জাপানি নারীর লাশ দাফনঃ পাঁচ সন্দেহভাজন রিমান্ডে
জাপানি নাগরিক হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ৫ জনকে গতকাল সিএমএম আদালতে হাজির করা হয় : নয়া দিগন্ত |
রাজধানীর
উত্তরায় এক জাপানি নারীকে হত্যার পর গোপনে তার লাশ দাফন করা হয়েছে বলে
অভিযোগ উঠেছে। নিহত ওই নারীর নাম হিরোয়ি মিয়েতা (৭৪)। এ ঘটনায় পুলিশ
পাঁচজনকে আটক করে রিমান্ডে নিয়েছে। তারা হলো : মো: মারুফুল ইসলাম, রাশেদুল
হক বাপ্পী, ফখরুল ইসলাম, ডা: বিমল চন্দ্র শীল ও মো: জাহাঙ্গীর। পুলিশ তাদের
আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত চার দিনের
রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ দিকে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে না তিনি অসুস্থজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন, তা নিয়ে খ্দো পুলিশের মধ্যে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলেও বর্তমানে অসুস্থজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে তদন্ত করছে পুলিশ। ওই নারীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) একটি সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করলেও পরে তা স্থগিত করা হয়। ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয় ঢাকার জাপান দূতাবাসের অনুরোধে সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, জাপানি ওই নারী ঢাকায় বাংলাদেশী কয়েকজন অংশীদারকে নিয়ে একটি বাইং হাউজ চালাতেন। পাশপাশি তিনি উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর, সড়ক ১৩/বি এর ৮ নম্বর হোল্ডিংয়ের সিটি হোমস নামক একটি হোটেলে একাই থাকতেন। কিন্তু গত আগস্ট মাসে তার ব্যবসায়িক পার্টনাররা তাকে সেখান থেকে ভাটারা থানার বসুন্ধরা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় ওঠান। পুলিশ সূত্র জানায়, হিরোয়ি মিয়েতা কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে প্রতি রাতে জাপানে থাকা তার মাকে ফোন করতেন। এরপর কুশল বিনিময়সহ বিভিন্ন কথা বলে তিনি ঘুমাতেন। গত ২৬ অক্টোবর থেকে তার মাকে আর ফোন করেননি। তার মা নিজেও ফোন করে মেয়েকে পাননি। এরপর থেকে প্রতিদিন জাপান থেকে তিনি মেয়েকে ফোন করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মেয়েকে না পেয়ে তিনি বাংলাদেশে থাকা জাপান দূতাবাসে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানান। এরপর দূতাবাসের ভাইস কাউন্সিলর কুসুকি মাতসুনা প্রথমে মৌখিকভাবে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশকে অবহিত করেন। এরপর তিনি ১৯ নভেম্বর হিরোয়ি নিখোঁজ থাকার বিষয় উল্লেখ করে একই থানায় একটি সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি নম্বর ৯৩৫। ওই জিডির পরই পুলিশ বিষয়টি তদন্তে তৎপর হয়ে ওঠে।
পুলিশ জানায়, অনুসন্ধান করে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য পাওয়া যায়। তারা জানতে পারেন কিছুদিনের মধ্যে একজন বিদেশী নারীকে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের খালপাড় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। কবরস্থানে রেজিস্ট্রার খাতা অনুযায়ী জাপানি ওই নারীকে হালিমা খাতুন পরিচয়ে গত ২৯ অক্টোবর জোহরের নামাজের পর দাফন সম্পন্ন করা হয়। তার স্বামীর নাম দেয়া হয় বাবুল মৃধা। বাবার নাম শাজাহান আলী মৃধা, মার নাম হাজেরা বেগম। বয়স দেয়া হয় ৭৪। তিনি উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে থাকলেও ১২ নম্বর সেক্টরের ১২ রোডের ৪১ নম্বর বাসার ঠিকানা দেয়া হয়। গ্রামের বাড়ি যশোরের অভয়নগরের পোতপাড়া গ্রামে। মৃত্যুর কারণ দেখানো হয় বার্ধক্যজনিত। বাসায় তার মৃত্যু হয় বলে জানান, মো: মারুফুল ইসলাম। তার কবর নম্বর ১২২৬৭ (৬৭)। ওই সময় মারুফুল ইসলাম কবরস্থানের মহরারকে জানায়, ওই নারী সম্পর্কে তার নানী হয়। পুরো বিষয়টি পুলিশের অগোচরেই করা হয়।
গত রোববার রাতে পুলিশ বাদি হয়ে দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার নম্বর ১১। ওই মামলার বাদি হন উত্তরা পূর্ব থানার অপারেশন অফিসার মিজানুর রহমান। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করে ওই নারীকে হত্যার পর লাশ গুম করে গোপনে দাফন করা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ মিয়েতার ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ট্রাক করে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। এরপর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটজনকে আটক করে।
ঘটনাটি গত রোববার রাতে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে পারলে তথ্য নেয়ার জন্য পুলিশের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে পুলিশ প্রথমে বিষয়টি চেপে যাওয়ার পর চেষ্টা করে। কিন্তু গণমাধ্যমকর্মীরা একের পর এক যোগাযোগ করলে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে সব তথ্য জানানো হবে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মিন্টু রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। জাপানি নারীর মৃত্যু নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পুলিশের উত্তরা জোনের ডিসি বিধান ত্রিপুরাও উপস্থিত হন। কিন্তু কিছু সময় পর উপস্থিত সাংবাদিকদের জানানো হয় হিরোয়ি মিয়েতা নিহত সম্পর্কে তথ্য জানাতে ডাকা সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। জানতে চাইলে পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, জাপানি দূতাবাসের অনুরোধে এই সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। ওই সূত্র জানায়, সংবাদ সম্মেলন স্থগিত চেয়ে জাপান দূতাবাস থেকে আইজিপি বরাবর একটি আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হলো।
পুলিশ সূত্র জানায়, ২০০৬ সালে ওই নারীর ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে সিটি হোমসেই থাকছিলেন তিনি। হোটেলে প্রায় পাঁচ-ছয় লাখ টাকা বিল জমা পড়ে যাওয়ায় আড়াই মাস আগে বন্ধুরা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় মিয়েতার থাকার ব্যবস্থা করে দেন। সেখানেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৯ অক্টোবর হিরোয়ি মিয়েতার মৃত্যু হয়।
উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর জানান, গত ২৬ অক্টোবর থেকে ওই নারী নিখোঁজ ছিলেন। ২৯ অক্টোবর তার মৃত্যু হয় বলে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে পুলিশ। তিনি জানান, ওই নারী ১০ বছর ধরে ‘অবৈধভাবে’ বাংলাদেশে বসবাস করছিলেন। তিনি এ দেশে বায়িং হাউজের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। জাপান দূতাবাসের প থেকে সাধারণ ডায়েরির পর ঘটনা অনুসন্ধানে তৎপর হয় পুলিশ। এরপর উত্তরা পূর্ব থানার অপারেশন অফিসার মিজানুর রহমান বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, অপহরণের পর মিয়েতার লাশ গুম করা হয়েছে। মামলার তদন্তে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওই নারীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মৃত্যু ও তাকে সমাহিত করার বিষয়টি কেন গোপন করা হলো, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অপর দিকে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা জানিয়েছে, জাপানি ওই নারী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ওই দিন ডায়রিয়া হওয়ার কারণে মিয়েতার মৃত্যু হয়। মিয়েতাকে তার বন্ধুরা ডা: বিমল চন্দ্র শীলকে দিয়ে চিকিৎসা করান। পরে তার মৃত্যু হলে লাশ উত্তরায় নিয়ে আসা হয়। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে গোপনে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন। ওই কর্মকর্তা জানান, মিয়াতার লাশের ময়নাতদন্ত করার জন্য উত্তোলনের অনুমতির জন্য আদালতে পিটিশন দেয়া হয়েছে। আদালত আজ বুধবার শুনানির দিন ধার্য করেছেন। লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
এ দিকে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে না তিনি অসুস্থজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন, তা নিয়ে খ্দো পুলিশের মধ্যে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলেও বর্তমানে অসুস্থজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে তদন্ত করছে পুলিশ। ওই নারীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) একটি সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করলেও পরে তা স্থগিত করা হয়। ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয় ঢাকার জাপান দূতাবাসের অনুরোধে সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, জাপানি ওই নারী ঢাকায় বাংলাদেশী কয়েকজন অংশীদারকে নিয়ে একটি বাইং হাউজ চালাতেন। পাশপাশি তিনি উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর, সড়ক ১৩/বি এর ৮ নম্বর হোল্ডিংয়ের সিটি হোমস নামক একটি হোটেলে একাই থাকতেন। কিন্তু গত আগস্ট মাসে তার ব্যবসায়িক পার্টনাররা তাকে সেখান থেকে ভাটারা থানার বসুন্ধরা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় ওঠান। পুলিশ সূত্র জানায়, হিরোয়ি মিয়েতা কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে প্রতি রাতে জাপানে থাকা তার মাকে ফোন করতেন। এরপর কুশল বিনিময়সহ বিভিন্ন কথা বলে তিনি ঘুমাতেন। গত ২৬ অক্টোবর থেকে তার মাকে আর ফোন করেননি। তার মা নিজেও ফোন করে মেয়েকে পাননি। এরপর থেকে প্রতিদিন জাপান থেকে তিনি মেয়েকে ফোন করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মেয়েকে না পেয়ে তিনি বাংলাদেশে থাকা জাপান দূতাবাসে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানান। এরপর দূতাবাসের ভাইস কাউন্সিলর কুসুকি মাতসুনা প্রথমে মৌখিকভাবে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশকে অবহিত করেন। এরপর তিনি ১৯ নভেম্বর হিরোয়ি নিখোঁজ থাকার বিষয় উল্লেখ করে একই থানায় একটি সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি নম্বর ৯৩৫। ওই জিডির পরই পুলিশ বিষয়টি তদন্তে তৎপর হয়ে ওঠে।
পুলিশ জানায়, অনুসন্ধান করে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য পাওয়া যায়। তারা জানতে পারেন কিছুদিনের মধ্যে একজন বিদেশী নারীকে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের খালপাড় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। কবরস্থানে রেজিস্ট্রার খাতা অনুযায়ী জাপানি ওই নারীকে হালিমা খাতুন পরিচয়ে গত ২৯ অক্টোবর জোহরের নামাজের পর দাফন সম্পন্ন করা হয়। তার স্বামীর নাম দেয়া হয় বাবুল মৃধা। বাবার নাম শাজাহান আলী মৃধা, মার নাম হাজেরা বেগম। বয়স দেয়া হয় ৭৪। তিনি উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে থাকলেও ১২ নম্বর সেক্টরের ১২ রোডের ৪১ নম্বর বাসার ঠিকানা দেয়া হয়। গ্রামের বাড়ি যশোরের অভয়নগরের পোতপাড়া গ্রামে। মৃত্যুর কারণ দেখানো হয় বার্ধক্যজনিত। বাসায় তার মৃত্যু হয় বলে জানান, মো: মারুফুল ইসলাম। তার কবর নম্বর ১২২৬৭ (৬৭)। ওই সময় মারুফুল ইসলাম কবরস্থানের মহরারকে জানায়, ওই নারী সম্পর্কে তার নানী হয়। পুরো বিষয়টি পুলিশের অগোচরেই করা হয়।
গত রোববার রাতে পুলিশ বাদি হয়ে দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার নম্বর ১১। ওই মামলার বাদি হন উত্তরা পূর্ব থানার অপারেশন অফিসার মিজানুর রহমান। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করে ওই নারীকে হত্যার পর লাশ গুম করে গোপনে দাফন করা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ মিয়েতার ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ট্রাক করে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। এরপর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটজনকে আটক করে।
ঘটনাটি গত রোববার রাতে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে পারলে তথ্য নেয়ার জন্য পুলিশের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে পুলিশ প্রথমে বিষয়টি চেপে যাওয়ার পর চেষ্টা করে। কিন্তু গণমাধ্যমকর্মীরা একের পর এক যোগাযোগ করলে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে সব তথ্য জানানো হবে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মিন্টু রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। জাপানি নারীর মৃত্যু নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পুলিশের উত্তরা জোনের ডিসি বিধান ত্রিপুরাও উপস্থিত হন। কিন্তু কিছু সময় পর উপস্থিত সাংবাদিকদের জানানো হয় হিরোয়ি মিয়েতা নিহত সম্পর্কে তথ্য জানাতে ডাকা সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। জানতে চাইলে পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, জাপানি দূতাবাসের অনুরোধে এই সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। ওই সূত্র জানায়, সংবাদ সম্মেলন স্থগিত চেয়ে জাপান দূতাবাস থেকে আইজিপি বরাবর একটি আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হলো।
পুলিশ সূত্র জানায়, ২০০৬ সালে ওই নারীর ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে সিটি হোমসেই থাকছিলেন তিনি। হোটেলে প্রায় পাঁচ-ছয় লাখ টাকা বিল জমা পড়ে যাওয়ায় আড়াই মাস আগে বন্ধুরা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় মিয়েতার থাকার ব্যবস্থা করে দেন। সেখানেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৯ অক্টোবর হিরোয়ি মিয়েতার মৃত্যু হয়।
উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর জানান, গত ২৬ অক্টোবর থেকে ওই নারী নিখোঁজ ছিলেন। ২৯ অক্টোবর তার মৃত্যু হয় বলে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে পুলিশ। তিনি জানান, ওই নারী ১০ বছর ধরে ‘অবৈধভাবে’ বাংলাদেশে বসবাস করছিলেন। তিনি এ দেশে বায়িং হাউজের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। জাপান দূতাবাসের প থেকে সাধারণ ডায়েরির পর ঘটনা অনুসন্ধানে তৎপর হয় পুলিশ। এরপর উত্তরা পূর্ব থানার অপারেশন অফিসার মিজানুর রহমান বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, অপহরণের পর মিয়েতার লাশ গুম করা হয়েছে। মামলার তদন্তে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওই নারীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মৃত্যু ও তাকে সমাহিত করার বিষয়টি কেন গোপন করা হলো, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অপর দিকে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা জানিয়েছে, জাপানি ওই নারী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ওই দিন ডায়রিয়া হওয়ার কারণে মিয়েতার মৃত্যু হয়। মিয়েতাকে তার বন্ধুরা ডা: বিমল চন্দ্র শীলকে দিয়ে চিকিৎসা করান। পরে তার মৃত্যু হলে লাশ উত্তরায় নিয়ে আসা হয়। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে গোপনে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন। ওই কর্মকর্তা জানান, মিয়াতার লাশের ময়নাতদন্ত করার জন্য উত্তোলনের অনুমতির জন্য আদালতে পিটিশন দেয়া হয়েছে। আদালত আজ বুধবার শুনানির দিন ধার্য করেছেন। লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
No comments