় নিজের পক্ষে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অধিকার রাখেন তিনি। মুজাহিদের উদ্ধৃতি দিয়ে তার স্ত্রী বলেন, ১৯শে নভেম্বর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি বলেছেন, ২১শে আগস্টে গ্রেনেড হামলা মামলায় তার অবস্থান কী হবে তা তিনি লিখিতভাবে প্রেসিডেন্টের কাছে জানতে চাইবেন।
জানতে চাইলে মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর মানবজমিনকে বলেন, ওনার (মুজাহিদ) বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা ছাড়াও আরও ১২টি মামলা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২১শে আগস্ট মামলায় নিয়মিতই তিনি হাজিরা দিয়েছেন। এখন আমাদের প্রশ্ন- মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর ২১শে আগস্টের মামলাসহ ওনার বিরুদ্ধে দাখিলকৃত মামলাগুলোর ভবিষ্যৎ কী হবে? কিন্তু এ প্রশ্ন কার কাছে করবো? তিনি বলেন, আইনজীবীরা বলছেন, আব্বার মৃত্যু হওয়ায় এসব মামলার কার্যকারিতা এমনিতেই শেষ হয়ে যাবে। আদালত হয়তো এটি করবেন। কিন্তু মামলার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়া মানে তো তিনি এসব মামলায় দোষী না নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া নয়। মাবরুর আরও বলেন, ২১শে আগস্ট মামলায় এখন পর্যন্ত ১৭৫ জনের বেশি সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। কিন্তু কোন সাক্ষী এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার কথা বলেননি। এখন ২১শে আগস্ট মামলায় তিনি দোষী না নির্দোষী- সেটা যেমন তিনিও জানতে পারেননি, তেমনি আমরাও জানতে পারলাম না।
এদিকে মুজাহিদের পরিবারের সদস্যদের এমন দাবির বিষয়ে শনিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, মুজাহিদের পরিবার এসব কথা বলে জনমনে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা দাবি করেন, ফৌজদারি আইনে বলা আছে, যদি কারও বিরুদ্ধে ৫টি মামলাও থাকে এবং একটিতে যদি তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়, তাহলে অন্য মামলাগুলো এমনিতেই অকার্যকর হয়ে যাবে। কারণ মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালত কোন সাক্ষ্য গ্রহণ করেন না এবং রায়ও দেবেন না। মাহবুবে আলম আরও বলেন, তার (মুজাহিদ) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ অন্যান্য মামলায় তার আর কোন দায় থাকবে না। জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার পূর্ব কথার পুনরাবৃত্তি করে মানবজমিনকে বলেন, ক্রিমিনাল জুরিসপ্রুডেন্স অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যেমন কোন সাক্ষ্য গ্রহণ হয় না, তেমনি কোন রায়ও ঘোষণা করা যায় না। মুজাহিদের পরিবার যা বলছে তা অযথাই বলছে।
২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মুজাহিদের আইনজীবী পারভেজ হোসেন মানবজমিনকে বলেন, সংবিধানের ৪৯ ধারা অনুযায়ী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড রহিত করার জন্য সংবাদ সম্মেলন করে আমরা আবেদন জানিয়েছিলাম। যাতে তিনি ২১শে আগস্ট মামলায় দোষী না নির্দোষ তা প্রমাণ করার সুযোগ পান। কিন্তু সে সুযোগ তিনি পাননি। তিনি বলেন, গত সোমবার এ মামলায় মুজাহিদের হাজির হওয়ার কথা ছিল। আদালতের বিচারক আসামি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুর বিষয়সংক্রান্ত নথিপত্র দাখিলের জন্য প্রসিকিউশনকে নির্দেশ দিয়েছেন। আইনানুযায়ী এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হবে। মৃত্যুবরণ করায় শুধু এ মামলা নয়, অন্যান্য মামলা থেকেও মৃত ব্যক্তি হিসেবে তিনি অব্যাহতি পাবেন।
২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান এ বিষয়ে মানবজমিনকে বলেন, আদালত মুজাহিদের মৃত্যু সংক্রান্ত নথিপত্র দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। কারাগার থেকে তা এসে পৌঁছলেই আমরা আদালতে তা দাখিল করবো। ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়ায় এই মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পাবেন। তিনি বলেন, যেহেতু মুজাহিদ মৃত্যুবরণ করেছেন তাই আইন অনুযায়ী এ মামলায় ওনার বিচার আর হবে না। উনি দোষী না নির্দোষ সেটিও রায়ে উল্লেখ থাকবে না।
No comments