দ্য হিন্দুর সম্পাদকীয় : মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে দুর্বল হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার
ভারতের
প্রভাবশালী হিন্দু পত্রিকার এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, যুদ্ধাপরাধের দায়ে
ফাঁসি কার্যকর করে আওয়ামী লীগ সরকার আরো দুর্বল হয়ে পড়ছে। ১৯৭১ সালের ওই
বিয়োগান্তক ঘটনায় সরকার ফাঁসি না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে এ অধ্যায়ের
সমাপ্তি টানতে পারে বলেও সম্পাদকীয়তে বলা হয়।
জামায়াতে ইসলামী নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর নিয়ে বুধবার ‘ক্রাইম অ্যান্ড পেনাল্টি ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে সম্পাদকীয়টি ছাপা হয়।
এতে বলা হয়, ‘যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি দিতে আওয়ামী লীগ সরকার যা সম্ভব করার ব্যাপারে যে অঙ্গীকারবদ্ধ তাতে তেমন কোনো সন্দেহ নেই। তবে বিচারে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে এ অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে। নৈতিক দিক থেকে দেখলে মুত্যুদণ্ড দিয়ে বাংলাদেশ সরকার চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে তার লড়াইয়ে প্রকৃতপক্ষে দুর্বল হয়ে পড়ছে।
বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচারের পরিবর্তে প্রতিশোধ নেয়ার রঙ ছড়াচ্ছে, যা (ন্যায়বিচার) হওয়া উচিত রাষ্ট্রীয় আইনি কাঠামোর ভিত্তি।
অন্যদিকে এমন সময় এসব ফাঁসি কার্যকরের ঘটনা ঘটছে যখন বাংলাদেশ ইসলামী মৌলবাদের সমস্যায় জর্জরিত। শেখ হাসিনার সরকার যদি মনে করে যে এসব ফাঁসির মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতি দুর্বল হয়ে পড়বে, ভবিষ্যতে তা ভুলই প্রমাণিত হতে পারে।
সরকার বিরোধীদের ব্যাপারে যে কঠোর অবস্থান নিয়েছে তাতে বিরোধীদের প্রতি সহানুভূতিশীলদের মধ্য থেকে উগ্রপন্থীরা সদস্য নিয়োগ দিতে পারে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে মনে হচ্ছে এটা ইতোমধ্যেই ঘটছে।
সরকারের কঠোর অবস্থান এবং নেতাদের ফাঁসির ঝোলানো সত্ত্বেও দেশের বৃহত্তম ইসলামপন্থী দল জামায়াতে ইসলামী এখনো সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী এবং বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠাকে তাদের ‘প্রতিশোধ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
অধিকন্তু যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর আরম্ভ হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে যে সেক্যুলার লেখক ও তাদের প্রকাশকদের ওপর হামলা বেড়েছে, তা কাকতালীয় নাও হতে পারে।
অন্যকথায় সরকার যে বর্তমানের পরিবর্তে অতীতের বিচারের ব্যাপারে মনোযোগী সেই বৈপরীত্যও প্রকট হয়ে উঠেছে।
ঢাকার সামনে এখন বিরাট চ্যালেঞ্জ। তাকে নিশ্চিত করতে হবে যে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার যেমন করতে হবে, পাশাপাশি ইসলামী শক্তি যেন এই প্রক্রিয়ার সুযোগ নিয়ে লাভবান হতে না পারে তা তাও রোধ করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে তারা এই বিয়োগান্তক ঘটনার সমাপ্তি টনাতে পারে। মুত্যদণ্ডের ওপর নির্ভরশীলতা কাম্য নয়।’
জামায়াতে ইসলামী নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর নিয়ে বুধবার ‘ক্রাইম অ্যান্ড পেনাল্টি ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে সম্পাদকীয়টি ছাপা হয়।
এতে বলা হয়, ‘যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি দিতে আওয়ামী লীগ সরকার যা সম্ভব করার ব্যাপারে যে অঙ্গীকারবদ্ধ তাতে তেমন কোনো সন্দেহ নেই। তবে বিচারে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে এ অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে। নৈতিক দিক থেকে দেখলে মুত্যুদণ্ড দিয়ে বাংলাদেশ সরকার চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে তার লড়াইয়ে প্রকৃতপক্ষে দুর্বল হয়ে পড়ছে।
বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচারের পরিবর্তে প্রতিশোধ নেয়ার রঙ ছড়াচ্ছে, যা (ন্যায়বিচার) হওয়া উচিত রাষ্ট্রীয় আইনি কাঠামোর ভিত্তি।
অন্যদিকে এমন সময় এসব ফাঁসি কার্যকরের ঘটনা ঘটছে যখন বাংলাদেশ ইসলামী মৌলবাদের সমস্যায় জর্জরিত। শেখ হাসিনার সরকার যদি মনে করে যে এসব ফাঁসির মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতি দুর্বল হয়ে পড়বে, ভবিষ্যতে তা ভুলই প্রমাণিত হতে পারে।
সরকার বিরোধীদের ব্যাপারে যে কঠোর অবস্থান নিয়েছে তাতে বিরোধীদের প্রতি সহানুভূতিশীলদের মধ্য থেকে উগ্রপন্থীরা সদস্য নিয়োগ দিতে পারে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে মনে হচ্ছে এটা ইতোমধ্যেই ঘটছে।
সরকারের কঠোর অবস্থান এবং নেতাদের ফাঁসির ঝোলানো সত্ত্বেও দেশের বৃহত্তম ইসলামপন্থী দল জামায়াতে ইসলামী এখনো সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী এবং বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠাকে তাদের ‘প্রতিশোধ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
অধিকন্তু যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর আরম্ভ হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে যে সেক্যুলার লেখক ও তাদের প্রকাশকদের ওপর হামলা বেড়েছে, তা কাকতালীয় নাও হতে পারে।
অন্যকথায় সরকার যে বর্তমানের পরিবর্তে অতীতের বিচারের ব্যাপারে মনোযোগী সেই বৈপরীত্যও প্রকট হয়ে উঠেছে।
ঢাকার সামনে এখন বিরাট চ্যালেঞ্জ। তাকে নিশ্চিত করতে হবে যে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার যেমন করতে হবে, পাশাপাশি ইসলামী শক্তি যেন এই প্রক্রিয়ার সুযোগ নিয়ে লাভবান হতে না পারে তা তাও রোধ করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে তারা এই বিয়োগান্তক ঘটনার সমাপ্তি টনাতে পারে। মুত্যদণ্ডের ওপর নির্ভরশীলতা কাম্য নয়।’
No comments