আমিরকে ভারত ছাড়ার কথা বলেন কিরণ!
আমির খান |
মৌচাকে
এবার ঢিল ছুড়লেন আমির খান, নতুন করে জাগিয়ে তুললেন অসহিষ্ণুতা-বিতর্ক। গত
সোমবার এক অনুষ্ঠানে বলিউডের এই অভিনেতা দেশজোড়া ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতার
বিরুদ্ধে মুখ খুলে বলেছিলেন, খবরের কাগজ পড়লে বা টিভি দেখলে তিনি
আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। সাত-আট মাস ধরে অসহিষ্ণুতা যেভাবে মাথাচাড়া দিচ্ছে
তাতে ভীত তাঁর স্ত্রী কিরণও। আমির বলেন, ‘নিজের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে কিরণ
এতটাই আশঙ্কিত যে আমাকে একদিন জিজ্ঞেস করেছিল আমাদের কি ভারত ছেড়ে চলে
যাওয়া উচিত?’
আশঙ্কার ব্যাখ্যা দিয়ে আমির বলেছিলেন, সাত-আট মাস ধরে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বেড়ে চলেছে। মানুষ সুবিচার চায়। আশঙ্কার অবসানে খুব স্পষ্ট ভাষায় যে বার্তা আসা দরকার, দুঃখের বিষয় তা আসছে না।
আমিরের এই মন্তব্যের পর নতুন করে শুরু হয়েছে অসহিষ্ণুতা নিয়ে বিতর্ক। কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী এই মন্তব্যকে সমর্থন করে গতকাল বলেন, আমির বা তাঁর মতো যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন তাঁদের দেশদ্রোহী বা দেশবিরোধী আখ্যা না দিয়ে বরং সরকারের দেখা উচিত, কেন মানুষ এমন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে।
অসহিষ্ণুতার প্রশ্নে কয়েক মাস ধরেই ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে হিংসা ছড়িয়েছে। যুক্তিবাদী লেখকেরা খুন হয়েছেন, গো-মাংস খাওয়া বা গরু পাচারের গুজব ছড়িয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে নিরীহ মানুষকে। নৈতিকতা ও অশ্লীলতার ধুয়ো তুলে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন কোথাও কোথাও ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করেছে। প্রতিবাদে বিভিন্ন রাজ্যের লেখক, শিল্পী, বিজ্ঞানী, অধ্যাপকেরা পুরস্কার বা খেতাব ফেরত দিয়েছেন।
বিনোদন জগতের দিকপালেরাও এর আগে এ নিয়ে সরব হয়েছেন। মুখ খুলেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর, শাহরুখ খান, সালমান খানেরা। টিপু সুলতানের নামে বেঙ্গালুরুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নামকরণের প্রস্তাব দেওয়ায় বিশিষ্ট নাট্যকার ও অভিনেতা গিরিশ কারনাডকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এই ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে কথা বলে আমির খান সেই পুরোনো বিতর্কটাই নতুনভাবে খুঁচিয়ে তুললেন। এর ফলে মুম্বাইয়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সেনা গতকাল মঙ্গলবার আমিরের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে। আমিরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হয় বিহারের রাজধানী পাটনা ও মধ্যপ্রদেশের ভোপালেও। মুম্বাই পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, আমিরের বাড়ির সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আমিরের মন্তব্য ঘিরে দেশের রাজনীতিও সরগরম হয়ে উঠেছে। শুরু হয়েছে সরকারের তরফে প্রতিবাদও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেছেন, বিজেপির আমলে সারা দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কম হয়েছে। এই ধরনের কথার আসল উদ্দেশ্য দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি বলেন, যে দেশের মানুষ আমির খানকে এত কিছু দিয়েছে, এই ধরনের কথা তাদের কাছে অসম্মানজনক। তিনি বলেন, ‘আমির এ দেশে নিরাপদ। আমরা ওঁকে দেশ ছাড়তে দেব না।’ বিজেপি মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেন বলেছেন, ‘আমির আসলে দেশের মানুষকে ভয় দেখাতে চাইছেন।’
আমিরের মন্তব্য বলিউডকেও বিভাজিত করে দিয়েছে। অনুপম খের প্রশ্ন করেছেন, এর চেয়েও খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে দেশ গিয়েছে। তখন কি তিনি দেশ ছাড়ার কথা ভেবেছেন? ঋষি কাপুর বলেছেন, সমাজে ঘুণ ধরলে তার মেরামতি দরকার। সমস্যা থেকে মুখ ফেরানো কাজের কাজ নয়। একই মন্তব্য বিজেপি সাংসদ অভিনেতা পরেশ রাওয়ালেরও। তবে দিয়া মির্জা টুইট করে বলেছেন, প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে একটা সংগঠিত মিছিল দেখতে পাচ্ছি। রাভিনা ট্যান্ডন কটাক্ষ করে বলেছেন, দেশ থেকে এত পেয়েও আমির দেশ ছাড়বেন? রণবীর কাপুর আবার আমিরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, আমির এই দেশের ভালো-মন্দ নিয়ে অনেক ভাবনাচিন্তা করেন। চিত্র পরিচালক মহেশ ভাট বলেছেন, পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমাদের দরকার এমন একজন নেতা যিনি কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করবেন।
আশঙ্কার ব্যাখ্যা দিয়ে আমির বলেছিলেন, সাত-আট মাস ধরে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বেড়ে চলেছে। মানুষ সুবিচার চায়। আশঙ্কার অবসানে খুব স্পষ্ট ভাষায় যে বার্তা আসা দরকার, দুঃখের বিষয় তা আসছে না।
আমিরের এই মন্তব্যের পর নতুন করে শুরু হয়েছে অসহিষ্ণুতা নিয়ে বিতর্ক। কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী এই মন্তব্যকে সমর্থন করে গতকাল বলেন, আমির বা তাঁর মতো যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন তাঁদের দেশদ্রোহী বা দেশবিরোধী আখ্যা না দিয়ে বরং সরকারের দেখা উচিত, কেন মানুষ এমন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে।
অসহিষ্ণুতার প্রশ্নে কয়েক মাস ধরেই ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে হিংসা ছড়িয়েছে। যুক্তিবাদী লেখকেরা খুন হয়েছেন, গো-মাংস খাওয়া বা গরু পাচারের গুজব ছড়িয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে নিরীহ মানুষকে। নৈতিকতা ও অশ্লীলতার ধুয়ো তুলে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন কোথাও কোথাও ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করেছে। প্রতিবাদে বিভিন্ন রাজ্যের লেখক, শিল্পী, বিজ্ঞানী, অধ্যাপকেরা পুরস্কার বা খেতাব ফেরত দিয়েছেন।
বিনোদন জগতের দিকপালেরাও এর আগে এ নিয়ে সরব হয়েছেন। মুখ খুলেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর, শাহরুখ খান, সালমান খানেরা। টিপু সুলতানের নামে বেঙ্গালুরুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নামকরণের প্রস্তাব দেওয়ায় বিশিষ্ট নাট্যকার ও অভিনেতা গিরিশ কারনাডকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এই ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে কথা বলে আমির খান সেই পুরোনো বিতর্কটাই নতুনভাবে খুঁচিয়ে তুললেন। এর ফলে মুম্বাইয়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সেনা গতকাল মঙ্গলবার আমিরের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে। আমিরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হয় বিহারের রাজধানী পাটনা ও মধ্যপ্রদেশের ভোপালেও। মুম্বাই পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, আমিরের বাড়ির সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আমিরের মন্তব্য ঘিরে দেশের রাজনীতিও সরগরম হয়ে উঠেছে। শুরু হয়েছে সরকারের তরফে প্রতিবাদও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেছেন, বিজেপির আমলে সারা দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কম হয়েছে। এই ধরনের কথার আসল উদ্দেশ্য দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি বলেন, যে দেশের মানুষ আমির খানকে এত কিছু দিয়েছে, এই ধরনের কথা তাদের কাছে অসম্মানজনক। তিনি বলেন, ‘আমির এ দেশে নিরাপদ। আমরা ওঁকে দেশ ছাড়তে দেব না।’ বিজেপি মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেন বলেছেন, ‘আমির আসলে দেশের মানুষকে ভয় দেখাতে চাইছেন।’
আমিরের মন্তব্য বলিউডকেও বিভাজিত করে দিয়েছে। অনুপম খের প্রশ্ন করেছেন, এর চেয়েও খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে দেশ গিয়েছে। তখন কি তিনি দেশ ছাড়ার কথা ভেবেছেন? ঋষি কাপুর বলেছেন, সমাজে ঘুণ ধরলে তার মেরামতি দরকার। সমস্যা থেকে মুখ ফেরানো কাজের কাজ নয়। একই মন্তব্য বিজেপি সাংসদ অভিনেতা পরেশ রাওয়ালেরও। তবে দিয়া মির্জা টুইট করে বলেছেন, প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে একটা সংগঠিত মিছিল দেখতে পাচ্ছি। রাভিনা ট্যান্ডন কটাক্ষ করে বলেছেন, দেশ থেকে এত পেয়েও আমির দেশ ছাড়বেন? রণবীর কাপুর আবার আমিরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, আমির এই দেশের ভালো-মন্দ নিয়ে অনেক ভাবনাচিন্তা করেন। চিত্র পরিচালক মহেশ ভাট বলেছেন, পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমাদের দরকার এমন একজন নেতা যিনি কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করবেন।
No comments