বাঘাইছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির বারান্দায় নষ্ট হচ্ছে ভিজিএফের জব্দ চাল
আমতলী পুলিশ ফাঁড়ি বারান্দায় পড়ে আছে জব্দ করা ভিজিএফের চাল। ২০ অক্টোবর -প্রথম আলো |
বাঘাইছড়িতে দুস্থ গোষ্ঠীর সহায়তা কর্মসূচির (ভিজিএফ) পাঁচ মেট্রিক টন চাল (১০০ বস্তা) জব্দ করা হয় চলতি বছরের ১ জুলাই। উপজেলার আমতলী ইউনিয়নে বিতরণের জন্য এসব চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। আত্মসাতের উদ্দেশ্যে বরাদ্দ করা চাল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে না নিয়ে অন্য স্থানে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ আনা হয়। জব্দ হওয়ার পর থেকে বস্তাভর্তি চালগুলো ফেলে রাখা হয়েছে আমতলী পুলিশ ফাঁড়ির বারান্দায়। ফলে এসব চাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আমতলী পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের ফাঁড়িতে ১০০ বস্তা চাল রাখার জায়গা নেই। তাই বারান্দায় রাখা হয়েছে। আগে ছেঁড়া বস্তা দিয়ে পড়া চাল পাখি ও মুরগি খেত। এখন চাল নষ্ট হওয়ায় পাখিও খাচ্ছে না। বর্ষার সময় পানি পড়ে কিছু চালের বস্তা ভিজে যায়। এরপর আমরা কিছু চাল পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরীক্ষা করে দেখেছি পানিও নীল হয়ে গেছে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, পুলিশ ফাঁড়ির বারান্দায় রাখা হয়েছে চালের বস্তা। এর মধ্যে ১০ থেকে ১৫টি বস্তা ফুটো হয়ে চাল বের হয়ে পড়ে যাচ্ছে। কিছু চালে পোকাও দেখা গেছে।
থানা ও ইউপি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আমতলী ইউনিয়নে গত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৫০০ হতদরিদ্র পরিবারকে পাঁচ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই চালগুলো বিতরণের জন্য গত ৩০ জুন দুরছড়ি খাদ্যগুদাম থেকে তোলা হয়। এরপর এসব চাল ইউপি কার্যালয়ে না রেখে মাইল্যা বাজারের দুটি দোকান ও আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় রাখা হয়। পরদিন ওই তিন স্থান থেকে চালগুলো জব্দ করে পুলিশ। এ ব্যাপারে উপপরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে বাঘাইছড়ি থানায় মামলা করেন। এতে আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব আলীসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরে মামলা তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাঙামাটি কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাহেব আলী বলেন, ইউপি সদস্যদের পরামর্শে গ্রহীতাদের সুবিধার জন্য চালগুলো তিন স্থানে রাখা হয়। ওই স্থানগুলো থেকেই চাল বিতরণ করা হতো। কিন্তু পুলিশ এসে চাল জব্দ করে নিয়ে মামলা করেছে। এখন তদন্ত চলছে। তদন্তে প্রমাণ হবে এসব চাল আত্মসাৎ, নাকি বিতরণের সুবিধার জন্য রাখা হয়েছিল।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুল আলীম বলেন, ‘আমার কাছে তথ্য আছে চাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সে জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বলেছি। কিছু রাখা হয়েছে বিতরণ করার জন্য।’ তিনি আরও জানান, পাহাড়ি এলাকায় বিতরণের সুবিধার জন্য চাল ইউপি কার্যালয়ে না রেখে অন্য স্থানে রাখা যায়।
থানার ওসি মো. জাকির হোসেন ফকির বলেন, ‘জব্দ চাল আমরা বিতরণ করতে পারি না। যেহেতু থানায় একটি মামলা রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অনুমতি দিলে কিছু রেখে বিতরণ করা যায়। এই চালগুলো নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতেও ঝামেলায় থাকতে হয়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুফিদুল আলম বলেন, জব্দ করা চালের বিষয়টি মাসিক সমন্বয় সভায় উত্থাপন করা হয়েছে। সেখানে নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। আইনে আছে তদন্ত কর্মকর্তা কিছু আলামত রেখে বাকিগুলো বিলি করে দিতে পারেন।
এদিকে দুদক মামলার তদন্ত এখনো শুরু হয়নি। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দুদকের রাঙামাটি কার্যালয়ের পরিচালক মো. শফিকুল আহম্মেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘ভিজিএফ চাল নিয়ে আমাদের কাছে একটি অভিযোগ রয়েছে। অতি দ্রুত এর তদন্ত শুরু হবে।’
আমতলী পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের ফাঁড়িতে ১০০ বস্তা চাল রাখার জায়গা নেই। তাই বারান্দায় রাখা হয়েছে। আগে ছেঁড়া বস্তা দিয়ে পড়া চাল পাখি ও মুরগি খেত। এখন চাল নষ্ট হওয়ায় পাখিও খাচ্ছে না। বর্ষার সময় পানি পড়ে কিছু চালের বস্তা ভিজে যায়। এরপর আমরা কিছু চাল পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরীক্ষা করে দেখেছি পানিও নীল হয়ে গেছে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, পুলিশ ফাঁড়ির বারান্দায় রাখা হয়েছে চালের বস্তা। এর মধ্যে ১০ থেকে ১৫টি বস্তা ফুটো হয়ে চাল বের হয়ে পড়ে যাচ্ছে। কিছু চালে পোকাও দেখা গেছে।
থানা ও ইউপি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আমতলী ইউনিয়নে গত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৫০০ হতদরিদ্র পরিবারকে পাঁচ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই চালগুলো বিতরণের জন্য গত ৩০ জুন দুরছড়ি খাদ্যগুদাম থেকে তোলা হয়। এরপর এসব চাল ইউপি কার্যালয়ে না রেখে মাইল্যা বাজারের দুটি দোকান ও আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় রাখা হয়। পরদিন ওই তিন স্থান থেকে চালগুলো জব্দ করে পুলিশ। এ ব্যাপারে উপপরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে বাঘাইছড়ি থানায় মামলা করেন। এতে আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব আলীসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরে মামলা তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাঙামাটি কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাহেব আলী বলেন, ইউপি সদস্যদের পরামর্শে গ্রহীতাদের সুবিধার জন্য চালগুলো তিন স্থানে রাখা হয়। ওই স্থানগুলো থেকেই চাল বিতরণ করা হতো। কিন্তু পুলিশ এসে চাল জব্দ করে নিয়ে মামলা করেছে। এখন তদন্ত চলছে। তদন্তে প্রমাণ হবে এসব চাল আত্মসাৎ, নাকি বিতরণের সুবিধার জন্য রাখা হয়েছিল।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুল আলীম বলেন, ‘আমার কাছে তথ্য আছে চাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সে জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বলেছি। কিছু রাখা হয়েছে বিতরণ করার জন্য।’ তিনি আরও জানান, পাহাড়ি এলাকায় বিতরণের সুবিধার জন্য চাল ইউপি কার্যালয়ে না রেখে অন্য স্থানে রাখা যায়।
থানার ওসি মো. জাকির হোসেন ফকির বলেন, ‘জব্দ চাল আমরা বিতরণ করতে পারি না। যেহেতু থানায় একটি মামলা রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অনুমতি দিলে কিছু রেখে বিতরণ করা যায়। এই চালগুলো নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতেও ঝামেলায় থাকতে হয়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুফিদুল আলম বলেন, জব্দ করা চালের বিষয়টি মাসিক সমন্বয় সভায় উত্থাপন করা হয়েছে। সেখানে নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। আইনে আছে তদন্ত কর্মকর্তা কিছু আলামত রেখে বাকিগুলো বিলি করে দিতে পারেন।
এদিকে দুদক মামলার তদন্ত এখনো শুরু হয়নি। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দুদকের রাঙামাটি কার্যালয়ের পরিচালক মো. শফিকুল আহম্মেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘ভিজিএফ চাল নিয়ে আমাদের কাছে একটি অভিযোগ রয়েছে। অতি দ্রুত এর তদন্ত শুরু হবে।’
No comments