বায়ার্স ফোরামের বৈঠক অনিশ্চিত by এম এম মাসুদ
বিদেশী
দুই নাগরিক হত্যার ঘটনা প্রায় এক মাস হতে চলেছে। এর মধ্যে আবারও তাজিয়া
মিছিলে বোমা হামলায় একজন নিহত হয়েছে। ফলে বিদেশীদের বাংলাদেশে চলাফেরার
ক্ষেত্রে নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের আরও কঠোরভাবে সতর্ক করেছে বেশ কয়েকটি
দেশ। এ অবস্থায় নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে আগামী মাসের ক্রেতা প্রতিনিধিদের
সংগঠন বায়ার্স ফোরামের বৈঠক অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি এখনও
স্বাভাবিক না হওয়ায় ক্রেতারা বাংলাদেশে না এসে তারা তাদের নিজ নিজ দেশে
বৈঠক করতে ডাকছেন উদ্যোক্তাদের। এতে অনেকটা চাপের মধ্যে পড়েছেন দেশের
কারখানা মালিকরা। বিজিএমইএ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে
দেশে অবস্থানরত পোশাক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তাকে আগের মতোই
সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে তাদের প্রধান কার্যালয় থেকে বার্তা পাঠানো
হয়েছে।
জানা গেছে, বায়ার্স ফোরামের নিয়মিত বৈঠক হয় প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহের প্রথম সোমবার। সে অনুযায়ী ২রা নভেম্বর বৈঠক করার কথা সংগঠনটির। কিন্তু একের পর এক হত্যাকাণ্ডে তাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফলে তারা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ভুগছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী সোমবার বৈঠক আয়োজন করা নিয়ে বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, বিদেশী দুই নাগরিক খুনের ঘটনায় এ মাসের বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। সাম্প্রতিক তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলার ঘটনায় পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। ফলে আগামী মাসের সোমবারের বৈঠকটি অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এক সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে দুই বিদেশী নাগরিক খুন হওয়ায় ৫ই অক্টোবরের নিয়মিত বৈঠকটি স্থগিত করে বায়ার্স ফোরাম। গুলশানে এইচঅ্যান্ডএমের কার্যালয়ে মাসিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আবারও এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে তাজিয়া মিছিলে আরেকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরও আশঙ্কা বোধ করছেন সংগঠনটি। ফলে তারা বাংলাদেশ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন। এতে আগামী মওসুমের পোশাক তৈরির কার্যাদেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে হতাশা প্রকাশ করেন শিল্পমালিকরা।
এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, পোশাকশিল্প বিশাল চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। একটার পর একটা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বিদেশী দুই নাগরিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই তাজিয়া মিছিলে বোমা হমালার ঘটনা পরিস্থিতি আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। তিনি জানান, যেসব বায়ার্স বাংলাদেশে আসতে চাইছে না ব্যবসার স্বার্থে তাদের দেয়া পছন্দ মতো জায়গায় গিয়ে বৈঠক করতে হচ্ছে। তবে ক্রেতারা ভীতির মধ্যে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বায়ার্স ফোরামের বৈঠক হবে কি না তা তার জানা নেই। তবে অনেকেই এই সময়ে বাংলাদেশে আসতে রাজি হচ্ছে না। এটি বাংলাদেশের জন্য মোটেই ভালো সংবাদ নয়। শিল্পের স্বার্থে দ্রুত এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
বিজিএমইএর সাবেক সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, বিদেশী নাগরিক হত্যায় ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক এখনও কাটেনি। তিনি বলেন, আমাদের অবস্থা এখন হলো- এক পা এগুলে দুই পা পিছিয়ে যেতে হচ্ছে। গত মাসের বায়ার্স ফোরামের বৈঠক স্থগিত হয়েছে। আগামী মাসের বৈঠক হবে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে আবারও পোশাক শিল্প সংকটের দিকে যাবে; যা পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, বায়ারদের অর্ডার দেয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। কিন্তু এ সময়ই তারা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এটা আমাদের পোশাক শিল্পের জন্য ভাল লক্ষণ নয়। আর এমন পরিস্থিতিতে প্রবৃদ্ধিও কমবে। তিনি বলেন, এতে শুধু উদ্যোক্তাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, সার্বিক রপ্তানি খাতকেই এর মূল্য দিতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে বছরে ১-২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক ক্রয় করে, এমন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে এইচঅ্যান্ডএম, ওয়ালমার্ট, ইন্ডিটেক্স, লিডল ও লিঅ্যান্ডফাং। ১ বিলিয়ন ডলারের কম পণ্য কেনে টার্গেট, বেস্ট সেলার, ভিএফ করপোরেশন, সিয়ার্স, ক্যারিফোর, জেসি পেনি, গ্যাপ, লিভাইসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো। এমন পরিস্থিতিতে বড় সব ক্রেতাই বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ সফর স্থগিতের তালিকায় আছেন দেশের শীর্ষ সারির অনেক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ক্রেতারা। অন্যতম রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এভিন্স গ্রুপ। ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের দুটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এই গ্রুপের বড় ক্রেতা। এরা বড় ধরনের অর্ডার নিয়ে এভিন্স গ্রুপ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছিল।
জানা গেছে, বায়ার্স ফোরামের নিয়মিত বৈঠক হয় প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহের প্রথম সোমবার। সে অনুযায়ী ২রা নভেম্বর বৈঠক করার কথা সংগঠনটির। কিন্তু একের পর এক হত্যাকাণ্ডে তাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফলে তারা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ভুগছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী সোমবার বৈঠক আয়োজন করা নিয়ে বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, বিদেশী দুই নাগরিক খুনের ঘটনায় এ মাসের বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। সাম্প্রতিক তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলার ঘটনায় পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। ফলে আগামী মাসের সোমবারের বৈঠকটি অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এক সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে দুই বিদেশী নাগরিক খুন হওয়ায় ৫ই অক্টোবরের নিয়মিত বৈঠকটি স্থগিত করে বায়ার্স ফোরাম। গুলশানে এইচঅ্যান্ডএমের কার্যালয়ে মাসিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আবারও এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে তাজিয়া মিছিলে আরেকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরও আশঙ্কা বোধ করছেন সংগঠনটি। ফলে তারা বাংলাদেশ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন। এতে আগামী মওসুমের পোশাক তৈরির কার্যাদেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে হতাশা প্রকাশ করেন শিল্পমালিকরা।
এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, পোশাকশিল্প বিশাল চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। একটার পর একটা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বিদেশী দুই নাগরিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই তাজিয়া মিছিলে বোমা হমালার ঘটনা পরিস্থিতি আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। তিনি জানান, যেসব বায়ার্স বাংলাদেশে আসতে চাইছে না ব্যবসার স্বার্থে তাদের দেয়া পছন্দ মতো জায়গায় গিয়ে বৈঠক করতে হচ্ছে। তবে ক্রেতারা ভীতির মধ্যে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বায়ার্স ফোরামের বৈঠক হবে কি না তা তার জানা নেই। তবে অনেকেই এই সময়ে বাংলাদেশে আসতে রাজি হচ্ছে না। এটি বাংলাদেশের জন্য মোটেই ভালো সংবাদ নয়। শিল্পের স্বার্থে দ্রুত এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
বিজিএমইএর সাবেক সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, বিদেশী নাগরিক হত্যায় ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক এখনও কাটেনি। তিনি বলেন, আমাদের অবস্থা এখন হলো- এক পা এগুলে দুই পা পিছিয়ে যেতে হচ্ছে। গত মাসের বায়ার্স ফোরামের বৈঠক স্থগিত হয়েছে। আগামী মাসের বৈঠক হবে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে আবারও পোশাক শিল্প সংকটের দিকে যাবে; যা পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, বায়ারদের অর্ডার দেয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। কিন্তু এ সময়ই তারা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এটা আমাদের পোশাক শিল্পের জন্য ভাল লক্ষণ নয়। আর এমন পরিস্থিতিতে প্রবৃদ্ধিও কমবে। তিনি বলেন, এতে শুধু উদ্যোক্তাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, সার্বিক রপ্তানি খাতকেই এর মূল্য দিতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে বছরে ১-২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক ক্রয় করে, এমন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে এইচঅ্যান্ডএম, ওয়ালমার্ট, ইন্ডিটেক্স, লিডল ও লিঅ্যান্ডফাং। ১ বিলিয়ন ডলারের কম পণ্য কেনে টার্গেট, বেস্ট সেলার, ভিএফ করপোরেশন, সিয়ার্স, ক্যারিফোর, জেসি পেনি, গ্যাপ, লিভাইসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো। এমন পরিস্থিতিতে বড় সব ক্রেতাই বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ সফর স্থগিতের তালিকায় আছেন দেশের শীর্ষ সারির অনেক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ক্রেতারা। অন্যতম রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এভিন্স গ্রুপ। ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের দুটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এই গ্রুপের বড় ক্রেতা। এরা বড় ধরনের অর্ডার নিয়ে এভিন্স গ্রুপ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছিল।
No comments